Ajker Patrika

দুই দিনের রিমান্ডে এপিএস ফোয়াদ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
দুই দিনের রিমান্ডে এপিএস ফোয়াদ

সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপিএস ও বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা এএইচএম ফোয়াদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফরিদপুরের এক নম্বর আমলি আদালতের বিচারক রত্না সাহা এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

দুই হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ও বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা এএইচএম ফোয়াদকে গ্রেপ্তারের পর ফরিদপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বুধবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। 

পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জামাল পাশা। 

তিনি বলেন, মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) রাতে ফোয়াদকে ঢাকার বসুন্ধরা থেকে গ্রেপ্তার করে ফরিদপুরে নিয়ে আসা হয়। তিনি ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলা মামলার আসামি। সব মিলিয়ে আটটি মামলার আসামি তিনি। এর মধ্যে তিনটি মামলায় তাঁর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। দীর্ঘদিন তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। 

তিনি আরও বলেন, ফোয়াদের নেতৃত্বে হাতুড়ি বাহিনী ও হেলমেট বাহিনী পরিচালিত হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৫ সালের ১৫ জুন বাসস্ট্যান্ডে ছোটন হত্যা মামলার আসামি হিসেবে ফোয়াদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৬ মে রাতে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে ১৮ মে সুবল চন্দ্র সাহা কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। ওই মামলায় ৬ জুন রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে শহর আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তাঁর ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আত্মগোপনে যান অনেকে। 

এরপর গত বছরের ২৬ জুন, ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন সংশোধনী-২০১৫-এর ৪ (২) ধারায় ঢাকার কাফরুল থানায় একটি মামলা দায়ের করে সিআইডি। গত ৩ মার্চ ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে বরকত ও রুবেলসহ ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, এপিএস এএইচএম ফোয়াদ, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার নাজমুল হাসান লেভি, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ফাহিন, শহর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল হাসান ডেভিড, মোহাম্মাদ আলী মিনার ও তারিকুল ইসলাম নাসিমকে অভিযুক্ত করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত