শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণে ধীরগতির কারণে পাঁচ বছর ধরে থমকে আছে শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ। দুই দফায় মেয়াদ বাড়ানোর পরও জমি বুঝে পায়নি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। এর মধ্যে নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ার কথা বলে কাজ না করার সিদ্ধান্ত সড়ক বিভাগকে জানিয়ে দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
এদিকে, এই পাঁচ বছরে সড়কটি সচল রাখতে অতিরিক্ত কয়েক কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে সড়ক বিভাগের। দ্রুত সময়ের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ করে উন্নয়নকাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন এই রুটে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।
তবে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বলছে, জমি অধিগ্রহণ কোনো সমস্যা না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অন্য কোনো কারণে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে।
আর সড়ক বিভাগ বলছে, শিগগিরই পুনরায় ঠিকাদার নিয়োগ করে সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে।
শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা সদর উপজেলার মনোহর বাজার থেকে ভেদরগঞ্জ উপজেলার ইব্রাহিমপুরের মেঘনা নদীর ফেরিঘাট পর্যন্ত শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়কটির দৈর্ঘ্য ৩১ কিলোমিটার। খানাখন্দে ভরা সড়কটিতে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। ২০১৯ সালের ১২ মার্চ সড়ক উন্নয়নের প্রকল্পটি একনেকে পাস হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ৮৫৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। প্রথমে প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ৯৫ দশমিক ৮৫ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হয়।
২০১৯ সালের জুনে জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শুরু করে জেলা প্রশাসন। এ পর্যন্ত মাত্র ২৯ দশমিক ২৫ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ শেষে সড়ক বিভাগকে বুঝিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বাকি ৬৬ দশমিক ৬০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে জমি অধিগ্রহণ শুরুর পাশাপাশি সড়ক উন্নয়নে চারটি প্যাকেজে ঠিকাদার নিয়োগ করে সওজ। ৪ নম্বর প্যাকেজে ইব্রাহিমপুর ফেরিঘাট থেকে চরসেন্সাস মাদবরকান্দি পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার সড়কের কাজ পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মীর হাবিবুল আলম অ্যান্ড রানা বিল্ডার্স। কিছু জমি বুঝে পেয়ে প্রতিষ্ঠানটি ফেরিঘাট থেকে কাজ শুরু করেছে। এ পর্যন্ত ২ কিলোমিটার সড়ক কার্পেটিংয়ের জন্য প্রস্তুত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের কাজ চলমান রয়েছে।
চরসেন্সাস মাদবরকান্দি থেকে মনোহর বাজার পর্যন্ত তিনটি প্যাকেজের ২৫ কিলোমিটার সড়কের কাজ যৌথভাবে পেয়েছিল ওরিয়েন্ট ট্রেডিং অ্যান্ড বিল্ডার্স, রিলায়েবল বিল্ডার্স, মাইনুদ্দিন বাশি লিমিটেড, বদরুল ইকবাল, হাসান টেকনো বিল্ডার্স ও ওয়েস্টার্ন ট্রাভেশন অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি নামের ছয়টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে সড়কের জমি বুঝে না পেয়ে এ প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কাজ শুরু করতে পারেনি। পরে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানো হয়। কিন্তু জমি বুঝে না পাওয়া এবং নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ার কথা বলে কাজ না করার কথা জানিয়ে সওজকে চিঠি দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
শরীয়তপুর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন বলেন, প্রকল্পের ৪ নম্বর প্যাকেজের ৬ কিলোমিটার অংশের কাজ চলমান রয়েছে। বাকি তিনটি প্যাকেজের জন্য পুনরায় ঠিকাদার নিয়োগ করে কাজ শুরু করা হবে।
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, ‘করোনা মহামারি ও অন্যান্য জটিলতার কারণে জমি অধিগ্রহণে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে সড়ক উন্নয়নকাজে সেটা কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ না করে চলে গেছে। কী কারণে চলে গেছে, তা সড়ক বিভাগই ভালো বলতে পারবে।’
প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণে ধীরগতির কারণে পাঁচ বছর ধরে থমকে আছে শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ। দুই দফায় মেয়াদ বাড়ানোর পরও জমি বুঝে পায়নি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। এর মধ্যে নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ার কথা বলে কাজ না করার সিদ্ধান্ত সড়ক বিভাগকে জানিয়ে দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
এদিকে, এই পাঁচ বছরে সড়কটি সচল রাখতে অতিরিক্ত কয়েক কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে সড়ক বিভাগের। দ্রুত সময়ের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ করে উন্নয়নকাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন এই রুটে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।
তবে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বলছে, জমি অধিগ্রহণ কোনো সমস্যা না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অন্য কোনো কারণে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে।
আর সড়ক বিভাগ বলছে, শিগগিরই পুনরায় ঠিকাদার নিয়োগ করে সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে।
শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা সদর উপজেলার মনোহর বাজার থেকে ভেদরগঞ্জ উপজেলার ইব্রাহিমপুরের মেঘনা নদীর ফেরিঘাট পর্যন্ত শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়কটির দৈর্ঘ্য ৩১ কিলোমিটার। খানাখন্দে ভরা সড়কটিতে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। ২০১৯ সালের ১২ মার্চ সড়ক উন্নয়নের প্রকল্পটি একনেকে পাস হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ৮৫৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। প্রথমে প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ৯৫ দশমিক ৮৫ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হয়।
২০১৯ সালের জুনে জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শুরু করে জেলা প্রশাসন। এ পর্যন্ত মাত্র ২৯ দশমিক ২৫ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ শেষে সড়ক বিভাগকে বুঝিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বাকি ৬৬ দশমিক ৬০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে জমি অধিগ্রহণ শুরুর পাশাপাশি সড়ক উন্নয়নে চারটি প্যাকেজে ঠিকাদার নিয়োগ করে সওজ। ৪ নম্বর প্যাকেজে ইব্রাহিমপুর ফেরিঘাট থেকে চরসেন্সাস মাদবরকান্দি পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার সড়কের কাজ পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মীর হাবিবুল আলম অ্যান্ড রানা বিল্ডার্স। কিছু জমি বুঝে পেয়ে প্রতিষ্ঠানটি ফেরিঘাট থেকে কাজ শুরু করেছে। এ পর্যন্ত ২ কিলোমিটার সড়ক কার্পেটিংয়ের জন্য প্রস্তুত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের কাজ চলমান রয়েছে।
চরসেন্সাস মাদবরকান্দি থেকে মনোহর বাজার পর্যন্ত তিনটি প্যাকেজের ২৫ কিলোমিটার সড়কের কাজ যৌথভাবে পেয়েছিল ওরিয়েন্ট ট্রেডিং অ্যান্ড বিল্ডার্স, রিলায়েবল বিল্ডার্স, মাইনুদ্দিন বাশি লিমিটেড, বদরুল ইকবাল, হাসান টেকনো বিল্ডার্স ও ওয়েস্টার্ন ট্রাভেশন অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি নামের ছয়টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে সড়কের জমি বুঝে না পেয়ে এ প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কাজ শুরু করতে পারেনি। পরে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানো হয়। কিন্তু জমি বুঝে না পাওয়া এবং নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ার কথা বলে কাজ না করার কথা জানিয়ে সওজকে চিঠি দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
শরীয়তপুর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন বলেন, প্রকল্পের ৪ নম্বর প্যাকেজের ৬ কিলোমিটার অংশের কাজ চলমান রয়েছে। বাকি তিনটি প্যাকেজের জন্য পুনরায় ঠিকাদার নিয়োগ করে কাজ শুরু করা হবে।
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, ‘করোনা মহামারি ও অন্যান্য জটিলতার কারণে জমি অধিগ্রহণে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে সড়ক উন্নয়নকাজে সেটা কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ না করে চলে গেছে। কী কারণে চলে গেছে, তা সড়ক বিভাগই ভালো বলতে পারবে।’
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে টর্নেডো সৃষ্টি হয়ে পানি আকাশে উঠে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলের দিকে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের কোলদিয়াড় এলাকায় পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যে এ দৃশ্যের বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া...
৩৬ মিনিট আগে২০০৭ সালে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও তাঁর স্ত্রীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালে হাইকোর্ট তাঁদের খালাস দেন। পরবর্তীতে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল কর
৪০ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের এক ইমামকে গত ২০ এপ্রিল সকালে গণপিটুনি দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ইমামকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ধর্ষণের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হলে পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। কারাগারে অসুস্থ হয়ে ওই ইমামের মৃত্যু হয়। ইমামের এই মৃত্যুকে পরিকল্পিত...
৪৪ মিনিট আগেসহপাঠীদের থেকে জানা যায়, বিকেলে এক যুবক ওই শিক্ষার্থীকে মেস থেকে উদ্ধার করে প্রথমে ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট এবং পরে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। সন্দেহজনক হওয়ায় তাঁকে সূত্রাপুর থানায় পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁর নাম ইয়াসিন মজুমদার।
২ ঘণ্টা আগে