Ajker Patrika

৯৫ শতাংশ ক্রেতা কৃষকের বাজার চান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
৯৫ শতাংশ ক্রেতা কৃষকের বাজার চান

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ও কৃষকের উৎপাদিত পণ্য মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই সরাসরি বিক্রির জন্য পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা কৃষকের বাজার ৯৫ শতাংশ ক্রেতা চালু রাখতে চান বলে একটি জরিপে উঠে এসেছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের ফার্স হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের উদ্যোগে ‘নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতে এলাকাভিত্তিক কৃষকের বাজার’ শীর্ষক সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জরিপের এ তথ্য জানানো হয়।

ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের প্রজেক্ট পরিচালক নাইমা আক্তার জরিপের তথ্য উপস্থাপন করে আরও জানান, জরিপে অংশ নেওয়া ৮১ দশমিক ২৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী এই কৃষকের বাজারে যাতে সবজি ছাড়াও সব ধরনের খাদ্যপণ্য বিক্রি করা হয় সে ব্যাপারে মত দিয়েছেন। আর ৭২ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ শুক্রবার ছাড়াও আরও একাধিক দিনে বাজার চালুর ব্যাপারে মত দিয়েছেন।

নাইমা আক্তার আরও জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৬টি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৬টি, নারায়ণগঞ্জে ২টি, গাজীপুরে ২টি বাজার পরিচালিত হচ্ছে। একটি বাজারে ১০ জন করে কৃষক বসতে পারেন। তাদের উৎপাদিত সবজি নিরাপদ কিনা তা নিশ্চিত করেন কৃষি অধিদপ্তরের গবেষক ও কর্মকর্তারা। গত বছরের আগস্টে এই বাজার শুরু হয়। প্রত্যেক ওয়ার্ডে কমিশনার ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ ১৭ থেকে ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি এই বাজারগুলো পরিচালনা করেন। প্রতি মাসে তারা বৈঠকে মিলিত হন। বাজারে কোনো সমস্যা হলে তারা এর সমাধান ও তদারকি করেন। কৃষক আসলেই নিরাপদ সবজি উৎপাদন করছে কিনা তা সরাসরি মাঠে গিয়েও ক্রেতারা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের একটি দল বিরুলিয়াতে গিয়ে এসব বিষয় সরাসরি পর্যবেক্ষণও করেছেন। বাজারটি কোথায় বসবে তা স্থানীয় জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই ঠিক করা হয়। ঢাকা উত্তর সিটির ৬ নম্বর ওয়ার্ডে স্থানীয়দের মতামতের একটি ময়লার ভাগাড় পরিষ্কার করে সেখানে এ বাজার বসানো হয়েছে।

এই বাজারের মাধ্যমে সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষার পাশাপাশি কৃষকেরা সরাসরি ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন বলেও জানান তিনি।

সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার জিয়াউর রহমান বলেন, কৃষক একটি ফুলকপি পাইকারি রেটে যেখানে ৮ টাকায় বিক্রি করেছেন সেখানে কৃষকের বাজারে একটি ফুলকপি ২৫ টাকা থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করতে পারছেন। ফলে মধ্যস্বত্বভোগী না থাকায় কৃষক পুরো লাভ পাচ্ছেন। এই প্রজেক্টে প্রথম দিকে কৃষকদের যাতায়াত খরচ আমরা শতভাগ বহন করি। পরে ৭৫ দশমিক ৫০ ভাগ বহন করি। এরপর কৃষক একপর্যায়ে গিয়ে পুরোটাই বহন করেন। ১৩ মাস পরিচালনার পর জুন মাসে আমাদের এই প্রজেক্ট শেষ হয়ে যাবে। তখন কীভাবে চলমান রাখা কিছুটা চ্যালেঞ্জের।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার অর্থায়নে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করা হচ্ছে। এ ছাড়া গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়াগেনিংগেন ও নরওয়ে এই প্রকল্পে সহায়তা করছে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম সবুজসহ অন্যরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিশ্বে চাকরির বাজারে কম দামি ১২ ডিগ্রি, কদর বাড়ানোর উপায় কী

পোশাক কারখানায় রাতভর নির্যাতনে ইলেকট্রিশিয়ানের মৃত্যু, সহকর্মী গ্রেপ্তার

চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণ, অভিযোগ শ্রমিক-ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে

হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত রাজশাহীর ৭ বন্দীর সাজা মওকুফ

স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর মৃত্যু ‘বিষক্রিয়ায়’, কেয়ারটেকার চাচাকে সন্দেহ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত