নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুলিশি বাধায় মাঝ পথে থেমে গেল ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের দাবিতে গানের মিছিল। শাহবাগ থেকে শহীদ নূর হোসেন চত্বরমুখী প্রতিবাদী এই গানের মিছিল রাজধানীর রমনা পার্ক সংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের সামনে আটকে দেয় পুলিশ।
আজ শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে ‘লেখক-শিল্পী-শিক্ষক-সাংবাদিক’ ব্যানারে আয়োজন করা হয় এই গানের মিছিল। শাহবাগ থেকে মূল সড়ক ধরে মিছিলটি এগোতে থাকে জিরো পয়েন্ট শহীদ নূর হোসেন চত্বরের দিকে। এ সময় কবি নজরুলের ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানটি কোরাস করে গাইছিলেন অংশগ্রহণকারীরা। অনেকের হাতেই ছিল গিটার, করতাল, হাত বাঁয়া, বাঁশি ও মাউথ অর্গানের মতো বাদ্যযন্ত্র।
মিছিলটি শিশুপার্কের সামনে দিয়ে গলফ ক্লাব মোড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের সামনে পৌঁছালে পুলিশি বাঁধার মুখে পড়ে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে। এ সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে যুক্তিতর্কে জড়ায় মিছিলকারীরা। একপর্যায়ে রাস্তা থেকে সরে গিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের মূল ফটকের সামনে ৫ মিনিট অবস্থান নিয়ে কোরাস গান করেন তাঁরা। তারপরই আনুষ্ঠানিক সমাপ্তির ঘোষণা আসে আয়োজকদের পক্ষ থেকে। কয়েকজন বিক্ষিপ্তভাবে সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে স্লোগানও ধরেন।
মাঝ পথে মিছিলটি থামিয়ে দেওয়াকে বর্তমান দেশের মতপ্রকাশ ও ভোটাধিকারের স্বাধীনতার চিত্ররই একটি নমুনা মনে করছেন এই মিছিলের আয়োজকেরা। আয়োজকদের একজন লেখক ও সাংবাদিক মাহবুব মোর্শেদ বলেন, ‘ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার দাবিতে লেখক, শিল্পী, সাংবাদিক ও শিক্ষকেরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। এর আগেও আমরা একটা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেছি শাহবাগে।
আজ আমাদের গানের মিছিল ছিল নূর হোসেন চত্বর পর্যন্ত কিন্তু আপনারা তো দেখলেনই কীভাবে আমাদের মিছিলটি আঁটকায় দিল। তাঁরা কিছুতেই আমাদের সামনে যেতে দেবে না। তাঁরা আসলে শান্তিপূর্ণ একটা গানের মিছিলকেও ভয় পাচ্ছে। ফলে এটা খুবই দুঃখজনক! কারণ তাঁদের চাওয়া অনুযায়ী, ইচ্ছা অনুযায়ী একটি তফসিল ঘোষণা হয়েছে। এর মধ্যে গানের মিছিলের মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেও যদি বাধা দেয় এটা খুবই দুঃখজনক।’
আয়োজকদের একজন লেখক ও গবেষক রাখাল রাহা বলেন, ‘আমরা কবি, শিল্পী, সাংবাদিক, লেখক ও শিক্ষক সমাবেশ মতপ্রকাশ ও ভোটাধিকারের দাবি নিয়ে সমবেত হয়েছিলাম। মাঝপথে তাঁরা ব্যারিকেড দিয়ে এটা থামিয়ে দেন। আমরা পুলিশের সঙ্গে ওরকম পলিটিক্যাল ধস্তাধস্তি করার মতো কোনো আন্দোলন করছি না। এই সব পরিস্থিতিতে এক ধরনের অ্যাকাডেমিক কথা বলতে চেয়েছি।’
তবে পুলিশ বলছে, শুক্রবার ছুটির দিনে নগরবাসীর নির্বিঘ্ন চলাচল ও পাশের রমনা পার্কে আসা দর্শনার্থীদের অসুবিধার কথা ভেবে সড়ক থেকে এই মিছিল সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল আয়োজকদের। তাঁরা এই অনুরোধ মেনে মিছিলটি মাঝপথে শেষ করেছেন।
এ বিষয়ে কথা হয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা জোনের পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) শাহ আলম মোহাম্মদ আক্তারুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার দিন নগরবাসী ঘুরতে বের হয়। তাঁদের নির্বিঘ্নে চলাচল ও পাশের পার্কে (রমনা পার্ক) আসা দর্শনার্থীদের অসুবিধা বিবেচনায় আয়োজকদের অনুরোধ করা হয়েছিল। তাঁরা সেটা মেনে এখানে মিছিলটি শেষ করেন। এটাকে বাধা দেওয়া বলা যায় না। মিছিলটি নূর হোসেন চত্বর পর্যন্ত গেলে অনেক যানজটের সৃষ্টি হতো’।
এই গানের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ফারজানা ওয়াহিদ (সায়ান), শিল্পী অরূপ রাহী, শিল্পী অমল আকাশ, কবি ফেরদৌস আরা রুমী, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক এহসান মাহমুদ, শিল্পী বীথি ঘোষ, সাংবাদিক সালাহ উদ্দিন শুভ্র, শিল্পী দীনা তাজরীন, অভিনেতা দীপক কুমার গোস্বামী, লেখক রেহনুমা আহমেদসহ আরও অনেকে।
পুলিশি বাধায় মাঝ পথে থেমে গেল ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের দাবিতে গানের মিছিল। শাহবাগ থেকে শহীদ নূর হোসেন চত্বরমুখী প্রতিবাদী এই গানের মিছিল রাজধানীর রমনা পার্ক সংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের সামনে আটকে দেয় পুলিশ।
আজ শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে ‘লেখক-শিল্পী-শিক্ষক-সাংবাদিক’ ব্যানারে আয়োজন করা হয় এই গানের মিছিল। শাহবাগ থেকে মূল সড়ক ধরে মিছিলটি এগোতে থাকে জিরো পয়েন্ট শহীদ নূর হোসেন চত্বরের দিকে। এ সময় কবি নজরুলের ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানটি কোরাস করে গাইছিলেন অংশগ্রহণকারীরা। অনেকের হাতেই ছিল গিটার, করতাল, হাত বাঁয়া, বাঁশি ও মাউথ অর্গানের মতো বাদ্যযন্ত্র।
মিছিলটি শিশুপার্কের সামনে দিয়ে গলফ ক্লাব মোড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের সামনে পৌঁছালে পুলিশি বাঁধার মুখে পড়ে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে। এ সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে যুক্তিতর্কে জড়ায় মিছিলকারীরা। একপর্যায়ে রাস্তা থেকে সরে গিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের মূল ফটকের সামনে ৫ মিনিট অবস্থান নিয়ে কোরাস গান করেন তাঁরা। তারপরই আনুষ্ঠানিক সমাপ্তির ঘোষণা আসে আয়োজকদের পক্ষ থেকে। কয়েকজন বিক্ষিপ্তভাবে সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে স্লোগানও ধরেন।
মাঝ পথে মিছিলটি থামিয়ে দেওয়াকে বর্তমান দেশের মতপ্রকাশ ও ভোটাধিকারের স্বাধীনতার চিত্ররই একটি নমুনা মনে করছেন এই মিছিলের আয়োজকেরা। আয়োজকদের একজন লেখক ও সাংবাদিক মাহবুব মোর্শেদ বলেন, ‘ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার দাবিতে লেখক, শিল্পী, সাংবাদিক ও শিক্ষকেরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। এর আগেও আমরা একটা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেছি শাহবাগে।
আজ আমাদের গানের মিছিল ছিল নূর হোসেন চত্বর পর্যন্ত কিন্তু আপনারা তো দেখলেনই কীভাবে আমাদের মিছিলটি আঁটকায় দিল। তাঁরা কিছুতেই আমাদের সামনে যেতে দেবে না। তাঁরা আসলে শান্তিপূর্ণ একটা গানের মিছিলকেও ভয় পাচ্ছে। ফলে এটা খুবই দুঃখজনক! কারণ তাঁদের চাওয়া অনুযায়ী, ইচ্ছা অনুযায়ী একটি তফসিল ঘোষণা হয়েছে। এর মধ্যে গানের মিছিলের মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেও যদি বাধা দেয় এটা খুবই দুঃখজনক।’
আয়োজকদের একজন লেখক ও গবেষক রাখাল রাহা বলেন, ‘আমরা কবি, শিল্পী, সাংবাদিক, লেখক ও শিক্ষক সমাবেশ মতপ্রকাশ ও ভোটাধিকারের দাবি নিয়ে সমবেত হয়েছিলাম। মাঝপথে তাঁরা ব্যারিকেড দিয়ে এটা থামিয়ে দেন। আমরা পুলিশের সঙ্গে ওরকম পলিটিক্যাল ধস্তাধস্তি করার মতো কোনো আন্দোলন করছি না। এই সব পরিস্থিতিতে এক ধরনের অ্যাকাডেমিক কথা বলতে চেয়েছি।’
তবে পুলিশ বলছে, শুক্রবার ছুটির দিনে নগরবাসীর নির্বিঘ্ন চলাচল ও পাশের রমনা পার্কে আসা দর্শনার্থীদের অসুবিধার কথা ভেবে সড়ক থেকে এই মিছিল সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল আয়োজকদের। তাঁরা এই অনুরোধ মেনে মিছিলটি মাঝপথে শেষ করেছেন।
এ বিষয়ে কথা হয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা জোনের পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) শাহ আলম মোহাম্মদ আক্তারুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার দিন নগরবাসী ঘুরতে বের হয়। তাঁদের নির্বিঘ্নে চলাচল ও পাশের পার্কে (রমনা পার্ক) আসা দর্শনার্থীদের অসুবিধা বিবেচনায় আয়োজকদের অনুরোধ করা হয়েছিল। তাঁরা সেটা মেনে এখানে মিছিলটি শেষ করেন। এটাকে বাধা দেওয়া বলা যায় না। মিছিলটি নূর হোসেন চত্বর পর্যন্ত গেলে অনেক যানজটের সৃষ্টি হতো’।
এই গানের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ফারজানা ওয়াহিদ (সায়ান), শিল্পী অরূপ রাহী, শিল্পী অমল আকাশ, কবি ফেরদৌস আরা রুমী, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক এহসান মাহমুদ, শিল্পী বীথি ঘোষ, সাংবাদিক সালাহ উদ্দিন শুভ্র, শিল্পী দীনা তাজরীন, অভিনেতা দীপক কুমার গোস্বামী, লেখক রেহনুমা আহমেদসহ আরও অনেকে।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের নিজ নামে থাকা পূর্বাচল ও উত্তরার দুটি প্লট ক্রোক, তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ২৯টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ১২ কোটি ৮৭ লাখ ৭৪ হাজার ৫২০ টাকা অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার (২২ জুন) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক...
৪ মিনিট আগেগতকাল শনিবার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যশোর বোর্ডে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা স্থগিতের বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে পড়ে।
১০ মিনিট আগেবন্ধুর সার্টিফিকেটের (সনদ) কপি দিয়ে ১০ বছর ধরে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে আসছেন রাজিব আলম (৩৩)। চাকরির বায়োডাটায় নিজের নাম, বাবার নাম, ঠিকানা, সার্টিফিকেট সবই ব্যবহার করেছেন বন্ধুর। এটি দিয়েই তিনি শিল্প গ্রুপ পলমলের কেন্দ্রীয় গুদামের এজিএম (কাগজ-কলমে টিপু সুলতান) পদে কর্মরত ছিলেন।
১৪ মিনিট আগেবরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় কোস্ট গার্ডের নাম ব্যবহার করে একটি অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতন করতে আজ রোববার (২২ জুন) বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হয়।
১৯ মিনিট আগে