Ajker Patrika

ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে জুমাতুল বিদা পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে জুমাতুল বিদা পালিত

ঢাকা: ‘জুমাতুল বিদা’ শব্দটার মধ্যেই রয়েছে বিদায়ের সুর। প্রতি বছর নিয়ম করে রমজানের বিদায় ঘণ্টা বাঁজিয়ে দিয়ে থাকে পবিত্র মাসটির শেষ জুমা বা ‘জুমাতুল বিদা। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের কাছে রমজানের শেষ জুমার এই ক্ষণটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে রহমত, বরকত ও নাজাতের মাসকে বিদায় দেওয়ার পালা অন্যদিকে ইহকাল ও পরকালের মুক্তির প্রার্থনা। দুইয়ে মিলে আজ শুক্রবার চোখের জলে 'জুমাতুল বিদা' পালন করেছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। রাজধানীসহ সারাদেশে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আর মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয়েছে রমজানের বিদায়ী জুমা।

করোনা বৈশ্বিক মহামারির কালেও মসজিদগুলোতে রমজানের শেষ জুমার নামাযে বিপুল সংখ্যক মুসল্লির সমাগম হয়। নামায শেষে পাপ মোচনের প্রার্থনাসহ দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। প্রয়াত আত্নীয়-স্বজনদের কবর জিয়ারত করতে যান মুসল্লিরা। যেকারণে কবরস্থানগুলোতেও এদিন উল্লেখ করার মত ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

ছবি: ফোকাস বাংলাজুমাতুল বিদার দিনে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বিপুল সংখ্যক মুসল্লির সমাগম হয়। মসজিদের ভিতর-বাহির বাদেও পার্শ্ববর্তী সড়কে বসেও মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেছেন। মোনাজাতের সময় চোখের জল ঝরিয়ে পরম করুণাময়ের কাছে ফরিয়াদ করেছেন পাপমুক্তির জন্য। সৃষ্টির সঙ্গে স্রষ্টার সংযোগের এ আয়োজনে পুরো মসজিদে অন্যরকম এক আবহ তৈরি হয়।

রমজানের শেষ জুমার নামাযে অংশ নিতে আযানের অনেক আগে থেকেই জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে আসতে থাকেন মুসল্লিরা। খুতবা শেষে নামাজে দাঁড়ানোর পরেও মুসল্লিরা আসতে থাকেন মসজিদের দিকে। অনেকে বেশি দেরি করে আসায় পাননি জামাতে দাঁড়ানোর সুযোগ।

ছবি: ফোকাস বাংলাএদিকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মানার বিধান থাকলেও বায়তুল মোকাররমে তা পুরোপুরি মানতে দেখা যায়নি। মসজিদের ভিতরে কিছু জায়গায় সামাজিক দূরত্ব মেনে বসেন মুসল্লিরা। তবে অধিকাংশ জায়গাতেই ছিলনা সামাজিক দূরত্বের বালাই। শুধু বায়তুল মোকাররমে নয়। রাজধানীর অন্য মসজিদগুলোসহ দেশের প্রায় সব মসজিদেই এমনটাই হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিষয়:

রমজান
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত