শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা

ঐতিহ্যবাহী বেইলি রোড ছেড়ে সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার নাট্যচর্চার প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা। এর তিনটি হলে নিয়মিত নাট্যচর্চা হয়ে আসছিল বেশ কয়েক বছর ধরে। একে উপলক্ষ করে নাট্যকর্মীদের আড্ডায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠত শিল্পকলা চত্বর। কিন্তু ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিভিন্ন কারণে নাটকের প্রদর্শনী যেমন কমে গেছে, তেমনি সন্ধ্যায় নাট্যকর্মীদের জমায়েতও তেমন চোখে পড়ে না।
নাট্যকর্মী, সংগঠকদের সঙ্গে কথা বলে শিল্পকলা একাডেমিতে তাঁদের বিচরণ কমার কয়েকটা কারণ জানা গেল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন নাট্যকর্মী বলেছেন, একাডেমির আশপাশে মবের (উচ্ছৃঙ্খল জনতা) তাণ্ডবের পর থেকে অনেকে স্বাধীনভাবে নাট্যচর্চা নিয়ে শঙ্কায় আছেন। কাকে কখন কোন রাজনৈতিক ট্যাগ দেওয়া হয়, তা নিয়ে আতঙ্কে আছেন। তা ছাড়া মাত্র দুটি মহড়াকক্ষ নাটকের জন্য দেওয়া হচ্ছে। বাকি কক্ষগুলো সরকারি কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ছাড়া শিল্পকলা একাডেমির নাটক প্রদর্শনীগুলোয় দর্শকের খরা চলছে। শুক্রবার ছাড়া দর্শক পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আর নাটকের প্রদর্শনী জমে উঠছে না বলেই শিল্পী-কলাকুশলীদের আগের মতো জম্পেশ আড্ডাও তেমন হচ্ছে না।
গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের তালিকাভুক্ত প্রায় ৫০টি নাট্যদল রাজধানীতে নিয়মিত নাটকের প্রদর্শনী করে। এর বাইরেও বেশ কয়েকটি নাটকের দল সক্রিয় রয়েছে। বেশির ভাগ দলই শিল্পকলা একাডেমির হলে প্রদর্শনী করতে চায়। তবে হলের সংখ্যা তুলনামূলক কম হওয়ায় সাধারণত অনেক নাটকের দল আবেদন করেও সময়মতো হল পায় না। কিন্তু হল বরাদ্দের সাম্প্রতিক তালিকা ঘেঁটে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মিলনায়তনগুলো ফাঁকা থাকছে।
গত বছরের আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে নাট্যাঙ্গনে কিছুদিন স্থবিরতা চলে। ১১ অক্টোবর থেকে সীমিতভাবে মিলনায়তন খুলে দেয় শিল্পকলা একাডেমি। কিন্তু এরপরে উত্তেজিত জনতার প্রতিবাদের মুখে ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের মঞ্চায়ন বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভায় প্রবীণ নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদকে হেনস্তা করা হয়। এরপরে আবার কিছুদিনের জন্য থমথমে হয়ে পড়ে শিল্পকলা প্রাঙ্গণ। ধীরে ধীরে আবার প্রদর্শনী শুরু হলেও সংখ্যা তেমন বেশি নয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন নাট্যকর্মী বলেছেন, নাটকের প্রদর্শনী করতে গেলে ‘তৌহিদি জনতা’র নামে প্রদর্শনী বন্ধের হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজন নাট্যকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জায়গায় নাটক বন্ধের খবর পাওয়া গেছে। এসব কারণে নাট্যকর্মীরা তাঁদের শিল্পচর্চা করার ক্ষেত্রে স্বস্তি পাচ্ছেন না। এ পরিস্থিতিতে কীভাবে কী করবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না।
বেইলি রোডে বাংলাদেশ মহিলা সমিতির মিলনায়তনে গত নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত প্রাঙ্গণেমোরের নাটকের প্রদর্শনী বন্ধ হয়ে যায় কথিত তৌহিদি জনতার উড়ো চিঠিতে। পরে অবশ্য প্রশাসনের আশ্বাসে আবার নাটকটি মঞ্চায়িত হয়। প্রাঙ্গণেমোরের কর্ণধার অনন্ত হিরা বলেন, ‘শিল্পকলা একাডেমি আগে প্রাণবন্ত ছিল, তার একটা কারণ ছিল। আগে নাট্যকর্মী, নাটকের দর্শক ছাড়াও চিত্রকলাসহ সংস্কৃতির বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষেরা এখানে আড্ডা দিতেন। কিন্তু বর্তমানে সেই পরিস্থিতি নেই। শিল্পকলায় কোনো প্রদর্শনী হলে দর্শককে টিকিট দেখিয়ে ঢুকতে হয়। সারাক্ষণ ফটকগুলো বন্ধ থাকে। শুধু ছোট পকেট গেট দিয়ে টিকিটধারীরা ঢুকতে পারেন। এমন অবরুদ্ধ পরিবেশে আমাদের সংস্কৃতিকর্মী বা দর্শকেরা অভ্যস্ত নন।’
হল খালি থেকে যাওয়ার বিষয়ে অনন্ত হিরা বলেন, ‘আমাদেরসহ বেশ কয়েকটি নাটকের দলকে পরিকল্পিতভাবে হল দেওয়া হয় না। আমি ৬ মাস ধরে হলের জন্য আবেদন করছি। কিন্তু হল দেওয়া হয় না। আবেদন করাই বন্ধ করে দিয়েছি। কেন দেওয়া হয় না, এটা হল বরাদ্দ কমিটি বলতে পারবে।’
থিয়েটার আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব ঢাকার সভাপতি এবং প্রাচ্যনাটের দলপ্রধান আজাদ আবুল কালাম বললেন, ‘চব্বিশের ৫ আগস্টের পরে পুরো বাংলাদেশই একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নিরাপত্তার কারণে শিল্পকলায় প্রবেশে বিধিনিষেধ আছে। এর ফলে আগে অবাধ যে আড্ডা হতো, সেটা একটু কম। তবে শো হচ্ছে এখন। তিনটি হলই খোলা।’
বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজিদ বলেন, ‘বিষয়টি লক্ষ করেছি। অভ্যুত্থান-পরবর্তীকালে এখনো সংস্কৃতিকর্মীরা স্বাভাবিকভাবে কাজে ফিরতে পারেনি। একটা অস্থিরতা রয়ে গেছে। ছুটির দিন ছাড়া দর্শকও শিল্পকলায় কম আসছে। আমরা দর্শকদের আগ্রহী করতে একাডেমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।’
কামাল বায়েজিদ জানান, শিগগির গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের আয়োজনে বাইরের দলগুলোকে দিয়ে ঢাকায় একটি নাটক উৎসব করার পরিকল্পনা আছে তাঁদের।
শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক ফয়েজ জহির একাডেমি প্রাঙ্গণের সার্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতির একটা ব্যাখ্যা দিলেন। তাঁর কথায়, ‘নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনীর সদস্যরা এখানে আছেন। এ কারণে শিল্পকলায় প্রবেশে বিধিনিষেধ আছে। আমরা চেষ্টা করছি দর্শক ও নাট্যকর্মীদের জন্য তা যতটা স্বাভাবিক করা যায়। আর এখন নাট্য প্রদর্শনীর জন্য দলগুলোর আবেদনই কম থাকে। এ কারণে অনেক সময় মিলনায়তন খালি থাকে। ছুটির দিনে নাটক প্রদর্শনীর বেশি আবেদন থাকে। তবে একটি ছুটির দিন আমরা মাত্র একটি দলকেই হল দিতে পারি।’

ঐতিহ্যবাহী বেইলি রোড ছেড়ে সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার নাট্যচর্চার প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা। এর তিনটি হলে নিয়মিত নাট্যচর্চা হয়ে আসছিল বেশ কয়েক বছর ধরে। একে উপলক্ষ করে নাট্যকর্মীদের আড্ডায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠত শিল্পকলা চত্বর। কিন্তু ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিভিন্ন কারণে নাটকের প্রদর্শনী যেমন কমে গেছে, তেমনি সন্ধ্যায় নাট্যকর্মীদের জমায়েতও তেমন চোখে পড়ে না।
নাট্যকর্মী, সংগঠকদের সঙ্গে কথা বলে শিল্পকলা একাডেমিতে তাঁদের বিচরণ কমার কয়েকটা কারণ জানা গেল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন নাট্যকর্মী বলেছেন, একাডেমির আশপাশে মবের (উচ্ছৃঙ্খল জনতা) তাণ্ডবের পর থেকে অনেকে স্বাধীনভাবে নাট্যচর্চা নিয়ে শঙ্কায় আছেন। কাকে কখন কোন রাজনৈতিক ট্যাগ দেওয়া হয়, তা নিয়ে আতঙ্কে আছেন। তা ছাড়া মাত্র দুটি মহড়াকক্ষ নাটকের জন্য দেওয়া হচ্ছে। বাকি কক্ষগুলো সরকারি কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ছাড়া শিল্পকলা একাডেমির নাটক প্রদর্শনীগুলোয় দর্শকের খরা চলছে। শুক্রবার ছাড়া দর্শক পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আর নাটকের প্রদর্শনী জমে উঠছে না বলেই শিল্পী-কলাকুশলীদের আগের মতো জম্পেশ আড্ডাও তেমন হচ্ছে না।
গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের তালিকাভুক্ত প্রায় ৫০টি নাট্যদল রাজধানীতে নিয়মিত নাটকের প্রদর্শনী করে। এর বাইরেও বেশ কয়েকটি নাটকের দল সক্রিয় রয়েছে। বেশির ভাগ দলই শিল্পকলা একাডেমির হলে প্রদর্শনী করতে চায়। তবে হলের সংখ্যা তুলনামূলক কম হওয়ায় সাধারণত অনেক নাটকের দল আবেদন করেও সময়মতো হল পায় না। কিন্তু হল বরাদ্দের সাম্প্রতিক তালিকা ঘেঁটে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মিলনায়তনগুলো ফাঁকা থাকছে।
গত বছরের আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে নাট্যাঙ্গনে কিছুদিন স্থবিরতা চলে। ১১ অক্টোবর থেকে সীমিতভাবে মিলনায়তন খুলে দেয় শিল্পকলা একাডেমি। কিন্তু এরপরে উত্তেজিত জনতার প্রতিবাদের মুখে ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের মঞ্চায়ন বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভায় প্রবীণ নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদকে হেনস্তা করা হয়। এরপরে আবার কিছুদিনের জন্য থমথমে হয়ে পড়ে শিল্পকলা প্রাঙ্গণ। ধীরে ধীরে আবার প্রদর্শনী শুরু হলেও সংখ্যা তেমন বেশি নয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন নাট্যকর্মী বলেছেন, নাটকের প্রদর্শনী করতে গেলে ‘তৌহিদি জনতা’র নামে প্রদর্শনী বন্ধের হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজন নাট্যকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জায়গায় নাটক বন্ধের খবর পাওয়া গেছে। এসব কারণে নাট্যকর্মীরা তাঁদের শিল্পচর্চা করার ক্ষেত্রে স্বস্তি পাচ্ছেন না। এ পরিস্থিতিতে কীভাবে কী করবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না।
বেইলি রোডে বাংলাদেশ মহিলা সমিতির মিলনায়তনে গত নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত প্রাঙ্গণেমোরের নাটকের প্রদর্শনী বন্ধ হয়ে যায় কথিত তৌহিদি জনতার উড়ো চিঠিতে। পরে অবশ্য প্রশাসনের আশ্বাসে আবার নাটকটি মঞ্চায়িত হয়। প্রাঙ্গণেমোরের কর্ণধার অনন্ত হিরা বলেন, ‘শিল্পকলা একাডেমি আগে প্রাণবন্ত ছিল, তার একটা কারণ ছিল। আগে নাট্যকর্মী, নাটকের দর্শক ছাড়াও চিত্রকলাসহ সংস্কৃতির বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষেরা এখানে আড্ডা দিতেন। কিন্তু বর্তমানে সেই পরিস্থিতি নেই। শিল্পকলায় কোনো প্রদর্শনী হলে দর্শককে টিকিট দেখিয়ে ঢুকতে হয়। সারাক্ষণ ফটকগুলো বন্ধ থাকে। শুধু ছোট পকেট গেট দিয়ে টিকিটধারীরা ঢুকতে পারেন। এমন অবরুদ্ধ পরিবেশে আমাদের সংস্কৃতিকর্মী বা দর্শকেরা অভ্যস্ত নন।’
হল খালি থেকে যাওয়ার বিষয়ে অনন্ত হিরা বলেন, ‘আমাদেরসহ বেশ কয়েকটি নাটকের দলকে পরিকল্পিতভাবে হল দেওয়া হয় না। আমি ৬ মাস ধরে হলের জন্য আবেদন করছি। কিন্তু হল দেওয়া হয় না। আবেদন করাই বন্ধ করে দিয়েছি। কেন দেওয়া হয় না, এটা হল বরাদ্দ কমিটি বলতে পারবে।’
থিয়েটার আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব ঢাকার সভাপতি এবং প্রাচ্যনাটের দলপ্রধান আজাদ আবুল কালাম বললেন, ‘চব্বিশের ৫ আগস্টের পরে পুরো বাংলাদেশই একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নিরাপত্তার কারণে শিল্পকলায় প্রবেশে বিধিনিষেধ আছে। এর ফলে আগে অবাধ যে আড্ডা হতো, সেটা একটু কম। তবে শো হচ্ছে এখন। তিনটি হলই খোলা।’
বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজিদ বলেন, ‘বিষয়টি লক্ষ করেছি। অভ্যুত্থান-পরবর্তীকালে এখনো সংস্কৃতিকর্মীরা স্বাভাবিকভাবে কাজে ফিরতে পারেনি। একটা অস্থিরতা রয়ে গেছে। ছুটির দিন ছাড়া দর্শকও শিল্পকলায় কম আসছে। আমরা দর্শকদের আগ্রহী করতে একাডেমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।’
কামাল বায়েজিদ জানান, শিগগির গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের আয়োজনে বাইরের দলগুলোকে দিয়ে ঢাকায় একটি নাটক উৎসব করার পরিকল্পনা আছে তাঁদের।
শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক ফয়েজ জহির একাডেমি প্রাঙ্গণের সার্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতির একটা ব্যাখ্যা দিলেন। তাঁর কথায়, ‘নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনীর সদস্যরা এখানে আছেন। এ কারণে শিল্পকলায় প্রবেশে বিধিনিষেধ আছে। আমরা চেষ্টা করছি দর্শক ও নাট্যকর্মীদের জন্য তা যতটা স্বাভাবিক করা যায়। আর এখন নাট্য প্রদর্শনীর জন্য দলগুলোর আবেদনই কম থাকে। এ কারণে অনেক সময় মিলনায়তন খালি থাকে। ছুটির দিনে নাটক প্রদর্শনীর বেশি আবেদন থাকে। তবে একটি ছুটির দিন আমরা মাত্র একটি দলকেই হল দিতে পারি।’
শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা

ঐতিহ্যবাহী বেইলি রোড ছেড়ে সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার নাট্যচর্চার প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা। এর তিনটি হলে নিয়মিত নাট্যচর্চা হয়ে আসছিল বেশ কয়েক বছর ধরে। একে উপলক্ষ করে নাট্যকর্মীদের আড্ডায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠত শিল্পকলা চত্বর। কিন্তু ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিভিন্ন কারণে নাটকের প্রদর্শনী যেমন কমে গেছে, তেমনি সন্ধ্যায় নাট্যকর্মীদের জমায়েতও তেমন চোখে পড়ে না।
নাট্যকর্মী, সংগঠকদের সঙ্গে কথা বলে শিল্পকলা একাডেমিতে তাঁদের বিচরণ কমার কয়েকটা কারণ জানা গেল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন নাট্যকর্মী বলেছেন, একাডেমির আশপাশে মবের (উচ্ছৃঙ্খল জনতা) তাণ্ডবের পর থেকে অনেকে স্বাধীনভাবে নাট্যচর্চা নিয়ে শঙ্কায় আছেন। কাকে কখন কোন রাজনৈতিক ট্যাগ দেওয়া হয়, তা নিয়ে আতঙ্কে আছেন। তা ছাড়া মাত্র দুটি মহড়াকক্ষ নাটকের জন্য দেওয়া হচ্ছে। বাকি কক্ষগুলো সরকারি কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ছাড়া শিল্পকলা একাডেমির নাটক প্রদর্শনীগুলোয় দর্শকের খরা চলছে। শুক্রবার ছাড়া দর্শক পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আর নাটকের প্রদর্শনী জমে উঠছে না বলেই শিল্পী-কলাকুশলীদের আগের মতো জম্পেশ আড্ডাও তেমন হচ্ছে না।
গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের তালিকাভুক্ত প্রায় ৫০টি নাট্যদল রাজধানীতে নিয়মিত নাটকের প্রদর্শনী করে। এর বাইরেও বেশ কয়েকটি নাটকের দল সক্রিয় রয়েছে। বেশির ভাগ দলই শিল্পকলা একাডেমির হলে প্রদর্শনী করতে চায়। তবে হলের সংখ্যা তুলনামূলক কম হওয়ায় সাধারণত অনেক নাটকের দল আবেদন করেও সময়মতো হল পায় না। কিন্তু হল বরাদ্দের সাম্প্রতিক তালিকা ঘেঁটে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মিলনায়তনগুলো ফাঁকা থাকছে।
গত বছরের আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে নাট্যাঙ্গনে কিছুদিন স্থবিরতা চলে। ১১ অক্টোবর থেকে সীমিতভাবে মিলনায়তন খুলে দেয় শিল্পকলা একাডেমি। কিন্তু এরপরে উত্তেজিত জনতার প্রতিবাদের মুখে ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের মঞ্চায়ন বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভায় প্রবীণ নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদকে হেনস্তা করা হয়। এরপরে আবার কিছুদিনের জন্য থমথমে হয়ে পড়ে শিল্পকলা প্রাঙ্গণ। ধীরে ধীরে আবার প্রদর্শনী শুরু হলেও সংখ্যা তেমন বেশি নয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন নাট্যকর্মী বলেছেন, নাটকের প্রদর্শনী করতে গেলে ‘তৌহিদি জনতা’র নামে প্রদর্শনী বন্ধের হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজন নাট্যকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জায়গায় নাটক বন্ধের খবর পাওয়া গেছে। এসব কারণে নাট্যকর্মীরা তাঁদের শিল্পচর্চা করার ক্ষেত্রে স্বস্তি পাচ্ছেন না। এ পরিস্থিতিতে কীভাবে কী করবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না।
বেইলি রোডে বাংলাদেশ মহিলা সমিতির মিলনায়তনে গত নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত প্রাঙ্গণেমোরের নাটকের প্রদর্শনী বন্ধ হয়ে যায় কথিত তৌহিদি জনতার উড়ো চিঠিতে। পরে অবশ্য প্রশাসনের আশ্বাসে আবার নাটকটি মঞ্চায়িত হয়। প্রাঙ্গণেমোরের কর্ণধার অনন্ত হিরা বলেন, ‘শিল্পকলা একাডেমি আগে প্রাণবন্ত ছিল, তার একটা কারণ ছিল। আগে নাট্যকর্মী, নাটকের দর্শক ছাড়াও চিত্রকলাসহ সংস্কৃতির বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষেরা এখানে আড্ডা দিতেন। কিন্তু বর্তমানে সেই পরিস্থিতি নেই। শিল্পকলায় কোনো প্রদর্শনী হলে দর্শককে টিকিট দেখিয়ে ঢুকতে হয়। সারাক্ষণ ফটকগুলো বন্ধ থাকে। শুধু ছোট পকেট গেট দিয়ে টিকিটধারীরা ঢুকতে পারেন। এমন অবরুদ্ধ পরিবেশে আমাদের সংস্কৃতিকর্মী বা দর্শকেরা অভ্যস্ত নন।’
হল খালি থেকে যাওয়ার বিষয়ে অনন্ত হিরা বলেন, ‘আমাদেরসহ বেশ কয়েকটি নাটকের দলকে পরিকল্পিতভাবে হল দেওয়া হয় না। আমি ৬ মাস ধরে হলের জন্য আবেদন করছি। কিন্তু হল দেওয়া হয় না। আবেদন করাই বন্ধ করে দিয়েছি। কেন দেওয়া হয় না, এটা হল বরাদ্দ কমিটি বলতে পারবে।’
থিয়েটার আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব ঢাকার সভাপতি এবং প্রাচ্যনাটের দলপ্রধান আজাদ আবুল কালাম বললেন, ‘চব্বিশের ৫ আগস্টের পরে পুরো বাংলাদেশই একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নিরাপত্তার কারণে শিল্পকলায় প্রবেশে বিধিনিষেধ আছে। এর ফলে আগে অবাধ যে আড্ডা হতো, সেটা একটু কম। তবে শো হচ্ছে এখন। তিনটি হলই খোলা।’
বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজিদ বলেন, ‘বিষয়টি লক্ষ করেছি। অভ্যুত্থান-পরবর্তীকালে এখনো সংস্কৃতিকর্মীরা স্বাভাবিকভাবে কাজে ফিরতে পারেনি। একটা অস্থিরতা রয়ে গেছে। ছুটির দিন ছাড়া দর্শকও শিল্পকলায় কম আসছে। আমরা দর্শকদের আগ্রহী করতে একাডেমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।’
কামাল বায়েজিদ জানান, শিগগির গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের আয়োজনে বাইরের দলগুলোকে দিয়ে ঢাকায় একটি নাটক উৎসব করার পরিকল্পনা আছে তাঁদের।
শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক ফয়েজ জহির একাডেমি প্রাঙ্গণের সার্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতির একটা ব্যাখ্যা দিলেন। তাঁর কথায়, ‘নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনীর সদস্যরা এখানে আছেন। এ কারণে শিল্পকলায় প্রবেশে বিধিনিষেধ আছে। আমরা চেষ্টা করছি দর্শক ও নাট্যকর্মীদের জন্য তা যতটা স্বাভাবিক করা যায়। আর এখন নাট্য প্রদর্শনীর জন্য দলগুলোর আবেদনই কম থাকে। এ কারণে অনেক সময় মিলনায়তন খালি থাকে। ছুটির দিনে নাটক প্রদর্শনীর বেশি আবেদন থাকে। তবে একটি ছুটির দিন আমরা মাত্র একটি দলকেই হল দিতে পারি।’

ঐতিহ্যবাহী বেইলি রোড ছেড়ে সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার নাট্যচর্চার প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা। এর তিনটি হলে নিয়মিত নাট্যচর্চা হয়ে আসছিল বেশ কয়েক বছর ধরে। একে উপলক্ষ করে নাট্যকর্মীদের আড্ডায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠত শিল্পকলা চত্বর। কিন্তু ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিভিন্ন কারণে নাটকের প্রদর্শনী যেমন কমে গেছে, তেমনি সন্ধ্যায় নাট্যকর্মীদের জমায়েতও তেমন চোখে পড়ে না।
নাট্যকর্মী, সংগঠকদের সঙ্গে কথা বলে শিল্পকলা একাডেমিতে তাঁদের বিচরণ কমার কয়েকটা কারণ জানা গেল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন নাট্যকর্মী বলেছেন, একাডেমির আশপাশে মবের (উচ্ছৃঙ্খল জনতা) তাণ্ডবের পর থেকে অনেকে স্বাধীনভাবে নাট্যচর্চা নিয়ে শঙ্কায় আছেন। কাকে কখন কোন রাজনৈতিক ট্যাগ দেওয়া হয়, তা নিয়ে আতঙ্কে আছেন। তা ছাড়া মাত্র দুটি মহড়াকক্ষ নাটকের জন্য দেওয়া হচ্ছে। বাকি কক্ষগুলো সরকারি কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ছাড়া শিল্পকলা একাডেমির নাটক প্রদর্শনীগুলোয় দর্শকের খরা চলছে। শুক্রবার ছাড়া দর্শক পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আর নাটকের প্রদর্শনী জমে উঠছে না বলেই শিল্পী-কলাকুশলীদের আগের মতো জম্পেশ আড্ডাও তেমন হচ্ছে না।
গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের তালিকাভুক্ত প্রায় ৫০টি নাট্যদল রাজধানীতে নিয়মিত নাটকের প্রদর্শনী করে। এর বাইরেও বেশ কয়েকটি নাটকের দল সক্রিয় রয়েছে। বেশির ভাগ দলই শিল্পকলা একাডেমির হলে প্রদর্শনী করতে চায়। তবে হলের সংখ্যা তুলনামূলক কম হওয়ায় সাধারণত অনেক নাটকের দল আবেদন করেও সময়মতো হল পায় না। কিন্তু হল বরাদ্দের সাম্প্রতিক তালিকা ঘেঁটে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মিলনায়তনগুলো ফাঁকা থাকছে।
গত বছরের আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে নাট্যাঙ্গনে কিছুদিন স্থবিরতা চলে। ১১ অক্টোবর থেকে সীমিতভাবে মিলনায়তন খুলে দেয় শিল্পকলা একাডেমি। কিন্তু এরপরে উত্তেজিত জনতার প্রতিবাদের মুখে ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের মঞ্চায়ন বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভায় প্রবীণ নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদকে হেনস্তা করা হয়। এরপরে আবার কিছুদিনের জন্য থমথমে হয়ে পড়ে শিল্পকলা প্রাঙ্গণ। ধীরে ধীরে আবার প্রদর্শনী শুরু হলেও সংখ্যা তেমন বেশি নয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন নাট্যকর্মী বলেছেন, নাটকের প্রদর্শনী করতে গেলে ‘তৌহিদি জনতা’র নামে প্রদর্শনী বন্ধের হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজন নাট্যকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জায়গায় নাটক বন্ধের খবর পাওয়া গেছে। এসব কারণে নাট্যকর্মীরা তাঁদের শিল্পচর্চা করার ক্ষেত্রে স্বস্তি পাচ্ছেন না। এ পরিস্থিতিতে কীভাবে কী করবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না।
বেইলি রোডে বাংলাদেশ মহিলা সমিতির মিলনায়তনে গত নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত প্রাঙ্গণেমোরের নাটকের প্রদর্শনী বন্ধ হয়ে যায় কথিত তৌহিদি জনতার উড়ো চিঠিতে। পরে অবশ্য প্রশাসনের আশ্বাসে আবার নাটকটি মঞ্চায়িত হয়। প্রাঙ্গণেমোরের কর্ণধার অনন্ত হিরা বলেন, ‘শিল্পকলা একাডেমি আগে প্রাণবন্ত ছিল, তার একটা কারণ ছিল। আগে নাট্যকর্মী, নাটকের দর্শক ছাড়াও চিত্রকলাসহ সংস্কৃতির বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষেরা এখানে আড্ডা দিতেন। কিন্তু বর্তমানে সেই পরিস্থিতি নেই। শিল্পকলায় কোনো প্রদর্শনী হলে দর্শককে টিকিট দেখিয়ে ঢুকতে হয়। সারাক্ষণ ফটকগুলো বন্ধ থাকে। শুধু ছোট পকেট গেট দিয়ে টিকিটধারীরা ঢুকতে পারেন। এমন অবরুদ্ধ পরিবেশে আমাদের সংস্কৃতিকর্মী বা দর্শকেরা অভ্যস্ত নন।’
হল খালি থেকে যাওয়ার বিষয়ে অনন্ত হিরা বলেন, ‘আমাদেরসহ বেশ কয়েকটি নাটকের দলকে পরিকল্পিতভাবে হল দেওয়া হয় না। আমি ৬ মাস ধরে হলের জন্য আবেদন করছি। কিন্তু হল দেওয়া হয় না। আবেদন করাই বন্ধ করে দিয়েছি। কেন দেওয়া হয় না, এটা হল বরাদ্দ কমিটি বলতে পারবে।’
থিয়েটার আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব ঢাকার সভাপতি এবং প্রাচ্যনাটের দলপ্রধান আজাদ আবুল কালাম বললেন, ‘চব্বিশের ৫ আগস্টের পরে পুরো বাংলাদেশই একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নিরাপত্তার কারণে শিল্পকলায় প্রবেশে বিধিনিষেধ আছে। এর ফলে আগে অবাধ যে আড্ডা হতো, সেটা একটু কম। তবে শো হচ্ছে এখন। তিনটি হলই খোলা।’
বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজিদ বলেন, ‘বিষয়টি লক্ষ করেছি। অভ্যুত্থান-পরবর্তীকালে এখনো সংস্কৃতিকর্মীরা স্বাভাবিকভাবে কাজে ফিরতে পারেনি। একটা অস্থিরতা রয়ে গেছে। ছুটির দিন ছাড়া দর্শকও শিল্পকলায় কম আসছে। আমরা দর্শকদের আগ্রহী করতে একাডেমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।’
কামাল বায়েজিদ জানান, শিগগির গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের আয়োজনে বাইরের দলগুলোকে দিয়ে ঢাকায় একটি নাটক উৎসব করার পরিকল্পনা আছে তাঁদের।
শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক ফয়েজ জহির একাডেমি প্রাঙ্গণের সার্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতির একটা ব্যাখ্যা দিলেন। তাঁর কথায়, ‘নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনীর সদস্যরা এখানে আছেন। এ কারণে শিল্পকলায় প্রবেশে বিধিনিষেধ আছে। আমরা চেষ্টা করছি দর্শক ও নাট্যকর্মীদের জন্য তা যতটা স্বাভাবিক করা যায়। আর এখন নাট্য প্রদর্শনীর জন্য দলগুলোর আবেদনই কম থাকে। এ কারণে অনেক সময় মিলনায়তন খালি থাকে। ছুটির দিনে নাটক প্রদর্শনীর বেশি আবেদন থাকে। তবে একটি ছুটির দিন আমরা মাত্র একটি দলকেই হল দিতে পারি।’

রাত সাড়ে ১০টার দিকে কান্দিরপাড়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের পর বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
৫ মিনিট আগে
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
বগুড়ার দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করার ঘোষণায় জেলাজুড়ে দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় মাদারীপুর শিবচরের ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করেছে সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলুর কর্মী-সমর্থকেরা। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শিবচর উপজেলার পাঁচ্চরে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেকুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ ও সিটি করপোরেশন) আসনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিক্ষোভ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সমর্থকেরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড, পাড়া-মহল্লা থেকে হাজারো নেতা-কর্মী কান্দিরপাড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে কান্দিরপাড়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের পর বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা দলীয় সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানান এবং প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেন।
ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার মজুমদার রাত পৌনে ১২টার দিকে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুমিল্লা-৬ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত হাজী ইয়াছিনের সমর্থকেরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এতে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলছি। যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা বলে তাঁদের মহাসড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করছি।’

কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ ও সিটি করপোরেশন) আসনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিক্ষোভ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সমর্থকেরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড, পাড়া-মহল্লা থেকে হাজারো নেতা-কর্মী কান্দিরপাড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে কান্দিরপাড়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের পর বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা দলীয় সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানান এবং প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেন।
ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার মজুমদার রাত পৌনে ১২টার দিকে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুমিল্লা-৬ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত হাজী ইয়াছিনের সমর্থকেরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এতে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলছি। যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা বলে তাঁদের মহাসড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করছি।’

ঐতিহ্যবাহী বেইলি রোড ছেড়ে সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার নাট্যচর্চার প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা। এর তিনটি হলে নিয়মিত নাট্যচর্চা হয়ে আসছিল বেশ কয়েক বছর ধরে। একে উপলক্ষ করে নাট্যকর্মীদের আড্ডায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠত শিল্পকলা চত্বর। কিন্তু ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক
১০ মে ২০২৫
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
বগুড়ার দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করার ঘোষণায় জেলাজুড়ে দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় মাদারীপুর শিবচরের ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করেছে সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলুর কর্মী-সমর্থকেরা। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শিবচর উপজেলার পাঁচ্চরে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে শহরের মজমপুর গেটে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অবস্থান নেন সোহরাব সমর্থকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও প্রতিবাদ মিছিল করেন।
এ ছাড়াও সদর উপজেলার মধুপুর-লক্ষ্মীপুর এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে সমর্থকেরা বিক্ষোভ করেছেন।
এ সময় তাঁরা বলেন, সোহরাব উদ্দিন কুষ্টিয়া-৩ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর বদলে এখানে অন্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া হবে না। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনকে আবার মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
এর আগে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার চারটি আসনে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। কুষ্টিয়ার চারটি আসনে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভোড়ামারা) বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, কুষ্টিয়া-৩ (সদর) কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি।
এ বিষয়ে মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বলেন, ‘শুনেছি আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। আমি শহরের বাইরে আছি।’ এর বেশি কথা বলেননি তিনি।
জানতে চাইলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও সদ্য সদর আসনের মনোনীত প্রার্থী প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যিনি মনোনয়ন পাবেন, তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবে এ নির্দেশনা যদি কেউ না মানেন, তাহলে কেন্দ্র ব্যবস্থা নেবে।

কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে শহরের মজমপুর গেটে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অবস্থান নেন সোহরাব সমর্থকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও প্রতিবাদ মিছিল করেন।
এ ছাড়াও সদর উপজেলার মধুপুর-লক্ষ্মীপুর এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে সমর্থকেরা বিক্ষোভ করেছেন।
এ সময় তাঁরা বলেন, সোহরাব উদ্দিন কুষ্টিয়া-৩ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর বদলে এখানে অন্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া হবে না। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনকে আবার মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
এর আগে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার চারটি আসনে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। কুষ্টিয়ার চারটি আসনে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভোড়ামারা) বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, কুষ্টিয়া-৩ (সদর) কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি।
এ বিষয়ে মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বলেন, ‘শুনেছি আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। আমি শহরের বাইরে আছি।’ এর বেশি কথা বলেননি তিনি।
জানতে চাইলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও সদ্য সদর আসনের মনোনীত প্রার্থী প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যিনি মনোনয়ন পাবেন, তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবে এ নির্দেশনা যদি কেউ না মানেন, তাহলে কেন্দ্র ব্যবস্থা নেবে।

ঐতিহ্যবাহী বেইলি রোড ছেড়ে সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার নাট্যচর্চার প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা। এর তিনটি হলে নিয়মিত নাট্যচর্চা হয়ে আসছিল বেশ কয়েক বছর ধরে। একে উপলক্ষ করে নাট্যকর্মীদের আড্ডায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠত শিল্পকলা চত্বর। কিন্তু ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক
১০ মে ২০২৫
রাত সাড়ে ১০টার দিকে কান্দিরপাড়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের পর বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
৫ মিনিট আগে
বগুড়ার দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করার ঘোষণায় জেলাজুড়ে দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় মাদারীপুর শিবচরের ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করেছে সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলুর কর্মী-সমর্থকেরা। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শিবচর উপজেলার পাঁচ্চরে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেবগুড়া প্রতিনিধি

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৭ আসনে ধানের শীষের জয়ের জন্য লড়বেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাঁর ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লড়বেন বগুড়া-৬ আসন থেকে। বগুড়ার দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করার ঘোষণায় জেলাজুড়ে দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঘোষণার পরপরই বগুড়ায় জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান হওয়ায় বরাবরই বগুড়া বিএনপির শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ১৯৯১ সাল থেকে এই জেলার দুটি আসনে (বগুড়া-৬ ও ৭) নির্বাচনে অংশ নিয়ে কখনো পরাজিত হননি। ঐতিহ্যবাহী এই নির্বাচনী এলাকায় এবার তাঁর সঙ্গে ছেলে তারেক রহমানের মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
আজ রাত ৮টায় বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশার নেতৃত্বে এক আনন্দ মিছিল দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সাতমাথা প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ।
সমাবেশে রেজাউল করিম বাদশা এই মনোনয়নকে ‘বগুড়ার সর্বস্তরের মানুষের জন্য খুশির সংবাদ’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এ খবর পাওয়ার পরপরই তারেক রহমানকে ফোন করে বগুড়াবাসীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। তিনি বগুড়াবাসীর কাছে দোয়া ও ভোট প্রার্থনা করেছেন।
রেজাউল করিম আরও বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট দিয়ে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বগুড়াবাসী নির্বাচিত করবে। আমরা আশা করছি, বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে তারেক রহমান বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন এবং প্রধানমন্ত্রী হবেন।’

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৭ আসনে ধানের শীষের জয়ের জন্য লড়বেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাঁর ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লড়বেন বগুড়া-৬ আসন থেকে। বগুড়ার দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করার ঘোষণায় জেলাজুড়ে দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঘোষণার পরপরই বগুড়ায় জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান হওয়ায় বরাবরই বগুড়া বিএনপির শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ১৯৯১ সাল থেকে এই জেলার দুটি আসনে (বগুড়া-৬ ও ৭) নির্বাচনে অংশ নিয়ে কখনো পরাজিত হননি। ঐতিহ্যবাহী এই নির্বাচনী এলাকায় এবার তাঁর সঙ্গে ছেলে তারেক রহমানের মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
আজ রাত ৮টায় বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশার নেতৃত্বে এক আনন্দ মিছিল দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সাতমাথা প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ।
সমাবেশে রেজাউল করিম বাদশা এই মনোনয়নকে ‘বগুড়ার সর্বস্তরের মানুষের জন্য খুশির সংবাদ’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এ খবর পাওয়ার পরপরই তারেক রহমানকে ফোন করে বগুড়াবাসীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। তিনি বগুড়াবাসীর কাছে দোয়া ও ভোট প্রার্থনা করেছেন।
রেজাউল করিম আরও বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট দিয়ে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বগুড়াবাসী নির্বাচিত করবে। আমরা আশা করছি, বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে তারেক রহমান বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন এবং প্রধানমন্ত্রী হবেন।’

ঐতিহ্যবাহী বেইলি রোড ছেড়ে সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার নাট্যচর্চার প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা। এর তিনটি হলে নিয়মিত নাট্যচর্চা হয়ে আসছিল বেশ কয়েক বছর ধরে। একে উপলক্ষ করে নাট্যকর্মীদের আড্ডায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠত শিল্পকলা চত্বর। কিন্তু ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক
১০ মে ২০২৫
রাত সাড়ে ১০টার দিকে কান্দিরপাড়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের পর বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
৫ মিনিট আগে
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় মাদারীপুর শিবচরের ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করেছে সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলুর কর্মী-সমর্থকেরা। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শিবচর উপজেলার পাঁচ্চরে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেমাদারীপুর ও শিবচর প্রতিনিধি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় মাদারীপুর শিবচরের ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করেছে সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলুর কর্মী-সমর্থকেরা। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শিবচর উপজেলার পাঁচ্চরে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় আড়াই ঘন্টার সড়ক অবরোধে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। আটকা পড়ে শত শত যানবাহন। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও চালকেরা।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি পদপ্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে মাদারীপুর-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে কামাল জামান মোল্লার নাম ঘোষণা করা হয়। এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলু। এখন মনোনয়ন না পাওয়ায় লাভলুর কর্মী-সমর্থকেরা ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের শিবচর উপজেলার পাঁচ্চরে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেছেন।
শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। আন্দোলনকারীদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় মাদারীপুর শিবচরের ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করেছে সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলুর কর্মী-সমর্থকেরা। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শিবচর উপজেলার পাঁচ্চরে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় আড়াই ঘন্টার সড়ক অবরোধে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। আটকা পড়ে শত শত যানবাহন। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও চালকেরা।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি পদপ্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে মাদারীপুর-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে কামাল জামান মোল্লার নাম ঘোষণা করা হয়। এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলু। এখন মনোনয়ন না পাওয়ায় লাভলুর কর্মী-সমর্থকেরা ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের শিবচর উপজেলার পাঁচ্চরে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেছেন।
শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। আন্দোলনকারীদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

ঐতিহ্যবাহী বেইলি রোড ছেড়ে সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার নাট্যচর্চার প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা। এর তিনটি হলে নিয়মিত নাট্যচর্চা হয়ে আসছিল বেশ কয়েক বছর ধরে। একে উপলক্ষ করে নাট্যকর্মীদের আড্ডায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠত শিল্পকলা চত্বর। কিন্তু ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক
১০ মে ২০২৫
রাত সাড়ে ১০টার দিকে কান্দিরপাড়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের পর বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
৫ মিনিট আগে
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
বগুড়ার দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করার ঘোষণায় জেলাজুড়ে দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।
২ ঘণ্টা আগে