ফারুক ছিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
‘আম্মার অসুখডা কিছুতেই কমতেছে না। ওষুধ কিনবার কথা কইয়্যা খালি টাকা চায়। (এদিকে) কত দিন ধইরা হলের দোকানডাও বন্ধ। কাজ না থাকলে টাকা পামু কই। আমি ছোট মানুষ। মায়রে যে কী কইয়া বুঝামু।’
এভাবে নিজের দুর্দশার কথা তুলে ধরে মাসুম (১৪)। আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা হলে মাসুম জানায়, অভাবের তাড়নায় স্কুল ছেড়ে করোনার আগে প্রায় তিন বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের একটি দোকানে কাজ করে আসছিল সে। গত বছরের এপ্রিলে করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে বাড়ি চলে যায় মাসুম। পরবর্তী সময়ে মায়ের চিকিৎসার অর্থ জোগাতে ফের টিএসসির একটি ছোট্ট চায়ের দোকানে কাজ শুরু করে।
মাসুম জানায়, বন্ধ ক্যাম্পাসের টিএসসিতে আগের মতো বিক্রি নেই। তাও পেটের দায়ে অল্প টাকার বিনিময়ে কাজ করে যাচ্ছে।
দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে মাসুমসহ ঢাবির বিভিন্ন হলের ক্যানটিন মালিক, বাবুর্চি, দোকানদার ও অন্যান্য কর্মচারী একই অবস্থায় দিন পার করছেন বলে জানা গেছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ক্যানটিনের মালিক ডালিম সরকার বলেন, ‘গ্রামে বাবার কিছু জমি আছে। চাষ করে কোনো রকমে খাচ্ছি। তবে সংসারে আরও যে বাড়তি খরচ, তা জোগাতে গিয়ে ৩ লাখ টাকার মতো ধার নিসি। দ্রুত ক্যাম্পাস খুললে হয়তো আবার হলে গিয়ে ক্যানটিন চালাব। শোধ দিব ধারের টাকা।’
সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ক্যানটিনের ম্যানেজার আজিম মিয়া বলেন, ‘অভাবের কথা কাউরে বলতে পারি না। লজ্জা লাগে। কখনো হাত পাতি নাই।’
মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের দোকানদার মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন মোবাইল ফোনের অপর পাশ থেকে কেঁদে ওঠেন। জালাল বলেন, ‘আমার দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। দীর্ঘদিন তাদের স্কুল বন্ধ। ছেলে অঙ্কের স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়তে চায়। কিন্তু টাকার অভাবে আমি তাকে নানা বাহানা দিয়ে ঘুরাচ্ছি। জানি না, ও আর স্কুলে যাবে কি না।’
টিএসসিতে যাঁরা চা খেতে যান, তাঁদের অনেকেরই প্রিয়মুখ স্বপন মামা। তিনি জানান, লকডাউনে দীর্ঘদিন বাড়িতে বেকার বসে ছিলেন। এর মধ্যে হাজির হয় নানা পারিবারিক সমস্যা।
তাঁর এক প্রতিবন্ধী মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়। এদিকে টিএসসির চায়ের দোকানও বন্ধ।
ঢাবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার পর থেকে মানবিক দিক বিবেচনা করে কোনো দোকান কিংবা ক্যানটিনের ভাড়া নেওয়া হয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় না খুললে ক্যানটিনও খুলবে না বলে কর্মচারীদের জানানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মতো এসব কর্মচারীও দ্রুত ক্যাম্পাস খুলে দিয়ে ক্যানটিন চালুর দাবি জানিয়েছেন।
‘আম্মার অসুখডা কিছুতেই কমতেছে না। ওষুধ কিনবার কথা কইয়্যা খালি টাকা চায়। (এদিকে) কত দিন ধইরা হলের দোকানডাও বন্ধ। কাজ না থাকলে টাকা পামু কই। আমি ছোট মানুষ। মায়রে যে কী কইয়া বুঝামু।’
এভাবে নিজের দুর্দশার কথা তুলে ধরে মাসুম (১৪)। আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা হলে মাসুম জানায়, অভাবের তাড়নায় স্কুল ছেড়ে করোনার আগে প্রায় তিন বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের একটি দোকানে কাজ করে আসছিল সে। গত বছরের এপ্রিলে করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে বাড়ি চলে যায় মাসুম। পরবর্তী সময়ে মায়ের চিকিৎসার অর্থ জোগাতে ফের টিএসসির একটি ছোট্ট চায়ের দোকানে কাজ শুরু করে।
মাসুম জানায়, বন্ধ ক্যাম্পাসের টিএসসিতে আগের মতো বিক্রি নেই। তাও পেটের দায়ে অল্প টাকার বিনিময়ে কাজ করে যাচ্ছে।
দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে মাসুমসহ ঢাবির বিভিন্ন হলের ক্যানটিন মালিক, বাবুর্চি, দোকানদার ও অন্যান্য কর্মচারী একই অবস্থায় দিন পার করছেন বলে জানা গেছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ক্যানটিনের মালিক ডালিম সরকার বলেন, ‘গ্রামে বাবার কিছু জমি আছে। চাষ করে কোনো রকমে খাচ্ছি। তবে সংসারে আরও যে বাড়তি খরচ, তা জোগাতে গিয়ে ৩ লাখ টাকার মতো ধার নিসি। দ্রুত ক্যাম্পাস খুললে হয়তো আবার হলে গিয়ে ক্যানটিন চালাব। শোধ দিব ধারের টাকা।’
সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ক্যানটিনের ম্যানেজার আজিম মিয়া বলেন, ‘অভাবের কথা কাউরে বলতে পারি না। লজ্জা লাগে। কখনো হাত পাতি নাই।’
মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের দোকানদার মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন মোবাইল ফোনের অপর পাশ থেকে কেঁদে ওঠেন। জালাল বলেন, ‘আমার দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। দীর্ঘদিন তাদের স্কুল বন্ধ। ছেলে অঙ্কের স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়তে চায়। কিন্তু টাকার অভাবে আমি তাকে নানা বাহানা দিয়ে ঘুরাচ্ছি। জানি না, ও আর স্কুলে যাবে কি না।’
টিএসসিতে যাঁরা চা খেতে যান, তাঁদের অনেকেরই প্রিয়মুখ স্বপন মামা। তিনি জানান, লকডাউনে দীর্ঘদিন বাড়িতে বেকার বসে ছিলেন। এর মধ্যে হাজির হয় নানা পারিবারিক সমস্যা।
তাঁর এক প্রতিবন্ধী মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়। এদিকে টিএসসির চায়ের দোকানও বন্ধ।
ঢাবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার পর থেকে মানবিক দিক বিবেচনা করে কোনো দোকান কিংবা ক্যানটিনের ভাড়া নেওয়া হয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় না খুললে ক্যানটিনও খুলবে না বলে কর্মচারীদের জানানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মতো এসব কর্মচারীও দ্রুত ক্যাম্পাস খুলে দিয়ে ক্যানটিন চালুর দাবি জানিয়েছেন।
চাঁদপুর শহরের একমাত্র বাইপাস সড়ক হচ্ছে ‘চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ বাইপাস সড়ক’। শহরের যানজট নিরসনে দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি ব্যবহার হলেও দীর্ঘ দিন সংস্কার না করায় এখন মরণ ফাঁদে ফরিণত হয়েছে। সড়কজুড়ে গর্ত সৃষ্টি হয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী।
৩২ মিনিট আগেরংপুরের পীরগাছায় ঘাঘট নদীতে ডুবে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর ভেসে উঠেছে শিশু নাজিমের (৭) মরদেহ। আজ বুধবার (২০ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ডুবে যাওয়ার ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে তার মরদেহ ভেসে ওঠে।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলে এবারের বন্যায় প্রায় ১ হাজার ৭০০ বিঘা আবাদি ফসল, গোচারণভূমি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। লক্ষ্মীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্ধেক অংশও পানিতে ডুবে যায়। উপজেলার চকরাজাপুর ও গড়গড়ি ইউনিয়নের প্রায় ২ হাজার ৪০০ পরিবার দীর্ঘদিন ধরে পানিবন্দী হয়ে আছে।
১ ঘণ্টা আগেমেহেরপুরের গাংনীতে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যাহৃত হচ্ছে পাঠদান। প্রতিষ্ঠানগুলোতে পানিতে থৈ থৈ করছে। প্রবেশ পথসহ খেলার মাঠগুলো পানিতে টইটম্বুর। বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় এ সকল প্রতিষ্ঠানে। তবে জলাবদ্ধতা নিরসনে নেওয়া হয় না স্থায়ী কোনো সমাধান।
১ ঘণ্টা আগে