বিএনপির এক দফার আন্দোলন ফ্রিজে ঢুকে গেছে: শাজাহান খান

বিএনপি মিথ্যা প্রোপাগান্ডা করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার এক দফা আন্দোলন এখন ফ্রিজে ঢুকে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান। 

আজ শুক্রবার মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে নবনির্মিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

শাজাহান খান বলেন, ‘বিএনপির একটি অংশ চায় নির্বাচনে আসতে, তবে আরেকটি অংশ তাদের নির্বাচনে আসতে দিতে চায় না। বিএনপি ও তাদের কিছু সমমনা দল, যারা বিদেশিদের কাছে নানা মিথ্যা প্রোপাগান্ডা করে আমাদের এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছিল, সেটা কিন্তু প্রায় ভন্ডুল হয়ে গেছে। তাদের এক দফা আন্দোলন এখন ফ্রিজে ঢুকে গেছে। কারণ, এক দফা আন্দোলন নিয়ে এখন আর মাথা জাগাবার মতো তাদের অবস্থা নাই।’ 

তিনি বলেন, ‘বিদেশিরাও চাচ্ছে না এ দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হোক। যে সমস্ত প্রতিনিধি ইউরোপ-আমেরিকা থেকে এসেছিলেন, তাঁরা কেউ এ কথা বলেনি যে, সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। তাঁরা বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করবে এবং সেই নির্বাচনে যেন সবাই অংশগ্রহণ করে, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়।’ 

আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে দাবি করে শাজাহান খান বলেন, বিএনপির উচিত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা। তা না হলে বিএনপি বিলুপ্তির খাতায় নাম লেখাবে। কারণ জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলসহ বিরোধী দলীয় প্রায় সব দলই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কথা জানিয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, ‘অতীতে বিএনপি যে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, তার ক্ষত এ দেশের মানুষ এখনো বয়ে বেড়াচ্ছে, এসব কেউ ভুলে যায়নি।’ বিএনপি ও তাদের সমর্থিত নেতা-কর্মীরা নির্বাচনের আগে যেন কোনো ধরনের নাশকতা সৃষ্টি করতে না পারে, সে ব্যাপারে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার পাশাপাশি, আওয়ামী লীগও প্রস্তুত আছে বলে জানান তিনি। 

পরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন শাজাহান খান। 

এ সময় সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল হোসেন, পুলিশ সুপার আসলাম খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মু. রাসেদুজ্জামান, সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্যসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওসমান আলী, যুগ্ম সদস্যসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা এ বি এম সুলতান আহমদ, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম মুজিবর রহমান, সাবেক জেলা জজ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ শেখ ও সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রউফ মোল্লা উপস্থিত ছিলেন। 

এ ছাড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাজি মোহাম্মদ নাহিদ খান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসিমা আক্তার, টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মো. রাজিব খানসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।