বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও উদীচীর সাবেক সভাপতি পান্না কায়সারকে শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় স্মরণ করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। এ উপলক্ষে গতকাল শনিবার বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যকলা কেন্দ্রের মিলনায়তনে শোকসভার আয়োজন করে সংগঠনটি।
শোকসভার শুরুতে পান্না কায়সারের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর নেতারা। এরপর শহীদ সন্তানের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান জাহীদ রেজা নূর, পরিবারের পক্ষে পান্না কায়সারের ছেলে অমিতাভ কায়সার, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির পক্ষে শহীদ সন্তান নুজহাত চৌধুরী এবং কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক প্রণয় সাহা। পান্না কায়সারের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নীরবতা পালন করা হয়।
নীরবতা পালনের পর উদীচীর শিল্পীরা পরিবেশন করেন দুটি গান। এরপর উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি বদিউর রহমানের সভাপতিত্বে শুরু হয় আলোচনা। শুরুতে পান্না কায়সারের মৃত্যুতে উদীচীর পক্ষে শোক জানান কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে। পান্না কায়সারের জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন তাঁর ছেলে অমিতাভ কায়সার, শহীদ বুদ্ধিজীবীর সন্তান জাহীদ রেজা নূর, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির পক্ষে নুজহাত চৌধুরী, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক প্রণয় সাহা ও এই সংগঠনের পক্ষে লেলিন চৌধুরী এবং উদীচীর পক্ষে সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সিদ্দিক রানা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকরাম আহমেদ, কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি মাহমুদ সেলিম, সদস্য কিরীটি রঞ্জন বিশ্বাস, সাবেক সহসভাপতি রতন সিদ্দিকী, সাইফুদ্দিন মাহবুব প্রমুখ।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, পান্না কায়সারের প্রয়াণে দেশের সংস্কৃতি জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। ১৯৫০ সালের ৫ মে জন্ম গ্রহণ করা পান্না কায়সার ছোটবেলা থেকেই প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে পরিচিত। ষাটের দশকে স্বাধীনতা আন্দোলনের উত্তাল সময়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। সেখানে বাংলা বিভাগে পড়ার সময় তিনি শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলেন মুনির চৌধুরী ও মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীকে। ১৯৬৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে গণ-অভ্যুত্থানের সময়েই তিনি শহীদুল্লা কায়সারকে বিয়ে করেন। শুরু হয় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তাঁর নতুন পথচলা।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পান্না কায়সারের স্বামী শহীদুল্লা কায়সারকেও আলবদরের সহায়তায় বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এরপর আর ফিরে আসেননি তাঁর স্বামী। স্বাধীনতার পর পান্না কায়সার শিশু-কিশোর সংগঠন খেলাঘরের সঙ্গে যুক্ত হন। একই সঙ্গে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেন। সারা জীবন ধরেই পান্না কায়সার জনগণের ন্যায়সংগত অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। পাশাপাশি, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক হিসেবেও নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার চেতনায় গড়ে তোলার চেষ্টা করে গেছেন বলে শোকসভায় বক্তারা আলোচনা করেন।
শোকসভায় একক সংগীত পরিবেশন করেন সুরাইয়া পারভীন ও বিপ্লব রায়হান। একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি বেলায়েত হোসেন ও শিখা সেনগুপ্তা। এ ছাড়া, উদীচীর নৃত্য বিভাগের শিল্পীরা ‘ও আলোর পথযাত্রী’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম।
বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও উদীচীর সাবেক সভাপতি পান্না কায়সারকে শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় স্মরণ করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। এ উপলক্ষে গতকাল শনিবার বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যকলা কেন্দ্রের মিলনায়তনে শোকসভার আয়োজন করে সংগঠনটি।
শোকসভার শুরুতে পান্না কায়সারের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর নেতারা। এরপর শহীদ সন্তানের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান জাহীদ রেজা নূর, পরিবারের পক্ষে পান্না কায়সারের ছেলে অমিতাভ কায়সার, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির পক্ষে শহীদ সন্তান নুজহাত চৌধুরী এবং কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক প্রণয় সাহা। পান্না কায়সারের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নীরবতা পালন করা হয়।
নীরবতা পালনের পর উদীচীর শিল্পীরা পরিবেশন করেন দুটি গান। এরপর উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি বদিউর রহমানের সভাপতিত্বে শুরু হয় আলোচনা। শুরুতে পান্না কায়সারের মৃত্যুতে উদীচীর পক্ষে শোক জানান কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে। পান্না কায়সারের জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন তাঁর ছেলে অমিতাভ কায়সার, শহীদ বুদ্ধিজীবীর সন্তান জাহীদ রেজা নূর, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির পক্ষে নুজহাত চৌধুরী, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক প্রণয় সাহা ও এই সংগঠনের পক্ষে লেলিন চৌধুরী এবং উদীচীর পক্ষে সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সিদ্দিক রানা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকরাম আহমেদ, কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি মাহমুদ সেলিম, সদস্য কিরীটি রঞ্জন বিশ্বাস, সাবেক সহসভাপতি রতন সিদ্দিকী, সাইফুদ্দিন মাহবুব প্রমুখ।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, পান্না কায়সারের প্রয়াণে দেশের সংস্কৃতি জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। ১৯৫০ সালের ৫ মে জন্ম গ্রহণ করা পান্না কায়সার ছোটবেলা থেকেই প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে পরিচিত। ষাটের দশকে স্বাধীনতা আন্দোলনের উত্তাল সময়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। সেখানে বাংলা বিভাগে পড়ার সময় তিনি শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলেন মুনির চৌধুরী ও মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীকে। ১৯৬৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে গণ-অভ্যুত্থানের সময়েই তিনি শহীদুল্লা কায়সারকে বিয়ে করেন। শুরু হয় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তাঁর নতুন পথচলা।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পান্না কায়সারের স্বামী শহীদুল্লা কায়সারকেও আলবদরের সহায়তায় বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এরপর আর ফিরে আসেননি তাঁর স্বামী। স্বাধীনতার পর পান্না কায়সার শিশু-কিশোর সংগঠন খেলাঘরের সঙ্গে যুক্ত হন। একই সঙ্গে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেন। সারা জীবন ধরেই পান্না কায়সার জনগণের ন্যায়সংগত অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। পাশাপাশি, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক হিসেবেও নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার চেতনায় গড়ে তোলার চেষ্টা করে গেছেন বলে শোকসভায় বক্তারা আলোচনা করেন।
শোকসভায় একক সংগীত পরিবেশন করেন সুরাইয়া পারভীন ও বিপ্লব রায়হান। একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি বেলায়েত হোসেন ও শিখা সেনগুপ্তা। এ ছাড়া, উদীচীর নৃত্য বিভাগের শিল্পীরা ‘ও আলোর পথযাত্রী’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম।
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল।
৫ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
৫ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
৫ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
৫ ঘণ্টা আগে