আব্দুল্লাহ আল গালিব, ঢাকা
রাজধানীর ব্যস্ততম সড়কগুলোয় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে পায়েচালিত রিকশা ও অটোরিকশাচালকদের মধ্যে নিয়ম না মানার প্রবণতা বেশি। নির্দিষ্ট প্রধান সড়কগুলোয় রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও বাস্তবে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। নিয়মের তোয়াক্কা না করেই এসব সড়কে নির্বিঘ্নে চলছে রিকশা।
মোটরসাইকেল চালকেরাও আইন ভাঙছেন। ফুটপাতে উঠে পড়ার প্রবণতা মোটরসাইকেল চালকদের মধ্যে আগে থেকেই আছে। সম্প্রতি সে প্রবণতা আরও বেড়ে গেছে। এ ছাড়া সিগন্যাল অমান্য করে যানজটের সৃষ্টি করা, উল্টো পথে ঢুকে পড়া, পথচারীদের পদচারী-সেতু না ব্যবহার করা—এসব অনিয়ম সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে। গত মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার রাজধানীর ব্যস্ততম কিছু সড়ক ও মোড়ে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নীলক্ষেত মোড়ে দেখা যায়, একটি সিগন্যাল বন্ধ করে আরেকটি ছাড়ার আগেই অন্যপাশ থেকে গাড়িগুলো চলে আসছে। এতে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। কেউ কাউকে সুযোগ না দিয়ে নিজে আগে যাওয়ার চেষ্টায় মত্ত। এ প্রবণতা রিকশাচালক ও মোটরসাইকেলচালকদের মধ্যে বেশি দেখা গেছে। নীলক্ষেত থেকে আজিমপুর যাওয়ার রাস্তায় কিছু রিকশা উল্টো সড়কে আসতে দেখা গেছে। বাধা দিতে গেলে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করেন কেউ কেউ। পথচারীদের ক্ষেত্রেও একই চিত্র। পদচারী-সেতু থাকার পরও অনেকে সরাসরি ব্যস্ত সড়ক পেরিয়ে যান।
আইন ভাঙার কারণ জানতে চাইলে অনেকেই জরুরি কাজের অজুহাত দেন। কেউ কেউ আবার পুলিশের ব্যর্থতাকেই দোষারোপ করেন। এমনই একজন রিকশাচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটা-দুটা গাড়ি এমন যায়-ই। এর কারণে তো আর জ্যাম হয় না। যখন জ্যাম থাকে তখন এ রকম করি না। প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল তো পুলিশের সামনে দিয়েই যায়, তাদের বেলায় তো পুলিশ কিছু বলে না।’
নিউমার্কেটে পদচারী-সেতু ব্যবহার না করার বিষয়ে কাওসার হোসেন নামের এক পথচারী বলেন, ‘নীলক্ষেত মোড়ে একটা আর সায়েন্স ল্যাব মোড়ে একটা পদচারী-সেতু। এর মধ্যে কিছু নেই। নিউমার্কেটের সামনের পদচারী-সেতুর কাজ তো চলছে কয়েক বছর ধরে! আর যে পদচারী-সেতু আছে, তার নিচে দোকানপাট বসে এমন অবস্থা করেছে, যে এর চেয়ে রাস্তা দিয়ে পার হওয়াই ভালো।’
নীলক্ষেত এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক রাশেদুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মোটরচালিত রিকশাচালকদের মধ্যে আইন অমান্য করার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। মোটরসাইকেলচালকদের মধ্যেও এ প্রবণতা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘বাধা দিতে গেলে আমাদের কনস্টেবলদের সঙ্গে অনেকেই খারাপ আচরণ করেন। এ ছাড়া নিউমার্কেট ও নীলক্ষেতের সড়কে মাঝের ডিভাইডারে রেলিং নেই। পথচারীরা যেখানে-সেখানে রাস্তা পার হচ্ছেন। এটি যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। আমরা বারবার সিটি করপোরেশনকে জানিয়েছি; কিন্তু রেলিংগুলো ঠিক করা হয়নি। রাস্তায় ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকে, যা চলাফেরায় সমস্যার সৃষ্টি করছে।’
রাশেদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘নিউমার্কেটে একটি পদচারী-সেতুর কাজ তিন বছরেও শেষ হয়নি। মানুষ বাধ্য হয়ে রাস্তা দিয়ে পার হচ্ছেন। এখন যাঁরা রাস্তা পার হয়ে যানজট সৃষ্টি করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তো আর মামলা দেওয়া যায় না।’
রামপুরা টিভি সেন্টারসংলগ্ন রাস্তায় একমুখী সড়কে উল্টো পথে আসা এক মোটরসাইকেলচালক বলেন, ‘এদিক দিয়ে সব গাড়িই উল্টো পথে আসে। মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, এমনকি ট্রাকও। টিভি রোডে ঢোকার জন্য ওই বরাবর কোনো ইউটার্ন নেই। তাহলে উল্টো আসবে না তো কী করবে?’
মূল সড়কে রিকশার চলাচল প্রসঙ্গে শাহবাগ জোনের ট্রাফিক পরিদর্শক এ কে মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ট্রাফিক সহায়তাকারী ছাত্ররা থাকেন, তখন লোকবল বেশি থাকায় আমরা রিকশা প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি। কিন্তু ১২টার পর তাঁরা চলে গেলে রিকশাগুলো অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়। প্রয়োজন অনুযায়ী আমাদের জনবল নেই, তাই সমস্যাগুলো বাড়ছে।’
এসব বিষয়ে নিয়ে কথা বলার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ারকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
রাজধানীর ব্যস্ততম সড়কগুলোয় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে পায়েচালিত রিকশা ও অটোরিকশাচালকদের মধ্যে নিয়ম না মানার প্রবণতা বেশি। নির্দিষ্ট প্রধান সড়কগুলোয় রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও বাস্তবে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। নিয়মের তোয়াক্কা না করেই এসব সড়কে নির্বিঘ্নে চলছে রিকশা।
মোটরসাইকেল চালকেরাও আইন ভাঙছেন। ফুটপাতে উঠে পড়ার প্রবণতা মোটরসাইকেল চালকদের মধ্যে আগে থেকেই আছে। সম্প্রতি সে প্রবণতা আরও বেড়ে গেছে। এ ছাড়া সিগন্যাল অমান্য করে যানজটের সৃষ্টি করা, উল্টো পথে ঢুকে পড়া, পথচারীদের পদচারী-সেতু না ব্যবহার করা—এসব অনিয়ম সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে। গত মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার রাজধানীর ব্যস্ততম কিছু সড়ক ও মোড়ে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নীলক্ষেত মোড়ে দেখা যায়, একটি সিগন্যাল বন্ধ করে আরেকটি ছাড়ার আগেই অন্যপাশ থেকে গাড়িগুলো চলে আসছে। এতে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। কেউ কাউকে সুযোগ না দিয়ে নিজে আগে যাওয়ার চেষ্টায় মত্ত। এ প্রবণতা রিকশাচালক ও মোটরসাইকেলচালকদের মধ্যে বেশি দেখা গেছে। নীলক্ষেত থেকে আজিমপুর যাওয়ার রাস্তায় কিছু রিকশা উল্টো সড়কে আসতে দেখা গেছে। বাধা দিতে গেলে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করেন কেউ কেউ। পথচারীদের ক্ষেত্রেও একই চিত্র। পদচারী-সেতু থাকার পরও অনেকে সরাসরি ব্যস্ত সড়ক পেরিয়ে যান।
আইন ভাঙার কারণ জানতে চাইলে অনেকেই জরুরি কাজের অজুহাত দেন। কেউ কেউ আবার পুলিশের ব্যর্থতাকেই দোষারোপ করেন। এমনই একজন রিকশাচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটা-দুটা গাড়ি এমন যায়-ই। এর কারণে তো আর জ্যাম হয় না। যখন জ্যাম থাকে তখন এ রকম করি না। প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল তো পুলিশের সামনে দিয়েই যায়, তাদের বেলায় তো পুলিশ কিছু বলে না।’
নিউমার্কেটে পদচারী-সেতু ব্যবহার না করার বিষয়ে কাওসার হোসেন নামের এক পথচারী বলেন, ‘নীলক্ষেত মোড়ে একটা আর সায়েন্স ল্যাব মোড়ে একটা পদচারী-সেতু। এর মধ্যে কিছু নেই। নিউমার্কেটের সামনের পদচারী-সেতুর কাজ তো চলছে কয়েক বছর ধরে! আর যে পদচারী-সেতু আছে, তার নিচে দোকানপাট বসে এমন অবস্থা করেছে, যে এর চেয়ে রাস্তা দিয়ে পার হওয়াই ভালো।’
নীলক্ষেত এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক রাশেদুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মোটরচালিত রিকশাচালকদের মধ্যে আইন অমান্য করার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। মোটরসাইকেলচালকদের মধ্যেও এ প্রবণতা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘বাধা দিতে গেলে আমাদের কনস্টেবলদের সঙ্গে অনেকেই খারাপ আচরণ করেন। এ ছাড়া নিউমার্কেট ও নীলক্ষেতের সড়কে মাঝের ডিভাইডারে রেলিং নেই। পথচারীরা যেখানে-সেখানে রাস্তা পার হচ্ছেন। এটি যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। আমরা বারবার সিটি করপোরেশনকে জানিয়েছি; কিন্তু রেলিংগুলো ঠিক করা হয়নি। রাস্তায় ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকে, যা চলাফেরায় সমস্যার সৃষ্টি করছে।’
রাশেদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘নিউমার্কেটে একটি পদচারী-সেতুর কাজ তিন বছরেও শেষ হয়নি। মানুষ বাধ্য হয়ে রাস্তা দিয়ে পার হচ্ছেন। এখন যাঁরা রাস্তা পার হয়ে যানজট সৃষ্টি করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তো আর মামলা দেওয়া যায় না।’
রামপুরা টিভি সেন্টারসংলগ্ন রাস্তায় একমুখী সড়কে উল্টো পথে আসা এক মোটরসাইকেলচালক বলেন, ‘এদিক দিয়ে সব গাড়িই উল্টো পথে আসে। মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, এমনকি ট্রাকও। টিভি রোডে ঢোকার জন্য ওই বরাবর কোনো ইউটার্ন নেই। তাহলে উল্টো আসবে না তো কী করবে?’
মূল সড়কে রিকশার চলাচল প্রসঙ্গে শাহবাগ জোনের ট্রাফিক পরিদর্শক এ কে মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ট্রাফিক সহায়তাকারী ছাত্ররা থাকেন, তখন লোকবল বেশি থাকায় আমরা রিকশা প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি। কিন্তু ১২টার পর তাঁরা চলে গেলে রিকশাগুলো অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়। প্রয়োজন অনুযায়ী আমাদের জনবল নেই, তাই সমস্যাগুলো বাড়ছে।’
এসব বিষয়ে নিয়ে কথা বলার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ারকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
২ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৩ ঘণ্টা আগে