Ajker Patrika

জাবিতে হাতের লেখা না মেলায় আটক ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থী

জাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০২২, ০৯: ৪১
জাবিতে হাতের লেখা না মেলায় আটক ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থী

ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্রে লিখিত বাক্যের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে দেওয়া হাতের লেখা না মেলায় এক ছাত্রকে পুলিশে দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ সোমবার ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষায় সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রমে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আকবার হোসেন। 

মেধাতালিকায় ১১৬ তম স্থান পেয়ে উত্তীর্ণ হন সৈয়দ আব্দুস সামি নামের শিক্ষার্থী। এই ছাত্র জালিয়াতির চক্রের সাহায্যে ‘প্রক্সির’ মাধ্যমে মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছেন। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ভাইভা বোর্ডে থাকা শিক্ষকদের সন্দেহ হলে ওই ভর্তিচ্ছুকে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে নিরাপত্তা শাখার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সামি প্রক্সির বিষয়টি স্বীকার করেন। 

অধ্যাপক আকবার হোসেন বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীর হাতের লেখার সঙ্গে তার ভর্তি পরীক্ষার খাতার (ওএমআর) লেখার মিল না পাওয়ায় তাঁকে সন্দেহ করা হয়। পরে তাকে প্রক্টরিয়াল বডি ও নিরাপত্তা শাখার কাছে হস্তান্তর করা হয়।’ 

আটক শিক্ষার্থী সামি বলেন, ‘এলাকার পরিচিত এক ছেলের মাধ্যমে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিলের সঙ্গে প্রক্সির বিষয়ে কথা হয়। শাকিল পরবর্তীতে বুয়েট পড়ুয়া মাহফুজ নামে এক শিক্ষার্থীর মাধ্যমে প্রক্সি দেওয়ার ব্যবস্থা করে। শাকিলের মাধ্যমে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা চুক্তি হয়। ভর্তি পরীক্ষার আগে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। ভাইভা শেষে বাকি ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা মাহফুজকে দেওয়া হবে বলে শাকিল ওই টাকা জমা নেয়।’ 

সামি আরও বলেন, ‘সমাজবিজ্ঞান অনুষদের গ্যালারিতে পরীক্ষার আসন পড়ে। আমি পরীক্ষা দিইনি। তবে মাহফুজ নিজে পরীক্ষা দিয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত জানি না। মেধা তালিকায় আমার ১১৬ তম স্থান আসে। মাহফুজ ভাইয়ের অধীনে আরও তিন-চারজন এ রকম চুক্তি করেছে বলে জানি। এই পুরো বিষয়ে সব ধরনের ঝুঁকি শাকিল বহন করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।’ 

আটক হওয়া শিক্ষার্থী সামি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার ১২ নম্বর আছিম আছিম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং শাহাবুদ্দিন ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন বলেন, ‘প্রক্টর অফিস থেকে নিরাপত্তা শাখায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সামি প্রক্সি দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে। তার মোবাইল-ফোন জব্দ করা হয়। এ সময় জালিয়াতি চক্রের কয়েকজনের সংশ্লিষ্টটার তথ্য পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত