শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
পদ্মাসেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইমাদ পরিবহনের একটি বাস ছিটকে নিচে পড়ে ১৯ যাত্রীর প্রাণহানি হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুর্ঘটনার পেছনে চালকের অতিরিক্ত ক্লান্তিই দায়ী। খুব একটা বিশ্রাম না নিয়েই বিভিন্ন সড়কে প্রায় ৩০ ঘণ্টা গাড়ি চালান চালক জাহিদ হাসান (৪৫)। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় চালক নিজেও মারা যান।
ওই দিন বিকেলে নিহত চালকের ছেলে রাতুল হাসান (১৫) বাবার লাশ শনাক্ত করতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন।
এ সময় তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাসে দুই দিন বাড়ি আসতে পারতেন বাবা। গাড়ি চালিয়ে তিনি সব সময় ক্লান্ত থাকেন। গত পরশু ঢাকা, পিরোজপুর ও খুলনা রুটে পাঁচটি ট্রিপে গাড়ি চালিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাবা শনিবার রাতে ফোনে জানান, তিনি অনেক ক্লান্ত। রোববার ঢাকার থেকে এসে বাসায় একদিন বিশ্রাম নেবেন। কিন্তু বাবা আমাদের ফাঁকি দিয়ে চিরতরে চলে গেলেন।’
এ বিষয়ে শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু নাঈম মো. মোফাজ্জেল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জেনেছি, ইমাদ পরিবহনের বাসটির চালক কোনো রকম বিশ্রাম না নিয়েই বাসটি চালাচ্ছিলেন। প্রায় ৩০ ঘণ্টা ধরে গাড়ি চালানোর কারণে তিনি ক্লান্ত ছিলেন। সকালে ঘুম ঘুম চোখে বাস চালানোয় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তিনি।’
অন্যদিকে, বাসটির ফিটনেসে ও যান্ত্রিক ত্রুটি রয়েছে বলে জানান ফরিদপুর জোনের হাইওয়ে পুলিশ সুপার মাহাবুবুল হাসান।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাসটির ফিটনেসে ও যান্ত্রিক ত্রুটি রয়েছে। আমরা তদন্ত কমিটি করেছি। তদন্ত শেষেই বাসটির মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গত রোববার সকাল ৮টার দিকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের বাসটি শিবচরের পাঁচ্চর পার হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক্সপ্রেসওয়ের আন্ডারপাসের পাশে সংযোগ সড়কে আছড়ে পড়ে। এ সময় বাসটির একটি অংশ আন্ডারপাসের ওপর এবং অপর অংশ এক্সপ্রেসওয়ের ঢালুতে ঝুলে ছিল।
এ সময় গাড়ি থেকে ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে শিবচর হাসপাতালে মারা যায় তিনজন এবং ঢাকাতে আরও দুজন। নিহতদের মধ্যে সাতজন গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার, খুলনার চারজন। এ ছাড়া ফরিদপুর, নড়াইল, সাতক্ষীরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও পাবনা জেলার একজন করে।
নিহতরা হলেন–গোপালগঞ্জের গোপীনাথপুর এলাকার তৈয়ব আলীর ছেলে হেদায়েত মিয়া, বনগ্রাম এলাকার শামসুল শেখের ছেলে মোশতাক আহম্মেদ, সদর উপজেলার নশর আলী শেখের ছেলে সজীব শেখ, পাচুরিয়া এলাকার মাসুদ হোসেনের মেয়ে সুইটি আক্তার, টুঙ্গিপাড়ার কাঞ্চন শেখের ছেলে করিম শেখ, সদর উপজেলার আবু হেনা মোস্তফার মেয়ে আফসানা মিমি, মুকসেদপুর এলাকার আমজেদ আলীর ছেলে মাসুদ আলী।
খুলনার সোনাডাঙা এলাকার শেখ মোহাম্মদ আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন, খুলনা সাউথ সেন্ট্রাল রোড এলাকার চিত্ত রঞ্জন ঘোষের ছেলে চিন্ময় প্রসুন ঘোষ, ডুমুরিয়া এলাকার পরিমল সাদুর ছেলে মহাদেব কুমার সাধু, আমতলা এলাকার শাহজাহান মোল্লা ছেলে আশফাকুর জাহান লিংকন, বাগেরহাট জেলার শান্তি রঞ্জন মজুমদারের ছেলে অনাদি মজুমদার, ফরিদপুর হিদাডাঙ্গা এলাকার সৈয়দ মুরাদ আলীর ছেলে মো. ইসমাইল, নড়াইল লোহাগড়া এলাকার বকু শিকদারের ছেলে ফরহাদ শিকদার, বাসের চালক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলী আকবরের ছেলে জাহিদ হাসান, বাস সুপারভাইজার মো. মিরাজ এবং বাসের সহকারী পাবনা সুজানগর এলাকার গহর আলীর ছেলে ইউসুফ আলী।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিবচরে ১৭ জনের মরদেহ ছিল। রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত শনাক্তকৃতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকা এবং আহতদের ৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।’
এদিকে এ ঘটনায় ইমাদ পরিবহনের কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে মামলা দায়ের করেছে হাইওয়ে পুলিশ। গত রোববার রাতে শিবচর থানায় মামলাটি দায়ের করেন শিবচর হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট জয়ন্ত সরকার। মামলায় বাসটির ফিটনেস ছিল না বলে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন:
পদ্মাসেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইমাদ পরিবহনের একটি বাস ছিটকে নিচে পড়ে ১৯ যাত্রীর প্রাণহানি হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুর্ঘটনার পেছনে চালকের অতিরিক্ত ক্লান্তিই দায়ী। খুব একটা বিশ্রাম না নিয়েই বিভিন্ন সড়কে প্রায় ৩০ ঘণ্টা গাড়ি চালান চালক জাহিদ হাসান (৪৫)। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় চালক নিজেও মারা যান।
ওই দিন বিকেলে নিহত চালকের ছেলে রাতুল হাসান (১৫) বাবার লাশ শনাক্ত করতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন।
এ সময় তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাসে দুই দিন বাড়ি আসতে পারতেন বাবা। গাড়ি চালিয়ে তিনি সব সময় ক্লান্ত থাকেন। গত পরশু ঢাকা, পিরোজপুর ও খুলনা রুটে পাঁচটি ট্রিপে গাড়ি চালিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাবা শনিবার রাতে ফোনে জানান, তিনি অনেক ক্লান্ত। রোববার ঢাকার থেকে এসে বাসায় একদিন বিশ্রাম নেবেন। কিন্তু বাবা আমাদের ফাঁকি দিয়ে চিরতরে চলে গেলেন।’
এ বিষয়ে শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু নাঈম মো. মোফাজ্জেল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জেনেছি, ইমাদ পরিবহনের বাসটির চালক কোনো রকম বিশ্রাম না নিয়েই বাসটি চালাচ্ছিলেন। প্রায় ৩০ ঘণ্টা ধরে গাড়ি চালানোর কারণে তিনি ক্লান্ত ছিলেন। সকালে ঘুম ঘুম চোখে বাস চালানোয় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তিনি।’
অন্যদিকে, বাসটির ফিটনেসে ও যান্ত্রিক ত্রুটি রয়েছে বলে জানান ফরিদপুর জোনের হাইওয়ে পুলিশ সুপার মাহাবুবুল হাসান।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাসটির ফিটনেসে ও যান্ত্রিক ত্রুটি রয়েছে। আমরা তদন্ত কমিটি করেছি। তদন্ত শেষেই বাসটির মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গত রোববার সকাল ৮টার দিকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের বাসটি শিবচরের পাঁচ্চর পার হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক্সপ্রেসওয়ের আন্ডারপাসের পাশে সংযোগ সড়কে আছড়ে পড়ে। এ সময় বাসটির একটি অংশ আন্ডারপাসের ওপর এবং অপর অংশ এক্সপ্রেসওয়ের ঢালুতে ঝুলে ছিল।
এ সময় গাড়ি থেকে ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে শিবচর হাসপাতালে মারা যায় তিনজন এবং ঢাকাতে আরও দুজন। নিহতদের মধ্যে সাতজন গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার, খুলনার চারজন। এ ছাড়া ফরিদপুর, নড়াইল, সাতক্ষীরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও পাবনা জেলার একজন করে।
নিহতরা হলেন–গোপালগঞ্জের গোপীনাথপুর এলাকার তৈয়ব আলীর ছেলে হেদায়েত মিয়া, বনগ্রাম এলাকার শামসুল শেখের ছেলে মোশতাক আহম্মেদ, সদর উপজেলার নশর আলী শেখের ছেলে সজীব শেখ, পাচুরিয়া এলাকার মাসুদ হোসেনের মেয়ে সুইটি আক্তার, টুঙ্গিপাড়ার কাঞ্চন শেখের ছেলে করিম শেখ, সদর উপজেলার আবু হেনা মোস্তফার মেয়ে আফসানা মিমি, মুকসেদপুর এলাকার আমজেদ আলীর ছেলে মাসুদ আলী।
খুলনার সোনাডাঙা এলাকার শেখ মোহাম্মদ আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন, খুলনা সাউথ সেন্ট্রাল রোড এলাকার চিত্ত রঞ্জন ঘোষের ছেলে চিন্ময় প্রসুন ঘোষ, ডুমুরিয়া এলাকার পরিমল সাদুর ছেলে মহাদেব কুমার সাধু, আমতলা এলাকার শাহজাহান মোল্লা ছেলে আশফাকুর জাহান লিংকন, বাগেরহাট জেলার শান্তি রঞ্জন মজুমদারের ছেলে অনাদি মজুমদার, ফরিদপুর হিদাডাঙ্গা এলাকার সৈয়দ মুরাদ আলীর ছেলে মো. ইসমাইল, নড়াইল লোহাগড়া এলাকার বকু শিকদারের ছেলে ফরহাদ শিকদার, বাসের চালক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলী আকবরের ছেলে জাহিদ হাসান, বাস সুপারভাইজার মো. মিরাজ এবং বাসের সহকারী পাবনা সুজানগর এলাকার গহর আলীর ছেলে ইউসুফ আলী।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিবচরে ১৭ জনের মরদেহ ছিল। রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত শনাক্তকৃতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকা এবং আহতদের ৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।’
এদিকে এ ঘটনায় ইমাদ পরিবহনের কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে মামলা দায়ের করেছে হাইওয়ে পুলিশ। গত রোববার রাতে শিবচর থানায় মামলাটি দায়ের করেন শিবচর হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট জয়ন্ত সরকার। মামলায় বাসটির ফিটনেস ছিল না বলে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন:
খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার থানায় মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
৩ মিনিট আগেগাইবান্ধায় মসজিদের জায়গা বিক্রি করার কথা বলে নেওয়া ১১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কৃষক দল নেতা রুহুল আমিন ওরফে আল আমিন ও যুবলীগ নেতা মোমিন মিয়ার বিরুদ্ধে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার কলেজ রোড তিনগাছ তলাসংলগ্ন এলাকায় আল্-আকসা জামে মসজিদের সামনে গাইবান্ধ
৫ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘আপনারা লিখুন। মন খুলে লিখুন। আমরা কোনো কলম ভেঙে দিইনি, কোনো প্রেসে তালা দিইনি। কোনো গণমাধ্যমকর্মীকে চাকরিচ্যুত করা হলে সেই গণমাধ্যম অফিসের সামনে প্রতিবাদ করুন।’ তবে আওয়ামী লীগ আমলে গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য..
৩৯ মিনিট আগেহবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ ও বাহুবল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ সুজাত মিয়ার ওপর দিনে হামলার পর রাতে তাঁর বাসায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বিষয়টিকে পরিকল্পিত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন। হামলার ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।
৪৪ মিনিট আগে