নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের নতুন ভবনে স্থানান্তর করা মেডিসিন ওয়ার্ডে রোগীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। সেখানে নেই পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা ও শৌচাগার। বিভিন্ন কক্ষ থাকে অন্ধকার। এমন পরিবেশে দৈনিক চিকিৎসা নেন হাজারখানেক রোগী। যাঁদের একাংশের ঠাঁই হয় মেঝেতে। এমনকি চিকিৎসকদেরও এই ভবনে সেবা দিতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
এই দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে ও মেডিসিন ওয়ার্ড স্থানান্তরের দাবিতে গতকাল সোমবার রোগী ও স্বজনেরা মানববন্ধন করেছেন। সচেতন বরিশালবাসীর ব্যানারে হাসপাতালের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, মেডিসিন ওয়ার্ড এখন রোগ তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে। গুদামের মতো বদ্ধ কক্ষে চিকিৎসার নামে চলছে একরকম তামাশা। শুধু যে রোগীরাই এর শিকার হচ্ছেন এমনটি নয়, দায়িত্বতর চিকিৎসকেরাও পরিণত হচ্ছেন রোগীতে। আগে গাদাগাদি পরিবেশ হলেও ভালো ছিল মূল ভবনের মেডিসিন ইউনিট। যেখানে বিদ্যুৎ চলে গেলেও আলো-বাতাস চলাচল করত। তাই মেডিসিন ইউনিট সেই পুরোনো ভবনে স্থানান্তর করা হোক। অন্যথায় বৃহৎ কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, করোনার ঢেউ কেটে গেলে ২০২৩ সালে নতুন মডেলাইজেশন ভবনে স্থানান্তর করা হয় মেডিসিন ওয়ার্ড। কিন্তু এ ভবনটি মূলত করা হয়েছিল ওটি কমপ্লেক্সের জন্য। যেখানে হওয়ার কথা ছিল বিভিন্ন ইউনিটের ওটি ও প্রশাসনিক কার্যালয়। কিন্তু তৎকালীন হাসপাতাল প্রশাসন মেডিসিন ওয়ার্ডকে পুরোনো ভবন থেকে সরিয়ে সেখানে স্থানান্তর করে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মেডিসিন ওয়ার্ডের ছোট ছোট কক্ষে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী। বারান্দার মেঝেতেও শুয়ে রয়েছেন অনেকে। নেই পর্যাপ্ত শৌচাগার। মাথার ওপর অল্প গতিতে ঘুরছে ফ্যান। নষ্ট হয়ে আছে এসিগুলো। দেখলে মনে হয় যেন গুদামঘর। ভবনের মাঝের অংশের কক্ষগুলোতে নেই আলো-বাতাস ঢোকার পথ। অনেক পানির কল নষ্ট থাকায় শৌচাগার উপচে তা কক্ষে ঢুকছে।
হাসপাতালের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পুরোনো ভবনে মেডিসিন ওয়ার্ডে রোগী হতো ৬০০। এখন নতুন ভবনে ৮০০ থেকে ১০০০ জন হয়। আগে ইউনিট ছিল পাঁচটি। এখন ১০টিতেও ধরে না। এটি মূলত মডেলাইজেশন ভবন। এখানে মাত্র চারটি ওয়ার্ড, ওটি এবং প্রশাসনিক কার্যালয় থাকার কথা। সে জায়গায় এখন গাদাগাদি করে রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। এর একমাত্র সমাধান নতুন ভবন স্থাপন।
এ ব্যাপারে কথা হলে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মশিউল মুনির আজকের পত্রিকাকে বলেন, সচেতন বরিশালবাসীর ব্যানারে মেডিসিন ওয়ার্ড স্থানান্তরের যে দাবি উঠেছে, এর যৌক্তিকতা রয়েছে। সেখানে কিছু সমস্যা আছে। তিনি অনেকটা সংস্কারও করেছেন। মেডিসিন ওয়ার্ড পুরোনো ভবনে ফের স্থানান্তর হলে খারাপ হয় না। তবে সমস্যা সমাধানে সবাই মিলে বসে উদ্যোগ নিতে হবে। হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদ এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সভা ডেকে শিগগিরই মতামত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের নতুন ভবনে স্থানান্তর করা মেডিসিন ওয়ার্ডে রোগীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। সেখানে নেই পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা ও শৌচাগার। বিভিন্ন কক্ষ থাকে অন্ধকার। এমন পরিবেশে দৈনিক চিকিৎসা নেন হাজারখানেক রোগী। যাঁদের একাংশের ঠাঁই হয় মেঝেতে। এমনকি চিকিৎসকদেরও এই ভবনে সেবা দিতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
এই দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে ও মেডিসিন ওয়ার্ড স্থানান্তরের দাবিতে গতকাল সোমবার রোগী ও স্বজনেরা মানববন্ধন করেছেন। সচেতন বরিশালবাসীর ব্যানারে হাসপাতালের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, মেডিসিন ওয়ার্ড এখন রোগ তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে। গুদামের মতো বদ্ধ কক্ষে চিকিৎসার নামে চলছে একরকম তামাশা। শুধু যে রোগীরাই এর শিকার হচ্ছেন এমনটি নয়, দায়িত্বতর চিকিৎসকেরাও পরিণত হচ্ছেন রোগীতে। আগে গাদাগাদি পরিবেশ হলেও ভালো ছিল মূল ভবনের মেডিসিন ইউনিট। যেখানে বিদ্যুৎ চলে গেলেও আলো-বাতাস চলাচল করত। তাই মেডিসিন ইউনিট সেই পুরোনো ভবনে স্থানান্তর করা হোক। অন্যথায় বৃহৎ কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, করোনার ঢেউ কেটে গেলে ২০২৩ সালে নতুন মডেলাইজেশন ভবনে স্থানান্তর করা হয় মেডিসিন ওয়ার্ড। কিন্তু এ ভবনটি মূলত করা হয়েছিল ওটি কমপ্লেক্সের জন্য। যেখানে হওয়ার কথা ছিল বিভিন্ন ইউনিটের ওটি ও প্রশাসনিক কার্যালয়। কিন্তু তৎকালীন হাসপাতাল প্রশাসন মেডিসিন ওয়ার্ডকে পুরোনো ভবন থেকে সরিয়ে সেখানে স্থানান্তর করে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মেডিসিন ওয়ার্ডের ছোট ছোট কক্ষে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী। বারান্দার মেঝেতেও শুয়ে রয়েছেন অনেকে। নেই পর্যাপ্ত শৌচাগার। মাথার ওপর অল্প গতিতে ঘুরছে ফ্যান। নষ্ট হয়ে আছে এসিগুলো। দেখলে মনে হয় যেন গুদামঘর। ভবনের মাঝের অংশের কক্ষগুলোতে নেই আলো-বাতাস ঢোকার পথ। অনেক পানির কল নষ্ট থাকায় শৌচাগার উপচে তা কক্ষে ঢুকছে।
হাসপাতালের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পুরোনো ভবনে মেডিসিন ওয়ার্ডে রোগী হতো ৬০০। এখন নতুন ভবনে ৮০০ থেকে ১০০০ জন হয়। আগে ইউনিট ছিল পাঁচটি। এখন ১০টিতেও ধরে না। এটি মূলত মডেলাইজেশন ভবন। এখানে মাত্র চারটি ওয়ার্ড, ওটি এবং প্রশাসনিক কার্যালয় থাকার কথা। সে জায়গায় এখন গাদাগাদি করে রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। এর একমাত্র সমাধান নতুন ভবন স্থাপন।
এ ব্যাপারে কথা হলে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মশিউল মুনির আজকের পত্রিকাকে বলেন, সচেতন বরিশালবাসীর ব্যানারে মেডিসিন ওয়ার্ড স্থানান্তরের যে দাবি উঠেছে, এর যৌক্তিকতা রয়েছে। সেখানে কিছু সমস্যা আছে। তিনি অনেকটা সংস্কারও করেছেন। মেডিসিন ওয়ার্ড পুরোনো ভবনে ফের স্থানান্তর হলে খারাপ হয় না। তবে সমস্যা সমাধানে সবাই মিলে বসে উদ্যোগ নিতে হবে। হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদ এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সভা ডেকে শিগগিরই মতামত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
রিজভী পৌরসভা এলাকার বীরপুর মহল্লার জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তিনি রায়পুরা উপজেলার হাসনাবাদ এলাকায় ইন্টারনেট ও ডিসের ব্যবসা করতেন। রিজভীর বিরুদ্ধে ডাকাতি, অপহরণ, অস্ত্র, মাদকসহ বিভিন্ন থানায় অন্তত আটটি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
৪ মিনিট আগেগাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল ২৫০ শয্যায় উন্নীত হয় ২০১৪ সালে। এরপর কেটে গেছে প্রায় ১১ বছর। তবে রয়ে গেছে নানান সংকট। ২০১৮ সালে হাসপাতালটির নতুন ভবন উদ্বোধন করা হলেও জনবলসংকট ও অবকাঠামোর অভাবে সেটি আজও চালু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বারবার চিঠি দিয়েও কাজ হচ্ছে না। ফলে পুরোনো ভবনে
৫ ঘণ্টা আগেআমের রাজধানী হিসেবে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ক্যারেটের দাম বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। এতে বাড়তি লোকসানের মুখে পড়েছেন আমচাষি, ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্যারেট ব্যবসায়ীরা। আর নজরদারি বাড়ানোর কথা বলেছে প্রশাসন।
৫ ঘণ্টা আগেঢাকা মহানগরে নতুন ২১টি বাস রুটের অনুমোদন দিয়েছে ঢাকা মেট্রো যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটি (আরটিসি)। তবে সড়ক পরিবহন বিধিমালা, ২০২২ অনুযায়ী নতুন রুট অনুমোদনের আগে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) মতামত বা সুপারিশ নেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও তা পুরো আমলে নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
৫ ঘণ্টা আগে