নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রবাসী সাফায়েত মাহবুব ফারাইজীকে হত্যার অভিযোগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বাড্ডা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. তয়াছের জাহানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আজ বুধবার সাফায়েত মাহবুব ফারাইজীর মা শামীমুন নাহার লিপি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন ভাটারা থানার এসআই মো. মশিউর, ঢাকার ইন্দিরা রোডের বাসিন্দা সুজানা তাবাসসুম সালাম, মো. আফতাব, মোহাম্মদ কামরুল হক, মোহাম্মদ আসওয়াদ, সাখাওয়াত ও মোহাম্মদ রিপন। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
ঢাকার মহানগর হাকিম আরফাতুল রাকিব বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. সারোয়ার হোসেন ও নাজমিন সুলতানা মামলা গ্রহণের পক্ষে শুনানি করেন। আদালত তাৎক্ষণিকভাবে কোনো আদেশ না দিয়ে পরে আদেশ দেবেন বলে জানান। বিকেলের দিকে আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সাফায়েত মাহবুব ফারাইজী জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক। গত ২৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আসেন তিনি। তাঁর বন্ধু সুজানা, আফতাব, সাখাওয়াত ও আসওয়াদ প্রায়ই বাসায় আসতেন। বাসায় তাঁরা নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করতেন। একপর্যায়ে সাফায়েত ও সাফায়েতের মা বন্ধুদের বাসায় আসতে নিষেধ করেন। এতে তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে গত বছর ২৩ নভেম্বর সাফায়েতের বাসায় এসে গালিগালাজ ও মারধর করেন। ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ এসে ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করে।
মামলার আরজিতে আরও বলা হয়, গত ১০ ডিসেম্বর বাদী ও তাঁর ছেলে সাফায়েত গুলশানে একটি কাজে যান। সেখানে তাদের ওপর আক্রমণ করা হয়। মারধরের শিকার হয়ে তাঁরা আহত হন।
গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে গুলশান থানা কর্তৃপক্ষ জানায়, সুজানা তাবাসসুম সালামের সিন্ডিকেট অনেক খারাপ। তাঁর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি নেওয়া যাবে না।
গত বছর ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষে বাদীর ছেলে বাসার বাইরে যান। রাত ১১টার দিকে ফিরে আসার সময় সুজানা তাবাসসুম ও অন্য বন্ধুরা বাসায় আসেন। বাদী এতে রাগান্বিত হন। সাফায়েত চার বন্ধুকে এগিয়ে দিতে বাসা থেকে বের হন। এরপর আর তিনি ফিরে আসেননি। দুদিন পর গত ২৭ ডিসেম্বর ভাটারা থানার পশ্চিম নুরেরচালা নোভা মঞ্জিলের বাসা থেকে বাদীর ছেলে সাফায়াতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই বাসাটি আসামি সুজানাদের বলে আরজিতে উল্লেখ করা হয়।
আরজিতে আরও বলা হয়, গত ১ জানুয়ারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ হস্তান্তর করে। এরপর দাফন শেষে গত ৩ জানুয়ারি ভাটারা থানায় গেলে সহকারী পুলিশ কমিশনার তয়াছের জাহান ও এসআই মশিউর মামলা না নিয়ে উল্টো বাদীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিদায় করে দেন। এর আগে মরদেহ উদ্ধারের পর ভাটারা থানা থেকে এই দুই পুলিশ কর্মকর্তা সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে ছেড়ে দেন। জোরপূর্বক এসব স্বাক্ষর নেওয়া হয়।
শুনানির সময় আদালতকে বাদী বলেন, দুই পুলিশ কর্মকর্তার যোগসাজশে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে তাঁদের সন্দেহ হচ্ছে। যদি তাই না হয় তাহলে তারা হত্যা মামলা করতে বাধা দেবেন কেন? বাদী মনে করেন, সঠিক তদন্ত হলে এই রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে। বাদী আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
বাড্ডা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. তয়াছের জাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার বিষয়ে কিছু জানি না। যদি মামলা হয়ে থাকে তাহলে আদালত থেকে কপি পাওয়ার পর বুঝতে পারব।’
মামলার বিষয়ে জানেন কি না—জানতে চাইলে তয়াছের বলেন, ‘আদালত বা অফিশিয়ালি কিছু জানানো হয়নি। সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি।’
প্রবাসী সাফায়েত মাহবুব ফারাইজীকে হত্যার অভিযোগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বাড্ডা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. তয়াছের জাহানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আজ বুধবার সাফায়েত মাহবুব ফারাইজীর মা শামীমুন নাহার লিপি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন ভাটারা থানার এসআই মো. মশিউর, ঢাকার ইন্দিরা রোডের বাসিন্দা সুজানা তাবাসসুম সালাম, মো. আফতাব, মোহাম্মদ কামরুল হক, মোহাম্মদ আসওয়াদ, সাখাওয়াত ও মোহাম্মদ রিপন। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
ঢাকার মহানগর হাকিম আরফাতুল রাকিব বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. সারোয়ার হোসেন ও নাজমিন সুলতানা মামলা গ্রহণের পক্ষে শুনানি করেন। আদালত তাৎক্ষণিকভাবে কোনো আদেশ না দিয়ে পরে আদেশ দেবেন বলে জানান। বিকেলের দিকে আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সাফায়েত মাহবুব ফারাইজী জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক। গত ২৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আসেন তিনি। তাঁর বন্ধু সুজানা, আফতাব, সাখাওয়াত ও আসওয়াদ প্রায়ই বাসায় আসতেন। বাসায় তাঁরা নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করতেন। একপর্যায়ে সাফায়েত ও সাফায়েতের মা বন্ধুদের বাসায় আসতে নিষেধ করেন। এতে তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে গত বছর ২৩ নভেম্বর সাফায়েতের বাসায় এসে গালিগালাজ ও মারধর করেন। ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ এসে ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করে।
মামলার আরজিতে আরও বলা হয়, গত ১০ ডিসেম্বর বাদী ও তাঁর ছেলে সাফায়েত গুলশানে একটি কাজে যান। সেখানে তাদের ওপর আক্রমণ করা হয়। মারধরের শিকার হয়ে তাঁরা আহত হন।
গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে গুলশান থানা কর্তৃপক্ষ জানায়, সুজানা তাবাসসুম সালামের সিন্ডিকেট অনেক খারাপ। তাঁর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি নেওয়া যাবে না।
গত বছর ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষে বাদীর ছেলে বাসার বাইরে যান। রাত ১১টার দিকে ফিরে আসার সময় সুজানা তাবাসসুম ও অন্য বন্ধুরা বাসায় আসেন। বাদী এতে রাগান্বিত হন। সাফায়েত চার বন্ধুকে এগিয়ে দিতে বাসা থেকে বের হন। এরপর আর তিনি ফিরে আসেননি। দুদিন পর গত ২৭ ডিসেম্বর ভাটারা থানার পশ্চিম নুরেরচালা নোভা মঞ্জিলের বাসা থেকে বাদীর ছেলে সাফায়াতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই বাসাটি আসামি সুজানাদের বলে আরজিতে উল্লেখ করা হয়।
আরজিতে আরও বলা হয়, গত ১ জানুয়ারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ হস্তান্তর করে। এরপর দাফন শেষে গত ৩ জানুয়ারি ভাটারা থানায় গেলে সহকারী পুলিশ কমিশনার তয়াছের জাহান ও এসআই মশিউর মামলা না নিয়ে উল্টো বাদীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিদায় করে দেন। এর আগে মরদেহ উদ্ধারের পর ভাটারা থানা থেকে এই দুই পুলিশ কর্মকর্তা সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে ছেড়ে দেন। জোরপূর্বক এসব স্বাক্ষর নেওয়া হয়।
শুনানির সময় আদালতকে বাদী বলেন, দুই পুলিশ কর্মকর্তার যোগসাজশে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে তাঁদের সন্দেহ হচ্ছে। যদি তাই না হয় তাহলে তারা হত্যা মামলা করতে বাধা দেবেন কেন? বাদী মনে করেন, সঠিক তদন্ত হলে এই রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে। বাদী আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
বাড্ডা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. তয়াছের জাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার বিষয়ে কিছু জানি না। যদি মামলা হয়ে থাকে তাহলে আদালত থেকে কপি পাওয়ার পর বুঝতে পারব।’
মামলার বিষয়ে জানেন কি না—জানতে চাইলে তয়াছের বলেন, ‘আদালত বা অফিশিয়ালি কিছু জানানো হয়নি। সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি।’
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দিন-রাত চলছে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাথর ও বালু তোলার কাজ। বিশেষ করে উপজেলার সাঁও, চাওয়াই ও করতোয়া নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে নির্বিচারে। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নষ্ট হচ্ছে এবং আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙনের। নদীর দুই তীর, ফসলি জম
১ ঘণ্টা আগেচলমান সংস্কারের আওতায় অঙ্গীভূত আনসারদের সুনির্দিষ্টকরনের মাধ্যমে উপজেলা আনসার কোম্পানির প্রশিক্ষণ ধারণাকে ঢেলে সাজিয়ে একটি জাতীয় নিরাপত্তা প্লাটফর্মে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।
৩ ঘণ্টা আগেজনবলসহ বিভিন্ন সংকটে ভুগছে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল। জেলার ২০ লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবার এই কেন্দ্রটিতে প্রয়োজনের চেয়ে কয়েক গুণ কম চিকিৎসক, কর্মচারী আছেন। ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা।
৩ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার বরপা মীরাবাড়ির বাসিন্দা আসাদ ভূঁইয়া (৪৫)। কাজ করতেন স্থানীয় এক ওয়ার্কশপে। স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে সংসার চালিয়ে যাচ্ছিলেন কোনোরকমে। গত বছরের ২৫ আগস্ট রূপসী মোড়ে গাজী টায়ার্স কারখানায় লুটপাট ও মারামারি শুরু হলে হাজারো
৩ ঘণ্টা আগে