ফজলুল কবির

যেদিক থেকেই আসা যাক, সুস্থ মানুষেরই জ্যামিতি পাল্টে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। আর রোগগ্রস্তদের অবস্থা কী হবে, তা সহজেই অনুমেয়। জায়গাটা যেহেতু হাসপাতাল, সেহেতু সেখানে অসুস্থদেরই তো যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু সে কথা মাথায় রেখে রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আশপাশের সড়কের সংস্কার হবে, তেমন আশা করা কঠিন। কারণ, চলছে তো সবই।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে সাধারণ মানুষ মিটফোর্ড হাসপাতাল নামেই চেনে। এবং সেই সূত্রে এর আশপাশের এলাকাকেও তাই। ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালগুলোর একটি এটি। সরকারি এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে সাধারণ মানুষই আসেন। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর যাবতীয় পথ যেন সবাইকে নিরস্ত করতে চায়। ভালো উদ্যোগ বলা যেত, যদি তা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সংস্কার করে করা হতো।
সে যাক। হাসপাতালটিতে যাওয়ার প্রতিটি সড়কে চলছে সংস্কারকাজ। ফলে যানজট একেবারে বাঁধাধরা ব্যাপার। চকবাজার হয়ে বা বংশাল হয়ে বা ইসলামপুরের সটান রাস্তা ধরে—যেভাবেই যাওয়া যাক এক বেদম পথ–যন্ত্রণা সঙ্গী হবে।
হাসপাতালের মূল গেট দিয়ে ঢোকার সময়ই গেটে দেখা হবে ডাব বিক্রেতা থেকে শুরু করে নানা ধরনের পসরা সাজিয়ে বসে থাকা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। নাকে এসে লাগবে নানা রাসায়নিকের মিলিত একটি গন্ধ। প্রথমে কিছুটা ভালো লাগলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই মাথা ধরে যাবে। কিন্তু বারবার সরানোর উদ্যোগ সত্ত্বেও যে রাসায়নিকের গুদাম ও ব্যবসা সরানো যায়নি, তাকে অপরিবর্তনীয় মেনেই এগিয়ে যেতে হবে।
হাসপাতালের মূল বড় গেট বন্ধ থাকায় লোকজনকে চলাচল করতে হয় পকেট গেট দিয়ে। করোনার এই সময়ে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার যে বার্তা সেকেন্ডে সেকেন্ডে প্রচার করা হয়, তার অন্তঃসারশূন্যতা মুহূর্তেই দৃশ্যমান হবে। কারণ, এই যে এত লোক—এরা তো দিব্যি করোনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বেঁচে আছে।
গেটটি পার হওয়ার পর অবশ্য বিস্তৃত পরিসর। কিন্তু লিফটের সামনেই তা সংকীর্ণ হয়ে গেছে ভোজবাজির মতো। দু নম্বর ভবনের নিচতলায় সবাই হুড়োহুড়ি করছে লিফটে চড়তে। নিচতলায় দুই পাশে দুটি লিফট থাকলেও একটি সচল। অন্যটিতে চলছে সংস্কারকাজ। ফলে লিফটের সামনের লাইন জিলাপির প্যাঁচ খেয়ে দাঁড়িয়ে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বেচারা লিফট খুলতেই তাতে হুড়মুড়িয়ে সবাই উঠতেই ককিয়ে উঠল লিফট। পারিবারিক প্রয়োজনে টানা তিন দিন হাসপাতালের এই লিফট ব্যবহার করতে হওয়ায় এটা যে নৈমিত্তিক, তা একেবারে বোঝা হয়ে গেল।
এবার না হয় অন্দরে ঢোকা যাক। হাসপাতালে মোহন উদ্যান থাকার কথা নয়—এটা জানা কথা। কিন্তু তাই বলে এমন! ছয়তলায় মেডিসিন বিভাগে ভর্তির দিন কত লোক ভর্তি হয় একসঙ্গে? গুনতে যাওয়া পণ্ডশ্রম হবে বলে সে চেষ্টা করা হলো না। রোগীদের গোঙানির সঙ্গে আত্মীয় পরিজনদের আলাপ–চিৎকার মিলেমিশে একাকার। কোনো একটি আলাপ বিশেষ হয়ে ওঠা ভীষণ কঠিন। এর মধ্যেই কম বয়সী একজন চিকিৎসককে দেখা গেল বেশ ছোটাছুটি করছেন। ওয়ার্ডের এ মাথা–ও মাথা ছুটছেন। ফাইল দেখছেন। ভালো করে তাকাতে দেখা গেল এমন বেশ কয়েকজন চিকিৎসক আছেন। সময়টা বিকেল বলে সিনিয়রদের দেখা গেল না।
এতসব আলাপের মধ্যেই হঠাৎ এক নারী কণ্ঠ বেশ জোরালো হয়ে শোনা গেল। কান পেতে অনেকক্ষণ শোনার পর বোঝা গেল তিনি সিনিয়র আয়াদের একজন। সরকারি হাসপাতালে যে স্ট্রেচার, বেড, হুইলচেয়ার ইত্যাদি পাওয়া না পাওয়া নিয়ে একটা বাণিজ্য চলে এই শ্রেণির কর্মীদের মাধ্যমে, তা তাঁর কথায় বেশ পরিষ্কার। কোনো রাখঢাক নেই। বললেন, ‘সবই যদি তোরা খাবি, খা। তোগো পেটে কত জায়গা রে?’ তাঁকে থামাতে একজন পুরুষ এগিয়ে এলেন। বেশ নরম গলায় তাঁকে বোঝাচ্ছেন, ‘এত খেপছস কেন? পরেরটা তুই পাবি।’
আরও কিছুক্ষণ কান পেতে শুনতেই বোঝা গেল, তাঁরা দুজনই একটি ক্ষমতা সমীকরণের অংশ, যারা এই স্ট্রেচার, বেড, টেস্ট ইত্যাদি নিয়ে চলা বাণিজ্যের ভাগীদার। এ নিয়ে গোটা দেশের মতোই একটা দলাদলি চলে। এক অংশ অন্য অংশের বাণিজ্যে ভাগ বসানোর চেষ্টা করে। আর এ থেকেই কেউ রাগে, কেউ হাসে। ঠিক রাষ্ট্রের মতোই ব্যাপার–স্যাপার। মুশকিল হচ্ছে এখানে তো সব অসুস্থ লোকেদের নিয়ে কারবার, যাদের অনেকের জীবন এক সরু সুতার ওপর ঝুলছে।

যেদিক থেকেই আসা যাক, সুস্থ মানুষেরই জ্যামিতি পাল্টে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। আর রোগগ্রস্তদের অবস্থা কী হবে, তা সহজেই অনুমেয়। জায়গাটা যেহেতু হাসপাতাল, সেহেতু সেখানে অসুস্থদেরই তো যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু সে কথা মাথায় রেখে রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আশপাশের সড়কের সংস্কার হবে, তেমন আশা করা কঠিন। কারণ, চলছে তো সবই।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে সাধারণ মানুষ মিটফোর্ড হাসপাতাল নামেই চেনে। এবং সেই সূত্রে এর আশপাশের এলাকাকেও তাই। ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালগুলোর একটি এটি। সরকারি এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে সাধারণ মানুষই আসেন। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর যাবতীয় পথ যেন সবাইকে নিরস্ত করতে চায়। ভালো উদ্যোগ বলা যেত, যদি তা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সংস্কার করে করা হতো।
সে যাক। হাসপাতালটিতে যাওয়ার প্রতিটি সড়কে চলছে সংস্কারকাজ। ফলে যানজট একেবারে বাঁধাধরা ব্যাপার। চকবাজার হয়ে বা বংশাল হয়ে বা ইসলামপুরের সটান রাস্তা ধরে—যেভাবেই যাওয়া যাক এক বেদম পথ–যন্ত্রণা সঙ্গী হবে।
হাসপাতালের মূল গেট দিয়ে ঢোকার সময়ই গেটে দেখা হবে ডাব বিক্রেতা থেকে শুরু করে নানা ধরনের পসরা সাজিয়ে বসে থাকা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। নাকে এসে লাগবে নানা রাসায়নিকের মিলিত একটি গন্ধ। প্রথমে কিছুটা ভালো লাগলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই মাথা ধরে যাবে। কিন্তু বারবার সরানোর উদ্যোগ সত্ত্বেও যে রাসায়নিকের গুদাম ও ব্যবসা সরানো যায়নি, তাকে অপরিবর্তনীয় মেনেই এগিয়ে যেতে হবে।
হাসপাতালের মূল বড় গেট বন্ধ থাকায় লোকজনকে চলাচল করতে হয় পকেট গেট দিয়ে। করোনার এই সময়ে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার যে বার্তা সেকেন্ডে সেকেন্ডে প্রচার করা হয়, তার অন্তঃসারশূন্যতা মুহূর্তেই দৃশ্যমান হবে। কারণ, এই যে এত লোক—এরা তো দিব্যি করোনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বেঁচে আছে।
গেটটি পার হওয়ার পর অবশ্য বিস্তৃত পরিসর। কিন্তু লিফটের সামনেই তা সংকীর্ণ হয়ে গেছে ভোজবাজির মতো। দু নম্বর ভবনের নিচতলায় সবাই হুড়োহুড়ি করছে লিফটে চড়তে। নিচতলায় দুই পাশে দুটি লিফট থাকলেও একটি সচল। অন্যটিতে চলছে সংস্কারকাজ। ফলে লিফটের সামনের লাইন জিলাপির প্যাঁচ খেয়ে দাঁড়িয়ে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বেচারা লিফট খুলতেই তাতে হুড়মুড়িয়ে সবাই উঠতেই ককিয়ে উঠল লিফট। পারিবারিক প্রয়োজনে টানা তিন দিন হাসপাতালের এই লিফট ব্যবহার করতে হওয়ায় এটা যে নৈমিত্তিক, তা একেবারে বোঝা হয়ে গেল।
এবার না হয় অন্দরে ঢোকা যাক। হাসপাতালে মোহন উদ্যান থাকার কথা নয়—এটা জানা কথা। কিন্তু তাই বলে এমন! ছয়তলায় মেডিসিন বিভাগে ভর্তির দিন কত লোক ভর্তি হয় একসঙ্গে? গুনতে যাওয়া পণ্ডশ্রম হবে বলে সে চেষ্টা করা হলো না। রোগীদের গোঙানির সঙ্গে আত্মীয় পরিজনদের আলাপ–চিৎকার মিলেমিশে একাকার। কোনো একটি আলাপ বিশেষ হয়ে ওঠা ভীষণ কঠিন। এর মধ্যেই কম বয়সী একজন চিকিৎসককে দেখা গেল বেশ ছোটাছুটি করছেন। ওয়ার্ডের এ মাথা–ও মাথা ছুটছেন। ফাইল দেখছেন। ভালো করে তাকাতে দেখা গেল এমন বেশ কয়েকজন চিকিৎসক আছেন। সময়টা বিকেল বলে সিনিয়রদের দেখা গেল না।
এতসব আলাপের মধ্যেই হঠাৎ এক নারী কণ্ঠ বেশ জোরালো হয়ে শোনা গেল। কান পেতে অনেকক্ষণ শোনার পর বোঝা গেল তিনি সিনিয়র আয়াদের একজন। সরকারি হাসপাতালে যে স্ট্রেচার, বেড, হুইলচেয়ার ইত্যাদি পাওয়া না পাওয়া নিয়ে একটা বাণিজ্য চলে এই শ্রেণির কর্মীদের মাধ্যমে, তা তাঁর কথায় বেশ পরিষ্কার। কোনো রাখঢাক নেই। বললেন, ‘সবই যদি তোরা খাবি, খা। তোগো পেটে কত জায়গা রে?’ তাঁকে থামাতে একজন পুরুষ এগিয়ে এলেন। বেশ নরম গলায় তাঁকে বোঝাচ্ছেন, ‘এত খেপছস কেন? পরেরটা তুই পাবি।’
আরও কিছুক্ষণ কান পেতে শুনতেই বোঝা গেল, তাঁরা দুজনই একটি ক্ষমতা সমীকরণের অংশ, যারা এই স্ট্রেচার, বেড, টেস্ট ইত্যাদি নিয়ে চলা বাণিজ্যের ভাগীদার। এ নিয়ে গোটা দেশের মতোই একটা দলাদলি চলে। এক অংশ অন্য অংশের বাণিজ্যে ভাগ বসানোর চেষ্টা করে। আর এ থেকেই কেউ রাগে, কেউ হাসে। ঠিক রাষ্ট্রের মতোই ব্যাপার–স্যাপার। মুশকিল হচ্ছে এখানে তো সব অসুস্থ লোকেদের নিয়ে কারবার, যাদের অনেকের জীবন এক সরু সুতার ওপর ঝুলছে।
ফজলুল কবির

যেদিক থেকেই আসা যাক, সুস্থ মানুষেরই জ্যামিতি পাল্টে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। আর রোগগ্রস্তদের অবস্থা কী হবে, তা সহজেই অনুমেয়। জায়গাটা যেহেতু হাসপাতাল, সেহেতু সেখানে অসুস্থদেরই তো যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু সে কথা মাথায় রেখে রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আশপাশের সড়কের সংস্কার হবে, তেমন আশা করা কঠিন। কারণ, চলছে তো সবই।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে সাধারণ মানুষ মিটফোর্ড হাসপাতাল নামেই চেনে। এবং সেই সূত্রে এর আশপাশের এলাকাকেও তাই। ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালগুলোর একটি এটি। সরকারি এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে সাধারণ মানুষই আসেন। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর যাবতীয় পথ যেন সবাইকে নিরস্ত করতে চায়। ভালো উদ্যোগ বলা যেত, যদি তা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সংস্কার করে করা হতো।
সে যাক। হাসপাতালটিতে যাওয়ার প্রতিটি সড়কে চলছে সংস্কারকাজ। ফলে যানজট একেবারে বাঁধাধরা ব্যাপার। চকবাজার হয়ে বা বংশাল হয়ে বা ইসলামপুরের সটান রাস্তা ধরে—যেভাবেই যাওয়া যাক এক বেদম পথ–যন্ত্রণা সঙ্গী হবে।
হাসপাতালের মূল গেট দিয়ে ঢোকার সময়ই গেটে দেখা হবে ডাব বিক্রেতা থেকে শুরু করে নানা ধরনের পসরা সাজিয়ে বসে থাকা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। নাকে এসে লাগবে নানা রাসায়নিকের মিলিত একটি গন্ধ। প্রথমে কিছুটা ভালো লাগলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই মাথা ধরে যাবে। কিন্তু বারবার সরানোর উদ্যোগ সত্ত্বেও যে রাসায়নিকের গুদাম ও ব্যবসা সরানো যায়নি, তাকে অপরিবর্তনীয় মেনেই এগিয়ে যেতে হবে।
হাসপাতালের মূল বড় গেট বন্ধ থাকায় লোকজনকে চলাচল করতে হয় পকেট গেট দিয়ে। করোনার এই সময়ে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার যে বার্তা সেকেন্ডে সেকেন্ডে প্রচার করা হয়, তার অন্তঃসারশূন্যতা মুহূর্তেই দৃশ্যমান হবে। কারণ, এই যে এত লোক—এরা তো দিব্যি করোনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বেঁচে আছে।
গেটটি পার হওয়ার পর অবশ্য বিস্তৃত পরিসর। কিন্তু লিফটের সামনেই তা সংকীর্ণ হয়ে গেছে ভোজবাজির মতো। দু নম্বর ভবনের নিচতলায় সবাই হুড়োহুড়ি করছে লিফটে চড়তে। নিচতলায় দুই পাশে দুটি লিফট থাকলেও একটি সচল। অন্যটিতে চলছে সংস্কারকাজ। ফলে লিফটের সামনের লাইন জিলাপির প্যাঁচ খেয়ে দাঁড়িয়ে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বেচারা লিফট খুলতেই তাতে হুড়মুড়িয়ে সবাই উঠতেই ককিয়ে উঠল লিফট। পারিবারিক প্রয়োজনে টানা তিন দিন হাসপাতালের এই লিফট ব্যবহার করতে হওয়ায় এটা যে নৈমিত্তিক, তা একেবারে বোঝা হয়ে গেল।
এবার না হয় অন্দরে ঢোকা যাক। হাসপাতালে মোহন উদ্যান থাকার কথা নয়—এটা জানা কথা। কিন্তু তাই বলে এমন! ছয়তলায় মেডিসিন বিভাগে ভর্তির দিন কত লোক ভর্তি হয় একসঙ্গে? গুনতে যাওয়া পণ্ডশ্রম হবে বলে সে চেষ্টা করা হলো না। রোগীদের গোঙানির সঙ্গে আত্মীয় পরিজনদের আলাপ–চিৎকার মিলেমিশে একাকার। কোনো একটি আলাপ বিশেষ হয়ে ওঠা ভীষণ কঠিন। এর মধ্যেই কম বয়সী একজন চিকিৎসককে দেখা গেল বেশ ছোটাছুটি করছেন। ওয়ার্ডের এ মাথা–ও মাথা ছুটছেন। ফাইল দেখছেন। ভালো করে তাকাতে দেখা গেল এমন বেশ কয়েকজন চিকিৎসক আছেন। সময়টা বিকেল বলে সিনিয়রদের দেখা গেল না।
এতসব আলাপের মধ্যেই হঠাৎ এক নারী কণ্ঠ বেশ জোরালো হয়ে শোনা গেল। কান পেতে অনেকক্ষণ শোনার পর বোঝা গেল তিনি সিনিয়র আয়াদের একজন। সরকারি হাসপাতালে যে স্ট্রেচার, বেড, হুইলচেয়ার ইত্যাদি পাওয়া না পাওয়া নিয়ে একটা বাণিজ্য চলে এই শ্রেণির কর্মীদের মাধ্যমে, তা তাঁর কথায় বেশ পরিষ্কার। কোনো রাখঢাক নেই। বললেন, ‘সবই যদি তোরা খাবি, খা। তোগো পেটে কত জায়গা রে?’ তাঁকে থামাতে একজন পুরুষ এগিয়ে এলেন। বেশ নরম গলায় তাঁকে বোঝাচ্ছেন, ‘এত খেপছস কেন? পরেরটা তুই পাবি।’
আরও কিছুক্ষণ কান পেতে শুনতেই বোঝা গেল, তাঁরা দুজনই একটি ক্ষমতা সমীকরণের অংশ, যারা এই স্ট্রেচার, বেড, টেস্ট ইত্যাদি নিয়ে চলা বাণিজ্যের ভাগীদার। এ নিয়ে গোটা দেশের মতোই একটা দলাদলি চলে। এক অংশ অন্য অংশের বাণিজ্যে ভাগ বসানোর চেষ্টা করে। আর এ থেকেই কেউ রাগে, কেউ হাসে। ঠিক রাষ্ট্রের মতোই ব্যাপার–স্যাপার। মুশকিল হচ্ছে এখানে তো সব অসুস্থ লোকেদের নিয়ে কারবার, যাদের অনেকের জীবন এক সরু সুতার ওপর ঝুলছে।

যেদিক থেকেই আসা যাক, সুস্থ মানুষেরই জ্যামিতি পাল্টে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। আর রোগগ্রস্তদের অবস্থা কী হবে, তা সহজেই অনুমেয়। জায়গাটা যেহেতু হাসপাতাল, সেহেতু সেখানে অসুস্থদেরই তো যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু সে কথা মাথায় রেখে রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আশপাশের সড়কের সংস্কার হবে, তেমন আশা করা কঠিন। কারণ, চলছে তো সবই।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে সাধারণ মানুষ মিটফোর্ড হাসপাতাল নামেই চেনে। এবং সেই সূত্রে এর আশপাশের এলাকাকেও তাই। ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালগুলোর একটি এটি। সরকারি এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে সাধারণ মানুষই আসেন। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর যাবতীয় পথ যেন সবাইকে নিরস্ত করতে চায়। ভালো উদ্যোগ বলা যেত, যদি তা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সংস্কার করে করা হতো।
সে যাক। হাসপাতালটিতে যাওয়ার প্রতিটি সড়কে চলছে সংস্কারকাজ। ফলে যানজট একেবারে বাঁধাধরা ব্যাপার। চকবাজার হয়ে বা বংশাল হয়ে বা ইসলামপুরের সটান রাস্তা ধরে—যেভাবেই যাওয়া যাক এক বেদম পথ–যন্ত্রণা সঙ্গী হবে।
হাসপাতালের মূল গেট দিয়ে ঢোকার সময়ই গেটে দেখা হবে ডাব বিক্রেতা থেকে শুরু করে নানা ধরনের পসরা সাজিয়ে বসে থাকা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। নাকে এসে লাগবে নানা রাসায়নিকের মিলিত একটি গন্ধ। প্রথমে কিছুটা ভালো লাগলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই মাথা ধরে যাবে। কিন্তু বারবার সরানোর উদ্যোগ সত্ত্বেও যে রাসায়নিকের গুদাম ও ব্যবসা সরানো যায়নি, তাকে অপরিবর্তনীয় মেনেই এগিয়ে যেতে হবে।
হাসপাতালের মূল বড় গেট বন্ধ থাকায় লোকজনকে চলাচল করতে হয় পকেট গেট দিয়ে। করোনার এই সময়ে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার যে বার্তা সেকেন্ডে সেকেন্ডে প্রচার করা হয়, তার অন্তঃসারশূন্যতা মুহূর্তেই দৃশ্যমান হবে। কারণ, এই যে এত লোক—এরা তো দিব্যি করোনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বেঁচে আছে।
গেটটি পার হওয়ার পর অবশ্য বিস্তৃত পরিসর। কিন্তু লিফটের সামনেই তা সংকীর্ণ হয়ে গেছে ভোজবাজির মতো। দু নম্বর ভবনের নিচতলায় সবাই হুড়োহুড়ি করছে লিফটে চড়তে। নিচতলায় দুই পাশে দুটি লিফট থাকলেও একটি সচল। অন্যটিতে চলছে সংস্কারকাজ। ফলে লিফটের সামনের লাইন জিলাপির প্যাঁচ খেয়ে দাঁড়িয়ে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বেচারা লিফট খুলতেই তাতে হুড়মুড়িয়ে সবাই উঠতেই ককিয়ে উঠল লিফট। পারিবারিক প্রয়োজনে টানা তিন দিন হাসপাতালের এই লিফট ব্যবহার করতে হওয়ায় এটা যে নৈমিত্তিক, তা একেবারে বোঝা হয়ে গেল।
এবার না হয় অন্দরে ঢোকা যাক। হাসপাতালে মোহন উদ্যান থাকার কথা নয়—এটা জানা কথা। কিন্তু তাই বলে এমন! ছয়তলায় মেডিসিন বিভাগে ভর্তির দিন কত লোক ভর্তি হয় একসঙ্গে? গুনতে যাওয়া পণ্ডশ্রম হবে বলে সে চেষ্টা করা হলো না। রোগীদের গোঙানির সঙ্গে আত্মীয় পরিজনদের আলাপ–চিৎকার মিলেমিশে একাকার। কোনো একটি আলাপ বিশেষ হয়ে ওঠা ভীষণ কঠিন। এর মধ্যেই কম বয়সী একজন চিকিৎসককে দেখা গেল বেশ ছোটাছুটি করছেন। ওয়ার্ডের এ মাথা–ও মাথা ছুটছেন। ফাইল দেখছেন। ভালো করে তাকাতে দেখা গেল এমন বেশ কয়েকজন চিকিৎসক আছেন। সময়টা বিকেল বলে সিনিয়রদের দেখা গেল না।
এতসব আলাপের মধ্যেই হঠাৎ এক নারী কণ্ঠ বেশ জোরালো হয়ে শোনা গেল। কান পেতে অনেকক্ষণ শোনার পর বোঝা গেল তিনি সিনিয়র আয়াদের একজন। সরকারি হাসপাতালে যে স্ট্রেচার, বেড, হুইলচেয়ার ইত্যাদি পাওয়া না পাওয়া নিয়ে একটা বাণিজ্য চলে এই শ্রেণির কর্মীদের মাধ্যমে, তা তাঁর কথায় বেশ পরিষ্কার। কোনো রাখঢাক নেই। বললেন, ‘সবই যদি তোরা খাবি, খা। তোগো পেটে কত জায়গা রে?’ তাঁকে থামাতে একজন পুরুষ এগিয়ে এলেন। বেশ নরম গলায় তাঁকে বোঝাচ্ছেন, ‘এত খেপছস কেন? পরেরটা তুই পাবি।’
আরও কিছুক্ষণ কান পেতে শুনতেই বোঝা গেল, তাঁরা দুজনই একটি ক্ষমতা সমীকরণের অংশ, যারা এই স্ট্রেচার, বেড, টেস্ট ইত্যাদি নিয়ে চলা বাণিজ্যের ভাগীদার। এ নিয়ে গোটা দেশের মতোই একটা দলাদলি চলে। এক অংশ অন্য অংশের বাণিজ্যে ভাগ বসানোর চেষ্টা করে। আর এ থেকেই কেউ রাগে, কেউ হাসে। ঠিক রাষ্ট্রের মতোই ব্যাপার–স্যাপার। মুশকিল হচ্ছে এখানে তো সব অসুস্থ লোকেদের নিয়ে কারবার, যাদের অনেকের জীবন এক সরু সুতার ওপর ঝুলছে।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
২ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
২৮ মিনিট আগে
সুদান থেকে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলে যখন কথা বলতেন, তখন অনাগত সন্তান নিয়ে কত শত স্বপ্ন বুনতেন শান্তিরক্ষী শান্ত মণ্ডল। সন্তান যেন একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ পায়, সে জন্য পরিবারের সবাইকে ছেড়ে বিদেশ বিভুঁইয়ে থাকার কষ্ট হাসিমুখে মেনে...
৩২ মিনিট আগে
নিরাপত্তার স্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট—উভয় বিভাগের এজলাস কক্ষে আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ রোববার প্রধান বিচারপতির নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ফয়সালের স্ত্রী সামিয়া, তাঁর শ্যালক শিপু ও বান্ধবী মারিয়া।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক ইন্তেখাব চৌধুরী জানান, সামিয়া ও শিপুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং মারিয়াকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, গত শুক্রবার হাদিকে গুলির ঘটনার আগে ও পরে ফয়সালের সঙ্গে তাঁদের ফোনে ঘন ঘন যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে এ ঘটনায় র্যাব মোট চারজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে। এর আগে গুলির সময় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ তিন দিনের রিমান্ডে নেয়।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ফয়সালের স্ত্রী সামিয়া, তাঁর শ্যালক শিপু ও বান্ধবী মারিয়া।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক ইন্তেখাব চৌধুরী জানান, সামিয়া ও শিপুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং মারিয়াকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, গত শুক্রবার হাদিকে গুলির ঘটনার আগে ও পরে ফয়সালের সঙ্গে তাঁদের ফোনে ঘন ঘন যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে এ ঘটনায় র্যাব মোট চারজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে। এর আগে গুলির সময় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ তিন দিনের রিমান্ডে নেয়।

যেদিক থেকেই আসা যাক, সুস্থ মানুষেরই জ্যামিতি পাল্টে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। আর রোগগ্রস্তদের অবস্থা কী হবে, তা সহজেই অনুমেয়। জায়গাটা যেহেতু হাসপাতাল, সেহেতু সেখানে অসুস্থদেরই তো যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু সে কথা মাথায় রেখে রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আশপাশের সড়কের সংস্কার
২২ আগস্ট ২০২১
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
২৮ মিনিট আগে
সুদান থেকে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলে যখন কথা বলতেন, তখন অনাগত সন্তান নিয়ে কত শত স্বপ্ন বুনতেন শান্তিরক্ষী শান্ত মণ্ডল। সন্তান যেন একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ পায়, সে জন্য পরিবারের সবাইকে ছেড়ে বিদেশ বিভুঁইয়ে থাকার কষ্ট হাসিমুখে মেনে...
৩২ মিনিট আগে
নিরাপত্তার স্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট—উভয় বিভাগের এজলাস কক্ষে আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ রোববার প্রধান বিচারপতির নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি ওসমান হাদির চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ড আজ রোববার বিকেলে বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ওই হাসপাতালের আইসিইউ ও এইচডিইউ সমন্বয়ক এবং জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট মো. জাফর ইকবাল।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন ওসমান হাদির সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে দেখা গেছে, তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা আগের তুলনায় বেড়েছে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে একটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক ক্লিনিক্যাল পরিস্থিতি। ১২ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আজ আবার তাঁর শারীরিক অবস্থা মূল্যায়ন করা হলে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত চাপ ও ফোলাজনিত ঝুঁকি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, ব্রেন স্টেমে আঘাত ও বাড়তি সেরিব্রাল ইডেমার কারণে রোগীর রক্তচাপে ওঠানামা হচ্ছে। এদিন তাঁর হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি লক্ষ করা গেছে। তবে রক্তচাপ ও হৃদ্যন্ত্রের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় মেডিকেল সাপোর্ট অব্যাহত রয়েছে। ফুসফুসের কার্যকারিতা ও ভেন্টিলেটর সাপোর্ট বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি বা অবনতি হয়নি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ওসমান হাদির কিডনির কার্যক্ষমতা আপাতত বজায় আছে এবং ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে মস্তিষ্কে আঘাতের কারণে শরীরের হরমোনগত ভারসাম্যহীনতা দেখা দেওয়ায় প্রতি ঘণ্টায় ইউরিন উৎপাদনে তারতম্য হচ্ছে। এ কারণে অ্যাসিড-বেস ব্যালেন্স, ফ্লুইড ও ইলেকট্রোলাইট নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ব্লাড সুগার সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, যা এ ধরনের সংকটাপন্ন রোগীর ক্ষেত্রে একটি বড় ক্লিনিক্যাল চ্যালেঞ্জ।
মেডিকেল বোর্ড আরও বলেছে, ওসমান হাদির সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তবে সর্বোচ্চ পেশাদারত্ব ও সমন্বয়ের মাধ্যমে তাঁকে সর্বোত্তম চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। পরিবার অথবা পরিবারের মাধ্যমে সরকার চাইলে তাঁকে দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও মেডিকেল বোর্ড সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
ওসমান হাদির প্রথম অস্ত্রোপচারে অংশ নেওয়া ঢামেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. আব্দুল আহাদ আজ এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল শনিবারের মতো আজও মেডিকেল বোর্ডের সব সদস্যের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে। রোগীর কেস সামারি প্রস্তুত করে ইতিমধ্যে বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, হাদিকে আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে। আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর ও ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার বেলা সোয়া ২টার দিকে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে আসা দুই দুর্বৃত্ত চলন্ত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি ওসমান হাদির চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ড আজ রোববার বিকেলে বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ওই হাসপাতালের আইসিইউ ও এইচডিইউ সমন্বয়ক এবং জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট মো. জাফর ইকবাল।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন ওসমান হাদির সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে দেখা গেছে, তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা আগের তুলনায় বেড়েছে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে একটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক ক্লিনিক্যাল পরিস্থিতি। ১২ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আজ আবার তাঁর শারীরিক অবস্থা মূল্যায়ন করা হলে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত চাপ ও ফোলাজনিত ঝুঁকি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, ব্রেন স্টেমে আঘাত ও বাড়তি সেরিব্রাল ইডেমার কারণে রোগীর রক্তচাপে ওঠানামা হচ্ছে। এদিন তাঁর হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি লক্ষ করা গেছে। তবে রক্তচাপ ও হৃদ্যন্ত্রের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় মেডিকেল সাপোর্ট অব্যাহত রয়েছে। ফুসফুসের কার্যকারিতা ও ভেন্টিলেটর সাপোর্ট বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি বা অবনতি হয়নি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ওসমান হাদির কিডনির কার্যক্ষমতা আপাতত বজায় আছে এবং ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে মস্তিষ্কে আঘাতের কারণে শরীরের হরমোনগত ভারসাম্যহীনতা দেখা দেওয়ায় প্রতি ঘণ্টায় ইউরিন উৎপাদনে তারতম্য হচ্ছে। এ কারণে অ্যাসিড-বেস ব্যালেন্স, ফ্লুইড ও ইলেকট্রোলাইট নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ব্লাড সুগার সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, যা এ ধরনের সংকটাপন্ন রোগীর ক্ষেত্রে একটি বড় ক্লিনিক্যাল চ্যালেঞ্জ।
মেডিকেল বোর্ড আরও বলেছে, ওসমান হাদির সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তবে সর্বোচ্চ পেশাদারত্ব ও সমন্বয়ের মাধ্যমে তাঁকে সর্বোত্তম চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। পরিবার অথবা পরিবারের মাধ্যমে সরকার চাইলে তাঁকে দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও মেডিকেল বোর্ড সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
ওসমান হাদির প্রথম অস্ত্রোপচারে অংশ নেওয়া ঢামেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. আব্দুল আহাদ আজ এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল শনিবারের মতো আজও মেডিকেল বোর্ডের সব সদস্যের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে। রোগীর কেস সামারি প্রস্তুত করে ইতিমধ্যে বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, হাদিকে আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে। আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর ও ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার বেলা সোয়া ২টার দিকে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে আসা দুই দুর্বৃত্ত চলন্ত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে।

যেদিক থেকেই আসা যাক, সুস্থ মানুষেরই জ্যামিতি পাল্টে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। আর রোগগ্রস্তদের অবস্থা কী হবে, তা সহজেই অনুমেয়। জায়গাটা যেহেতু হাসপাতাল, সেহেতু সেখানে অসুস্থদেরই তো যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু সে কথা মাথায় রেখে রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আশপাশের সড়কের সংস্কার
২২ আগস্ট ২০২১
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
২ মিনিট আগে
সুদান থেকে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলে যখন কথা বলতেন, তখন অনাগত সন্তান নিয়ে কত শত স্বপ্ন বুনতেন শান্তিরক্ষী শান্ত মণ্ডল। সন্তান যেন একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ পায়, সে জন্য পরিবারের সবাইকে ছেড়ে বিদেশ বিভুঁইয়ে থাকার কষ্ট হাসিমুখে মেনে...
৩২ মিনিট আগে
নিরাপত্তার স্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট—উভয় বিভাগের এজলাস কক্ষে আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ রোববার প্রধান বিচারপতির নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

সুদান থেকে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলে যখন কথা বলতেন, তখন অনাগত সন্তান নিয়ে কত শত স্বপ্ন বুনতেন শান্তিরক্ষী শান্ত মণ্ডল। সন্তান যেন একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ পায়, সে জন্য পরিবারের সবাইকে ছেড়ে বিদেশ বিভুঁইয়ে থাকার কষ্ট হাসিমুখে মেনে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সন্তানের মুখ দেখার আশা তাঁর আর পূরণ হলো না। সন্তান ভূমিষ্ঠের আগেই এই পৃথিবী ছেড়ে যেতে হলো তাঁকে।
গতকাল শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদের একজন কুড়িগ্রামের শান্ত মণ্ডল (২৬)। তাঁর বাড়ি রাজারহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাটমাধাই ডারারপাড় গ্রামে। তাঁর বাবা সাবেক সেনাসদস্য (মৃত) নূর ইসলাম মণ্ডল এবং মা সাহেরা বেগম। শান্তর বড় ভাই সোহাগ মণ্ডল সেনাবাহিনীতে কর্মরত। তিনি কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে ল্যান্স করপোরাল পদে রয়েছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) নিহত শান্তর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, তাঁর মা সাহেরা বেগম শোকে স্তব্ধ হয়ে বিছানায় বসে রয়েছেন। বড় ভাই সোহাগ মণ্ডলের চোখ কান্নায় লাল হয়ে আছে। স্বজন ও প্রতিবেশীরা বাড়িতে গিয়ে সহমর্মিতা প্রকাশ করছেন।
সোহাগ মণ্ডল বলেন, শান্ত ২০১৮ সালে সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগদান করেন। তিনি সর্বশেষ বগুড়া ক্যান্টনমেন্টে সৈনিক পদে ছিলেন। গত ৭ নভেম্বর তিনি শান্তিরক্ষী মিশনে সুদানে যান। সোহাগ মণ্ডল আরও বলেন, ‘মাত্র এক বছর আগে শান্ত বিয়ে করেছে। তার স্ত্রী বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সে তার বাবার বাড়িতে আছে। সেও খবর পেয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় শান্ত ভিডিও কলে বাড়ির সবার সঙ্গে কথা বলেছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে খবর পাই, ওদের ক্যাম্পে হামলা হয়েছে। হামলায় শান্ত মারা গেছে। হামলার সময় সে অস্ত্র পরিষ্কার করতে ছিল। তার এমন মৃত্যুতে আমরা দিশেহারা। আমরা এখন তার লাশের অপেক্ষায় আছি। বাড়িতে বাবার কবরের পাশে তাকে কবর দিতে চাই।’
পরিবার থেকে জানানো হয়, স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিতই কথা হতো শান্তর। গতকাল শান্তর মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শোকে বিহ্বল হয়ে গেছেন। কারও সঙ্গে কথা বলার মতো অবস্থায় এখন তিনি নেই।
শান্তর বাল্যবন্ধু সুমন বলেন, ‘শান্তর মৃত্যুর খবরে এলাকার মানুষ শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছে। নামের মতোই সে শান্ত ছিল। কোনো দিন কারও সঙ্গে খারাপ আচরণ বা কটু কথা বলেনি। এমন বন্ধুর মৃত্যুতে আমরা অত্যন্ত ব্যথিত।’

সুদান থেকে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলে যখন কথা বলতেন, তখন অনাগত সন্তান নিয়ে কত শত স্বপ্ন বুনতেন শান্তিরক্ষী শান্ত মণ্ডল। সন্তান যেন একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ পায়, সে জন্য পরিবারের সবাইকে ছেড়ে বিদেশ বিভুঁইয়ে থাকার কষ্ট হাসিমুখে মেনে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সন্তানের মুখ দেখার আশা তাঁর আর পূরণ হলো না। সন্তান ভূমিষ্ঠের আগেই এই পৃথিবী ছেড়ে যেতে হলো তাঁকে।
গতকাল শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদের একজন কুড়িগ্রামের শান্ত মণ্ডল (২৬)। তাঁর বাড়ি রাজারহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাটমাধাই ডারারপাড় গ্রামে। তাঁর বাবা সাবেক সেনাসদস্য (মৃত) নূর ইসলাম মণ্ডল এবং মা সাহেরা বেগম। শান্তর বড় ভাই সোহাগ মণ্ডল সেনাবাহিনীতে কর্মরত। তিনি কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে ল্যান্স করপোরাল পদে রয়েছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) নিহত শান্তর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, তাঁর মা সাহেরা বেগম শোকে স্তব্ধ হয়ে বিছানায় বসে রয়েছেন। বড় ভাই সোহাগ মণ্ডলের চোখ কান্নায় লাল হয়ে আছে। স্বজন ও প্রতিবেশীরা বাড়িতে গিয়ে সহমর্মিতা প্রকাশ করছেন।
সোহাগ মণ্ডল বলেন, শান্ত ২০১৮ সালে সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগদান করেন। তিনি সর্বশেষ বগুড়া ক্যান্টনমেন্টে সৈনিক পদে ছিলেন। গত ৭ নভেম্বর তিনি শান্তিরক্ষী মিশনে সুদানে যান। সোহাগ মণ্ডল আরও বলেন, ‘মাত্র এক বছর আগে শান্ত বিয়ে করেছে। তার স্ত্রী বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সে তার বাবার বাড়িতে আছে। সেও খবর পেয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় শান্ত ভিডিও কলে বাড়ির সবার সঙ্গে কথা বলেছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে খবর পাই, ওদের ক্যাম্পে হামলা হয়েছে। হামলায় শান্ত মারা গেছে। হামলার সময় সে অস্ত্র পরিষ্কার করতে ছিল। তার এমন মৃত্যুতে আমরা দিশেহারা। আমরা এখন তার লাশের অপেক্ষায় আছি। বাড়িতে বাবার কবরের পাশে তাকে কবর দিতে চাই।’
পরিবার থেকে জানানো হয়, স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিতই কথা হতো শান্তর। গতকাল শান্তর মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শোকে বিহ্বল হয়ে গেছেন। কারও সঙ্গে কথা বলার মতো অবস্থায় এখন তিনি নেই।
শান্তর বাল্যবন্ধু সুমন বলেন, ‘শান্তর মৃত্যুর খবরে এলাকার মানুষ শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছে। নামের মতোই সে শান্ত ছিল। কোনো দিন কারও সঙ্গে খারাপ আচরণ বা কটু কথা বলেনি। এমন বন্ধুর মৃত্যুতে আমরা অত্যন্ত ব্যথিত।’

যেদিক থেকেই আসা যাক, সুস্থ মানুষেরই জ্যামিতি পাল্টে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। আর রোগগ্রস্তদের অবস্থা কী হবে, তা সহজেই অনুমেয়। জায়গাটা যেহেতু হাসপাতাল, সেহেতু সেখানে অসুস্থদেরই তো যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু সে কথা মাথায় রেখে রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আশপাশের সড়কের সংস্কার
২২ আগস্ট ২০২১
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
২ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
২৮ মিনিট আগে
নিরাপত্তার স্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট—উভয় বিভাগের এজলাস কক্ষে আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ রোববার প্রধান বিচারপতির নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নিরাপত্তার স্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট—উভয় বিভাগের এজলাস কক্ষে আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়েছে। আজ রোববার প্রধান বিচারপতির নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ স্থান এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হিসেবে বিবেচিত। প্রধান বিচারপতি ও উভয় বিভাগের বিচারপতিরা এখানে বিচারকার্য পরিচালনা করেন, তাই সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।
সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে যে, আদালতে আগত কিছু বিচারপ্রার্থী, মামলাসংশ্লিষ্ট ও অপ্রত্যাশিত ব্যক্তি এজলাসে প্রবেশ করছেন, যা আদালতের নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও বিচারকার্য পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
নিরাপত্তাজনিত কারণে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের আইনজীবী বাদে বিচারপ্রার্থী কিংবা অপ্রত্যাশিত যেকোনো ব্যক্তির এজলাস কক্ষে প্রবেশাধিকার সীমিত অথবা নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে যেকোনো সমাবেশ ও মিছিল, বৈধ ও অবৈধ যেকোনো প্রকার অস্ত্র, মারণাস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্য বহন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হলো। এই আদেশ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

নিরাপত্তার স্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট—উভয় বিভাগের এজলাস কক্ষে আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়েছে। আজ রোববার প্রধান বিচারপতির নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ স্থান এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হিসেবে বিবেচিত। প্রধান বিচারপতি ও উভয় বিভাগের বিচারপতিরা এখানে বিচারকার্য পরিচালনা করেন, তাই সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।
সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে যে, আদালতে আগত কিছু বিচারপ্রার্থী, মামলাসংশ্লিষ্ট ও অপ্রত্যাশিত ব্যক্তি এজলাসে প্রবেশ করছেন, যা আদালতের নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও বিচারকার্য পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
নিরাপত্তাজনিত কারণে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের আইনজীবী বাদে বিচারপ্রার্থী কিংবা অপ্রত্যাশিত যেকোনো ব্যক্তির এজলাস কক্ষে প্রবেশাধিকার সীমিত অথবা নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে যেকোনো সমাবেশ ও মিছিল, বৈধ ও অবৈধ যেকোনো প্রকার অস্ত্র, মারণাস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্য বহন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হলো। এই আদেশ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

যেদিক থেকেই আসা যাক, সুস্থ মানুষেরই জ্যামিতি পাল্টে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। আর রোগগ্রস্তদের অবস্থা কী হবে, তা সহজেই অনুমেয়। জায়গাটা যেহেতু হাসপাতাল, সেহেতু সেখানে অসুস্থদেরই তো যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু সে কথা মাথায় রেখে রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আশপাশের সড়কের সংস্কার
২২ আগস্ট ২০২১
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
২ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
২৮ মিনিট আগে
সুদান থেকে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কলে যখন কথা বলতেন, তখন অনাগত সন্তান নিয়ে কত শত স্বপ্ন বুনতেন শান্তিরক্ষী শান্ত মণ্ডল। সন্তান যেন একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ পায়, সে জন্য পরিবারের সবাইকে ছেড়ে বিদেশ বিভুঁইয়ে থাকার কষ্ট হাসিমুখে মেনে...
৩২ মিনিট আগে