জাবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকে মারধর ও রাতভর আটকে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক এলাকা থেকে ভুক্তভোগীকে পরিবারের সামনে মারধর করে রিকশায় করে তুলে আনা হয়। পরে, মাওলানা ভাসানী হল সংলগ্ন একটি জঙ্গলে (সুইজারল্যান্ড) তাঁকে আট ঘণ্টা আটকে রাখা হয়।
গতকাল রোববার রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের আবাসিক এলাকা রাঙামাটিতে নিজ বাসায় ফরিদ হোসেন ওরফে পাঞ্চু নামের এক ব্যক্তিকে মারধর করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। পরে, রাত দেড়টায় ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করেন তাঁরা। পরবর্তীতে, মাদক ব্যবসার অভিযোগ দিয়ে সুইজারল্যান্ড থেকে আজ সোমবার ভোর ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার কাছে পাঞ্চুকে হস্তান্তর করা হয়।
পাঞ্চু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হাউজিং সোসাইটিতে (অরুনাপল্লি) নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে কাজ করতেন। এখন অসুস্থ থাকায় নিরাপত্তা রক্ষার কাজ করেন না। তাঁর শাশুড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাহনারা ইমাম হলে বাবুর্চী হিসেবে কর্মরত। এ কারণে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় থাকতেন।
পাঞ্চুর স্ত্রী শিরিন আক্তারের দাবি, তাঁর স্বামী মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রলীগের নেতা তাঁর স্বামীকে মাদক ব্যবসার জন্য চাপ দিতেন।
শিরিন আক্তার বলেন, ‘মাদক ব্যবসা করতে রাজি না হওয়ায় গত ৮ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র সাব্বির হোসেন ও মেহেদী হাসান জয় আমার স্বামীর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিলেন। স্বামীর কাছে যা টাকা ছিল তা নিয়ে নেন। পরে গতকাল রাত ৮টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী আমার স্বামীকে মেরে তুলে নিয়ে যান। আমি ওই শিক্ষার্থীদের চিনি না তবে আমাদের সন্দেহ সাব্বির আর জয় যেহেতু আগে মাথা ফাটিয়েছিলেন তারাই এই কাজ করতে পারে।’
গতকাল রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র এসে পাঞ্চুকে মারধর করে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী। তাঁরা বলেন, ‘মারধর করে রিকশায় ওঠানোর সময় পাঞ্চুর স্ত্রী ছাড়ানোর চেষ্টা করলেও তাঁকে নিয়ে যান ওই ছাত্ররা।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রের সঙ্গে পাঞ্চু ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও শহীদ রফিক-জব্বার হলের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন নাহিদ বলেন, ‘আমি মারধর ও মুক্তিপণ আদায়ের সঙ্গে জড়িত না। রাতে যে সময়ে পাঞ্চুকে তুলে আনা হয়েছে তখন আমি প্রীতিলতা হলে ছাত্রলীগের কর্মী সভায় ছিলাম।’ মেহেদী হাসান জয়ও একই কথা বলেন।
এদিকে আজ ভোর ৫টায় দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষী নূর এ আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাওলানা ভাসানি হলের বিপরীতে সুইজারল্যান্ড এলাকা থেকে পাঞ্চুকে নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, ‘ভোর চারটার দিকে নিরাপত্তা শাখা থেকে আমাকে জানানো হয় তখন আমি ওই ব্যক্তিকে (পাঞ্চু) নিয়ে আসি। তখন সেখানে চারজন ফরিদকে আমার কাছে হস্তান্তর করে যদিও তাঁদের কাউকে আমি চিনি না। তবে দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রই মনে হয়েছে। ফরিদকে আনার সময় কিছু ইয়াবা এবং এক বোতল ফেনসিডিলও দিয়ে দেওয়া হয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) জেফরুল হাসান চৌধুরি সজল বলেন, ‘আজ ভোরে এই ঘটনা জানতে পারি। মাওলানা ভাসানি হলের ৪৪ ব্যাচের নাঈম আমাকে ফোন দিয়ে ঘটনা জানায় তখন আমরা একজন নিরাপত্তা রক্ষীকে সেখানে পাঠাই। পরে পুলিশকে জানালে পুলিশ আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা করে এবং তাঁকে নিরাপত্তা শাখা থেকে নিয়ে যায়।’
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে ফরিদ হোসেন ওরফে পাঞ্চু বলেন, ‘গতকাল শহীদ রফিক-জব্বার হলের সাজ্জাদ হোসেন, মাওলানা ভাসানি হলের নাঈম, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের তৌহিদুল ইসলাম তাকীদ এবং মীর মশাররফ হোসেন হলের আল রাজি সরকার আমাকে মারধর করে নিয়ে যান। সেখানে সাব্বির হোসেন নাহিদ ও মেহেদী হাসান জয় ছিল না কিন্তু যারা আমাকে মারধর করে উঠিয়ে নিয়ে আসেন তারা সাব্বির আর জয়ের সঙ্গে পুরো সময় মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেছিল।’
ফরিদ হোসেন আরও বলেন, ‘ওই চারজন আমাকে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইজারল্যান্ড এলাকায় নিয়ে অনেক মারধর করেন। আমার পরিবারের কাছে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে আমাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা হয়। রাত দেড়টার দিকে আমার পূর্ব পরিচিত এক ব্যক্তি তাঁদের কাছে ৫০ হাজার টাকা দেন, তখনো তাঁরা আমাকে ছাড়েনি। পরে ভোরে তাঁরা কিছু নকল ইয়াবা ও একটি বোতলে পানি ভরে ফেনসিডিল নামে চালিয়ে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার কাছে দেয় আমাকে।’
ফরিদ হোসেনকে মারধর করে তুলে আনার ক্ষেত্রে ফরিদ হোসেন যাদের নাম বলেছেন তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। উঠিয়ে নিয়ে আসার মধ্যে শহীদ রফিক-জব্বার হলের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাজ্জাদ হোসেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের শিক্ষার্থী জাবি ছাত্রলীগের অর্থ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তাকীদ, মাওলানা ভাসানি হলের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের সহসভাপতি এহসান ইমাম নাঈম, মীর মশাররফ হোসেন হলের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের উপ-ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক আল রাজি সরকার।
তাদের নেতৃত্বে ছিলেন ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাব্বির হোসেন নাহিদ ও ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান জয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সংশ্লিষ্ট নেতাদের মোবাইল ফোনে কল করা হলে অনেককে পাওয়া যায়নি। তবে জাবি ছাত্রলীগের অর্থ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তাকীদ বলেন, ‘আমি পাঞ্চুকে ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে জানি। তাঁর সঙ্গে আমার কোনো খাতির নেই। কারণ ইয়াবা অপছন্দ করি। আর গতকাল মারধরের প্রশ্নই আসে না। গতকাল বিকেলেই আমি ঢাকা শহরে চলে আসি। এখনো সেখানে আছি।’
ছাত্রলীগের সহসভাপতি এহসান ইমাম নাইম বলেন, ‘আমার নামে এসব অভিযোগের বিষয়ে কিছুই জানি না। এখানে আমার নাম কীভাবে এল সেটাও জানি না। আজ ভোরের দিকে সুইজারল্যান্ড এলাকায় হট্টগোলের শব্দ শুনতে পেলে নিরাপত্তা শাখা থেকে বিষয়টি জানতে পারি।’
জাতীয় স্মৃতিসৌধের ইনচার্জ উপপরিদর্শক নুর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে সবগুলো ইয়াবা মনে হয়নি, নকলও রয়েছে। তবে আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমাদের এটা পরীক্ষা করতে হবে। ইতিমধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে মাদক সংশ্লিষ্টতার মামলা করেছে পাঞ্চুর বিরুদ্ধে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকে মারধর ও রাতভর আটকে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক এলাকা থেকে ভুক্তভোগীকে পরিবারের সামনে মারধর করে রিকশায় করে তুলে আনা হয়। পরে, মাওলানা ভাসানী হল সংলগ্ন একটি জঙ্গলে (সুইজারল্যান্ড) তাঁকে আট ঘণ্টা আটকে রাখা হয়।
গতকাল রোববার রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের আবাসিক এলাকা রাঙামাটিতে নিজ বাসায় ফরিদ হোসেন ওরফে পাঞ্চু নামের এক ব্যক্তিকে মারধর করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। পরে, রাত দেড়টায় ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করেন তাঁরা। পরবর্তীতে, মাদক ব্যবসার অভিযোগ দিয়ে সুইজারল্যান্ড থেকে আজ সোমবার ভোর ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার কাছে পাঞ্চুকে হস্তান্তর করা হয়।
পাঞ্চু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হাউজিং সোসাইটিতে (অরুনাপল্লি) নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে কাজ করতেন। এখন অসুস্থ থাকায় নিরাপত্তা রক্ষার কাজ করেন না। তাঁর শাশুড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাহনারা ইমাম হলে বাবুর্চী হিসেবে কর্মরত। এ কারণে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় থাকতেন।
পাঞ্চুর স্ত্রী শিরিন আক্তারের দাবি, তাঁর স্বামী মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রলীগের নেতা তাঁর স্বামীকে মাদক ব্যবসার জন্য চাপ দিতেন।
শিরিন আক্তার বলেন, ‘মাদক ব্যবসা করতে রাজি না হওয়ায় গত ৮ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র সাব্বির হোসেন ও মেহেদী হাসান জয় আমার স্বামীর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিলেন। স্বামীর কাছে যা টাকা ছিল তা নিয়ে নেন। পরে গতকাল রাত ৮টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী আমার স্বামীকে মেরে তুলে নিয়ে যান। আমি ওই শিক্ষার্থীদের চিনি না তবে আমাদের সন্দেহ সাব্বির আর জয় যেহেতু আগে মাথা ফাটিয়েছিলেন তারাই এই কাজ করতে পারে।’
গতকাল রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র এসে পাঞ্চুকে মারধর করে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী। তাঁরা বলেন, ‘মারধর করে রিকশায় ওঠানোর সময় পাঞ্চুর স্ত্রী ছাড়ানোর চেষ্টা করলেও তাঁকে নিয়ে যান ওই ছাত্ররা।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রের সঙ্গে পাঞ্চু ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও শহীদ রফিক-জব্বার হলের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন নাহিদ বলেন, ‘আমি মারধর ও মুক্তিপণ আদায়ের সঙ্গে জড়িত না। রাতে যে সময়ে পাঞ্চুকে তুলে আনা হয়েছে তখন আমি প্রীতিলতা হলে ছাত্রলীগের কর্মী সভায় ছিলাম।’ মেহেদী হাসান জয়ও একই কথা বলেন।
এদিকে আজ ভোর ৫টায় দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষী নূর এ আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাওলানা ভাসানি হলের বিপরীতে সুইজারল্যান্ড এলাকা থেকে পাঞ্চুকে নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, ‘ভোর চারটার দিকে নিরাপত্তা শাখা থেকে আমাকে জানানো হয় তখন আমি ওই ব্যক্তিকে (পাঞ্চু) নিয়ে আসি। তখন সেখানে চারজন ফরিদকে আমার কাছে হস্তান্তর করে যদিও তাঁদের কাউকে আমি চিনি না। তবে দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রই মনে হয়েছে। ফরিদকে আনার সময় কিছু ইয়াবা এবং এক বোতল ফেনসিডিলও দিয়ে দেওয়া হয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) জেফরুল হাসান চৌধুরি সজল বলেন, ‘আজ ভোরে এই ঘটনা জানতে পারি। মাওলানা ভাসানি হলের ৪৪ ব্যাচের নাঈম আমাকে ফোন দিয়ে ঘটনা জানায় তখন আমরা একজন নিরাপত্তা রক্ষীকে সেখানে পাঠাই। পরে পুলিশকে জানালে পুলিশ আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা করে এবং তাঁকে নিরাপত্তা শাখা থেকে নিয়ে যায়।’
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে ফরিদ হোসেন ওরফে পাঞ্চু বলেন, ‘গতকাল শহীদ রফিক-জব্বার হলের সাজ্জাদ হোসেন, মাওলানা ভাসানি হলের নাঈম, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের তৌহিদুল ইসলাম তাকীদ এবং মীর মশাররফ হোসেন হলের আল রাজি সরকার আমাকে মারধর করে নিয়ে যান। সেখানে সাব্বির হোসেন নাহিদ ও মেহেদী হাসান জয় ছিল না কিন্তু যারা আমাকে মারধর করে উঠিয়ে নিয়ে আসেন তারা সাব্বির আর জয়ের সঙ্গে পুরো সময় মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেছিল।’
ফরিদ হোসেন আরও বলেন, ‘ওই চারজন আমাকে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইজারল্যান্ড এলাকায় নিয়ে অনেক মারধর করেন। আমার পরিবারের কাছে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে আমাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা হয়। রাত দেড়টার দিকে আমার পূর্ব পরিচিত এক ব্যক্তি তাঁদের কাছে ৫০ হাজার টাকা দেন, তখনো তাঁরা আমাকে ছাড়েনি। পরে ভোরে তাঁরা কিছু নকল ইয়াবা ও একটি বোতলে পানি ভরে ফেনসিডিল নামে চালিয়ে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার কাছে দেয় আমাকে।’
ফরিদ হোসেনকে মারধর করে তুলে আনার ক্ষেত্রে ফরিদ হোসেন যাদের নাম বলেছেন তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। উঠিয়ে নিয়ে আসার মধ্যে শহীদ রফিক-জব্বার হলের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাজ্জাদ হোসেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের শিক্ষার্থী জাবি ছাত্রলীগের অর্থ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তাকীদ, মাওলানা ভাসানি হলের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের সহসভাপতি এহসান ইমাম নাঈম, মীর মশাররফ হোসেন হলের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের উপ-ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক আল রাজি সরকার।
তাদের নেতৃত্বে ছিলেন ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাব্বির হোসেন নাহিদ ও ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান জয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সংশ্লিষ্ট নেতাদের মোবাইল ফোনে কল করা হলে অনেককে পাওয়া যায়নি। তবে জাবি ছাত্রলীগের অর্থ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তাকীদ বলেন, ‘আমি পাঞ্চুকে ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে জানি। তাঁর সঙ্গে আমার কোনো খাতির নেই। কারণ ইয়াবা অপছন্দ করি। আর গতকাল মারধরের প্রশ্নই আসে না। গতকাল বিকেলেই আমি ঢাকা শহরে চলে আসি। এখনো সেখানে আছি।’
ছাত্রলীগের সহসভাপতি এহসান ইমাম নাইম বলেন, ‘আমার নামে এসব অভিযোগের বিষয়ে কিছুই জানি না। এখানে আমার নাম কীভাবে এল সেটাও জানি না। আজ ভোরের দিকে সুইজারল্যান্ড এলাকায় হট্টগোলের শব্দ শুনতে পেলে নিরাপত্তা শাখা থেকে বিষয়টি জানতে পারি।’
জাতীয় স্মৃতিসৌধের ইনচার্জ উপপরিদর্শক নুর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে সবগুলো ইয়াবা মনে হয়নি, নকলও রয়েছে। তবে আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমাদের এটা পরীক্ষা করতে হবে। ইতিমধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে মাদক সংশ্লিষ্টতার মামলা করেছে পাঞ্চুর বিরুদ্ধে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানানো সাংস্কৃতিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের ছবি টাঙিয়ে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করা হয়। আজ ১৬ আগস্ট (শনিবার) বিকেল ৫টায় ‘বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে সংশ্লিষ্টদের ‘কালচারাল ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা
৪ মিনিট আগেঢাকার বনানী এলাকার সিসা বারে ছুরিকাঘাতে রাহাত হোসেন রাব্বি (৩১) নামের এক যুবককে হত্যার ঘটনায় কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার দুই আসামিকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার (১৬ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জেনিফার জেরিন তাঁদের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
৯ মিনিট আগেহবিগঞ্জের নবীগঞ্জে নিজ বাসার সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড কর্মকর্তা তানভীর আহমেদের (৩০) মরদেহ। শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
১২ মিনিট আগেশেরপুরে কাঠবোঝাই একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যান উল্টে দাদা-নাতির মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের বেলতলী বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন সদর উপজেলার হালগড়া গ্রামের বাসিন্দা মোফাজ্জল মিস্ত্রি ও তাঁর নাতি হোসাইন (১১)। দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রৌহা...
১৫ মিনিট আগে