Ajker Patrika

নড়বড়ে কালভার্টের দুইপাশে ৮ বছরেও দেওয়া হয়নি মাটি

প্রতিনিধি, (সিরাজদীখান) মুন্সীগঞ্জ
আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২১, ২২: ২০
নড়বড়ে কালভার্টের দুইপাশে ৮ বছরেও দেওয়া হয়নি মাটি

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে একটি কালভার্ট পারাপার করতে গ্রামবাসীকে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করতে হচ্ছে। কালভার্টটি নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৮ বছর আগে। কিন্তু এখনো দুই পাশে মাটি ভরাট না করায় এলাকাবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

গ্রামবাসীরা বলেন, ‘কালভার্টটি অপরিকলিপতভাবে ও  নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে কালভার্টের উপর দিয়ে ২-৩ জন একসাথে চলাচল করলে কালভার্টটি দুলতে থাকে। যে কোনো সময় কালভার্টটি ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।   

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পূর্ব রাজদিয়া গ্রামের জেলেপাড়া নামক এলাকায় একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণের পর থেকেই কালভার্টের এপ্রোজ সড়কের দুইপাশে মাটি ভরাট করা হয়নি। এতে দুই পারের মানুষ কালভার্টের উপরে উঠতে হলে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করতে হয়। কালভার্টের উপর দিয়ে ২-৩ জন একসাথে চলাচল করার সময় কালভার্টটি দুলতে থাকে।

এলাকাবাসী শ্রী বরুণ রাজ বংশী জানান, কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর আগে। কিন্তু তারা কালভার্ট কোন রকম বানিয়ে চলে গেছে । আমরা মেম্বার, চেয়ারম্যান কে অনেক বার বলেছি দুই পাশে মাঠি ফালানোর জন্য তারা কোনো দিন এসেও দেখেনি। এতে করে আমাদের দুর্ভোগ নিয়ে চলতে হচ্ছে। 

ইছাপুরা ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস শেখ বলেন, ‘কালভার্ট নির্মাণের জন্য মেম্বার ও চেয়ারম্যান আমার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে।  কিন্তু তারা কালভার্টটি খুবই খারাপ বানিয়েছে। কালভার্টের উপরে উঠলে দুলতে থাকে। এই কালভার্ট নির্মাণ করা হলেও এখনো দুই পাশে মাটি ফেলান হয়নি। ফলে ৮ বছর আগে কালভার্ট নির্মাণ করা হলেও এখন পর্যন্ত দুইপাশে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। যেকোনো সময় তা ভেঙে পড়তে পারে। তাই এটাকে ভেঙ্গে একটি নতুন কালভার্ট বানিয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি’।

টাকা নেওয়ার প্রসঙ্গে ইছাপুরা ৬নং ওয়ার্ড সাবেক সদস্য বদুরুজ্জামান বদু বলেন, ‘চেয়ারম্যান সাহেবের নিজস্ব টাকায় এবং তত্ত্বাবধানে এই কালভার্টটি বানানো হয়েছে। কালভার্ট বানানোর জন্য এলাকাবাসীর কাছ থেকে কোন টাকা নেওয়া হয়নি। কেউ টাকা নিয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই। আর চেয়ারম্যান সাহেব টাকা দিয়েছে কিনা সেটিও আমি জানিনা’।    

ইছাপুরা ৬নং ওয়ার্ড সদস্য হুমায়ুন কবির এবিষয়ে বলেন, এই কালভার্টটি আমার সময়ে তৈরি করা হয়নি। আমার আগের সময়ে হয়েছে। আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে এই বিষয়ে জানিয়েছি। একইসাথে একটি বরাদ্দ চেয়েছি যাতে কালভার্টের দুই ধারে মাটি ফেলানো যায়। আগেই ৫০ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা ।

ইছাপুরা ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন হাওলাদার বলেন, ‘এক মাসের মধ্যেই ওই কালভার্টের দুই ধারে মাটি ফালানো হবে। কালভার্টের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে’।   

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে’, চিরকুটে লেখা

জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন: আইএসপিআর

যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখামাত্র পুতিনকে গ্রেপ্তারের আহ্বান

ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ‘হুমকি’, রাবিতে ১৫ আগস্টের কনসার্টে যাচ্ছে না আর্টসেল

পাবনায় প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে এএসআই উধাও, থানায় শ্বশুরের জিডি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত