Ajker Patrika

ফরিদপুরে আসন পুনর্বিন্যাস: বিক্ষোভ-অবরোধে ঘি ঢাললেন নিক্সন

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২: ৩২
ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের গোলচত্বরে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের গোলচত্বরে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ভাঙ্গা উপজেলার দুটি ইউনিয়ন বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত টানা ১১ ঘণ্টা দুটি মহাসড়ক ও ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধরা। এতে স্থবির হয়ে পড়ে উপজেলার সড়কপথ, দুর্ভোগে পড়েন দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষ।

অবরোধ শেষে আগামীকাল বুধবার রেলপথ অবরোধ ও উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দেন বিক্ষুব্ধ জনতা। তাঁরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের গোলচত্বরে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের গোলচত্বরে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

এদিকে চলমান আন্দোলনের মধ্যে দুপুরে অজ্ঞাত স্থান থেকে ফেসবুক লাইভে আসেন সাবেক এমপি মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী। ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে আন্দোলনের বিষয়ে তাঁকে বলত শোনা যায়, ‘আপনারা আন্দোলনে নেমেছেন—অবৈধ সরকার ও নির্বাচন কমিশনারকে উচিত জবাব দেবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দুই ইউনিয়ন ফেরত না দেবে এই অবৈধ সরকার। রোডঘাট যে যেখানে আছেন বন্ধ করে দেন।’

জানা যায়, আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত ৪৬টি সংসদীয় আসনে পরিবর্তন এনে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। গেজেট অনুযায়ী ফরিদপুরের দুটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।  

ফরিদপুর-৪-এর অন্তর্গত ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর-২ সংসদীয় আসনের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরেই ক্ষোভে ফুঁসে উঠে স্থানীয়রা।

শুক্রবার দিনভর উত্তাল হয়ে উঠেছিল ভাঙ্গা উপজেলা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দুটি মহাসড়কসহ ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ ব্লকেড করা হয়। পরে উপজেলা প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন এবং সোমবার পর্যন্ত আলটিমেটাম দেওয়া হয়।

আজ ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গা গোলচত্বর, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, পুখুরিয়া ও মাধবপুর এবং ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মুনসুরাবাদ, সোয়াদি এলাকায় সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা।

ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের গোলচত্বরে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের গোলচত্বরে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভাঙ্গা গোলচত্বরের দুটি মহাসড়ক অবরোধের কারণে তীব্র জনভোগান্তি দেখা দেয়। দুটি মহাসড়কের দুই পাশে ৪০ কিলোমিটারজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। ফলে সাধারণ যাত্রীসহ আটকে পড়া যানবাহনের লোকজন চরম ভোগান্তির মুখে পড়েন।

ঢাকা থেকে পরিবারের পাঁচ সদস্য নিয়ে হেঁটে যেতে দেখা যায় একটি পরিবারকে। তাঁদের সঙ্গে বহনকৃত লাগেজ ও দুজন শিশু ছিল। জানতে চাইলে পুরুষ সদস্য হাবিবুর রহমান জানান, প্রায় ১৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন হেঁটে ও ভ্যানে করে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘মানুষকে ভোগান্তি করে আন্দোলনের কোনো মানে হয় না।’ এ ছাড়া আটকে পড়া পরিবহনের চালকেরা খাদ্যসংকটেও ভুগেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলার আলগী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য এসকেন্দার হোসেন বলেন, ‘আমাদের নগরকান্দা দেওয়া হলে জারজ সন্তান হিসেবে গণ্য হব। আমরা রোহিঙ্গা হয়ে থাকতে চাই না। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি পূরণ না হবে, ততক্ষণ সড়ক ছাড়ব না। ভাঙ্গার ওপর দিয়ে কোনো গাড়ি চলতে দেব না।’

ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের গোলচত্বরে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের গোলচত্বরে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

জেলা খেলাফত মজলিসের সহসভাপতি মাওলানা মিজানুর রহমান মোল্যা বলেন, ‘আমাদের দাবি আদায় না হলে আগামীকাল শুধু সড়ক অবরোধ নয়, রেলপথও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে ভাঙ্গার সব অফিস, আদালত, স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার কোনো যোগাযোগ করতে দেব না। এটা আমাদের মা ও মাটির দাবি।’

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যা জানান, আন্দোলনকারীরা তাঁদের দাবির সমর্থনে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। ওই স্মারকলিপিটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের গোলচত্বর। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের গোলচত্বর। ছবি: আজকের পত্রিকা

তিনি বলেন, এ আন্দোলনে অবরোধকারীদের মধ্যে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের মাত্রা বেড়েছে। ভাঙ্গার ইউএনও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলেও তাদের মহাসড়ক থেকে সরাতে পারেনি।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘এটা একটা জাতীয় সমস্যা। স্থানীয় সমস্যা হলে আমাদের পক্ষে সমাধান করা সহজ হতো, কিন্তু জাতীয় সমস্যার সমাধান জাতীয়ভাবেই খুঁজে বের করতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বরিশালে অপসো স্যালাইন ফার্মার অচলাবস্থা কাটেনি, কাল মালিক-শ্রমিক বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
চাকরি ফেরতের দাবিতে আজ মঙ্গলবার বরিশাল নগরের বগুড়া সড়কে অপসো স্যালাইন ফার্মার কারখানার সামনে শ্রমিকদের অবস্থান। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাকরি ফেরতের দাবিতে আজ মঙ্গলবার বরিশাল নগরের বগুড়া সড়কে অপসো স্যালাইন ফার্মার কারখানার সামনে শ্রমিকদের অবস্থান। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাকরি ফেরতের দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বরিশালের অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডে শুরু হওয়া অচলাবস্থা কাটেনি। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম আজ মঙ্গলবার বিকেলে শেষ হয়। সমস্যা সমাধানে এ সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তবে আগামীকাল বুধবার বরিশাল শ্রম অধিদপ্তর মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা ডেকেছে।

৫৭০ জন শ্রমিক চাকরিচ্যুত করায় গত ২৯ অক্টোবর থেকে শ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। তাঁরা চাকরি ফেরত চান। নগরের বগুড়া সড়কে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে শ্রমিকেরা শনিবার থেকে অবস্থান নেন। বাম গণতান্ত্রিক জোট ও মহানগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

আজ বিকেলে শ্রমিকেরা বগুড়া সড়ক থেকে মিছিল নিয়ে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে অপসোনিন গ্রুপের প্রধান কারখানার সামনে যান। সেখানে অন্য কারখানার শ্রমিকদের নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

অপসো স্যালাইন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব মিয়া জানান, কাল বুধবার শ্রম অধিদপ্তরের সভায় সমঝোতা না হলে সব কারখানায় কর্মবিরতি ও মহাসড়ক অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচিতে যাবেন।

বাসদ নেত্রী ডা. মনিষা চক্রবর্তী বলেন, আগামীকাল শ্রমিক প্রতিনিধি ও মালিক প্রতিনিধিদের বরিশাল শ্রম অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সভা ডাকা হয়েছে। সভায় সমঝোতা না হলে শ্রমিকেরা কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন।

ট্রেড ইউনিয়ন নেতা তুষার বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে মালিকের লোকজন। এ জন্য সতর্ক থাকতে হবে। বুধবার শ্রম অধিদপ্তরে ৫৭০ জন শ্রমিকের ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে।’ তিনি শ্রম অধিদপ্তরের উপপরিচালক মনিরুজ্জামানকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আমরা চাই না মহাসড়ক অচল করে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলতে।’

অপসো স্যালাইন কারখানায় কর্মরত স্টুরিপ্যাক (সিরিঞ্জ ও স্যালাইন সেট প্রস্তুতকারক) শাখার ৫৭০ জন শ্রমিককে গত বুধবার চাকরিচ্যুতির চিঠি দেয় কর্তৃপক্ষ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে একটি করে হাড় কবর দিলেও ১০০ বাড়ি ফাঁকা: সারজিস

পঞ্চগড় প্রতিনিধি 
তেঁতুলিয়ায় রাজনৈতিক সভায় এনসিপি নেতা সারজিস আলম। ছবি: সংগৃহীত
তেঁতুলিয়ায় রাজনৈতিক সভায় এনসিপি নেতা সারজিস আলম। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর দুর্নীতির কথা বলতে গিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘শেখ হাসিনার ভূমিমন্ত্রীর ৩৬০টা বাড়ি কানাডায়। একটা মানুষের শরীরের হাড় হইল ২০৬টা। মরার পর হাড়গুলো আলাদা করে যদি একটা বাড়িতে একটা কবর হিসাবে রাখে, তাও ১০০টা বাড়ি পড়ে থাকবে। এ রকম করেই জনগণের টাকার লুটপাট করেছে।’

আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় এক রাজনৈতিক সভায় এনসিপি নেতা এসব কথা বলেন।

সভায় জুলাই সনদ নিয়ে সারজিস বলেন, ‘প্রায় ৩০-৪০ বছর আগে একবার গণভোট হয়েছিল। আবার সামনে গণভোট হবে। যে নিয়ম-কানুনগুলোর কারণে শেখ হাসিনা ধীরে ধীরে একজন স্বৈরাচার হয়ে উঠেছে, সেই নিয়ম-কানুনগুলোর পরিবর্তন দরকার আছে না নাই? এই জুলাই সনদ হলো সেই সনদ, যেখানে লেখা আছে—কোন পরিবর্তনগুলো হলে জনগণের সঙ্গে সরকারের ক্ষমতার একটি ভারসাম্য তৈরি হবে। কোন পরিবর্তনগুলো হলে আগামীতে কোনো সরকার আর স্বৈরাচারের সরকার হয়ে উঠতে পারবে না। কোন পরিবর্তনগুলো হলে আগামীর নেতার পা খালি আকাশে বেরাবেনি, মাটিতেও পড়বে। আমরা যে দলেরই হই না কেন, এই বাংলাদেশের জনগণের আগে, দেশের আগে কিংবা নিজের জীবনের নাগরিক সুবিধার আগে, কিংবা এগুলোর ঊর্ধ্বে কখনো দল হতে পারে না। দেশের চেয়ে কখনো দল বড় হতে পারে না।’

সভায় দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এনসিপি নেতা বলেন, এই দেশে ১৮-২০ কোটি মানুষের অধিকারের চেয়ে কখনো একটা দল বড় হতে পারে না। তাই অনুরোধ, আমরা যে দলেরই হই না কেন, গণভোটের দিন ওই জুলাই সনদে আমরা যেন জুলাই সনদের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিই।

সভায় স্থানীয় এনসিপি নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শ্রীবরদীতে ১০৬ বস্তা সার জব্দ

শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি 
জব্দ করা সার। ছবি: আজকের পত্রিকা
জব্দ করা সার। ছবি: আজকের পত্রিকা

শেরপুরের শ্রীবরদীতে অবৈধভাবে মজুতকৃত ১০৬ বস্তা ডিএপি ও এমওপি সার জব্দ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার রাণীশংকৈল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বানিয়াপাড়া গ্রামে মোশারফ হোসেন বাবু নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে সারগুলো জব্দ করা হয়।

শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনীষা আহমেদ সারগুলো জব্দ করেন। এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহমুদুল হাসান আকন্দ, রাণীশিমুল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সুজাসহ স্থানীয় এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনীষা আহমেদ বলেন, অবৈধভাবে মজুতকৃত ১০৬ বস্তা সার জব্দ করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জিম্মায় রাখা হয়েছে। পরবর্তীকালে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঋত্বিকের জন্মশতবর্ষ উদ্‌যাপন বাড়ির ধ্বংসস্তূপেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীর ভেঙে ফেলা বাড়ির ধ্বংসস্তূপে ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহীর ভেঙে ফেলা বাড়ির ধ্বংসস্তূপে ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রভাবশালী নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হয়েছে রাজশাহীর ভেঙে ফেলা বাড়ির ধ্বংসস্তূপেই। মঙ্গলবার বিকেলে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে রাজশাহী নগরের মিয়াপাড়ায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি ২০০৯ সাল থেকে নিয়মিতভাবে এই চলচ্চিত্রকারের জন্মবার্ষিকী পালন করে আসছে। এবারের অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত ও গণসংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে প্রদীপ প্রজ্বালন, ঋত্বিক ঘটকের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা এবং তাঁর কালজয়ী ছবি ‘মেঘে ঢাকা তারা’ নিয়ে নির্মিত জীবনীচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এর আগে এই চলচ্চিত্রকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি আহসান কবির লিটন বলেন, ঋত্বিক ঘটকের রাজশাহীতে কাটানো দিনগুলো তাঁর সৃজনী জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। পদ্মা নদী, শহরের পরিবেশ এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তাঁর ভাবনা ও চলচ্চিত্রে বারবার প্রতিফলিত হয়েছে।’

মিয়াপাড়ার এ বাড়িতেই ঋত্বিক ঘটকের শৈশব ও কৈশোর কেটেছে। তিনি রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল ও রাজশাহী কলেজে অধ্যয়ন করেন। এখান থেকেই সাহিত্য, নাটক ও চলচ্চিত্রের প্রতি তাঁর গভীর আগ্রহের সূচনা হয়। দেশভাগের পর ১৯৪৭ সালে তাঁর পরিবার ভারতে পাড়ি জমায়।

নিজের নির্মাণ করা চলচ্চিত্রে দেশভাগের বেদনা, মানবিক দৃঢ়তা ও সমাজবাস্তবতাকে কাব্যিক গভীরতায় তুলে ধরেছেন ঋত্বিক ঘটক। তাঁর বিখ্যাত ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘কোমল গান্ধার’, ‘সুবর্ণরেখা’ ও ‘তিতাস একটি নদীর নাম’। শক্তিশালী গল্প ও আবেগঘন উপস্থাপনার জন্য তাঁর চলচ্চিত্র আজও দর্শক ও নির্মাতাদের অনুপ্রেরণার উৎস।

রাজশাহীর বাড়িটির ৩৪ শতাংশ জমি ১৯৮৯ সালে তৎকালীন এরশাদ সরকার রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজকে ইজারা দেয়। এরপর জায়গাটির উত্তরে গড়ে তোলা হয়েছে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের আধুনিক ভবন। এ ভবনের দক্ষিণ অংশে ঋত্বিক ঘটকের স্মৃতিবিজড়িত পুরোনো বাড়ির ঘরগুলো দাঁড়িয়ে ছিল। বাড়িটি অপসারণ করে সেখানে অন্য স্থাপনা করার চেষ্টা অনেক আগে থেকেই করছিল হোমিও কলেজ কর্তৃপক্ষ।

তবে সাংস্কৃতিক কর্মীদের বাধার মুখে বারবার তা বন্ধ হয়েছে। দাবির মুখে বাড়িটি সংরক্ষণেরও উদ্যোগ নিয়েছিল জেলা প্রশাসন। এর মধ্যেই গত বছর অস্থিতিশীল পরিবেশের মধ্যে ৬ ও ৭ আগস্ট গোপনে বাড়িটি ভেঙে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়। এখন সেখানে ভাঙা বাড়ির ইটগুলো স্তূপাকারে রয়েছে। ঋত্বিকের আর তেমন কোনো স্মৃতিচিহ্ন নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত