নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির একটি চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এই চক্রটির সহায়তায় রোহিঙ্গা ও দাগি আসামিরা নকল জন্মসনদ, এনআইডি ও পাসপোর্ট পেয়েছে বলেও জানিয়েছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—সাইফুল ইসলাম ওরফে সোহেল (৩০), তারেক (৩১), সবুজ মিয়া (২৬), টিপু সুলতান (৪১), রিয়াজ খান (২৬) ও শামসুল করিম (৪১)। তাদের কাছ থেকে ৬টি মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন কোম্পানির সিম জব্দ করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সিআইডি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন সিআইডির পুলিশ সুপার আজাদ রহমান।
তিনি বলেন, এই চক্রটির সহায়তায় ভুয়া জন্মসনদ, এনআইডি ও পাসপোর্ট পেয়েছে রোহিঙ্গা ও দাগি আসামিরা। চট্টগ্রামের কৃষক ওমর ফারুককে টার্গেট করে তাঁর এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করে। দালাল চক্রের সদস্যরা তার ছবি, ঠিকানা ও এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে কক্সবাজারে থাকা ওমর ফারুক নামে এক রোহিঙ্গার পাসপোর্ট তৈরি করে দেয়। ওই রোহিঙ্গা নাগরিকের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয় চক্রটি। ওমর ফারুকের মতো সাধারণ মানুষের এনআইডি কার্ড সংগ্রহে সক্রিয় রয়েছে দালাল চক্র। সংগ্রহের পর অন্যজনের নামে অবৈধভাবে তৈরি করা হয় এনআইডি কার্ড।
এ চক্রটি ভুয়া এনআইডি তৈরি করে বিভিন্ন ব্যাংকের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ব্যাংক ঋণ পেতে সহায়তা করত। এ ছাড়া ভুয়া এনআইডি তৈরির মাধ্যমে প্রবাসে থাকা অনেক ব্যক্তির অজান্তেই পৈতৃক ভিটেমাটি অন্য ভাই বোনের নামে রেজিস্ট্রি হয়ে থাকত। নতুনভাবে নিবন্ধিত ভোটারদের কাছে ফোন দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরিচয় দিয়ে অর্থ চাওয়া এবং গ্রহণ করা ছিল তাঁদের নিত্যদিনের কাজ। বায়োমেট্রিক আপলোড দ্রুত করার জন্য অর্থ গ্রহণসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম ব্যবহার করে সাধারণ সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে অর্থ সংগ্রহ প্রতারণা করত তাঁরা।
সিআইডি আরও জানায়, চক্রটি সাধারণ আবেদনকারীদের কাছ থেকে অধিক টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে জাতীয় পরিচয়পত্রে বয়স কমানোসহ এনআইডির যাবতীয় সংশোধনের (নাম ও ঠিকানা, বয়স পরিবর্তন) কাজ করে আসছিল। আবেদনকারীদের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রে বয়স কমানোর জন্য আবেদনকারী ভেদে প্রায় ১৫-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিত। আবেদনকারীরা তাঁদের প্রকৃত বয়স কমিয়ে অবৈধভাবে জন্মনিবন্ধন সনদ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র পরিবর্তন করার জন্য আসামিদের সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যম হয়ে যোগাযোগ করত।
নির্বাচন কমিশন অফিসে কর্মরত অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় আবেদনকারীদের প্রকৃত বয়স কমিয়ে অবৈধভাবে জন্মনিবন্ধন সনদ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র পরিবর্তন করার জন্য তাঁদের কাছ থেকে বিভিন্ন পরিমাণে টাকা গ্রহণ করত। এ কাজে প্রতারকচক্র তিনটি পর্যায়ে কাজ করে। ভুয়া জন্মসনদ তৈরি করে সেটি দিয়ে এনআইডি কার্ড করা হয়। আর সেটি দিয়ে অবৈধভাবে তৈরি করা হচ্ছে রোহিঙ্গা নাগরিকসহ দাগি আসামিদের জন্য পাসপোর্ট। এই সক্রিয় চক্রটি রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র সার্ভারে ব্লক করা থাকলেও তারা আনব্লক করার জন্য বিপুল পরিমাণ টাকা দাবি করত।
জাল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির একটি চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এই চক্রটির সহায়তায় রোহিঙ্গা ও দাগি আসামিরা নকল জন্মসনদ, এনআইডি ও পাসপোর্ট পেয়েছে বলেও জানিয়েছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—সাইফুল ইসলাম ওরফে সোহেল (৩০), তারেক (৩১), সবুজ মিয়া (২৬), টিপু সুলতান (৪১), রিয়াজ খান (২৬) ও শামসুল করিম (৪১)। তাদের কাছ থেকে ৬টি মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন কোম্পানির সিম জব্দ করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সিআইডি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন সিআইডির পুলিশ সুপার আজাদ রহমান।
তিনি বলেন, এই চক্রটির সহায়তায় ভুয়া জন্মসনদ, এনআইডি ও পাসপোর্ট পেয়েছে রোহিঙ্গা ও দাগি আসামিরা। চট্টগ্রামের কৃষক ওমর ফারুককে টার্গেট করে তাঁর এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করে। দালাল চক্রের সদস্যরা তার ছবি, ঠিকানা ও এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে কক্সবাজারে থাকা ওমর ফারুক নামে এক রোহিঙ্গার পাসপোর্ট তৈরি করে দেয়। ওই রোহিঙ্গা নাগরিকের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয় চক্রটি। ওমর ফারুকের মতো সাধারণ মানুষের এনআইডি কার্ড সংগ্রহে সক্রিয় রয়েছে দালাল চক্র। সংগ্রহের পর অন্যজনের নামে অবৈধভাবে তৈরি করা হয় এনআইডি কার্ড।
এ চক্রটি ভুয়া এনআইডি তৈরি করে বিভিন্ন ব্যাংকের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ব্যাংক ঋণ পেতে সহায়তা করত। এ ছাড়া ভুয়া এনআইডি তৈরির মাধ্যমে প্রবাসে থাকা অনেক ব্যক্তির অজান্তেই পৈতৃক ভিটেমাটি অন্য ভাই বোনের নামে রেজিস্ট্রি হয়ে থাকত। নতুনভাবে নিবন্ধিত ভোটারদের কাছে ফোন দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরিচয় দিয়ে অর্থ চাওয়া এবং গ্রহণ করা ছিল তাঁদের নিত্যদিনের কাজ। বায়োমেট্রিক আপলোড দ্রুত করার জন্য অর্থ গ্রহণসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম ব্যবহার করে সাধারণ সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে অর্থ সংগ্রহ প্রতারণা করত তাঁরা।
সিআইডি আরও জানায়, চক্রটি সাধারণ আবেদনকারীদের কাছ থেকে অধিক টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে জাতীয় পরিচয়পত্রে বয়স কমানোসহ এনআইডির যাবতীয় সংশোধনের (নাম ও ঠিকানা, বয়স পরিবর্তন) কাজ করে আসছিল। আবেদনকারীদের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রে বয়স কমানোর জন্য আবেদনকারী ভেদে প্রায় ১৫-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিত। আবেদনকারীরা তাঁদের প্রকৃত বয়স কমিয়ে অবৈধভাবে জন্মনিবন্ধন সনদ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র পরিবর্তন করার জন্য আসামিদের সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যম হয়ে যোগাযোগ করত।
নির্বাচন কমিশন অফিসে কর্মরত অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় আবেদনকারীদের প্রকৃত বয়স কমিয়ে অবৈধভাবে জন্মনিবন্ধন সনদ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র পরিবর্তন করার জন্য তাঁদের কাছ থেকে বিভিন্ন পরিমাণে টাকা গ্রহণ করত। এ কাজে প্রতারকচক্র তিনটি পর্যায়ে কাজ করে। ভুয়া জন্মসনদ তৈরি করে সেটি দিয়ে এনআইডি কার্ড করা হয়। আর সেটি দিয়ে অবৈধভাবে তৈরি করা হচ্ছে রোহিঙ্গা নাগরিকসহ দাগি আসামিদের জন্য পাসপোর্ট। এই সক্রিয় চক্রটি রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র সার্ভারে ব্লক করা থাকলেও তারা আনব্লক করার জন্য বিপুল পরিমাণ টাকা দাবি করত।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৩ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৪ ঘণ্টা আগে