নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারের সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতি ও লুটপাটে দেশের কৃষি খাত ক্ষতিগ্রস্ত এবং কৃষকেরা সর্বস্বান্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান সরকার সেই কাজগুলোই হাতে নেয়, যেখানে তাদের নিজস্ব মুনাফা আছে, দুর্নীতি হয়, কমিশন পায় এবং কোটি-কোটি টাকা বানাতে পারে।’
সম্প্রতি জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের একটি প্রতিনিধিদল সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চল পরিদর্শন করে। পরিদর্শন শেষে ফিরে এসে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কৃষক দল।
বাঁধ নির্মাণে পুকুরচুরির অভিযোগ এনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘লুটপাট ও অনিয়ম করে যেসব বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলোর স্বল্প সময়ের পানির চাপ সহ্য করার ক্ষমতা নেই। এটাই হচ্ছে সারা দেশে। সরকার বিনা পয়সায় সার দেওয়ার কথা বলে, সুবিধা দেওয়ার কথা বলে, কিন্তু এসবের কিছুই করা হয়নি। তারা (সরকার) ভোট পাওয়ার জন্য এমন মুখরোচক কথা বলে আসছে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সরকারের এমপি-মন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই টাকা ভাগাভাগি করে এবং হরিলুট করে যেসব বাঁধ নির্মাণ করেছেন, তা এতই দুর্বল যে মাত্র ২৪ ঘণ্টার পানির চাপ সামাল দিতে পারেনি। প্রতিবছর এভাবে বাঁধ নির্মাণের নামে হাওরাঞ্চলে সরকারি অর্থ লুটের মহোৎসব চলে। এর ফলে কৃষকেরা সর্বস্বান্ত। অন্যদিকে সরকারি দলের লোকজন ও তাদের আত্মীয়স্বজন হয় আঙুল ফুলে কলা গাছ।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলে জনগণের কাছে তাদের কোনো জবাবদিহি নেই। তারা সব সময় ক্ষমতা পাকাপোক্ত এবং নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকে বলেই জনকল্যাণে কোনো কাজ করে না। এ জন্য তাদের শাসনামলে বাংলাদেশের কৃষকসমাজ সব সময়ই বঞ্চিত, অবহেলিত ও উপেক্ষিত থেকেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এমন লোককে এমন এমন দায়িত্ব দিয়ে রেখেছি যে, যারা যে ব্যবসা করে, তাদের সেই দায়িত্ব দিয়ে রেখেছি। খাদ্যের ব্যবসা যারা করেন, তাঁরা খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকেন। ফলে সেখানে ব্যবসাটাই প্রধান হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে কৃষক দলের পক্ষ থেকে বেশ কিছু সুপারিশ উপস্থাপন করেন মির্জা ফখরুল। সুপারিশগুলো হচ্ছে, হাওররক্ষা বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধ করতে হবে। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বছর-বছর বাঁধ নির্মাণ না করে সিমেন্ট ও বালু দিয়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিনা সুদে বিশেষ ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। ঋণগ্রস্ত কৃষকদের ঋণ মওকুফ এবং স্বাভাবিক অবস্থা না ফেরা পর্যন্ত ঋণের কিস্তি নেওয়া বন্ধ করতে হবে। হাওরাঞ্চলে শস্য বিমা চালু করতে হবে। হাওরাঞ্চলের কৃষকদের আর্থসামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য গণমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
সরকারের সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতি ও লুটপাটে দেশের কৃষি খাত ক্ষতিগ্রস্ত এবং কৃষকেরা সর্বস্বান্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান সরকার সেই কাজগুলোই হাতে নেয়, যেখানে তাদের নিজস্ব মুনাফা আছে, দুর্নীতি হয়, কমিশন পায় এবং কোটি-কোটি টাকা বানাতে পারে।’
সম্প্রতি জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের একটি প্রতিনিধিদল সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চল পরিদর্শন করে। পরিদর্শন শেষে ফিরে এসে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কৃষক দল।
বাঁধ নির্মাণে পুকুরচুরির অভিযোগ এনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘লুটপাট ও অনিয়ম করে যেসব বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলোর স্বল্প সময়ের পানির চাপ সহ্য করার ক্ষমতা নেই। এটাই হচ্ছে সারা দেশে। সরকার বিনা পয়সায় সার দেওয়ার কথা বলে, সুবিধা দেওয়ার কথা বলে, কিন্তু এসবের কিছুই করা হয়নি। তারা (সরকার) ভোট পাওয়ার জন্য এমন মুখরোচক কথা বলে আসছে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সরকারের এমপি-মন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই টাকা ভাগাভাগি করে এবং হরিলুট করে যেসব বাঁধ নির্মাণ করেছেন, তা এতই দুর্বল যে মাত্র ২৪ ঘণ্টার পানির চাপ সামাল দিতে পারেনি। প্রতিবছর এভাবে বাঁধ নির্মাণের নামে হাওরাঞ্চলে সরকারি অর্থ লুটের মহোৎসব চলে। এর ফলে কৃষকেরা সর্বস্বান্ত। অন্যদিকে সরকারি দলের লোকজন ও তাদের আত্মীয়স্বজন হয় আঙুল ফুলে কলা গাছ।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলে জনগণের কাছে তাদের কোনো জবাবদিহি নেই। তারা সব সময় ক্ষমতা পাকাপোক্ত এবং নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকে বলেই জনকল্যাণে কোনো কাজ করে না। এ জন্য তাদের শাসনামলে বাংলাদেশের কৃষকসমাজ সব সময়ই বঞ্চিত, অবহেলিত ও উপেক্ষিত থেকেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এমন লোককে এমন এমন দায়িত্ব দিয়ে রেখেছি যে, যারা যে ব্যবসা করে, তাদের সেই দায়িত্ব দিয়ে রেখেছি। খাদ্যের ব্যবসা যারা করেন, তাঁরা খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকেন। ফলে সেখানে ব্যবসাটাই প্রধান হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে কৃষক দলের পক্ষ থেকে বেশ কিছু সুপারিশ উপস্থাপন করেন মির্জা ফখরুল। সুপারিশগুলো হচ্ছে, হাওররক্ষা বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধ করতে হবে। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বছর-বছর বাঁধ নির্মাণ না করে সিমেন্ট ও বালু দিয়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিনা সুদে বিশেষ ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। ঋণগ্রস্ত কৃষকদের ঋণ মওকুফ এবং স্বাভাবিক অবস্থা না ফেরা পর্যন্ত ঋণের কিস্তি নেওয়া বন্ধ করতে হবে। হাওরাঞ্চলে শস্য বিমা চালু করতে হবে। হাওরাঞ্চলের কৃষকদের আর্থসামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য গণমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর পণ্য অবৈধভাবে গুদামজাত ও বিক্রয়ের অভিযোগে রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী। সদরঘাট আর্মি ক্যাম্পের বিশেষ অভিযানে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
৩০ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের কামারখন্দে র্যাব-১২-এর সদস্যদের ধাওয়ায় পানিতে ডুবে মোহাম্মদ শাওন (২২) নামের এক মাদক কারবারির মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার ডিডি শাহবাজপুর গ্রামের নুরুল হক মোল্লার ছেলে।
২ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধা দেওয়ার ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে। আজ রোববার কক্সবাজার সদর মডেল থানায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কক্সবাজার নদীবন্দরের পোর্ট অফিসার মোহাম্মদ আবদুল
২ ঘণ্টা আগেটেকনাফে অপহরণের তিন দিন পর দুই কৃষক ও প্রতিবন্ধী কিশোরকে ছেড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ রোববার সন্ধ্যায় পাহাড়ের জমিদারঘোনা নামের এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে তিনজনকে ওই এলাকায় রেখে যায় অপহরণকারীরা।
২ ঘণ্টা আগে