Ajker Patrika

ইশরাকের গেজেট স্থগিতের রিট খারিজ, আপিল বিভাগে যাবেন রিটকারী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২২ মে ২০২৫, ১২: ৫৬
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট স্থগিত চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এর ফলে মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথ নিতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবীরা। তবে রিটকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন জানিয়েছেন, তিনি এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাবেন।

রিটকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন জানান, ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসি মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট স্থগিত চেয়ে করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাবেন তাঁরা। আজ বৃহস্পতিবার রিট খারিজ হওয়ার পর আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চেম্বার আদালতে যাব। আজই যেতে পারি অথবা রোববার।’

এর আগে, আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি খারিজ করে দেন। আদেশের পর ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘রিট খারিজ হওয়ায় শপথ পড়াতে কোনো বাধা নেই। শপথ না পড়ালে সেটা আদালত অবমাননা হবে।’

রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। আর ইশরাক হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান মিলন ও খান জিয়াউর রহমান।

ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে দেওয়া রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল করতে আইনি নোটিশ দিয়েছিলেন রফিকুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ নামে দুই ব্যক্তি। নোটিশে গেজেট প্রকাশ এবং ইশরাককে শপথ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। তবে নোটিশর পর রাতেই গেজেট প্রকাশ করা হয়। পরে ১৩ মে রিট করা হয়।

রিটে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় এবং ২৭ এপ্রিলের গেজেট কেন বেআইনি হবে না এবং ইশরাক হোসেনের শপথ পরিচালনা থেকে বিরত রাখার নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না—তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়। এ ছাড়া রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় রায় ও গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়।

রিটটি গত মঙ্গলবার দুই দফা শুনানি শেষে গতকাল বুধবার আদেশের জন্য নির্ধারিত ছিল। কিন্তু গতকাল কার্যতালিকা অনুযায়ী মামলাটি আদেশের জন্য আসলে আদালত বলেন, আমরা সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য রুল এবং স্থিতাবস্থা দেব। আমরা সবাইকে শুনতে চাই। তখনই ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘আবেদনকারীর আইনগত এখতিয়ার নেই।’ পরে শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদেশের জন্য রাখা হয়।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত