Ajker Patrika

হত্যাচেষ্টা মামলায় ই-অরেঞ্জের সিইও আমানউল্লাহ দুই দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে গত শুক্রবার ই-অরেঞ্জ বিডির সিইও আমানউল্লাহ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে গত শুক্রবার ই-অরেঞ্জ বিডির সিইও আমানউল্লাহ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

হত্যাচেষ্টা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ বিডির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ঢাকা জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আমানউল্লাহ চৌধুরীকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামশেদ আলম তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন।

গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে আমানউল্লাহকে আটক করে বিমানবন্দর থানা-পুলিশের একটি দল। পরে ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাজেদুল ইসলাম তাঁকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করলে শুনানি শেষে দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

রিমান্ড আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, আমানউল্লাহ চৌধুরী আওয়ামী লীগের অর্থের জোগানদাতা। হত্যাচেষ্টা মামলার মূল রহস্য উদঘাটন, কীভাবে, কোথায় তিনি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অপকর্মের অর্থের জোগান দিয়েছিলেন, তা জানা এবং এই মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি উপলক্ষে পল্টনে দলটির প্রধান কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। তাতে যোগ দিতে সেদিন বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে পল্টনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

বিমানবন্দর থেকে হোটেল লো মেরিডিয়েনের মাঝামাঝি জায়গায় পদচারী-সেতুর নিচে অবস্থানকালে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হঠাৎ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা হামলা চালান। দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁরা নেতা-কর্মীদের মারধর করে হত্যার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে রাজধানীর শ্যামপুর থানার পশ্চিম দোলাইরপাড়ের বাসিন্দা মো. সাদ্দাম মিয়া (৩৭) গুরুতর রক্তাক্ত জখম হন।

এ ঘটনায় ২০ জুন সাদ্দাম মিয়া বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় ১০৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে হুকুমের আসামি করা হয়।

দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন আলোচিত ই-অরেঞ্জের সিইও আমানউল্লাহ। গ্রাহকদের প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

ই-অরেঞ্জের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ৫৪টি মামলা করা হয়েছে। এর আগেও কয়েকবার জেল খেটেছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইস্পাহানে বাংকার বাস্টার মারেনি যুক্তরাষ্ট্র, অক্ষত ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম

বাবুই পাখির কান্না কেউ শুনল না, কেটে ফেলা হলো তালগাছটি

ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভারতের সংসদীয় কমিটির দীর্ঘ বৈঠক

গোষ্ঠীস্বার্থে বহু মানুষের স্বপ্ন নষ্ট করেছে এই প্ল্যাটফর্ম: দায়িত্ব ছেড়ে উমামা ফাতেমার পোস্ট

অপারেশন রেড ওয়েডিং ও নার্নিয়া: ইরানের সেনা কর্মকর্তা ও পরমাণুবিজ্ঞানীদের হত্যায় ইসরায়েলি অভিযান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত