Ajker Patrika

খতনা করাতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু: পুলিশ-আইনজীবীদের সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ মা-বাবার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২৪, ১৮: ৪২
খতনা করাতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু: পুলিশ-আইনজীবীদের সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ মা-বাবার

রাজধানীর মালিবাগের জেএস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল সেন্টারে খতনা করাতে গিয়ে মারা যাওয়া শিশুর মা-বাবা আইনজীবী ও পুলিশের সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। বিভিন্ন মহল থেকে ফোন কলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

আজ বুধবার দুপুরে শিশু আহনাফ তামহিদ আয়হামের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে আয়হামের সহপাঠীরা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘বিচার চাই বিচার চাই, আয়হাম হত্যার বিচার চাই’ স্লোগান দেয়।

মানববন্ধনে আয়হামের মা খায়রুন নাহার অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, আমার বাচ্চার বিচার বিভিন্নভাবে ওপর মহল থেকে প্রভাবিত করা হচ্ছে। আমাকে অনেক নম্বর থেকে ফোন দিয়ে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। তারা বলছে, ওপর মহল থেকে চাপ আছে, তাদের জামিন দিয়ে দিতে হবে।’

খায়রুন নাহার বলেন, ‘ডাক্তারের পক্ষের লোকেরাই হুমকি দিচ্ছে। আমার বাসা কোথায়, আরেকটা বাচ্চার বয়স কত, সে কোথায় পড়ে—এগুলো জানতে চাচ্ছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পরিবর্তন করার জন্যও তারা লোক লাগিয়ে রেখেছে। এসবই প্রশাসন, পুলিশকে জানানো হয়েছে। কিন্তু থানা থেকে আমরা সহযোগিতা পাচ্ছি না।’

মামলাটি ডিবি বা পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে আয়হামের মা বলেন, ‘অবহেলাজনিত কারণে আমার বাচ্চা মারা যায়নি। পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল এটা। তারা আমাদের না জানিয়েই অ্যানেসথেসিয়া দিয়েছে, ওটিতে মা-বাবা কাউকেই ঢুকতে দেয় নাই। বাচ্চাটা মারা যাওয়ার পরেও আমাদের জানানো হয়নি, বাচ্চাটা মারা গেছে।’

আইনজীবী পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন জানিয়ে আয়হামের বাবা ফখরুল আলম বলেন, ‘আমি গত চার দিন কোর্টে গেলাম, কিন্তু উকিলেরা প্রথম দিন যেমন হেল্পফুল ছিল এখন আর তেমন নেই। বিচারকের সঙ্গে আমাদেরই যোগাযোগ করতে হচ্ছে। আইনজীবীদের কাছ থেকেও তেমন সহযোগিতা পাচ্ছি না। আমার মনে হচ্ছে, তাদেরও প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

ফখরুল আলম আরও বলেন, ‘পুলিশও আমাদের সহযোগিতা করছে না। তারা আমাদের কোনো তথ্য দিচ্ছে না। আমি এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাচ্ছি। অ্যানেসথেসিয়া দিতে হলে অভিভাবকের লিখিত অনুমতি নিতে হয়। তারা আমাদের কোনো অনুমতি নেয়নি। বাচ্চাটা মারা যাওয়ার তিন ঘণ্টা পরেও তারা স্বীকার করেনি যে বাচ্চাটা মারা গেছে।’

এ সময় আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক সদস্য মো. শাহাদাত ঢালী বলেন, ‘দেশে যত হাসপাতাল আছে, সেগুলোর নিবন্ধন যেন সবকিছু বিবেচনা করে দেওয়া হয়। সব শর্ত পূরণ করে যদি হাসপাতাল হয়, তাহলে আশা করি এমন ঘটনা আর সেখানে ঘটবে না। সব ডাক্তারেরও যেন নিবন্ধন থাকে।’

অভিভাবক ফারজানা লাবনী বলেন, ‘তারা বলছে, আয়হাম মৃত্যুর আগে বমি করেছে। কিন্তু তার বমির কোনো চিহ্নই নাই। এখানে গভীর কোনো চক্রান্ত আছে। আয়ান মারা গেছে, কিছুদিনের মধ্যে আয়হামও একইভাবে মারা গেল।’

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার সাতারকুলে অবস্থিত ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে খতনা করাতে গিয়ে মারা যায় শিশু আয়ান আহমেদ (৫)।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ বার কল দিয়েছেন ট্রাম্প, ধরেননি মোদি

প্রায় ৭ লাখ টাকার ধার শোধ না করায় এসপি থেকে অতিরিক্ত এসপি হলেন নিহার রঞ্জন হাওলাদার

জিন সম্পাদনায় নতুন সাফল্য, ডায়াবেটিস রোগীদের আর ইনসুলিন নিতে হবে না

অবৈধ মোবাইল দিয়ে বন্দীরা আমাকে কল করেন, এটা বিস্ময়কর: কারা মহাপরিদর্শক

ফজলুর রহমানের পদ ৩ মাসের জন্য স্থগিত করল বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত