বরগুনা প্রতিনিধি
‘আব্বা আগুন লাগছে, দোয়া কইরো, আম্মারে বইলো আমার জন্য দোয়া করতে, বাইচ্চা থাকলে দেখা হবে।’ ভবনের ছাদে উঠে বাবাকে ফোনে ঢাকার বেইলি রোডে আগুনের খবর জানিয়েছিল নাঈম। এরপর আর কথা হয়নি। এখন পুত্রশোকে বাকরুদ্ধ বাবা। বিলাপ করতে করতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা। বাড়িতে পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজনদের ভিড়। গোটা এলাকায় শোকের মাতম।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রয়ারি) রাতে ঢাকার বেইলি রোডের গ্রিন কোজি ভবনে অগ্নিকাণ্ডে মারা যান মো. নাঈম। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার ৩ নম্বর ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের ছোট গৌরীচন্না এলাকার নান্টু মিয়ার ছেলে। দুই ভাই-বোনের মধ্যে নাঈম বড়। বাবা নান্টু মিয়া পেশায় ভ্যানচালক, মা লাকি বেগম গৃহিণী। মা-বাবা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে মেধাবী ছেলে নাঈমকে এইচএসসি পাস করান।
মা-বাবার কষ্ট ঘোচাতে ও একমাত্র বোনের পড়াশোনার দায়িত্ব নিতে এক মাস আগে কাজের সন্ধানে রাজধানী ঢাকায় যান। মাত্র তিন দিন আগে বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই বিল্ডিংয়ে আরএফএল কোম্পানির একটি শাখায় কাজ নেন। কিন্ত ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে তাঁর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
নাঈমের মা লাকি বেগম বিলাপ করতে করতে বলেন, ‘বাছারে মোর কোলে আইন্না দেও, মুই এট্টু মোর পোলার মুকটা দেকমু। ঈদের সোমায় বাবায় মোর বাড়তে আইবে কইছে। আহারে এইয়া আলহে মোর কপালে। মোর একটা পোলা, মুই এহন কি লইয়া বাচমু...।’ বলতে বলতে ফের মুর্ছা যান লাকি বেগম।
নাঈমের মৃত্যু এমন অকাল মৃত্যুর খরে এলাকাজুড়ে বইছে শোকের মাতম। বাড়িতে ছুটে এসেছেন পাড়া-প্রতিবেশিসহ সহপাঠীরাও।
নিহত নাঈমের চাচা সেন্টু মিয়া বলেন, ‘পুরো বিল্ডিংয়ে আগুন ধরলে বাঁচার তাগিদে নাঈম ছাদে গিয়ে বাবাকে মোবাইল ফোনে আগুনের বিষয়টি জানায়। এ সময় বাবাকে দোয়া করতে বলে নাঈম। বাবা ছেলেকে আল্লাহকে ডাকতে বলেন। এরপর একাধিকবার কল করলেও নাঈমের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।’
পরে গণমাধ্যমের খবরে পরিবার জানতে পারে, আগুনে দগ্ধ নাঈমের মৃত্যু হয়েছে। পাড়া-প্রতিবেশী ও সহপাঠীরা জানান, নিহত নাঈম মেধাবী ছাত্র ছিলেন। অভাবের সংসারের হাল ধরতে গিয়ে লাশ হতে হলো তাঁকে।
৩ নম্বর ফুলঝুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার কবির বলেন, ‘নাঈম মেধাবী ছাত্র ছিল। অর্থাভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেনি। অল্প বয়সে সংসারের হাল ধরতে কাজের সন্ধানে ঢাকায় গিয়েছিল। এখন এই পরিবারটির হাল ধরার মতো কেউ আর অবশিষ্ট রইল না।’
নাঈমের আকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তাঁর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান কবির বলেন, ‘আমি যথাসাধ্য পরিবারটির পাশে থাকার চেষ্টা করব।’
‘আব্বা আগুন লাগছে, দোয়া কইরো, আম্মারে বইলো আমার জন্য দোয়া করতে, বাইচ্চা থাকলে দেখা হবে।’ ভবনের ছাদে উঠে বাবাকে ফোনে ঢাকার বেইলি রোডে আগুনের খবর জানিয়েছিল নাঈম। এরপর আর কথা হয়নি। এখন পুত্রশোকে বাকরুদ্ধ বাবা। বিলাপ করতে করতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা। বাড়িতে পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজনদের ভিড়। গোটা এলাকায় শোকের মাতম।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রয়ারি) রাতে ঢাকার বেইলি রোডের গ্রিন কোজি ভবনে অগ্নিকাণ্ডে মারা যান মো. নাঈম। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার ৩ নম্বর ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের ছোট গৌরীচন্না এলাকার নান্টু মিয়ার ছেলে। দুই ভাই-বোনের মধ্যে নাঈম বড়। বাবা নান্টু মিয়া পেশায় ভ্যানচালক, মা লাকি বেগম গৃহিণী। মা-বাবা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে মেধাবী ছেলে নাঈমকে এইচএসসি পাস করান।
মা-বাবার কষ্ট ঘোচাতে ও একমাত্র বোনের পড়াশোনার দায়িত্ব নিতে এক মাস আগে কাজের সন্ধানে রাজধানী ঢাকায় যান। মাত্র তিন দিন আগে বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই বিল্ডিংয়ে আরএফএল কোম্পানির একটি শাখায় কাজ নেন। কিন্ত ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে তাঁর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
নাঈমের মা লাকি বেগম বিলাপ করতে করতে বলেন, ‘বাছারে মোর কোলে আইন্না দেও, মুই এট্টু মোর পোলার মুকটা দেকমু। ঈদের সোমায় বাবায় মোর বাড়তে আইবে কইছে। আহারে এইয়া আলহে মোর কপালে। মোর একটা পোলা, মুই এহন কি লইয়া বাচমু...।’ বলতে বলতে ফের মুর্ছা যান লাকি বেগম।
নাঈমের মৃত্যু এমন অকাল মৃত্যুর খরে এলাকাজুড়ে বইছে শোকের মাতম। বাড়িতে ছুটে এসেছেন পাড়া-প্রতিবেশিসহ সহপাঠীরাও।
নিহত নাঈমের চাচা সেন্টু মিয়া বলেন, ‘পুরো বিল্ডিংয়ে আগুন ধরলে বাঁচার তাগিদে নাঈম ছাদে গিয়ে বাবাকে মোবাইল ফোনে আগুনের বিষয়টি জানায়। এ সময় বাবাকে দোয়া করতে বলে নাঈম। বাবা ছেলেকে আল্লাহকে ডাকতে বলেন। এরপর একাধিকবার কল করলেও নাঈমের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।’
পরে গণমাধ্যমের খবরে পরিবার জানতে পারে, আগুনে দগ্ধ নাঈমের মৃত্যু হয়েছে। পাড়া-প্রতিবেশী ও সহপাঠীরা জানান, নিহত নাঈম মেধাবী ছাত্র ছিলেন। অভাবের সংসারের হাল ধরতে গিয়ে লাশ হতে হলো তাঁকে।
৩ নম্বর ফুলঝুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার কবির বলেন, ‘নাঈম মেধাবী ছাত্র ছিল। অর্থাভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেনি। অল্প বয়সে সংসারের হাল ধরতে কাজের সন্ধানে ঢাকায় গিয়েছিল। এখন এই পরিবারটির হাল ধরার মতো কেউ আর অবশিষ্ট রইল না।’
নাঈমের আকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তাঁর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান কবির বলেন, ‘আমি যথাসাধ্য পরিবারটির পাশে থাকার চেষ্টা করব।’
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মুদিদোকানির ১ মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৩ টাকা। এই অস্বাভাবিক বিল দেখে হতবাক হন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তালম ইউনিয়নের তালম খাসপাড়া গ্রামে।
২ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় একটি কাঁঠালের জন্য ভাবি শোভা বেগমকে (৩৫) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত দেবর রাকিব (২৮) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার (২২ জুন) দুপুরে তাঁকে মানিকগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এ হাজির করা হলে বিচারক রাহুল দে ১৬৪ ধারায় তাঁর জবানবন্দি গ্রহণ করে
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর রামপুরা এলাকায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) লিমিটেডের গুরুত্বপূর্ণ সাবস্টেশনে বৈদ্যুতিক গোলযোগ দেখা দিয়েছে। এর জেরে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। আজ রোববার রাত ১০টার দিকে এই গোলযোগের সূত্রপাত হয়। ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)
৩ ঘণ্টা আগেরাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) নিয়মিত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও জীবনবিমা সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের সেমিনার রুমে বিমা কোম্পানি জেনিথ ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্সের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কর্তৃপক্ষ।
৩ ঘণ্টা আগে