নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ক্যামেরায় পথশিশুদের আপত্তিকর ছবি-ভিডিও করে, তা এডিটের পর ইতালি, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়ায় বিক্রি করতেন শিশুসাহিত্যিক টিপু কিবরিয়া। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তাঁর চার সহযোগীর নাম ও ছবি পেয়েছে পুলিশ। তাঁরা পেশায় ভাঙারি ব্যবসায়ী। তৃণমূল পর্যায়ের ছেলেশিশু এবং ঢাকার পথশিশুদের জোগাড় করে তাঁরাই টিপুর কাছে নিয়ে যেতেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিএমপির সিটিটিসির স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের অতিরিক্ত উপকমিশনার (সদ্য পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আহমেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানান।
সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশের কাছে অস্ট্রেলিয়া ফেডারেল পুলিশের পাঠানো এক চিঠির সূত্র ধরে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) টিআইএম ফখরুজ্জামান ওরফে টিপু কিবরিয়া ও তাঁর প্রধান সহযোগী কামরুল ইসলামকে গত মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। পর দিন বুধবার আদালত তাঁদের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আহমেদুল ইসলাম বলেন, দুদিনের রিমান্ড শেষে তাঁদের আদালতে তোলা হবে।
এর আগে শিশুদের নিয়ে পর্নোগ্রাফি তৈরি করে ইন্টারপোলের সহায়তায় ২০১৪ সালে শিশুসাহিত্যিক টিপু কিবরিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২১ সালে কারাগার থেকে বেরিয়ে সাহিত্যচর্চার আড়ালে আবার শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরি শুরু করেন।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলেন, টিপু কিবরিয়া ও তাঁর প্রধান সহযোগী কামরুল ইসলামের আরও চার সহযোগীর নাম ও ছবি পাওয়া গেছে। তবে তাঁদের তথ্যগুলো যাচাইবাছাই চলছে। এছাড়া ভিকটিম শিশুর মধ্যে ২০-২৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এই শিশুদের জোগাড় করে দিতেন ভাঙারি ব্যবসায়ীরা। অধিকাংশই রাজধানীর গুলিস্তান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, কমলাপুর রেলস্টেশনের ছিন্নমূল শিশু। তাদের কারও বয়সই ১২ বছরের বেশি নয়। তাদের দেওয়া হতো ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা। এদের একজন বৃহস্পতিবার সিএমএম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এর আগে সিটিটিসি জানায়, টিপু কিবরিয়া অশ্লীল ছবি ও ভিডিওগুলো বিভিন্ন পর্নোগ্রাফির ওয়েবসাইটে আপলোড করতেন। এগুলো দেখে ইতালি, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়ার বেশ কিছু মানুষসহ অনেকে টিপু কিবরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর তাঁদের চাহিদা মতো ভিডিও তিনি একাধিক এনক্রিপটেড অ্যাপসের মাধ্যমে পাঠাতেন। মাত্র তিনটি কনটেন্ট বিক্রি করে এক হাজার ডলার নিয়েছেন। টিপু ও তাঁর সহযোগীকে গ্রেপ্তারের পর, তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া ছবি ও ভিডিওর মধ্যে ২৫ হাজার ছবি ও ১ হাজার ভিডিও গণনা করা সম্ভব হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, জব্দ হওয়া কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক, মুঠোফোনসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসে হাজার হাজার ভিডিও এবং কনটেন্ট পাওয়া যাবে। টিপুর ডেস্কটপে অসংখ্য ছিন্নমূল ছেলে পথশিশুদের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, শিশুসাহিত্যিক টিপু কিবরিয়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। ১৯৯১ সালে একটি প্রকাশনীর মাসিক কিশোর পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ফ্রিল্যান্সার আলোকচিত্রী হিসেবেও কাজ করেছেন।
ক্যামেরায় পথশিশুদের আপত্তিকর ছবি-ভিডিও করে, তা এডিটের পর ইতালি, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়ায় বিক্রি করতেন শিশুসাহিত্যিক টিপু কিবরিয়া। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তাঁর চার সহযোগীর নাম ও ছবি পেয়েছে পুলিশ। তাঁরা পেশায় ভাঙারি ব্যবসায়ী। তৃণমূল পর্যায়ের ছেলেশিশু এবং ঢাকার পথশিশুদের জোগাড় করে তাঁরাই টিপুর কাছে নিয়ে যেতেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিএমপির সিটিটিসির স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের অতিরিক্ত উপকমিশনার (সদ্য পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আহমেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানান।
সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশের কাছে অস্ট্রেলিয়া ফেডারেল পুলিশের পাঠানো এক চিঠির সূত্র ধরে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) টিআইএম ফখরুজ্জামান ওরফে টিপু কিবরিয়া ও তাঁর প্রধান সহযোগী কামরুল ইসলামকে গত মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। পর দিন বুধবার আদালত তাঁদের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আহমেদুল ইসলাম বলেন, দুদিনের রিমান্ড শেষে তাঁদের আদালতে তোলা হবে।
এর আগে শিশুদের নিয়ে পর্নোগ্রাফি তৈরি করে ইন্টারপোলের সহায়তায় ২০১৪ সালে শিশুসাহিত্যিক টিপু কিবরিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২১ সালে কারাগার থেকে বেরিয়ে সাহিত্যচর্চার আড়ালে আবার শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরি শুরু করেন।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলেন, টিপু কিবরিয়া ও তাঁর প্রধান সহযোগী কামরুল ইসলামের আরও চার সহযোগীর নাম ও ছবি পাওয়া গেছে। তবে তাঁদের তথ্যগুলো যাচাইবাছাই চলছে। এছাড়া ভিকটিম শিশুর মধ্যে ২০-২৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এই শিশুদের জোগাড় করে দিতেন ভাঙারি ব্যবসায়ীরা। অধিকাংশই রাজধানীর গুলিস্তান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, কমলাপুর রেলস্টেশনের ছিন্নমূল শিশু। তাদের কারও বয়সই ১২ বছরের বেশি নয়। তাদের দেওয়া হতো ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা। এদের একজন বৃহস্পতিবার সিএমএম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এর আগে সিটিটিসি জানায়, টিপু কিবরিয়া অশ্লীল ছবি ও ভিডিওগুলো বিভিন্ন পর্নোগ্রাফির ওয়েবসাইটে আপলোড করতেন। এগুলো দেখে ইতালি, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়ার বেশ কিছু মানুষসহ অনেকে টিপু কিবরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর তাঁদের চাহিদা মতো ভিডিও তিনি একাধিক এনক্রিপটেড অ্যাপসের মাধ্যমে পাঠাতেন। মাত্র তিনটি কনটেন্ট বিক্রি করে এক হাজার ডলার নিয়েছেন। টিপু ও তাঁর সহযোগীকে গ্রেপ্তারের পর, তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া ছবি ও ভিডিওর মধ্যে ২৫ হাজার ছবি ও ১ হাজার ভিডিও গণনা করা সম্ভব হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, জব্দ হওয়া কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক, মুঠোফোনসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসে হাজার হাজার ভিডিও এবং কনটেন্ট পাওয়া যাবে। টিপুর ডেস্কটপে অসংখ্য ছিন্নমূল ছেলে পথশিশুদের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, শিশুসাহিত্যিক টিপু কিবরিয়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। ১৯৯১ সালে একটি প্রকাশনীর মাসিক কিশোর পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ফ্রিল্যান্সার আলোকচিত্রী হিসেবেও কাজ করেছেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অপারেশন ডেভিলহান্ট পরিচালনা করে রাঙামাটি জেলা যুবলীগ নেতা মো মিজানুর রহমান মিজানকে গ্রেপ্তার করেছে রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার মিজান রাঙামাটি জেলা যুবলীগের সহসাধারণ সম্পাদক ও রাঙামাটি আসবাবপত্র ব্যবসায়ী কল্যাণ সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি।
৭ মিনিট আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশের চট্টগ্রামমুখী সার্ভিস লেনে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে গেছে। এতে চিটাগাংরোড থেকে মৌচাক এলাকা পর্যন্ত প্রায় ১.৫ কিলোমিটার সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মহাসড়কের আমিজউদদীন পেট্রল পাম্পের উল্টো পাশে চট্টগ্রামমুখী লেনে এ
১ ঘণ্টা আগেভোলার চরফ্যাশনে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কারে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নেওয়া ১৮৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাজ না করেই বরাদ্দের টাকা ও গম উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় নামমাত্র কাজ করা হয়েছে। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নে
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল।
৮ ঘণ্টা আগে