Ajker Patrika

ইশরাককে মেয়রের শপথ পড়ানো স্থানীয় সরকারের হাতে, ইসির করণীয় শেষ: সানাউল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৪ জুন ২০২৫, ২১: ৪৭
নির্বাচন ভবনে ষষ্ঠ কমিশন বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। ছবি: আজকের পত্রিকা
নির্বাচন ভবনে ষষ্ঠ কমিশন বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন (ইসি) তাদের দায়িত্ব সম্পন্ন করেছে। শপথের বিষয়টি স্থানীয় সরকারের হাতে। এ বিষয়ে ইসি আর কোনো চিঠি পাঠানোর প্রয়োজন দেখছে না। উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ পর্যালোচনা করে আজ বুধবার (৪ জুন) বিকেলে ইসি এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

আজ বিকেলে নির্বাচন ভবনে ইসির এক সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের কাছে ইসির সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন।

ইশরাক হোসেনের শপথ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ জানান, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ে ডিএসসিসি মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের গেজেট প্রকাশের মাধ্যমেই ইসির কাজ শেষ করা হয়েছে। কমিশন সভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেহেতু গেজেট বহাল রয়েছে ও শপথের বিষয়টি স্থানীয় সরকারের আওতাধীন, সেহেতু ইসির নতুন কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন নেই।

আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচনপ্রক্রিয়া শুরু হয় নোটিফিকেশনের মাধ্যমে তথা তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে এবং সম্পন্ন হয় গেজেট পাবলিকেশনের মাধ্যমে। বিধায় আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব সম্পন্ন করেছে এবং গেজেট বহাল আছে বিধায় আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশনের কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।’

নির্বাচন কমিশনার আরও জানান, শপথের বিষয়টি সরকারের হওয়ায় ইসি আর কোনো আইনি পদক্ষেপ বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কোনো ধরনের চিঠি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছে না।

সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘আসনের পুনর্বিন্যাস চেয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। মোট ৭৫টি আসনে ৬০৭টি আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনগুলো নিয়ে কমিটি পর্যায়ে গবেষণা ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুধু আলোচনা সভায় তা উপস্থাপন করা হয়েছে। ঈদের পর পরবর্তী সভায় এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা হবে।’

সানাউল্লাহ জানান, আইন অনুযায়ী সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হবে, যেখানে প্রশাসনিক অখণ্ডতা, ভৌগোলিক অবস্থান, জনসংখ্যা, ভোটার সংখ্যা ও সংশ্লিষ্ট এলাকার ইতিহাস বিবেচনা করা হবে।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার প্রসঙ্গে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘আমরা তো সিদ্ধান্ত নিয়েছি, জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহৃত হবে না। স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও এটি ব্যবহৃত হবে কি না, সে জন্য কনসেনসাস কমিশন থেকে কোনো ফিডব্যাক আসে কি না, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত