সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
ঢাকার সাভারে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি বৃদ্ধি, চলতি মাসের বেতন ও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের (ওভারটাইম) অর্থ পরিশোধের দাবিতে আন্দোলনের ঘটনায় আটক ছয় শ্রমিকের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। দাবি আদায়ের জন্য আজ মঙ্গলবার সকালে সাভারের হেমায়েতপুর-সিঙ্গাইর (মানিকগঞ্জ) আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকেরা।
জিনস ম্যানুফ্যাকচারিং নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা সাভারের হেমায়েতপুর ঋষিপাড়া এলাকায় সড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ দেখান। এ সময় কারখানা বন্ধ ও বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে শ্রমিকদের ওপর হামলা-মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষের অপসারণের দাবি জানানো হয়।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কারখানাটির দুই হাজার শ্রমিক ঈদের ছুটি বৃদ্ধিসহ ওভারটাইম পরিশোধের দাবিতে আন্দোলন ও কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন। এ নিয়ে দফায় দফায় শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়। কোনো সমাধান না হওয়ায় হামলা, ভাঙচুর ও মারামারির অভিযোগে মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানাটি বন্ধ ঘোষণ করে কর্তৃপক্ষ।
সকালে শ্রমিকেরা কাজে যোগদান করতে এসে কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে তাঁরা হেমায়েতপুর-সিঙ্গাইর-মানিকগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রাখলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এক ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে।
কারখানাটির শ্রমিক নিলা আক্তার বলেন, ‘চলতি মাসে ছুটি দিলে আমরা পুরো মাসের বেতনটা পাই। সেখানে মালিকপক্ষ বলছে, ২০ দিনের বেতন দেবে এবং ৮ দিনের ছুটি দেবে। আমরা দাবি করেছি, ২০ দিনের বেতনের সঙ্গে প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে ৪০ ঘণ্টা ওভারটাইমের টাকা এবং ছুটি আরও দুই দিন বাড়িয়ে দিতে হবে। প্রয়োজনে আমরা ঈদের পরে এসে দুই দিন ছুটির যে ডিউটি, তা করে দেব। কিন্তু মালিকপক্ষ এতে রাজি না হয়ে ছুটি এক দিন বাড়াতে চাইলেও বেতন ২০ দিনেরই দেবে বলে জানায়। এ ঘটনায় শ্রমিকেরা দাবি আদায়ে কর্মবিরতি পালন করলে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করতে চায়।’
সুইং অপারেটর ইমরান বলেন, ‘মালিকপক্ষ আমাদের দাবি না মেনে উল্টো আন্দোলনের ঘটনা ৬৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। গত রাতে ছয়জন শ্রমিককে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। এর মধ্যে দুজনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।’
শ্রমিকদের আটকের বিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারখানায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে চার শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। তবে ছয়জন আটকের বিষয়টি সঠিক নয়।’
সর্বশেষ দুপুরে শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষ আলোচনায় বসে ৯ দিনের ছুটি ও ১৫ দিনের বেতনের বিষয় মেনে নেয়। এ ছাড়া অনির্দিষ্টকালের বন্ধের বিষয়টিও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। আগামীকাল ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের পর ২৭ মার্চ কারখানা খুলবে এবং শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেবেন। ওই দিন কাজ শেষ হলে ঈদের ছুটি শুরু হবে এবং বিশৃঙ্খলার মামলায় যাতে গণহারে কেউ শাস্তির আওতায় না আসে—এ বিষয়টিও নজরে রাখতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মালিকপক্ষ।
ঢাকার সাভারে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি বৃদ্ধি, চলতি মাসের বেতন ও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের (ওভারটাইম) অর্থ পরিশোধের দাবিতে আন্দোলনের ঘটনায় আটক ছয় শ্রমিকের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। দাবি আদায়ের জন্য আজ মঙ্গলবার সকালে সাভারের হেমায়েতপুর-সিঙ্গাইর (মানিকগঞ্জ) আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকেরা।
জিনস ম্যানুফ্যাকচারিং নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা সাভারের হেমায়েতপুর ঋষিপাড়া এলাকায় সড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ দেখান। এ সময় কারখানা বন্ধ ও বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে শ্রমিকদের ওপর হামলা-মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষের অপসারণের দাবি জানানো হয়।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কারখানাটির দুই হাজার শ্রমিক ঈদের ছুটি বৃদ্ধিসহ ওভারটাইম পরিশোধের দাবিতে আন্দোলন ও কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন। এ নিয়ে দফায় দফায় শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়। কোনো সমাধান না হওয়ায় হামলা, ভাঙচুর ও মারামারির অভিযোগে মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানাটি বন্ধ ঘোষণ করে কর্তৃপক্ষ।
সকালে শ্রমিকেরা কাজে যোগদান করতে এসে কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে তাঁরা হেমায়েতপুর-সিঙ্গাইর-মানিকগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রাখলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এক ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে।
কারখানাটির শ্রমিক নিলা আক্তার বলেন, ‘চলতি মাসে ছুটি দিলে আমরা পুরো মাসের বেতনটা পাই। সেখানে মালিকপক্ষ বলছে, ২০ দিনের বেতন দেবে এবং ৮ দিনের ছুটি দেবে। আমরা দাবি করেছি, ২০ দিনের বেতনের সঙ্গে প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে ৪০ ঘণ্টা ওভারটাইমের টাকা এবং ছুটি আরও দুই দিন বাড়িয়ে দিতে হবে। প্রয়োজনে আমরা ঈদের পরে এসে দুই দিন ছুটির যে ডিউটি, তা করে দেব। কিন্তু মালিকপক্ষ এতে রাজি না হয়ে ছুটি এক দিন বাড়াতে চাইলেও বেতন ২০ দিনেরই দেবে বলে জানায়। এ ঘটনায় শ্রমিকেরা দাবি আদায়ে কর্মবিরতি পালন করলে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করতে চায়।’
সুইং অপারেটর ইমরান বলেন, ‘মালিকপক্ষ আমাদের দাবি না মেনে উল্টো আন্দোলনের ঘটনা ৬৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। গত রাতে ছয়জন শ্রমিককে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। এর মধ্যে দুজনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।’
শ্রমিকদের আটকের বিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারখানায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে চার শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। তবে ছয়জন আটকের বিষয়টি সঠিক নয়।’
সর্বশেষ দুপুরে শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষ আলোচনায় বসে ৯ দিনের ছুটি ও ১৫ দিনের বেতনের বিষয় মেনে নেয়। এ ছাড়া অনির্দিষ্টকালের বন্ধের বিষয়টিও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। আগামীকাল ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের পর ২৭ মার্চ কারখানা খুলবে এবং শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেবেন। ওই দিন কাজ শেষ হলে ঈদের ছুটি শুরু হবে এবং বিশৃঙ্খলার মামলায় যাতে গণহারে কেউ শাস্তির আওতায় না আসে—এ বিষয়টিও নজরে রাখতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মালিকপক্ষ।
টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
১৪ মিনিট আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২১ মিনিট আগেশেরপুরের গারো পাহাড়ে মানুষের বিচরণ বাড়ার পাশাপাশি কমতে শুরু করেছে বন-জঙ্গল। এতে সেখানে বন্য হাতির জীবন সংকটে পড়েছে। প্রায়ই নানা ঘটনায় প্রাণ হারিয়ে গারো পাহাড় থেকে বিলুপ্তের পথে বিশালাকৃতির এই প্রাণী। এদিকে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষও। গত ৩০ বছরে শেরপুরে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে জেলায়
২৫ মিনিট আগে২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর একনেক সভায় পাস হয় যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের ৪৭ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার সড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণের প্রকল্প। ৪ হাজার ১৮৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার এ প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারিত হয় ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ ও মূল্য।
৩০ মিনিট আগে