Ajker Patrika

লিবিয়ার কারাগারে শরীয়তপুরের যুবকের মৃত্যু, স্বজনদের আহাজারি

ভেদরগঞ্জ (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
লিবিয়ার কারাগারে শরীয়তপুরের যুবকের মৃত্যু, স্বজনদের আহাজারি

লিবিয়ার কারাগারে পারভেজ হাওলাদার (২২) নামে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার রাতে দীর্ঘ এক মাস পর মৃত্যুর খবর জানতে পারেন তাঁর বাবা-মা। ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে যান বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীরা।

নিহত পারভেজ ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার ইউনিয়নের পুঁটিজুরি গ্রামের ইউনুস হাওলাদারের ছেলে।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার চামটা ইউনিয়নের সত্যপুর গ্রামের শামসুদ্দিন পেদার ছেলে রফিক পেদা লিবিয়া হয়ে সাগর পথে অবৈধভাবে ইতালি লোক পাঠানোর দালালি করেন। রফিক এলাকার যুবকদের ইতালি যাওয়ার প্রলোভন দেখান। রফিকের প্রলোভনে সাড়া দিয়ে পারভেজসহ স্থানীয় কয়েকজন যুবক অবৈধ পথে ইতালি যেতে রাজি হন। ইতালি যেতে প্রত্যেককে ৮ লাখ করে টাকা দিতে হয় রফিককে।

নিহত যুবকের বাবা ইউনুস হাওলাদার বলেন, ‘নয় মাস হয় আমার ছেলে পারভেজকে ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়া নিয়ে যায় রফিক। লিবিয়া যাওয়ার সময় রফিককে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। লিবিয়া যাওয়ার পর আরও দুই বার আমার কাছ থেকে টাকা নেয় রফিক। ৮ লাখ টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও সে সর্বমোট আমার কাছ থেকে সাড়ে ১০ লাখ টাকা নিয়েছে। ৬ মাস আগে লিবিয়া থেকে নৌপথে ইতালি যাওয়ার সময় লিবিয়ার কোস্টগার্ড আমার ছেলে পারভেজসহ অনেককে আটক করে। জেলখানায় না খেয়ে অত্যাচার নির্যাতনে এক মাস আগে আমার ছেলে মারা যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু এ খবর আমরা কেউ জানতে পারিনি। পারভেজের সঙ্গে ধরা খাওয়া আমাদের এলাকারই এক ছেলে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সোমবার রাতে পারভেজের মৃত্যুর খবর জানায়। কিন্তু যে রফিক দালাল আমার ছেলেকে ইতালি নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এতগুলো টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সে রফিক দালাল আমাদের ছেলের কোনো খোঁজখবর দেয়নি। আমি রফিক দালালের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই, আমি আমার ছেলের লাশ চাই।’ 

ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে মা পান্না বেগম পাগল প্রায়। ছেলের শোকে বিলাপ করছে আর বলছেন, ‘আমার বুকের ধন, সোনার মানিকরে তোমরা এনে দাও। আমি আর কিছু চাই না, আমি আমার ছেলেকে চাই। আমি আমার ছেলের লাশ চাই। যে দালাল আমার এত বড় সর্বনাশ করেছে আমি তাঁর বিচার চাই। আমার ছেলের মতো আর কোনো ছেলের যাতে আর সর্বনাশ করতে না পারে, আর কোনো মায়ের বুক খালি করতে না পারে এ জন্য আমি সরকারের কাছে সঠিক বিচার চাই।’ 

ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আল নাফীস এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি এখনো বিষয়টি জানি না। আমাকে কেউ জানায়নি। আমি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খোঁজ খবর নিচ্ছি।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত