Ajker Patrika

জুয়ায় ১০০ টাকা হেরে আত্মগোপনে ১২ বছর 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৪ মে ২০২২, ১৭: ০৭
জুয়ায় ১০০ টাকা হেরে আত্মগোপনে ১২ বছর 

জুয়া খেলায় মাত্র ১০০ টাকা হেরে পরিবারের সদস্যদের ভয়ে আত্মগোপনে চলে গিয়েছিলেন পোশাকশ্রমিক মো. সুমন মিয়া। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর। দীর্ঘ ১২ বছর পর সেই সুমন মিয়াকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দীর্ঘ সময় আত্মগোপনে থাকা সুমন বিয়েও করেছেন, আছে সন্তানও।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিবিআই ঢাকা মেট্রোপলিটন (উত্তর) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার (পিবিআই) মো. জাহাঙ্গীর আলম।

পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ২০১০ সালের ৩১ আগস্ট কর্মস্থল ডায়মন্ড প্যাকেজিং গার্মেন্টসের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন কিশোর সুমন। পথে জুয়ারিদের পাল্লায় পড়ে হারেন ১০০ টাকা। নিজ উপার্জনে কেনা মোবাইল ফোন দিয়ে দিতে হয় জুয়াড়িদের হাতে। টাকা ও মোবাইল হারানোর ভয় আর ক্ষোভে বাসায় ফেরার সাহস পাননি তিনি। নিখোঁজের পর প্রথমে জিডি তারপর অপহরণ মামলা করেন তাঁর বাবা। জিডিতে সুলায়মান হোসেন (২৮), শাওন পারভেজ (১৮), মো. রুবেল (২০), মো. সোহাগ (২০) ও মো. মানিককে (২৫) আসামি করা হয়। তাঁরাই সেই জুয়ার আয়োজন করেছিলেন।

পুলিশ সুপার আরও জানান, সুমন জুয়া খেলায় হেরে যাওয়ায় আসামি সুলায়মান তাঁর মোবাইল ফোন নিয়ে নেন। দীর্ঘ ১০ বছরে পুলিশের বিভিন্ন সংস্থা মামলাটি তদন্ত করেছে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করে নিখোঁজ সুমনকে উদ্ধারের চেষ্টা করেছেন। তবে সুমনকে অপহরণে জড়িত থাকার প্রমাণ না পাওয়ায় আসামিদের দায়মুক্তি দিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করলেও সুমনের বাবা প্রতিবারই নারাজির আবেদন করেছেন। এতে গত ১০ বছর ধরে ঝুলে ছিল মামলাটি। দীর্ঘ ১২ বছর আত্মগোপনে থেকে উদ্ধার হওয়ার মধ্য দিয়ে মামলাটির সমাপ্তি হলো।

উদ্ধার হওয়া সুমনের বরাত দিয়ে পিবিআই জানায়, জুয়ায় হেরে হারিয়ে ফেলা মোবাইলের বিষয়ে বাবার কাছে কী সদুত্তর দেবেন এ ভয়েই তিনি মিরপুর থেকে গুলিস্তানে চলে যান। সারা দিন গুলিস্তানে ঘোরাফেরা করেন। রাতেও বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করেন। পরদিন সকালে বায়তুল মোকাররম মসজিদে শুয়ে থাকেন। সেখানকার এক লোক তাকে শাহবাগে ফুলের মার্কেটে নিয়ে নাশতা খাওয়ায়। পরে শাহবাগ এলাকার একটি হোটেলে শুধু থাকা ও খাওয়ার শর্তে কাজ পান তিনি। ওই হোটেলের বাবুর্চি হারুনের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব হয়। তাঁর সঙ্গে সুমন ভোলার লালমোহনের মঙ্গল শিকদার এলাকায় একাধিকবার যান। এরপর শাহবাগ এলাকায় বিভিন্ন চটপটির দোকানে কাজ, পপকর্ন বিক্রি, বাসের হেলপারসহ বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেন।

পিবিআই আরও জানিয়েছে, এরই মধ্যে নানু ওস্তাদ নামে এক ড্রাইভারের সঙ্গে সুমনের পরিচয় হয়। পরিচয় গড়ে ওঠে জোনাকি নামের একটি মেয়ের সঙ্গেও। একপর্যায়ে জোনাকির মা জোসনার সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক হয়। বছর তিনেক আগে জোসনার স্বামী বকুল মোল্লা তাঁর স্ত্রীকে তালাক দিলে সুমন কিছুদিন পর জোসনাকে বিয়ে করেন। তাদের হাবিবুল্লাহ নামে তিন মাস বয়সী একটি ছেলেও রয়েছে। একপর্যায়ে সুমনের বাবার সঙ্গে জোসনা মোবাইলে কথা বলেন। সেই সূত্র ধরেই সুমনকে উদ্ধার করে পিবিআই। 

দীর্ঘ এক যুগ পর ছেলেকে ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত সুমনের বাবা মোজাফফর মিয়া বলেন, ‘আমার ছেলে যখন নিখোঁজ হয়, তখন রমজান মাস। সকালে বের হয়ে রাতেওযখন ছেলে ফেরেনি । তখন আমরা খোঁজাখুঁজি করি। মিরপুরের সব জায়গায় খুঁজেছি আমরা। তারপর পল্লবী থানায় জিডি করি। ছেলেকে খুঁজতে ফকিরের কাছেও গেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সুদানে হামলা: শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার মৃত্যুতে গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া

গাইবান্ধা, প্রতিনিধি
সবুজ মিয়া । ছবি: সংগৃহীত
সবুজ মিয়া । ছবি: সংগৃহীত

সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।

সবুজ মিয়া পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের আমলাগাছি (ছোট ভবনপুর) গ্রামের মৃত হাবিদুল ইসলামের ও ছকিনা বেগমের ছেলে।

সবুজ মিয়ার মৃত্যুর খবরে পরিবারের আহাজারি। ছবি: আজকের পত্রিকা
সবুজ মিয়ার মৃত্যুর খবরে পরিবারের আহাজারি। ছবি: আজকের পত্রিকা

মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ আকন্দ জানান, প্রায় সাত-আট বছর আগে সবুজ মিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে লন্ড্রি কর্মচারী হিসেবে যোগদান করেন। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবুজ মিয়া ছিলেন ছোট। তাঁর বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। সবুজ মিয়া এক বছর আগে বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রী ও মা এখন বাড়িতে আছে। সবুজ মিয়ার মৃত্যুর খবরে পরিবারে মাতম চলছে। একই সঙ্গে গ্রামজুড়েই নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাবের আহমেদ বলেন, নিহতের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

উল্লেখ্য, সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বেলা ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী এই নৃশংস ড্রোন হামলা চালায় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নোয়াখালীতে ব্যানার, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করছে প্রশাসন

সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি 
বিলবোর্ড অপসারণ। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিলবোর্ড অপসারণ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের রাজনৈতিক প্রচারসামগ্রী অপসারণের কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা সরানো হয়নি। ফলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরাসরি উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এর আগে গত শনিবার রাতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাইকিং করে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ নিজ ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড নিজ দায়িত্বে অপসারণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। নির্দেশনা অমান্য করায় রোববার দুপুরে প্রশাসন নিজ উদ্যোগে এসব প্রচারসামগ্রী অপসারণ করে।

অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছেনমং রাখাইন ও চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমানসহ পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অভিযানে অংশ নেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলায় সব রাজনৈতিক ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করা হচ্ছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজন করতে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাবিপ্রবি ও জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি

পাবনা প্রতিনিধি
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভাইস প্রেডিডেন্ট প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এই সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে উভয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাগত ও একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে। পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা জাপানের মর্যাদাপূর্ণ মেক্সট স্কলারশিপ লাভ করবে। স্কলারশিপ প্রাপ্তরা জাপানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ, নতুন প্রযুক্তি ও গবেষণার সঙ্গে পরিচিত হবেন এবং একাডেমিক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে মেধাশূন্য করা হয়েছিল। আমরা আজকে সমঝোতা স্মারক চুক্তির দিন হিসেবে বেছে নিয়েছি। কারণ, আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষ গড়তে চাই। আমরা প্রমাণ করতে চাই আমরা হেরে যাইনি।’

প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া বলেন, ‘সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে শিক্ষা, গবেষণা, রিসোর্স এবং মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে আমরা উভয়ে মিলে কাজ করব। আমরা কার্যকর সমঝোতা গড়ে তুলব। আমাদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হবে। ফলে আমাদের মধ্যে জ্ঞানের অংশীদারত্বের পথ সৃষ্টি হবে। এতে আমরা দুই পক্ষই লাভবান হব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠানে জামায়াত নেতারা, বয়কট মুক্তিযোদ্ধাদের

নেত্রকোনা, প্রতিনিধি
মোহনগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
মোহনগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

জামায়াত নেতারা আসায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে গেলেন মুক্তিযোদ্ধারা। আজ রোববার উপজেলার অডিটরিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে সকালে দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে উপজেলার অডিটরিয়ামে আলোচনা সভার আয়োজন করে প্রশাসন।

আলোচনা সভায় জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের দাওয়াত দেওয়ায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা সভা বর্জন করে চলে যান। পরে শহরের স্টেশন রোডে মুক্তিযোদ্ধা সংসদে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন তাঁরা।

এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের মঞ্চে স্থান দেওয়ায় আমরা আলোচনা সভা বর্জন করি। যারা আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করল, তাদের সঙ্গে আমরা বসতে পারি না। এখানে আমরা কোনো আপস করতে পারি না।’

তাঁরা আরও বলেন, ‘এর আগে আমরা উপজেলা প্রশাসনকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় জামায়াতকে না রাখতে ইউএনওর প্রতি অনুরোধ জানাই। কিন্তু আমাদের অনুরোধ তিনি রাখেননি।’

এ সময় বক্তব্য দেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আহ্বায়ক আব্দুল খালেক, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান ও সদস্যসচিব গোলাম মোস্তফা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমেনা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সব রাজনৈতিক নেতাকে দাওয়াত দিয়েছি। বীর মুক্তিযোদ্ধারা সভায় বিলম্বে যাওয়ায় আমাদের পাশেই তাঁদের জন্য আলাদা চেয়ারও রেখেছিলাম। কিন্তু উনারা চেয়ারে না বসে ব্যস্ততা দেখিয়ে হলরুম ত্যাগ করেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত