Ajker Patrika

রাবির শিক্ষক তাহের হত্যা: দুই আসামির ফাঁসি কার্যকরে বাধা নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাবির শিক্ষক তাহের হত্যা: দুই আসামির ফাঁসি কার্যকরে বাধা নেই

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলার দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর স্থগিত চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ রোববার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ২ মে অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত অধ্যাপক মহিউদ্দিন ও কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলমের রিভিউ আবেদন খারিজের রায় প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ। পরে তাঁদের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত চেয়ে ৭ মে পরিবারের পক্ষ থেকে রিট করা হয়। 

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তাজুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সারোয়ার পায়েল। তবে সর্বোচ্চ আদালতে নিষ্পত্তির পর এ ধরনের আবেদন আদালত অবমাননার শামিল বলে জানিয়েছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। 

এখন দুই আসামির ফাঁসি কার্যকরে আইনগত কোনো বাধা নেই। তবে তাঁরা শুধু রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার সুযোগ পাবেন। আর সেই আবেদন না করলে বা আবেদন করার পর খারিজ হলে ফাঁসি কার্যকর করা যাবে। যদিও দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানানো হয়েছে ড. তাহেরের পরিবারের পক্ষ থেকে।

২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাবির কোয়ার্টারের ম্যানহোলে পাওয়া যায় অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ। ৩ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েক জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুজনকে খালাস দেন।  

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম, নাজমুল আলম ও আব্দুস সালাম। খালাসপ্রাপ্ত দু’জন হলেন— রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সী। ২০০৮ সালে বিচারিক আদালতের রায়ের পর নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।

শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেন হাইকোর্ট। শুনানি শেষে গত বছরের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায় বহাল রাখেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘বিচারপতি খায়রুলকে হাতকড়া পরানো মানে পুরো বিচার বিভাগকে হাতকড়া পরানো’

কোথাও ঘুরতে ইচ্ছা করলে আমাকে জানাবে—ছাত্রীকে খুবি অধ্যাপক

মোবাইলে সর্বত্র ইন্টারনেট সংযোগ দেবে স্টারলিংকের ডাইরেক্ট-টু-সেল

আগামী সপ্তাহের মধ্যে ৫ ইসলামী ব্যাংক একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু: গভর্নর

মৌচাকে হাসপাতালের পার্কিংয়ে প্রাইভেট কার থেকে উদ্ধার দুই মরদেহের পরিচয় মিলেছে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত