নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিপদের সময় পরীক্ষার মুখোমুখি হয় মানুষের ভালোবাসা। সেই পরীক্ষায় কেউ উতরে যান আবার কেউ ব্যর্থ হন। তবে রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনায় নিহত এক দম্পতি যেন মারা যাওয়ার আগে পরস্পরের প্রতি ভালোবাসার প্রমাণ দেখিয়ে গেলেন। হাসান ও সুমাইয়া দম্পতির পরস্পরকে বাঁচানোর আকুতিভরা গল্প আজকের পত্রিকাকে শুনিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রিসেন্টের কর্মী শেখ রাকিব।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে গ্রিন কোটি কটেজ নামের একটি বহুতল ভবনের নিচতলায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। দ্রুতই তা ছড়িয়ে পড়ে ভবনটির অন্যান্য তলায়। ব্যাপক ধোঁয়া ও প্রচণ্ড গরমে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া মানুষের অবস্থা দিশেহারা। ধোঁয়াচ্ছন্ন ভবনে কেউ কাউকে দেখতেও পারছিল না। এমন অবস্থায়ও ভবনটিতে উদ্ধারকাজ চালিয়েছে রেড ক্রিসেন্টসহ বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
যাঁরা উদ্ধারকাজ চালিয়েছেন, তাঁদের একজন শেখ রাকিব। তিনি আটকে পড়া ১১ জনকে নিজ হাতে উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অবশ্য সাতজন রাতেই মারা গেছেন। রাকিব নিজেও এখন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। আটকে পড়াদের সবাই যখন নিজের জীবন বাঁচাতে সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করছেন, তখন এই উদ্ধারকর্মী ভিন্নধর্মী এক ঘটনার সাক্ষী হন।
আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপকালে সেই ঘটনার হৃদয়স্পর্শী বর্ণনা দিয়েছেন রেড ক্রিসেন্টের এই স্বেচ্ছাসেবী। তিনি বলেন, ‘সময়টা ঠিক মনে নেই। ভবনের ভেতর থেকে এক নারী ও এক পুরুষকে উদ্ধার করে এনে আমার কাছে দেওয়া হলো। আমি মূলত অ্যাম্বুলেন্সে করে উদ্ধার করা রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছিলাম সে সময়।’
রাকিব বলেন, ‘এই দুজনকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য যখন অ্যাম্বুলেন্স ছাড়ল, তখন উভয়েই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। এ সময় করণীয় হলো, তাদের বুকে চাপ দিয়ে দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা। যেহেতু লোক দুজন আর আমি একা মানুষ, তাই দুজনকে একসঙ্গে প্রেস করতে পারছিলাম না। কিছুক্ষণ পুরুষ ব্যক্তির বুকে প্রেস করছিলাম, আবার তাঁকে বাদ দিয়ে নারীর বুকে প্রেস করছিলাম। অনেকক্ষণ আটকা থাকায় তাদের শ্বাসকষ্ট প্রকট ছিল।’
সময় যত গড়াচ্ছিল ওই দুজনের অবস্থা আরও খারাপ হতে লাগল উল্লেখ করে শেখ রাকিব বলেন, ‘এমন সংকটে পড়ে আমার অবস্থা দিশেহারা। যানজটের কারণে দ্রুত হাসপাতালেও পৌঁছাতে পারছিলাম না। রাস্তায় আটকে থেকে তাঁদের ছটফটানি দেখছিলাম। একপর্যায়ে দুজনের অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকল। তখন পুরুষটি আমাকে বারবার বলছিলেন, নারীটির বুক ভালোভাবে যেন প্রেস করা হয়। আমি যখন নারীর বুকে প্রেস করতে যাচ্ছিলাম, তখন তিনি অনুনয় করে বলছিলেন, তাঁকে বাদ দিয়ে পুরুষটিকে যেন ভালোভাবে বুকে প্রেস করা হয়। তাদের এই আচরণ আমাকে দ্বিধায় ফেলে দেয়। আমি কী করব, ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। জীবনে অনেক ক্রাইসিস দেখেছি, এতটা দ্বিধায় কখনো পড়িনি।’
একপর্যায়ে যানজট ঠেলে যখন রাকিব সেই দুজনকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছান, তখনো তারা বেঁচে ছিলেন। পরে অবশ্য দুজনই মারা গেছেন। মারা যাওয়ার পরে এই উদ্ধারকর্মী জানতে পারেন, তাঁরা দুজন স্বামী-স্ত্রী ছিলেন। রাকিব জানালেন, এই দম্পতির একজনের নাম হাসান ও অন্যজন সুমাইয়া।
উদ্ধারকাজে থেকে নিজেও অসুস্থ হয়ে গেছেন রাকিব। তারও দেখা দিয়েছে শ্বাসকষ্ট। আজ শুক্রবার সকালে তাঁকে দুই ঘণ্টা অক্সিজেন থেরাপি দেওয়া হয়েছে। গলা ও বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে সেই দম্পতির অসহনীয় অবস্থার কথা ভাবছিলেন। নিজের অসুস্থতা ছাপিয়ে সেই দম্পতির একে অপরকে বাঁচানোর আকুতিই তাঁকে বেশি পীড়া দিচ্ছে। রাকিব জানালেন, অ্যাম্বুলেন্সের সেই ঘটনাগুলো তাঁর জীবনে হয়তো একটি ট্রমা হয়ে থাকবে।
হাসান-সুমাইয়া দম্পতির ঘটনা এই উদ্ধারকর্মীকে একটা উপলব্ধি দিয়েছে। বেশ আক্ষেপের সুরে রাকিব বলেন, ‘গতকালের ঘটনায় পুড়ে খুব কম মানুষ মারা গেছে। প্রাণ হারানো প্রায় সবাই শ্বাসকষ্টে দম বন্ধ হয়ে মারা গেছে। এ ধরনের ক্রাইসিসে মূলত পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্স দরকার হয়। এর ব্যবস্থা তেমন ছিল না।’
রাকিব আরও বলেন, ‘এমন দুর্ঘটনার পর উদ্ধার করা ব্যক্তিদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা হলো সিপিআর, অর্থাৎ বুকে চাপ দেওয়া। তবে এটার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষিত লোক হলে ভালো হয়। কিন্তু আমাদের এমন প্রশিক্ষিত জনবল ছিল না বললেই চলে। আমার মতো আরও কয়েকজন সিপিআর দিতে পারা লোক থাকলে হয়তো নিহতের সংখ্যা কম হতো। হয়তো ওই দম্পতিকেও বাঁচানো যেত।’
রাকিবের পর্যবেক্ষণের সত্যতা মিলেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের বক্তব্যে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এ ঘটনায় প্রায় সবাই দমবন্ধ হয়ে ও শ্বাসনালি পুড়ে মারা গেছে। আহতদেরও সবারই শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত। তাই চিকিৎসাধীন কাউকেই শঙ্কামুক্ত বলা যায় না।’

বিপদের সময় পরীক্ষার মুখোমুখি হয় মানুষের ভালোবাসা। সেই পরীক্ষায় কেউ উতরে যান আবার কেউ ব্যর্থ হন। তবে রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনায় নিহত এক দম্পতি যেন মারা যাওয়ার আগে পরস্পরের প্রতি ভালোবাসার প্রমাণ দেখিয়ে গেলেন। হাসান ও সুমাইয়া দম্পতির পরস্পরকে বাঁচানোর আকুতিভরা গল্প আজকের পত্রিকাকে শুনিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রিসেন্টের কর্মী শেখ রাকিব।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে গ্রিন কোটি কটেজ নামের একটি বহুতল ভবনের নিচতলায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। দ্রুতই তা ছড়িয়ে পড়ে ভবনটির অন্যান্য তলায়। ব্যাপক ধোঁয়া ও প্রচণ্ড গরমে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া মানুষের অবস্থা দিশেহারা। ধোঁয়াচ্ছন্ন ভবনে কেউ কাউকে দেখতেও পারছিল না। এমন অবস্থায়ও ভবনটিতে উদ্ধারকাজ চালিয়েছে রেড ক্রিসেন্টসহ বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
যাঁরা উদ্ধারকাজ চালিয়েছেন, তাঁদের একজন শেখ রাকিব। তিনি আটকে পড়া ১১ জনকে নিজ হাতে উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অবশ্য সাতজন রাতেই মারা গেছেন। রাকিব নিজেও এখন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। আটকে পড়াদের সবাই যখন নিজের জীবন বাঁচাতে সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করছেন, তখন এই উদ্ধারকর্মী ভিন্নধর্মী এক ঘটনার সাক্ষী হন।
আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপকালে সেই ঘটনার হৃদয়স্পর্শী বর্ণনা দিয়েছেন রেড ক্রিসেন্টের এই স্বেচ্ছাসেবী। তিনি বলেন, ‘সময়টা ঠিক মনে নেই। ভবনের ভেতর থেকে এক নারী ও এক পুরুষকে উদ্ধার করে এনে আমার কাছে দেওয়া হলো। আমি মূলত অ্যাম্বুলেন্সে করে উদ্ধার করা রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছিলাম সে সময়।’
রাকিব বলেন, ‘এই দুজনকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য যখন অ্যাম্বুলেন্স ছাড়ল, তখন উভয়েই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। এ সময় করণীয় হলো, তাদের বুকে চাপ দিয়ে দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা। যেহেতু লোক দুজন আর আমি একা মানুষ, তাই দুজনকে একসঙ্গে প্রেস করতে পারছিলাম না। কিছুক্ষণ পুরুষ ব্যক্তির বুকে প্রেস করছিলাম, আবার তাঁকে বাদ দিয়ে নারীর বুকে প্রেস করছিলাম। অনেকক্ষণ আটকা থাকায় তাদের শ্বাসকষ্ট প্রকট ছিল।’
সময় যত গড়াচ্ছিল ওই দুজনের অবস্থা আরও খারাপ হতে লাগল উল্লেখ করে শেখ রাকিব বলেন, ‘এমন সংকটে পড়ে আমার অবস্থা দিশেহারা। যানজটের কারণে দ্রুত হাসপাতালেও পৌঁছাতে পারছিলাম না। রাস্তায় আটকে থেকে তাঁদের ছটফটানি দেখছিলাম। একপর্যায়ে দুজনের অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকল। তখন পুরুষটি আমাকে বারবার বলছিলেন, নারীটির বুক ভালোভাবে যেন প্রেস করা হয়। আমি যখন নারীর বুকে প্রেস করতে যাচ্ছিলাম, তখন তিনি অনুনয় করে বলছিলেন, তাঁকে বাদ দিয়ে পুরুষটিকে যেন ভালোভাবে বুকে প্রেস করা হয়। তাদের এই আচরণ আমাকে দ্বিধায় ফেলে দেয়। আমি কী করব, ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। জীবনে অনেক ক্রাইসিস দেখেছি, এতটা দ্বিধায় কখনো পড়িনি।’
একপর্যায়ে যানজট ঠেলে যখন রাকিব সেই দুজনকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছান, তখনো তারা বেঁচে ছিলেন। পরে অবশ্য দুজনই মারা গেছেন। মারা যাওয়ার পরে এই উদ্ধারকর্মী জানতে পারেন, তাঁরা দুজন স্বামী-স্ত্রী ছিলেন। রাকিব জানালেন, এই দম্পতির একজনের নাম হাসান ও অন্যজন সুমাইয়া।
উদ্ধারকাজে থেকে নিজেও অসুস্থ হয়ে গেছেন রাকিব। তারও দেখা দিয়েছে শ্বাসকষ্ট। আজ শুক্রবার সকালে তাঁকে দুই ঘণ্টা অক্সিজেন থেরাপি দেওয়া হয়েছে। গলা ও বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে সেই দম্পতির অসহনীয় অবস্থার কথা ভাবছিলেন। নিজের অসুস্থতা ছাপিয়ে সেই দম্পতির একে অপরকে বাঁচানোর আকুতিই তাঁকে বেশি পীড়া দিচ্ছে। রাকিব জানালেন, অ্যাম্বুলেন্সের সেই ঘটনাগুলো তাঁর জীবনে হয়তো একটি ট্রমা হয়ে থাকবে।
হাসান-সুমাইয়া দম্পতির ঘটনা এই উদ্ধারকর্মীকে একটা উপলব্ধি দিয়েছে। বেশ আক্ষেপের সুরে রাকিব বলেন, ‘গতকালের ঘটনায় পুড়ে খুব কম মানুষ মারা গেছে। প্রাণ হারানো প্রায় সবাই শ্বাসকষ্টে দম বন্ধ হয়ে মারা গেছে। এ ধরনের ক্রাইসিসে মূলত পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্স দরকার হয়। এর ব্যবস্থা তেমন ছিল না।’
রাকিব আরও বলেন, ‘এমন দুর্ঘটনার পর উদ্ধার করা ব্যক্তিদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা হলো সিপিআর, অর্থাৎ বুকে চাপ দেওয়া। তবে এটার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষিত লোক হলে ভালো হয়। কিন্তু আমাদের এমন প্রশিক্ষিত জনবল ছিল না বললেই চলে। আমার মতো আরও কয়েকজন সিপিআর দিতে পারা লোক থাকলে হয়তো নিহতের সংখ্যা কম হতো। হয়তো ওই দম্পতিকেও বাঁচানো যেত।’
রাকিবের পর্যবেক্ষণের সত্যতা মিলেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের বক্তব্যে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এ ঘটনায় প্রায় সবাই দমবন্ধ হয়ে ও শ্বাসনালি পুড়ে মারা গেছে। আহতদেরও সবারই শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত। তাই চিকিৎসাধীন কাউকেই শঙ্কামুক্ত বলা যায় না।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিপদের সময় পরীক্ষার মুখোমুখি হয় মানুষের ভালোবাসা। সেই পরীক্ষায় কেউ উতরে যান আবার কেউ ব্যর্থ হন। তবে রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনায় নিহত এক দম্পতি যেন মারা যাওয়ার আগে পরস্পরের প্রতি ভালোবাসার প্রমাণ দেখিয়ে গেলেন। হাসান ও সুমাইয়া দম্পতির পরস্পরকে বাঁচানোর আকুতিভরা গল্প আজকের পত্রিকাকে শুনিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রিসেন্টের কর্মী শেখ রাকিব।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে গ্রিন কোটি কটেজ নামের একটি বহুতল ভবনের নিচতলায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। দ্রুতই তা ছড়িয়ে পড়ে ভবনটির অন্যান্য তলায়। ব্যাপক ধোঁয়া ও প্রচণ্ড গরমে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া মানুষের অবস্থা দিশেহারা। ধোঁয়াচ্ছন্ন ভবনে কেউ কাউকে দেখতেও পারছিল না। এমন অবস্থায়ও ভবনটিতে উদ্ধারকাজ চালিয়েছে রেড ক্রিসেন্টসহ বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
যাঁরা উদ্ধারকাজ চালিয়েছেন, তাঁদের একজন শেখ রাকিব। তিনি আটকে পড়া ১১ জনকে নিজ হাতে উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অবশ্য সাতজন রাতেই মারা গেছেন। রাকিব নিজেও এখন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। আটকে পড়াদের সবাই যখন নিজের জীবন বাঁচাতে সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করছেন, তখন এই উদ্ধারকর্মী ভিন্নধর্মী এক ঘটনার সাক্ষী হন।
আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপকালে সেই ঘটনার হৃদয়স্পর্শী বর্ণনা দিয়েছেন রেড ক্রিসেন্টের এই স্বেচ্ছাসেবী। তিনি বলেন, ‘সময়টা ঠিক মনে নেই। ভবনের ভেতর থেকে এক নারী ও এক পুরুষকে উদ্ধার করে এনে আমার কাছে দেওয়া হলো। আমি মূলত অ্যাম্বুলেন্সে করে উদ্ধার করা রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছিলাম সে সময়।’
রাকিব বলেন, ‘এই দুজনকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য যখন অ্যাম্বুলেন্স ছাড়ল, তখন উভয়েই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। এ সময় করণীয় হলো, তাদের বুকে চাপ দিয়ে দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা। যেহেতু লোক দুজন আর আমি একা মানুষ, তাই দুজনকে একসঙ্গে প্রেস করতে পারছিলাম না। কিছুক্ষণ পুরুষ ব্যক্তির বুকে প্রেস করছিলাম, আবার তাঁকে বাদ দিয়ে নারীর বুকে প্রেস করছিলাম। অনেকক্ষণ আটকা থাকায় তাদের শ্বাসকষ্ট প্রকট ছিল।’
সময় যত গড়াচ্ছিল ওই দুজনের অবস্থা আরও খারাপ হতে লাগল উল্লেখ করে শেখ রাকিব বলেন, ‘এমন সংকটে পড়ে আমার অবস্থা দিশেহারা। যানজটের কারণে দ্রুত হাসপাতালেও পৌঁছাতে পারছিলাম না। রাস্তায় আটকে থেকে তাঁদের ছটফটানি দেখছিলাম। একপর্যায়ে দুজনের অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকল। তখন পুরুষটি আমাকে বারবার বলছিলেন, নারীটির বুক ভালোভাবে যেন প্রেস করা হয়। আমি যখন নারীর বুকে প্রেস করতে যাচ্ছিলাম, তখন তিনি অনুনয় করে বলছিলেন, তাঁকে বাদ দিয়ে পুরুষটিকে যেন ভালোভাবে বুকে প্রেস করা হয়। তাদের এই আচরণ আমাকে দ্বিধায় ফেলে দেয়। আমি কী করব, ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। জীবনে অনেক ক্রাইসিস দেখেছি, এতটা দ্বিধায় কখনো পড়িনি।’
একপর্যায়ে যানজট ঠেলে যখন রাকিব সেই দুজনকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছান, তখনো তারা বেঁচে ছিলেন। পরে অবশ্য দুজনই মারা গেছেন। মারা যাওয়ার পরে এই উদ্ধারকর্মী জানতে পারেন, তাঁরা দুজন স্বামী-স্ত্রী ছিলেন। রাকিব জানালেন, এই দম্পতির একজনের নাম হাসান ও অন্যজন সুমাইয়া।
উদ্ধারকাজে থেকে নিজেও অসুস্থ হয়ে গেছেন রাকিব। তারও দেখা দিয়েছে শ্বাসকষ্ট। আজ শুক্রবার সকালে তাঁকে দুই ঘণ্টা অক্সিজেন থেরাপি দেওয়া হয়েছে। গলা ও বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে সেই দম্পতির অসহনীয় অবস্থার কথা ভাবছিলেন। নিজের অসুস্থতা ছাপিয়ে সেই দম্পতির একে অপরকে বাঁচানোর আকুতিই তাঁকে বেশি পীড়া দিচ্ছে। রাকিব জানালেন, অ্যাম্বুলেন্সের সেই ঘটনাগুলো তাঁর জীবনে হয়তো একটি ট্রমা হয়ে থাকবে।
হাসান-সুমাইয়া দম্পতির ঘটনা এই উদ্ধারকর্মীকে একটা উপলব্ধি দিয়েছে। বেশ আক্ষেপের সুরে রাকিব বলেন, ‘গতকালের ঘটনায় পুড়ে খুব কম মানুষ মারা গেছে। প্রাণ হারানো প্রায় সবাই শ্বাসকষ্টে দম বন্ধ হয়ে মারা গেছে। এ ধরনের ক্রাইসিসে মূলত পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্স দরকার হয়। এর ব্যবস্থা তেমন ছিল না।’
রাকিব আরও বলেন, ‘এমন দুর্ঘটনার পর উদ্ধার করা ব্যক্তিদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা হলো সিপিআর, অর্থাৎ বুকে চাপ দেওয়া। তবে এটার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষিত লোক হলে ভালো হয়। কিন্তু আমাদের এমন প্রশিক্ষিত জনবল ছিল না বললেই চলে। আমার মতো আরও কয়েকজন সিপিআর দিতে পারা লোক থাকলে হয়তো নিহতের সংখ্যা কম হতো। হয়তো ওই দম্পতিকেও বাঁচানো যেত।’
রাকিবের পর্যবেক্ষণের সত্যতা মিলেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের বক্তব্যে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এ ঘটনায় প্রায় সবাই দমবন্ধ হয়ে ও শ্বাসনালি পুড়ে মারা গেছে। আহতদেরও সবারই শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত। তাই চিকিৎসাধীন কাউকেই শঙ্কামুক্ত বলা যায় না।’

বিপদের সময় পরীক্ষার মুখোমুখি হয় মানুষের ভালোবাসা। সেই পরীক্ষায় কেউ উতরে যান আবার কেউ ব্যর্থ হন। তবে রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনায় নিহত এক দম্পতি যেন মারা যাওয়ার আগে পরস্পরের প্রতি ভালোবাসার প্রমাণ দেখিয়ে গেলেন। হাসান ও সুমাইয়া দম্পতির পরস্পরকে বাঁচানোর আকুতিভরা গল্প আজকের পত্রিকাকে শুনিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রিসেন্টের কর্মী শেখ রাকিব।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে গ্রিন কোটি কটেজ নামের একটি বহুতল ভবনের নিচতলায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। দ্রুতই তা ছড়িয়ে পড়ে ভবনটির অন্যান্য তলায়। ব্যাপক ধোঁয়া ও প্রচণ্ড গরমে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া মানুষের অবস্থা দিশেহারা। ধোঁয়াচ্ছন্ন ভবনে কেউ কাউকে দেখতেও পারছিল না। এমন অবস্থায়ও ভবনটিতে উদ্ধারকাজ চালিয়েছে রেড ক্রিসেন্টসহ বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
যাঁরা উদ্ধারকাজ চালিয়েছেন, তাঁদের একজন শেখ রাকিব। তিনি আটকে পড়া ১১ জনকে নিজ হাতে উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অবশ্য সাতজন রাতেই মারা গেছেন। রাকিব নিজেও এখন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। আটকে পড়াদের সবাই যখন নিজের জীবন বাঁচাতে সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করছেন, তখন এই উদ্ধারকর্মী ভিন্নধর্মী এক ঘটনার সাক্ষী হন।
আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপকালে সেই ঘটনার হৃদয়স্পর্শী বর্ণনা দিয়েছেন রেড ক্রিসেন্টের এই স্বেচ্ছাসেবী। তিনি বলেন, ‘সময়টা ঠিক মনে নেই। ভবনের ভেতর থেকে এক নারী ও এক পুরুষকে উদ্ধার করে এনে আমার কাছে দেওয়া হলো। আমি মূলত অ্যাম্বুলেন্সে করে উদ্ধার করা রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছিলাম সে সময়।’
রাকিব বলেন, ‘এই দুজনকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য যখন অ্যাম্বুলেন্স ছাড়ল, তখন উভয়েই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। এ সময় করণীয় হলো, তাদের বুকে চাপ দিয়ে দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা। যেহেতু লোক দুজন আর আমি একা মানুষ, তাই দুজনকে একসঙ্গে প্রেস করতে পারছিলাম না। কিছুক্ষণ পুরুষ ব্যক্তির বুকে প্রেস করছিলাম, আবার তাঁকে বাদ দিয়ে নারীর বুকে প্রেস করছিলাম। অনেকক্ষণ আটকা থাকায় তাদের শ্বাসকষ্ট প্রকট ছিল।’
সময় যত গড়াচ্ছিল ওই দুজনের অবস্থা আরও খারাপ হতে লাগল উল্লেখ করে শেখ রাকিব বলেন, ‘এমন সংকটে পড়ে আমার অবস্থা দিশেহারা। যানজটের কারণে দ্রুত হাসপাতালেও পৌঁছাতে পারছিলাম না। রাস্তায় আটকে থেকে তাঁদের ছটফটানি দেখছিলাম। একপর্যায়ে দুজনের অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকল। তখন পুরুষটি আমাকে বারবার বলছিলেন, নারীটির বুক ভালোভাবে যেন প্রেস করা হয়। আমি যখন নারীর বুকে প্রেস করতে যাচ্ছিলাম, তখন তিনি অনুনয় করে বলছিলেন, তাঁকে বাদ দিয়ে পুরুষটিকে যেন ভালোভাবে বুকে প্রেস করা হয়। তাদের এই আচরণ আমাকে দ্বিধায় ফেলে দেয়। আমি কী করব, ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। জীবনে অনেক ক্রাইসিস দেখেছি, এতটা দ্বিধায় কখনো পড়িনি।’
একপর্যায়ে যানজট ঠেলে যখন রাকিব সেই দুজনকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছান, তখনো তারা বেঁচে ছিলেন। পরে অবশ্য দুজনই মারা গেছেন। মারা যাওয়ার পরে এই উদ্ধারকর্মী জানতে পারেন, তাঁরা দুজন স্বামী-স্ত্রী ছিলেন। রাকিব জানালেন, এই দম্পতির একজনের নাম হাসান ও অন্যজন সুমাইয়া।
উদ্ধারকাজে থেকে নিজেও অসুস্থ হয়ে গেছেন রাকিব। তারও দেখা দিয়েছে শ্বাসকষ্ট। আজ শুক্রবার সকালে তাঁকে দুই ঘণ্টা অক্সিজেন থেরাপি দেওয়া হয়েছে। গলা ও বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে সেই দম্পতির অসহনীয় অবস্থার কথা ভাবছিলেন। নিজের অসুস্থতা ছাপিয়ে সেই দম্পতির একে অপরকে বাঁচানোর আকুতিই তাঁকে বেশি পীড়া দিচ্ছে। রাকিব জানালেন, অ্যাম্বুলেন্সের সেই ঘটনাগুলো তাঁর জীবনে হয়তো একটি ট্রমা হয়ে থাকবে।
হাসান-সুমাইয়া দম্পতির ঘটনা এই উদ্ধারকর্মীকে একটা উপলব্ধি দিয়েছে। বেশ আক্ষেপের সুরে রাকিব বলেন, ‘গতকালের ঘটনায় পুড়ে খুব কম মানুষ মারা গেছে। প্রাণ হারানো প্রায় সবাই শ্বাসকষ্টে দম বন্ধ হয়ে মারা গেছে। এ ধরনের ক্রাইসিসে মূলত পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্স দরকার হয়। এর ব্যবস্থা তেমন ছিল না।’
রাকিব আরও বলেন, ‘এমন দুর্ঘটনার পর উদ্ধার করা ব্যক্তিদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা হলো সিপিআর, অর্থাৎ বুকে চাপ দেওয়া। তবে এটার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষিত লোক হলে ভালো হয়। কিন্তু আমাদের এমন প্রশিক্ষিত জনবল ছিল না বললেই চলে। আমার মতো আরও কয়েকজন সিপিআর দিতে পারা লোক থাকলে হয়তো নিহতের সংখ্যা কম হতো। হয়তো ওই দম্পতিকেও বাঁচানো যেত।’
রাকিবের পর্যবেক্ষণের সত্যতা মিলেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের বক্তব্যে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এ ঘটনায় প্রায় সবাই দমবন্ধ হয়ে ও শ্বাসনালি পুড়ে মারা গেছে। আহতদেরও সবারই শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত। তাই চিকিৎসাধীন কাউকেই শঙ্কামুক্ত বলা যায় না।’

সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।
৬ মিনিট আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
১৬ মিনিট আগে
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের
২২ মিনিট আগে
জামায়াত নেতারা আসায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে গেলেন মুক্তিযোদ্ধারা। আজ রোববার উপজেলার অডিটরিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।
২৯ মিনিট আগেগাইবান্ধা, প্রতিনিধি

সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।
সবুজ মিয়া পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের আমলাগাছি (ছোট ভবনপুর) গ্রামের মৃত হাবিদুল ইসলামের ও ছকিনা বেগমের ছেলে।

মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ আকন্দ জানান, প্রায় সাত-আট বছর আগে সবুজ মিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে লন্ড্রি কর্মচারী হিসেবে যোগদান করেন। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবুজ মিয়া ছিলেন ছোট। তাঁর বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। সবুজ মিয়া এক বছর আগে বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রী ও মা এখন বাড়িতে আছে। সবুজ মিয়ার মৃত্যুর খবরে পরিবারে মাতম চলছে। একই সঙ্গে গ্রামজুড়েই নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাবের আহমেদ বলেন, নিহতের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বেলা ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী এই নৃশংস ড্রোন হামলা চালায় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।
সবুজ মিয়া পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের আমলাগাছি (ছোট ভবনপুর) গ্রামের মৃত হাবিদুল ইসলামের ও ছকিনা বেগমের ছেলে।

মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ আকন্দ জানান, প্রায় সাত-আট বছর আগে সবুজ মিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে লন্ড্রি কর্মচারী হিসেবে যোগদান করেন। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবুজ মিয়া ছিলেন ছোট। তাঁর বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। সবুজ মিয়া এক বছর আগে বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রী ও মা এখন বাড়িতে আছে। সবুজ মিয়ার মৃত্যুর খবরে পরিবারে মাতম চলছে। একই সঙ্গে গ্রামজুড়েই নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাবের আহমেদ বলেন, নিহতের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বেলা ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী এই নৃশংস ড্রোন হামলা চালায় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

বিপদের সময় পরীক্ষার মুখোমুখি হয় মানুষের ভালোবাসা। সেই পরীক্ষায় কেউ উতরে যান, আবার কেউ ব্যর্থ হন। তবে রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনায় নিহত এক দম্পতি যেন মারা যাওয়ার আগে পরস্পরের প্রতি ভালোবাসার প্রমাণ দেখিয়ে গেলেন। হাসান ও সুমাইয়া দম্পতির পরস্পরকে বাঁচানোর আকুতি
০১ মার্চ ২০২৪
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
১৬ মিনিট আগে
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের
২২ মিনিট আগে
জামায়াত নেতারা আসায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে গেলেন মুক্তিযোদ্ধারা। আজ রোববার উপজেলার অডিটরিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।
২৯ মিনিট আগেসুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের রাজনৈতিক প্রচারসামগ্রী অপসারণের কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা সরানো হয়নি। ফলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরাসরি উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এর আগে গত শনিবার রাতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাইকিং করে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ নিজ ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড নিজ দায়িত্বে অপসারণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। নির্দেশনা অমান্য করায় রোববার দুপুরে প্রশাসন নিজ উদ্যোগে এসব প্রচারসামগ্রী অপসারণ করে।
অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছেনমং রাখাইন ও চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমানসহ পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অভিযানে অংশ নেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলায় সব রাজনৈতিক ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করা হচ্ছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজন করতে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর।

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের রাজনৈতিক প্রচারসামগ্রী অপসারণের কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা সরানো হয়নি। ফলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরাসরি উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এর আগে গত শনিবার রাতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাইকিং করে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ নিজ ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড নিজ দায়িত্বে অপসারণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। নির্দেশনা অমান্য করায় রোববার দুপুরে প্রশাসন নিজ উদ্যোগে এসব প্রচারসামগ্রী অপসারণ করে।
অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছেনমং রাখাইন ও চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমানসহ পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অভিযানে অংশ নেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলায় সব রাজনৈতিক ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করা হচ্ছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজন করতে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর।

বিপদের সময় পরীক্ষার মুখোমুখি হয় মানুষের ভালোবাসা। সেই পরীক্ষায় কেউ উতরে যান, আবার কেউ ব্যর্থ হন। তবে রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনায় নিহত এক দম্পতি যেন মারা যাওয়ার আগে পরস্পরের প্রতি ভালোবাসার প্রমাণ দেখিয়ে গেলেন। হাসান ও সুমাইয়া দম্পতির পরস্পরকে বাঁচানোর আকুতি
০১ মার্চ ২০২৪
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।
৬ মিনিট আগে
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের
২২ মিনিট আগে
জামায়াত নেতারা আসায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে গেলেন মুক্তিযোদ্ধারা। আজ রোববার উপজেলার অডিটরিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।
২৯ মিনিট আগেপাবনা প্রতিনিধি

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভাইস প্রেডিডেন্ট প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এই সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে উভয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাগত ও একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে। পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা জাপানের মর্যাদাপূর্ণ মেক্সট স্কলারশিপ লাভ করবে। স্কলারশিপ প্রাপ্তরা জাপানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ, নতুন প্রযুক্তি ও গবেষণার সঙ্গে পরিচিত হবেন এবং একাডেমিক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে মেধাশূন্য করা হয়েছিল। আমরা আজকে সমঝোতা স্মারক চুক্তির দিন হিসেবে বেছে নিয়েছি। কারণ, আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষ গড়তে চাই। আমরা প্রমাণ করতে চাই আমরা হেরে যাইনি।’
প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া বলেন, ‘সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে শিক্ষা, গবেষণা, রিসোর্স এবং মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে আমরা উভয়ে মিলে কাজ করব। আমরা কার্যকর সমঝোতা গড়ে তুলব। আমাদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হবে। ফলে আমাদের মধ্যে জ্ঞানের অংশীদারত্বের পথ সৃষ্টি হবে। এতে আমরা দুই পক্ষই লাভবান হব।’

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভাইস প্রেডিডেন্ট প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এই সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে উভয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাগত ও একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে। পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা জাপানের মর্যাদাপূর্ণ মেক্সট স্কলারশিপ লাভ করবে। স্কলারশিপ প্রাপ্তরা জাপানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ, নতুন প্রযুক্তি ও গবেষণার সঙ্গে পরিচিত হবেন এবং একাডেমিক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে মেধাশূন্য করা হয়েছিল। আমরা আজকে সমঝোতা স্মারক চুক্তির দিন হিসেবে বেছে নিয়েছি। কারণ, আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষ গড়তে চাই। আমরা প্রমাণ করতে চাই আমরা হেরে যাইনি।’
প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া বলেন, ‘সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে শিক্ষা, গবেষণা, রিসোর্স এবং মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে আমরা উভয়ে মিলে কাজ করব। আমরা কার্যকর সমঝোতা গড়ে তুলব। আমাদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হবে। ফলে আমাদের মধ্যে জ্ঞানের অংশীদারত্বের পথ সৃষ্টি হবে। এতে আমরা দুই পক্ষই লাভবান হব।’

বিপদের সময় পরীক্ষার মুখোমুখি হয় মানুষের ভালোবাসা। সেই পরীক্ষায় কেউ উতরে যান, আবার কেউ ব্যর্থ হন। তবে রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনায় নিহত এক দম্পতি যেন মারা যাওয়ার আগে পরস্পরের প্রতি ভালোবাসার প্রমাণ দেখিয়ে গেলেন। হাসান ও সুমাইয়া দম্পতির পরস্পরকে বাঁচানোর আকুতি
০১ মার্চ ২০২৪
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।
৬ মিনিট আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
১৬ মিনিট আগে
জামায়াত নেতারা আসায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে গেলেন মুক্তিযোদ্ধারা। আজ রোববার উপজেলার অডিটরিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।
২৯ মিনিট আগেনেত্রকোনা, প্রতিনিধি

জামায়াত নেতারা আসায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে গেলেন মুক্তিযোদ্ধারা। আজ রোববার উপজেলার অডিটরিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে সকালে দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে উপজেলার অডিটরিয়ামে আলোচনা সভার আয়োজন করে প্রশাসন।
আলোচনা সভায় জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের দাওয়াত দেওয়ায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা সভা বর্জন করে চলে যান। পরে শহরের স্টেশন রোডে মুক্তিযোদ্ধা সংসদে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন তাঁরা।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের মঞ্চে স্থান দেওয়ায় আমরা আলোচনা সভা বর্জন করি। যারা আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করল, তাদের সঙ্গে আমরা বসতে পারি না। এখানে আমরা কোনো আপস করতে পারি না।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘এর আগে আমরা উপজেলা প্রশাসনকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় জামায়াতকে না রাখতে ইউএনওর প্রতি অনুরোধ জানাই। কিন্তু আমাদের অনুরোধ তিনি রাখেননি।’
এ সময় বক্তব্য দেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আহ্বায়ক আব্দুল খালেক, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান ও সদস্যসচিব গোলাম মোস্তফা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমেনা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সব রাজনৈতিক নেতাকে দাওয়াত দিয়েছি। বীর মুক্তিযোদ্ধারা সভায় বিলম্বে যাওয়ায় আমাদের পাশেই তাঁদের জন্য আলাদা চেয়ারও রেখেছিলাম। কিন্তু উনারা চেয়ারে না বসে ব্যস্ততা দেখিয়ে হলরুম ত্যাগ করেন।’

জামায়াত নেতারা আসায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে গেলেন মুক্তিযোদ্ধারা। আজ রোববার উপজেলার অডিটরিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে সকালে দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে উপজেলার অডিটরিয়ামে আলোচনা সভার আয়োজন করে প্রশাসন।
আলোচনা সভায় জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের দাওয়াত দেওয়ায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা সভা বর্জন করে চলে যান। পরে শহরের স্টেশন রোডে মুক্তিযোদ্ধা সংসদে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন তাঁরা।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের মঞ্চে স্থান দেওয়ায় আমরা আলোচনা সভা বর্জন করি। যারা আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করল, তাদের সঙ্গে আমরা বসতে পারি না। এখানে আমরা কোনো আপস করতে পারি না।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘এর আগে আমরা উপজেলা প্রশাসনকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় জামায়াতকে না রাখতে ইউএনওর প্রতি অনুরোধ জানাই। কিন্তু আমাদের অনুরোধ তিনি রাখেননি।’
এ সময় বক্তব্য দেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আহ্বায়ক আব্দুল খালেক, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান ও সদস্যসচিব গোলাম মোস্তফা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমেনা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সব রাজনৈতিক নেতাকে দাওয়াত দিয়েছি। বীর মুক্তিযোদ্ধারা সভায় বিলম্বে যাওয়ায় আমাদের পাশেই তাঁদের জন্য আলাদা চেয়ারও রেখেছিলাম। কিন্তু উনারা চেয়ারে না বসে ব্যস্ততা দেখিয়ে হলরুম ত্যাগ করেন।’

বিপদের সময় পরীক্ষার মুখোমুখি হয় মানুষের ভালোবাসা। সেই পরীক্ষায় কেউ উতরে যান, আবার কেউ ব্যর্থ হন। তবে রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনায় নিহত এক দম্পতি যেন মারা যাওয়ার আগে পরস্পরের প্রতি ভালোবাসার প্রমাণ দেখিয়ে গেলেন। হাসান ও সুমাইয়া দম্পতির পরস্পরকে বাঁচানোর আকুতি
০১ মার্চ ২০২৪
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।
৬ মিনিট আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
১৬ মিনিট আগে
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের
২২ মিনিট আগে