আজাদুল আদনান, ঢাকা
নরসিংদীর বাসিন্দা হাজেরা বেগম করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। সদর হাসপাতালে আইসিইউ না থাকায় তাঁকে ঢাকায় আনা হয়। কিন্তু রাজধানীর সরকারি আটটি হাসপাতাল ঘুরেও মায়ের জন্য একটি আইসিইউর ব্যবস্থা করতে পারেননি ছেলে জহুরুল ইসলাম।
গত বৃহস্পতিবার মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী, কুয়েত মৈত্রী, কুর্মিটোলা ও বিএসএমএমইউ হাসপাতালে গিয়েও তিনি আইসিইউ খালি পাননি। পরে অনলাইনে আইসিইউ ফাঁকা থাকার তথ্য জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার সকালে মহাখালীর ডিএনসিসি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে আসেন জহুরুল। কিন্তু হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, কোনো আইসিইউ বেড খালি নেই। ফলে বাধ্য হয়েই সংকটাপন্ন হাজেরা বেগমকে বেসরকারি হাসপাতাল বারডেমে ভর্তি করতে হয়।
শুধু জহুরুল নন, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত হাইফ্লো অক্সিজেন ও আইসিইউ বেড প্রয়োজন–এমন অন্তত ৩০ জন রোগী ছুটে আসে ডিএনসিসির করোনা হাসপাতালে। কিন্তু বেড ফাঁকা না থাকায় মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে অধিকাংশ রোগীকে।
ডিএনসিসি হাসপাতালের তথ্যকেন্দ্র থেকে জানা যায়, সাধারণ বেড খালি থাকলেও আগত ৯০ শতাংশই হাইফ্লো অক্সিজেনের রোগী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানালেন, এখানে আইসিইউর তুলনায় হাইফ্লো অক্সিজেনের সংখ্যা খুবই কম। বর্তমানে ২১২টি আইসিইউর প্রতিটিতে রোগী আছে। তাদের অনেকের আইসিইউ প্রয়োজন হলেও কোনোমতে হাইফ্লো অক্সিজেনে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে ডিএনসিসি হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে রোগীর চাপ একটু বেশি। কোনো রোগী যাতে ফেরত না যায়, সে জন্য ৫০০ শয্যা বাড়ানো হচ্ছে, যার প্রতিটিতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন থাকবে। তবে জনবলের সংকট থাকায় কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানালেন তিনি।
পর্যাপ্ত আইসিইউ ও হাইফ্লো অক্সিজেনের সুবিধা থাকলে অনেক সংকটাপন্ন রোগীকে বাঁচানো যেত বলে মনে করছেন জেলা ও বিভাগীয় হাসপাতালগুলোর কর্মকর্তা ও চিকিৎসকেরা।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি আজকের পত্রিকাকে বলেন, `আইসিইউর বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে আমরা বাই–প্যাপ, সি–প্যাপ ও হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা বাড়িয়েছি। তবে এই মুহূর্তে যারা আসছে, তাদের বেশির ভাগই সংকটাপন্ন রোগী।’
এদিকে শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজধানীতে ৩১টি আইসিইউ শয্যা ফাঁকা রয়েছে, যার ১৮টি ডিএনসিসি হাসপাতালে। কিন্তু মাঠ পর্যায়ের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। আইসিইউ না পেয়ে যেখানে রোগী নিয়ে পথে পথে ঘুরছেন স্বজনেরা, সেখানে শয্যা ফাঁকা থাকার তথ্য কেন প্রচার করা হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এ ব্যাপারে ডিএনসিসির পরিচালক বলেন, ‘এটি আসলে সময়ের তারতম্যের কারণে হয়ে থাকে। বর্তমানে আইসিইউ ফাঁকা থাকার কোনো সুযোগ নেই। প্রতিদিন সকাল ৮টার দিকে তাদের (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) তথ্যগুলো দেওয়া হয়। কিন্তু পরে তো ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই রোগী ভর্তি হয়।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, ‘পরিস্থিতি খারাপ হলে সামাল দেওয়া যাবে না। রাতারাতি হাসপাতাল বাড়ানো যাবে না। এটার একটা সীমাবদ্ধতা আছে।’
নরসিংদীর বাসিন্দা হাজেরা বেগম করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। সদর হাসপাতালে আইসিইউ না থাকায় তাঁকে ঢাকায় আনা হয়। কিন্তু রাজধানীর সরকারি আটটি হাসপাতাল ঘুরেও মায়ের জন্য একটি আইসিইউর ব্যবস্থা করতে পারেননি ছেলে জহুরুল ইসলাম।
গত বৃহস্পতিবার মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী, কুয়েত মৈত্রী, কুর্মিটোলা ও বিএসএমএমইউ হাসপাতালে গিয়েও তিনি আইসিইউ খালি পাননি। পরে অনলাইনে আইসিইউ ফাঁকা থাকার তথ্য জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার সকালে মহাখালীর ডিএনসিসি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে আসেন জহুরুল। কিন্তু হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, কোনো আইসিইউ বেড খালি নেই। ফলে বাধ্য হয়েই সংকটাপন্ন হাজেরা বেগমকে বেসরকারি হাসপাতাল বারডেমে ভর্তি করতে হয়।
শুধু জহুরুল নন, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত হাইফ্লো অক্সিজেন ও আইসিইউ বেড প্রয়োজন–এমন অন্তত ৩০ জন রোগী ছুটে আসে ডিএনসিসির করোনা হাসপাতালে। কিন্তু বেড ফাঁকা না থাকায় মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে অধিকাংশ রোগীকে।
ডিএনসিসি হাসপাতালের তথ্যকেন্দ্র থেকে জানা যায়, সাধারণ বেড খালি থাকলেও আগত ৯০ শতাংশই হাইফ্লো অক্সিজেনের রোগী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানালেন, এখানে আইসিইউর তুলনায় হাইফ্লো অক্সিজেনের সংখ্যা খুবই কম। বর্তমানে ২১২টি আইসিইউর প্রতিটিতে রোগী আছে। তাদের অনেকের আইসিইউ প্রয়োজন হলেও কোনোমতে হাইফ্লো অক্সিজেনে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে ডিএনসিসি হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে রোগীর চাপ একটু বেশি। কোনো রোগী যাতে ফেরত না যায়, সে জন্য ৫০০ শয্যা বাড়ানো হচ্ছে, যার প্রতিটিতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন থাকবে। তবে জনবলের সংকট থাকায় কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানালেন তিনি।
পর্যাপ্ত আইসিইউ ও হাইফ্লো অক্সিজেনের সুবিধা থাকলে অনেক সংকটাপন্ন রোগীকে বাঁচানো যেত বলে মনে করছেন জেলা ও বিভাগীয় হাসপাতালগুলোর কর্মকর্তা ও চিকিৎসকেরা।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি আজকের পত্রিকাকে বলেন, `আইসিইউর বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে আমরা বাই–প্যাপ, সি–প্যাপ ও হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা বাড়িয়েছি। তবে এই মুহূর্তে যারা আসছে, তাদের বেশির ভাগই সংকটাপন্ন রোগী।’
এদিকে শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজধানীতে ৩১টি আইসিইউ শয্যা ফাঁকা রয়েছে, যার ১৮টি ডিএনসিসি হাসপাতালে। কিন্তু মাঠ পর্যায়ের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। আইসিইউ না পেয়ে যেখানে রোগী নিয়ে পথে পথে ঘুরছেন স্বজনেরা, সেখানে শয্যা ফাঁকা থাকার তথ্য কেন প্রচার করা হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এ ব্যাপারে ডিএনসিসির পরিচালক বলেন, ‘এটি আসলে সময়ের তারতম্যের কারণে হয়ে থাকে। বর্তমানে আইসিইউ ফাঁকা থাকার কোনো সুযোগ নেই। প্রতিদিন সকাল ৮টার দিকে তাদের (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) তথ্যগুলো দেওয়া হয়। কিন্তু পরে তো ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই রোগী ভর্তি হয়।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, ‘পরিস্থিতি খারাপ হলে সামাল দেওয়া যাবে না। রাতারাতি হাসপাতাল বাড়ানো যাবে না। এটার একটা সীমাবদ্ধতা আছে।’
শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদীর রায়পুরায় শোকসভা করার অভিযোগে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
২৪ মিনিট আগেদগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন ওই ভবনের বাসাভাড়া নিয়ে থাকা গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ী গ্রামের সবুজ শেখ (৪২), দুই ছেলে রবিউল শেখ (১৯), রমজান শেখ (১৩), দুই মেয়ে তাসনিয়া (৬) তাসফিয়া (২) ও বোন ঝুমুর বেগম (৩৮) এবং ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার চরনাজিমউদ্দিন গ্রামের আব্বাস উদ্দীন (৩৯)।
৩৩ মিনিট আগেভোলাগঞ্জের পর জাফলংয়েও লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গত দুই দিন উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৮ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছে। পরে সেগুলো জাফলং জিরো পয়েন্টে প্রতিস্থাপন করা হয়।
৩৮ মিনিট আগেসিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর লুটপাটের পর সেগুলো ভোলাগঞ্জ ও ধোপাগুল এলাকায় ক্রাশার মেশিনে ভাঙার জন্য স্তূপ করে রাখা হয়। পরে যখন অভিযান শুরু হয়, তখন সেগুলো ওই ব্যবসায়ীরা বালু ও মাটি দিয়ে ঢেকে ফেলেন। আজ শুক্রবার সেখানে অভিযান চালিয়ে পাথরগুলো উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে