ইসলাম ডেস্ক
চন্দ্র ও সূর্য আল্লাহর অপার কুদরতের দুটি অন্যতম নিদর্শন। মহান আল্লাহর নির্ধারিত প্রাকৃতিক নিয়মেই চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ ঘটে।
ইসলাম পূর্ববর্তী যুগে মানুষ মনে করত, পৃথিবীতে কোনো বড় ব্যক্তিত্বের মৃত্যু বা জন্মের কারণে চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ছেলে ইবরাহিমের মৃত্যুর দিনে যখন সূর্যগ্রহণ হয়, তখন সাহাবিরা এই ধারণা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছিলেন। তাঁদের এই ভুল ধারণা দূর করতে বিশ্বনবী (সা.) চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেন।
হজরত মুগিরা ইবনে শুবা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে দুটি নিদর্শন। কারও মৃত্যু বা জন্মের কারণে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ হয় না। কাজেই যখন তোমরা তা দেখবে, তখন তোমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করবে, তাঁর মহত্ত্ব ঘোষণা করবে, নামাজ আদায় করবে এবং সদকা প্রদান করবে।’ (সহিহ্ বুখারি ও সহিহ্ মুসলিম)
হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আরও একটি হাদিসে একই নির্দেশনা পাওয়া যায়—‘সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর কুদরতের বিশেষ নিদর্শন। কারও মৃত্যু বা জন্মের কারণে সূর্যগ্রহণ হয় না। অতঃপর যখন তোমরা চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ দেখতে পাও, তখন তাকবির (আল্লাহু আকবার) বলবে, আল্লাহর কাছে দোয়া করবে, নামাজ আদায় করবে এবং দান-সদকা করবে।’ (সহিহ্ মুসলিম)
এই হাদিসগুলো থেকে স্পষ্ট হয় যে, চন্দ্র ও সূর্য নিজ ক্ষমতায় কিছু করে না; তাদের প্রতিটি গতিবিধি আল্লাহর হুকুমের অধীন। যখন গ্রহণ লাগে, তখন মুমিনদের কর্তব্য হলো, আল্লাহর ইবাদতে মনোনিবেশ করা।
হাদিসে সূর্যগ্রহণের নামাজের মতো চন্দ্রগ্রহণের নামাজও প্রমাণিত এবং এটি একটি সুন্নত আমল। এই নামাজ জামাতে নাকি একাকী আদায় করা হবে, তা নিয়ে ফিকহবিদদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তবে হানাফি মাজহাবের অনুসারীরা চন্দ্রগ্রহণের নামাজ একাকী নিজ নিজ ঘরে পড়ার ওপর জোর দিয়েছেন। ফিকহের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ ‘বাদায়েউস সানায়ি’-তে উল্লেখ রয়েছে—‘চন্দ্রগ্রহণের সময় ঘরে নামাজ আদায় করা হবে। কেননা সুন্নত হচ্ছে, তখন একাকী নামাজ পড়া।’ (বাদায়েউস সানায়ি: ১ /২৮২)
সুতরাং, চন্দ্রগ্রহণের সময় মুমিনদের উচিত অযথা গল্প-গুজব বা হাসি-তামাশায় সময় নষ্ট না করে আল্লাহর প্রতি ভয়ে ভীত থাকা এবং বেশি বেশি ইবাদত করা। এই সময়গুলোতে দোয়া, তাসবিহ, তাওবা-ইস্তিগফার, নামাজ ও দান-সদকা করা আবশ্যক। কারণ, অনেক হাদিসে চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণকে বিশেষ বিপদ বা ক্রান্তিকাল হিসেবে গণ্য করা হয়েছে, যা বান্দার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি সতর্কবার্তা।
চন্দ্র ও সূর্য আল্লাহর অপার কুদরতের দুটি অন্যতম নিদর্শন। মহান আল্লাহর নির্ধারিত প্রাকৃতিক নিয়মেই চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ ঘটে।
ইসলাম পূর্ববর্তী যুগে মানুষ মনে করত, পৃথিবীতে কোনো বড় ব্যক্তিত্বের মৃত্যু বা জন্মের কারণে চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ছেলে ইবরাহিমের মৃত্যুর দিনে যখন সূর্যগ্রহণ হয়, তখন সাহাবিরা এই ধারণা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছিলেন। তাঁদের এই ভুল ধারণা দূর করতে বিশ্বনবী (সা.) চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেন।
হজরত মুগিরা ইবনে শুবা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে দুটি নিদর্শন। কারও মৃত্যু বা জন্মের কারণে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ হয় না। কাজেই যখন তোমরা তা দেখবে, তখন তোমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করবে, তাঁর মহত্ত্ব ঘোষণা করবে, নামাজ আদায় করবে এবং সদকা প্রদান করবে।’ (সহিহ্ বুখারি ও সহিহ্ মুসলিম)
হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আরও একটি হাদিসে একই নির্দেশনা পাওয়া যায়—‘সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর কুদরতের বিশেষ নিদর্শন। কারও মৃত্যু বা জন্মের কারণে সূর্যগ্রহণ হয় না। অতঃপর যখন তোমরা চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ দেখতে পাও, তখন তাকবির (আল্লাহু আকবার) বলবে, আল্লাহর কাছে দোয়া করবে, নামাজ আদায় করবে এবং দান-সদকা করবে।’ (সহিহ্ মুসলিম)
এই হাদিসগুলো থেকে স্পষ্ট হয় যে, চন্দ্র ও সূর্য নিজ ক্ষমতায় কিছু করে না; তাদের প্রতিটি গতিবিধি আল্লাহর হুকুমের অধীন। যখন গ্রহণ লাগে, তখন মুমিনদের কর্তব্য হলো, আল্লাহর ইবাদতে মনোনিবেশ করা।
হাদিসে সূর্যগ্রহণের নামাজের মতো চন্দ্রগ্রহণের নামাজও প্রমাণিত এবং এটি একটি সুন্নত আমল। এই নামাজ জামাতে নাকি একাকী আদায় করা হবে, তা নিয়ে ফিকহবিদদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তবে হানাফি মাজহাবের অনুসারীরা চন্দ্রগ্রহণের নামাজ একাকী নিজ নিজ ঘরে পড়ার ওপর জোর দিয়েছেন। ফিকহের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ ‘বাদায়েউস সানায়ি’-তে উল্লেখ রয়েছে—‘চন্দ্রগ্রহণের সময় ঘরে নামাজ আদায় করা হবে। কেননা সুন্নত হচ্ছে, তখন একাকী নামাজ পড়া।’ (বাদায়েউস সানায়ি: ১ /২৮২)
সুতরাং, চন্দ্রগ্রহণের সময় মুমিনদের উচিত অযথা গল্প-গুজব বা হাসি-তামাশায় সময় নষ্ট না করে আল্লাহর প্রতি ভয়ে ভীত থাকা এবং বেশি বেশি ইবাদত করা। এই সময়গুলোতে দোয়া, তাসবিহ, তাওবা-ইস্তিগফার, নামাজ ও দান-সদকা করা আবশ্যক। কারণ, অনেক হাদিসে চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণকে বিশেষ বিপদ বা ক্রান্তিকাল হিসেবে গণ্য করা হয়েছে, যা বান্দার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি সতর্কবার্তা।
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেরাসুল (সা.)-এর শিক্ষা প্রতিটি অমানবিক প্রথার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান হয়ে উঠেছিল। তিনি মূর্তিপূজার চূর্ণ করে গড়ে তোলেন আল্লাহর একত্ববাদের দালান। নারীর দিলেন তার প্রাপ্ত মর্যাদা। কন্যাশিশুর অধিকার নিশ্চিত করলেন। সামাজিক অসংগতি, সুদ ও লুণ্ঠন বিলুপ্ত করে প্রতিষ্ঠা ন্যায় ও ইনসাফ।
২ দিন আগেমহান আল্লাহর অসীম করুণা ও ভালোবাসার এক অনন্য প্রকাশ হলেন হজরত মুহাম্মদ (সা.), যিনি সমগ্র মানবজাতির জন্য সর্বশেষ বার্তাবাহক বা নবী হিসেবে প্রেরিত হয়েছিলেন। তাঁর আগমন কোনো সাধারণ ঘটনা ছিল না; বরং তা ছিল সৃষ্টির মধ্যে এক নতুন ভোর, যা অজ্ঞতা ও আঁধারের পর্দা সরিয়ে সত্যের আলো ছড়িয়ে দিয়েছে...
২ দিন আগে