Ajker Patrika

ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে: বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত উদ্বোধন সেপ্টেম্বরে 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২৩, ১৫: ০৩
ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে: বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত উদ্বোধন সেপ্টেম্বরে 

আগামী সেপ্টেম্বরে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ শনিবার এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান তিনি। 

সেতুমন্ত্রী বলেন, এক্সপ্রেসওয়ে তিনটি ধাপে সম্পন্ন করা হচ্ছে। প্রথম অংশের বনানী পর্যন্ত ৯৭ শতাংশ, বনানী থেকে মগবাজার অংশে ৫৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। অন্যদিকে মগবাজার থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত শেষ অংশে ভৌত কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের সর্বমোট কাজ শেষ হয়েছে ৬৩ শতাংশ। পুরো প্রকল্প শেষ হলে রাজধানীকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের (কুতুবখালী) সঙ্গে যুক্ত করবে। 

২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। 

প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে, বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশের সঙ্গে সম্পৃক্ত সংযোগ সড়কের কার্পেটিং সম্পন্ন হলেই এটি যানবাহন চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হবে। 

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েএরই মধ্যে রাস্তায় বাতি বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। রাস্তার দুপাশে রেলিং বসানোর কাজও চলছে। কয়েক দিনের মধ্যে কাওলা থেকে বনানী অংশ পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে। 

রাজধানীর আশপাশে যানবাহন চলাচল সহজ করার লক্ষ্যে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় এই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। প্রকল্প থেকে বিনিয়োগকারীরা তাদের অর্থ তুলবে যানবাহন থেকে টোল আদায়ের মাধ্যমে। এর জন্য তারা পৃথক টোল প্লাজা স্থাপন করবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

এই প্রকল্পে ৩১ র‍্যাম্প-বিশিষ্ট চার লেনের ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হচ্ছে। আর এক্সপ্রেসওয়ের র‍্যাম্পসহ প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। এটির র‍্যাম্প রয়েছে ৩১টি। 

এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা, যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ২ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা। 

ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেড এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডের ৫১ শতাংশ, চায়না শানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপের (সিএসআই) ৩৪ শতাংশ এবং সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের ১৫ শতাংশ শেয়ার নিয়ে গঠিত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও মনোনীত প্রার্থীর শোডাউনকে কেন্দ্র করে সাঘাটায় ১৪৪ ধারা জারি

গাইবান্ধা, প্রতিনিধি
সাঘাটা থানা। ছবি: সংগৃহীত
সাঘাটা থানা। ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও দল থেকে বহিষ্কৃত নেতার মোটরসাইকেল শোডাউনে আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কায় উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। আজ রোববার এ শোডাউন হওয়ার কথা ছিল।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর মো. আল কামাহ্ তমাল স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, আজ রোববার (৯ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সাঘাটা উপজেলা ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, একই দিনে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাদ এবং বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পাওয়া ফারুক আলম সরকারের মোটরসাইকেল শোডাউনকে কেন্দ্র করে দুটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ ও উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে স্থানীয়ভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। এই সময়ে অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন, লাঠি বা দেশীয় অস্ত্র বহন, মাইকিং বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার, পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির সমবেত হওয়া, সভাসমাবেশ ও মিছিল আয়োজন নিষিদ্ধ থাকবে।

তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয় বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ৩ নভেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে দলের প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফারুক আলমের নাম ঘোষণা করেন।

গত ২৪ অক্টোবর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাহিদুজ্জামান নিশাদকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন, দুই গ্রুপের মধ্যে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য পুলিশ শক্তভাবে মাঠে অবস্থান করছে। ১৪৪ ধারা ভেঙে কাউকে মাঠে নামতে দেওয়া হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পদ্মার চরে অপারেশন ফার্স্ট লাইট: আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২০

 লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
অভিযানে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
অভিযানে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদীর চরাঞ্চল ও স্থলভাগে সন্ত্রাস দমন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’ নামের এক বিশেষ অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে দুটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার ও ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত ১৬ ঘণ্টাব্যাপী এই অভিযান চলে। এতে নেতৃত্ব দেন নাটোর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম।

বিষয়টি নিশ্চিত করে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) ড. মোহাম্মদ শাহজাহানের নির্দেশনায় ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে জেলা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, স্পেশাল ব্র্যাঞ্চ, র‍্যাব ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের প্রায় ৪০০ সদস্য অংশ নেন।

অভিযান চলাকালে পদ্মা নদীর লালপুর উপজেলার চর জাজিরা, চর লালপুর ও চর দিয়াড় বাহাদুরপুর এলাকায় ১৪টি নৌকা ও ট্রলারে নদীপথে এবং ১০টি দল স্থলপথে সাঁড়াশি তল্লাশি চালায়। তল্লাশি অভিযানে দুজন হ্যাকার, ছয়জন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি, একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি, একজন হত্যা মামলার আসামি, দুজন মাদক কারবারিসহ বিভিন্ন মামলার আসামিসহ ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় দেশীয় একটি ওয়ান শুটারগান, একটি রিভলভার, ছয়টি বড় ছুরি, ২২টি হাঁসুয়া, চারটি চাকু, দুটি চাপাতি, একটি ছোরা, একটি দা, একটি লোহার পাইপ, একটি টিউবওয়েল ও একটি কাঠের চৌকি উদ্ধার করা হয়েছে।

জব্দ অস্ত্র ও টিউবওয়েল। ছবি: আজকের পত্রিকা
জব্দ অস্ত্র ও টিউবওয়েল। ছবি: আজকের পত্রিকা

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, চরাঞ্চল ও পদ্মা নদী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। অপরাধ দমনে পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে ওই এলাকায় জেলা পুলিশের উদ্যোগে বিশেষ টহল কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ওই অভিযানে অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য নদীপথে টহল দেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পদ্মার চরাঞ্চলে ‘কাকন বাহিনী’ নামের একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তৎপরতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাকনের অনুসারীরা কথায় কথায় গুলিবর্ষণ, অপহরণ, সশস্ত্র হামলা, বালুমহাল দখল, মাছ ধরার ঘাটসহ চরের কৃষিকাজে আধিপত্য বিস্তার করেছে।

গত ২৭ অক্টোবর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর, রাজশাহীর বাঘা ও নাটোরের লালপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী মরিচা ইউনিয়নের নতুন চর এলাকায় খড় কাটতে গেলে কৃষকদের ওপর গুলি চালান কাকন বাহিনীর লোকজন। এতে আমান মণ্ডল ও নাজমুল মণ্ডল নামের দুজন নিহত হন এবং আরও দুজন আহত হন। পরদিন ভেড়ামারার চরে লিটন নামের আরও এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ধারণা করা হয়, গোলাগুলির সময় তাঁকে ধারালো অস্ত্রে আঘাত করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এর আগে ৫ জুন পাবনার ঈশ্বরদীর সাড়াঘাটে ফিল্মি কায়দায় অস্ত্রের মহড়া ও বালুমহাল দখল, ৯ জুন চার যুবলীগ কর্মীকে অপহরণ ও কুপিয়ে জখম, ১২ জুলাই যুবদল নেতা টনি বিশ্বাসের বালুঘাটে হামলা ও গুলিবর্ষণ, ৬ অক্টোবর পুনরায় একই এলাকায় গোলাগুলির ঘটনায় দুজন আহত হন। এসব ঘটনায় কাকন বাহিনীর জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে আসে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলে পুলিশের ধাওয়া, গ্রেপ্তার ৩

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুরে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের একটি ঝটিকা মিছিল চলাকালে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ রোববার সকালে নগরের পাঁচলাইশ থানার চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সামনে এই মিছিল থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন রাজন দাশ (১৯) ও সৈকত চন্দ্র ভৌমিক (১৯)। গ্রেপ্তার অন্যজন ১৭ বছর বয়সী এক তরুণ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, সকাল পৌনে ৭টায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে ২০-২৫ জন নেতা-কর্মী মুরাদপুর এলাকায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এ সময় মিছিলটি ষোলশহর স্টেশনের দিকে যাওয়ার সময় পাঁচলাইশ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মিছিলকারীদের ধাওয়া দেয়। এরপর ধাওয়া দিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মিছিল চলাকালে হাতেনাতে এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে অভিযান চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আটকের পর হ্যান্ডকাফ নিয়ে পলায়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি  
মো. মনির হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
মো. মনির হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে আটকের পর হ্যান্ডকাফ নিয়ে মো. মনির হোসেন (৩৫) নামের এক স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ধনুয়া গ্রামের কাচারিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মনির ওই ধনুয়া গ্রামের মো. বুজরত আলীর ছেলে। তিনি গাজীপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ বলছে, আসামিকে আটকের পর পালিয়ে গেছেন। এদিকে মনিরের পরিবারের দাবি, সাদাপোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল মনিরকে। এ সময় স্থানীয়রা তাঁকে ছাড়িয়ে রাখে।

মনিরের মা মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে আমার ছেলে রাতের খাবার খেয়ে বাসা থেকে বের হয়। একটু পরই দুটি মোটরসাইকেলে চারজন লোক সাদাপোশাকে এসে ছেলেকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। এর পরপরই মনির ডাকচিৎকার দেয় আমাকে নিয়ে গেল, আমাকে বাঁচাও। এর পরপরই আশপাশের দোকানের মানুষ ও স্থানীয়রা এগিয়ে এসে পথরোধ করে। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে থাকা দুজন পালিয়ে যায়। উপস্থিত লোকজন পরিচয় জানতে চাইলে তারা পরিচয় দিতে টালবাহানা করে। পরে মনিরকে ছাড়িয়ে নিয়ে চলে আসে সবাই। এ ঘটনার এক ঘণ্টা পর পোশাকধারী পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।’

মনির হোসেনের বোন মিনারা খাতুন বলেন, জনগণের ধাওয়া খেয়ে ভাইকে ছেড়ে যায় সাদাপোশাকধারীরা। বারবার তাদের পরিচয় জানতে চাইলেও জানায়নি তারা। এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে পার্শ্ববর্তী কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের বাগচালা গ্রামে ভাইয়ের শ্বশুরবাড়িতে যায় পুলিশ। সেখানে ভাইকে না পেয়ে ভাইয়ের শ্যালক ফাহাদ হোসেনকে আটক করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল বাসার মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আসামিকে আটকের পর পালিয়ে গেছে।’ আপনি কি সাদাপোশাকে ছিলেন? আপনার সঙ্গে কতজন পুলিশ সদস্য ছিলেন? এমন প্রশ্নের জবাব তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন। এর পরপর কয়েকবার ফোন করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, পালিয়ে যাওয়া মনির হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে পুলিশ। তাঁর শ্বশুরবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত