Ajker Patrika

ধারের টাকা ফেরত চাওয়াতেই খুন করা হয় সাকিবকে

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
ধারের টাকা ফেরত চাওয়াতেই খুন করা হয় সাকিবকে

সাভারে ধারের টাকা ফেরত চাওয়ায় খুন হওয়া সাকিবের মোবাইল উদ্ধার হয়েছে রাজধানীর গাবতলী থেকে। সেই মোবাইলের সূত্র ধরেই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন এবং সাকিবের বন্ধু ইমনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব ৪। ইমন প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে যে, ধারের ৬ হাজার টাকা না দেওয়ার জন্যেই সাকিবকে তিন বন্ধু মিলে হত্যা করেছে। 

আজ সোমবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব ৪ সিপিসি ২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান। 

গ্রেপ্তারকৃত ইমন (১৮) সাভারের বনগাঁও কোটাপাড়া এলাকার পালক পিতা মো. আবদুল্লাহর ছেলে। নিহত সাকিব বনগাঁওয়ের পশ্চিম কোটাপাড়া গ্রামের কাঞ্চন মিয়ার ছেলে। সে আমিনবাজারের মফিদ ই আম কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল এবং লেখাপড়ার পাশাপাশি একটি চাকরিও করত। 

এর আগে গত ২৬ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নের একটি নির্মাণাধীন একতলা ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে সাকিবের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

মরদেহ উদ্ধারের পর নিহতের ভাই রাকিব বাদী হয়ে একটি হত্যামামলা দায়ের করেন সাভার মডেল থানায়। এর আগে ২০ মার্চ র‍্যাবের কাছেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। 

র‍্যাব জানায়, নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই সাকিবের মোবাইল ফোনটি বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে মোবাইলটি গাবতলী থেকে এক ব্যক্তির নিকট হতে উদ্ধার করে র‍্যাব ৪। সেই ব্যক্তির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এবং ভুক্তভোগীর পরিবারের সন্দেহের ভিত্তিতে র‍্যাব-৪ এর একটি গোয়েন্দা দল সাকিবের কয়েকজন বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। গত ২৭ মার্চ র‍্যাব-৪ সাকিব হত্যা মামলার রহস্য উদ্‌ঘাটন করে ইমনকে সাভারের নগরকোন্ডা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। 

রাকিব মাহমুদ খান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। সে জানায়, তারা তিনজন বন্ধু মিলে গত ১৭ মার্চ রাত আনুমানিক ১০টার দিকে সাকিবকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার কারণ হিসেবে জানা যায় যে, আসামি মো. ইমন ও মো. পিয়াসের কাছে ৬০০০ টাকা পাওনা ছিল ভুক্তভোগী সাকিবের। ভুক্তভোগী বেশ কিছুদিন যাবৎ আসামিদের তার পাওনা টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। কিন্তু আসামিরা ভুক্তভোগীকে টাকা ফেরত না দিয়ে তাঁকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সাকিবকে ওই নির্মাণাধীন বাড়িতে ডেকে নিয়ে ছুরি দিয়ে হত্যা করার পর তাঁরা মরদেহ গুমের উদ্দেশ্যে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ফেলে ঢাকনা বন্ধ করে দেয়। 

র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে ইমন আরও জানায়, সাকিব ও ইমন দুজনেই মাদক সেবী। যেহেতু ভুক্তভোগী চাকরি করত এবং তাঁর কাছে টাকা থাকত তাই আসামিরা বিভিন্ন সময়ে মাদক কেনার জন্য জোরপূর্বক টাকা নিত। এ নিয়ে পূর্বেও তাঁদের মাঝে ঝামেলা হয়েছিল। 

র‍্যাব ৪ সিপিসি ২ এর কোম্পানি কমান্ডার বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে। এছাড়াও উক্ত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত পলাতক আসামি নাবিলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। 

এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আরেক আসামি পিয়াসকে সাকিবের মরদেহ উদ্ধারের রাতেই গ্রেপ্তার করে সাভার থানা-পুলিশ। গতকাল রোববার ৩ দিনের রিমান্ডে সাভার থানায় পিয়াসকে আনা হয়। এ ঘটনায় জড়িত একমাত্র পলাতক আসামি নাবিল (১৮) একই এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাল মিষ্টি বিতরণে বারণ করেছিলেন, আজ মনোনয়ন স্থগিত—কে এই কামাল জামান

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

প্রতীক পেল এনসিপি, বাসদ মার্ক্সবাদী ও আমজনগণ

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অনলাইন ট্রেডিং সাইট

অনলাইনে বিনিয়োগ করে নিঃস্ব ৪ শতাধিক পরিবার

  • সবার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নে।
  • ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা বিনিয়োগের দাবি।
  • গত সোমবার সকালে সাইটটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
  • পুলিশি ঝামেলা এড়াতে অধিকাংশ ভুক্তভোগী মুখ খুলতে রাজি হননি।
মেহেরাব্বিন সানভী, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ক্লিনো ইমেক্স (Cleano IMEX) নামক একটি অনলাইন ট্রেডিং সাইটে বিনিয়োগ করে সব খুইয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের চার শতাধিক পরিবার। দ্বিগুণ মুনাফার লোভে ধারদেনা, চড়া সুদে ঋণ নিয়ে এই প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগ করেছিল পরিবারগুলো। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ক্লিনো ইমেক্সে ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছে তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই প্রতারণার শুরু সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে। প্রায় চার মাস আগে মালয়েশিয়াপ্রবাসী আশিক (২২) নামের এক যুবক গ্রামের দুই তরুণ—নিরব হোসেন ও আকাশ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আশিক তাঁদের জানান, ‘ক্লিনো ইমেক্স’ সাইটে টাকা রাখলে প্রতিদিন শতকরার ভিত্তিতে লাভ পাওয়া যায়। ১০০ টাকায় দৈনিক ৪ টাকা লাভ। এমন লোভনীয় প্রস্তাবে প্রাথমিকভাবে নিরব ও আকাশ কাজ শুরু করেন এবং কিছু টাকা লাভও তোলেন। এরপর তাঁরা গ্রামের আরও পাঁচজনকে নিয়ে মোট সাতটি দল তৈরি করে এই ‘লাভজনক’ স্কিম দ্রুত ছড়িয়ে দিতে থাকেন।

এই চক্রের প্রলোভনে পড়ে সদর উপজেলার বোয়ালিয়া, শ্রীকোল, নেহালপুর, হিজলগাড়ি, বলদিয়া বড়শলুয়াসহ আশপাশের গ্রামের বহু মানুষ নিরব ও আকাশের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা জমা দিতে থাকেন। হোয়াটসঅ্যাপ-ভিত্তিক পৃথক গ্রুপ তৈরি করে এই দুই হোতা বিনিয়োগকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতেন।

জানা যায়, শুধু নিরবের গ্রুপেই সদস্যসংখ্যা ছিল ২১৮ জন। নিজেদের বিনিয়োগ এবং অন্যদের কাছ থেকে পাওয়া কমিশন মিলিয়ে নিরব ও আকাশ প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত উত্তোলন করতেন, যা দেখে গ্রামের সহজ-সরল মানুষ আরও বেশি আকৃষ্ট হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোয়ালিয়া গ্রামের এক কৃষক জানান, প্রথমে বিশ্বাস না হলেও গ্রামের অনেকের লাভ দেখে তিনি হালের গরু বিক্রি করে এবং নিজের জমানো টাকাসহ মোট ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ওই সাইটে দিয়েছিলেন। এখন সাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সব হারিয়েছেন।

একই গ্রামের কালাম নামের একজন বলেন, ‘টাকা দ্বিগুণ হওয়ার আশায় উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম পাখি ভ্যানটি বিক্রি করে সেই টাকা বিনিয়োগ করেছিলাম। এখন আমি পথের ফকির।’ ইজিবাইক চালক মিজানুর ছোট ভাইয়ের কথায় ১৮ হাজার টাকা জমা করে এখন বাকরুদ্ধ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, শুধু নেহালপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামেরই দুই শতাধিক ব্যক্তি ‘ক্লিনো ইমেক্স’ সাইটে ৬ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছিলেন। এ ছাড়া শ্রীকোল, নেহালপুর, কুন্দিপুর, হিজলগাড়ি, বলদিয়া ও বড়শলুয়ার অন্তত দুই শ পরিবার বিভিন্ন পরিমাণে বিনিয়োগ করেন। গ্রামের সহজ-সরল মানুষজন—কেউ হালের গরু, গাভি, স্ত্রীর গয়না বিক্রি করে, কেউ এনজিও বা দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে, আবার কেউ-বা জমি বন্ধক রেখে এই ফাঁদে পা দিয়েছিলেন।

গত সোমবার সকালে যখন সাইটটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়, তখন গ্রামজুড়ে নেমে আসে হাহাকার। মান-সম্মানের ভয় এবং পুলিশি ঝামেলা এড়াতে অধিকাংশ ভুক্তভোগী প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি হননি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) জামাল আল নাসের বলেন, ‘নিশ্চয়তা না থাকা সত্ত্বেও অনেকে অসচেতনভাবে এই অনলাইন সাইটে টাকা বিনিয়োগ করছে। এ ক্ষেত্রে আমরা বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও থামানো যাচ্ছে না। নেহালপুর ইউনিয়নের ঘটনাটি শুনেছি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য থানা-পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো কেউ অভিযোগ করেননি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাল মিষ্টি বিতরণে বারণ করেছিলেন, আজ মনোনয়ন স্থগিত—কে এই কামাল জামান

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

প্রতীক পেল এনসিপি, বাসদ মার্ক্সবাদী ও আমজনগণ

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‎মোহাম্মদপুরে ইউল্যাব শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০০: ৫৮
তানহা বিনতে বাশার
তানহা বিনতে বাশার

‎রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিং এলাকায় একটি বাসা থেকে তানহা বিনতে বাশার নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বিকেলে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তানহা কুমিল্লার রেসকোর্স এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। পড়াশোনা করতেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসে (ইউল্যাব)।

আজ ‎মঙ্গলবার রাতে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মো. রফিক আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বিকেলে নবীনগর হাউজিং এলাকার একটি বাসা থেকে তানহা নামের ইউল্যাবের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার পর লাশের সুরতহাল করে আজ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিেকল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

‎এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।‎

‎এদিকে তানহার সঙ্গে ইউল্যাবের অপর এক শিক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করেছে তাঁর সহপাঠী ও পরিবার। তাঁদের দুজনের সম্পর্কের টানাপোড়নের মাঝেই তানহার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ‎

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাল মিষ্টি বিতরণে বারণ করেছিলেন, আজ মনোনয়ন স্থগিত—কে এই কামাল জামান

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

প্রতীক পেল এনসিপি, বাসদ মার্ক্সবাদী ও আমজনগণ

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাজীপুরে তিনটি পত্রিকার প্রকাশনা সনদ বাতিল

গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরে তিনটি পত্রিকার প্রকাশনা সনদ বাতিল

গাজীপুরের তিনটি পত্রিকার প্রকাশনা সনদ (ডিক্লারেশন) বাতিল করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের নির্দেশের আলোকে ডিক্লারেশন বাতিল করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাফিসা আরেফিন। ডিক্লারেশন বাতিল হওয়া পত্রিকাগুলো হলো দৈনিক জনসংবাদ, দৈনিক আজকের গাজীপুর ও দৈনিক বাস্তব চিত্র।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পত্রিকা তিনটির ডিক্লারেশন বাতিলের জন্য গত ১৭ সেপ্টেম্বর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (নিবন্ধন) ডায়ানা ইসলাম সীমা স্বাক্ষরিত পৃথক স্মারকে তিনটি চিঠি গাজীপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানো হয়।

চিঠিগুলোতে একই কারণ উল্লেখ করে বলা হয়, ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইন, ১৯৭৩ অনুযায়ী সংবাদপত্র প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে এই অধিদপ্তরে চার কপি জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু গাজীপুর জেলা থেকে প্রকাশিত দৈনিক জনসংবাদ, দৈনিক আজকের গাজীপুর ও দৈনিক বাস্তব চিত্র পত্রিকা জানুয়ারি ২০২৪ থেকে আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত এই অধিদপ্তরে কোনো সংখ্যা জমা দেয়নি। এতে প্রতীয়মান হয় যে পত্রিকাগুলো প্রকাশিত হচ্ছে না।

তাই ১৯৭৩ সালের ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইন মোতাবেক ঘোষণাপত্র বাতিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

চিঠি তিনটি গত ২২ সেপ্টেম্বর গাজীপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ে পৌঁছায়। পরে গাজীপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট চিঠির আদেশ বাস্তবায়ন করেন বলে গতকাল সোমবার রাতে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গাজীপুর জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, পত্রিকাগুলোর প্রকাশনা সনদ (ডিক্লারেশন) বাতিল করার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের কোনো হাত ছিল না। জেলা প্রশাসন শুধু তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের নির্দেশের বাস্তবায়ন করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাল মিষ্টি বিতরণে বারণ করেছিলেন, আজ মনোনয়ন স্থগিত—কে এই কামাল জামান

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

প্রতীক পেল এনসিপি, বাসদ মার্ক্সবাদী ও আমজনগণ

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বরিশালে অপসো স্যালাইন ফার্মার অচলাবস্থা কাটেনি, কাল মালিক-শ্রমিক বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
চাকরি ফেরতের দাবিতে আজ মঙ্গলবার বরিশাল নগরের বগুড়া সড়কে অপসো স্যালাইন ফার্মার কারখানার সামনে শ্রমিকদের অবস্থান। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাকরি ফেরতের দাবিতে আজ মঙ্গলবার বরিশাল নগরের বগুড়া সড়কে অপসো স্যালাইন ফার্মার কারখানার সামনে শ্রমিকদের অবস্থান। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাকরি ফেরতের দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বরিশালের অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডে শুরু হওয়া অচলাবস্থা কাটেনি। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম আজ মঙ্গলবার বিকেলে শেষ হয়। সমস্যা সমাধানে এ সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তবে আগামীকাল বুধবার বরিশাল শ্রম অধিদপ্তর মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা ডেকেছে।

৫৭০ জন শ্রমিক চাকরিচ্যুত করায় গত ২৯ অক্টোবর থেকে শ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। তাঁরা চাকরি ফেরত চান। নগরের বগুড়া সড়কে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে শ্রমিকেরা শনিবার থেকে অবস্থান নেন। বাম গণতান্ত্রিক জোট ও মহানগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

আজ বিকেলে শ্রমিকেরা বগুড়া সড়ক থেকে মিছিল নিয়ে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে অপসোনিন গ্রুপের প্রধান কারখানার সামনে যান। সেখানে অন্য কারখানার শ্রমিকদের নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

অপসো স্যালাইন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব মিয়া জানান, কাল বুধবার শ্রম অধিদপ্তরের সভায় সমঝোতা না হলে সব কারখানায় কর্মবিরতি ও মহাসড়ক অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচিতে যাবেন।

বাসদ নেত্রী ডা. মনিষা চক্রবর্তী বলেন, আগামীকাল শ্রমিক প্রতিনিধি ও মালিক প্রতিনিধিদের বরিশাল শ্রম অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সভা ডাকা হয়েছে। সভায় সমঝোতা না হলে শ্রমিকেরা কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন।

ট্রেড ইউনিয়ন নেতা তুষার বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে মালিকের লোকজন। এ জন্য সতর্ক থাকতে হবে। বুধবার শ্রম অধিদপ্তরে ৫৭০ জন শ্রমিকের ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে।’ তিনি শ্রম অধিদপ্তরের উপপরিচালক মনিরুজ্জামানকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আমরা চাই না মহাসড়ক অচল করে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলতে।’

অপসো স্যালাইন কারখানায় কর্মরত স্টুরিপ্যাক (সিরিঞ্জ ও স্যালাইন সেট প্রস্তুতকারক) শাখার ৫৭০ জন শ্রমিককে গত বুধবার চাকরিচ্যুতির চিঠি দেয় কর্তৃপক্ষ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাল মিষ্টি বিতরণে বারণ করেছিলেন, আজ মনোনয়ন স্থগিত—কে এই কামাল জামান

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

প্রতীক পেল এনসিপি, বাসদ মার্ক্সবাদী ও আমজনগণ

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত