নিজস্ব প্রতিবেদক
সমালোচনাকারীরা হয় পার্টিতে যোগ দিন, নয় চুপচাপ থাকুন। আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে পদ্মা সেতু নিয়ে যাঁরা সমালোচনা করেন তাঁদের উদ্দেশে এ পরামর্শ দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
বরিশাল ডিভিশনাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিডিজেএ) আয়োজিত ‘পদ্মা সেতু: দক্ষিণাঞ্চলের স্বপ্ন বুনন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘পণ্ডিতরা পণ্ডিতের জায়গায় থাকুক। আমরা সাধারণ মানুষ, নতুন যে উদ্যম আমরা সেই উদ্যমের সঙ্গে থাকব। সেটা পদ্মা সেতু হোক, টানেল হোক, বিদ্যুতায়ন হোক। এখন সরকার বাংলার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে, এটা মহানায়কের স্বপ্ন ছিল। এই একটি বিষয়ে অন্তত সরকারকে যদি আমরা ধন্যবাদ না দিই, তবে ছোট মনের পরিচয় দেওয়া হবে।’
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘পদ্মা সেতুর মধ্য দিয়ে অর্থনীতি ও সুখের নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো। পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হওয়ার পর ড. ইউনূসসহ দেশের অনেক তথাকথিত সুশীল এটা নিয়ে নোংরা খেলায় মেতে উঠেছিলেন। তাঁরা বলেছিলেন, এখানে দুর্নীতি হচ্ছে, এখানে টাকা দেবেন না। বেগম খালেদা জিয়া ওয়াশিংটন টাইমসে আর্টিকেল লিখে বললেন এটা না করাই উত্তম। বাতিল হয়ে গেল, দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা হলো, হয়রানির শিকার হতে হলো। তখন সিদ্ধান্ত হলো, নিজের টাকায় হবে পদ্মা সেতু। মন্ত্রিপরিষদের অনেক সদস্য, আওয়ামী লীগের অনেক নেতা, দেশের জ্ঞানী-গুণী অর্থনীতিবিদেরা এমনকি তৎকালীন অর্থমন্ত্রীও বলেছিলেন নিজের টাকায় এটা হবে না। কিন্তু আজ সেটি বাস্তবে রূপ নিয়েছে।
দেশের সার্বিক জিডিপির পাশাপাশি পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পটির কাজ সমাপ্ত হলে তা অতিরিক্ত ১ দশমিক ২৩ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জিডিপি বাড়বে ২ দশমিক ৩ শতাংশ। সেতুটি যোগাযোগের জন্য উন্মুক্ত হলেই দেশের সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে বলে দাবি করেন শ ম রেজাউল করিম।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলা সরাসরি সারা দেশের সঙ্গে যুক্ত হবে। ঢাকা থেকে খুলনা, মোংলা, বরিশাল, কুয়াকাটা অর্থনৈতিক করিডর খুলে যাবে। এ সেতুকে ঘিরে বিশদ অঞ্চলজুড়ে গড়ে উঠবে নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্ক। ফলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হবে এবং দেশের শিল্পায়নের গতি ত্বরান্বিত হবে। সেতু ঘিরে পদ্মার দুপারে পর্যটন শিল্পের ব্যাপক প্রসার এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। এ ছাড়া ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে সরাসরি সড়কপথে যোগাযোগ আরও উন্নত হবে।’
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
বিডিজেএর সভাপতি তারিকুল ইসলাম মাসুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। তিনি বলেন, ‘সমৃদ্ধির জন্য প্রথম হচ্ছে যোগাযোগ, নদীর কারণে অনেক সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়। সমীক্ষা রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে প্রকল্প পরিকল্পনা করতে হবে। অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে বাঁধ টিকছে না। প্রশাসন এ ব্যাপারে আমাকে কোনো উত্তর দিতে পারে না। তারা চুপ। কিন্তু এটা তো তাদের কাজ।’
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
সমালোচনাকারীরা হয় পার্টিতে যোগ দিন, নয় চুপচাপ থাকুন। আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে পদ্মা সেতু নিয়ে যাঁরা সমালোচনা করেন তাঁদের উদ্দেশে এ পরামর্শ দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
বরিশাল ডিভিশনাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিডিজেএ) আয়োজিত ‘পদ্মা সেতু: দক্ষিণাঞ্চলের স্বপ্ন বুনন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘পণ্ডিতরা পণ্ডিতের জায়গায় থাকুক। আমরা সাধারণ মানুষ, নতুন যে উদ্যম আমরা সেই উদ্যমের সঙ্গে থাকব। সেটা পদ্মা সেতু হোক, টানেল হোক, বিদ্যুতায়ন হোক। এখন সরকার বাংলার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে, এটা মহানায়কের স্বপ্ন ছিল। এই একটি বিষয়ে অন্তত সরকারকে যদি আমরা ধন্যবাদ না দিই, তবে ছোট মনের পরিচয় দেওয়া হবে।’
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘পদ্মা সেতুর মধ্য দিয়ে অর্থনীতি ও সুখের নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো। পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হওয়ার পর ড. ইউনূসসহ দেশের অনেক তথাকথিত সুশীল এটা নিয়ে নোংরা খেলায় মেতে উঠেছিলেন। তাঁরা বলেছিলেন, এখানে দুর্নীতি হচ্ছে, এখানে টাকা দেবেন না। বেগম খালেদা জিয়া ওয়াশিংটন টাইমসে আর্টিকেল লিখে বললেন এটা না করাই উত্তম। বাতিল হয়ে গেল, দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা হলো, হয়রানির শিকার হতে হলো। তখন সিদ্ধান্ত হলো, নিজের টাকায় হবে পদ্মা সেতু। মন্ত্রিপরিষদের অনেক সদস্য, আওয়ামী লীগের অনেক নেতা, দেশের জ্ঞানী-গুণী অর্থনীতিবিদেরা এমনকি তৎকালীন অর্থমন্ত্রীও বলেছিলেন নিজের টাকায় এটা হবে না। কিন্তু আজ সেটি বাস্তবে রূপ নিয়েছে।
দেশের সার্বিক জিডিপির পাশাপাশি পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পটির কাজ সমাপ্ত হলে তা অতিরিক্ত ১ দশমিক ২৩ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জিডিপি বাড়বে ২ দশমিক ৩ শতাংশ। সেতুটি যোগাযোগের জন্য উন্মুক্ত হলেই দেশের সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে বলে দাবি করেন শ ম রেজাউল করিম।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলা সরাসরি সারা দেশের সঙ্গে যুক্ত হবে। ঢাকা থেকে খুলনা, মোংলা, বরিশাল, কুয়াকাটা অর্থনৈতিক করিডর খুলে যাবে। এ সেতুকে ঘিরে বিশদ অঞ্চলজুড়ে গড়ে উঠবে নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্ক। ফলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হবে এবং দেশের শিল্পায়নের গতি ত্বরান্বিত হবে। সেতু ঘিরে পদ্মার দুপারে পর্যটন শিল্পের ব্যাপক প্রসার এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। এ ছাড়া ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে সরাসরি সড়কপথে যোগাযোগ আরও উন্নত হবে।’
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
বিডিজেএর সভাপতি তারিকুল ইসলাম মাসুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। তিনি বলেন, ‘সমৃদ্ধির জন্য প্রথম হচ্ছে যোগাযোগ, নদীর কারণে অনেক সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়। সমীক্ষা রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে প্রকল্প পরিকল্পনা করতে হবে। অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে বাঁধ টিকছে না। প্রশাসন এ ব্যাপারে আমাকে কোনো উত্তর দিতে পারে না। তারা চুপ। কিন্তু এটা তো তাদের কাজ।’
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল।
৫ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
৫ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
৫ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
৫ ঘণ্টা আগে