Ajker Patrika

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল

স্কুল ভবনটা খাঁচার মতো এতেই প্রাণহানি বেড়েছে

  • ছিল না জরুরি বের হওয়ার পথ।
  • আগুন আর ধোঁয়ায় পরিবেশ ছিল দমবন্ধকর।
  • বারান্দাগুলোও লোহার গ্রিল দিয়ে আটকানো।
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা 
আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৫, ১২: ২৭
বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে। ফাইল ছবি
বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে। ফাইল ছবি

রাজধানীর দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের হায়দার আলী ভবনটির কাঠামোই দৃশ্যত সোমবারের বিপর্যয়কে এতটা প্রাণঘাতী করে তুলেছে। সরেজমিন ঘুরে এবং ভুক্তভোগী অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে এমন ধারণাই পাওয়া গেছে।

মাইলস্টোনের দিয়াবাড়ি শাখার মূল ফটক দিয়ে প্রবেশের পরই দেখা গেছে একটি টেনিস কোর্ট ও ক্যানটিন। এরপরই হায়দার আলী ভবন। পশ্চিমমুখী হায়দার আলী ভবনটি দোতলা। তবে দ্বিতীয় তলার ছাদটি টিনের ছাউনির। দোতলা ভবনটির মাঝ বরাবর সিঁড়ি, দুই পাশে কক্ষ। নিচতলায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি এবং ওপরতলায় পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের পাঠদান চলে। প্রতিটি ক্লাসে ৩৫-৪৫ জন শিক্ষার্থী। দুটি তলায় মোট ১৬টি শ্রেণিকক্ষ থাকলেও ভবনে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ একটাই। ছিল না অগ্নিকাণ্ডের মতো বিপর্যয়ের সময় বের হওয়ার জরুরি পথ। বারান্দাগুলোও লোহার গ্রিল দিয়ে আটকানো।

একজন শিক্ষক এই প্রতিবেদককে ভবনের শ্রেণিকক্ষগুলোর বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি জানান, ভবনটির নিচতলার বাঁ দিকে সিঁড়ির পাশেই শিক্ষকদের বিশ্রাম কক্ষ। এরপরই পরপর পাঁচটি শ্রেণিকক্ষ। সেখানে তৃতীয় থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ইংরেজি ও বাংলা ভার্সনের পাঠদান হয়। এরপর একটি ওয়াশরুম। একটু আগে ছুটি হয়ে যাওয়ায় বেশির ভাগ শিক্ষার্থী অভিভাবকদের সঙ্গে চলে গিয়েছিল। কিছু শিক্ষার্থী ছিল মা-বাবার অপেক্ষায়। কিছুসংখ্যক রয়ে গিয়েছিল কোচিংয়ের জন্য। নিচতলার ডান দিকে প্রথমে একটি ওয়াশরুম, এরপর ভাইস প্রিন্সিপালের অফিস। তার পাশেই ইংরেজি ভার্সনের সমন্বয়কারী মাহরীন চৌধুরীর কক্ষ। ২০টি শিশুকে বাঁচিয়ে যিনি প্রাণ দিয়েছেন। এরপরই মেয়েদের তিনটি শ্রেণিকক্ষ।

দোতলার বাঁ পাশে যথাক্রমে একটি ল্যাব রুম, চারটি শ্রেণিকক্ষ এবং একটি ওয়াশরুম। সেখানে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পাঠদান হয়। দোতলার ডান পাশে প্রথমে একটি ওয়াশরুমের পর পাঁচটি শ্রেণিকক্ষ। সেখানে পঞ্চম, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পাঠদান হয়।

বিকল বিমানটি পড়ে বিধ্বস্ত হওয়ার সময় সব ক্লাসের ছুটি হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ মা-বাবার সঙ্গে বাইরে চলে না যাওয়া অন্য শিক্ষার্থীরা অপেক্ষমাণ ছিল। একাধিক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ইংরেজি ভার্সনের সপ্তম শ্রেণিতে পড়া রাহিম তাসকিন আহমেদ সেদিন কিছুটা আহত হয়েছে। আগুনের শিখায় তার দুই কান ঝলসে গেছে। বন্ধু হারানোর বেদনায় কাতর তাসকিন নিজের শারীরিক কষ্ট যেন ভুলেই গেছে। রাহিম গতকাল এসেছিল ঘটনার দিন ফেলে যাওয়া বইয়ের ব্যাগ নিতে। ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সে বলল, ‘আমাদের ছুটি হয়ে গেছিল। ক্লাস ক্যাপ্টেন হওয়ায় সবাইকে বের করে দেওয়ার পর আমি বের হই। ব্যাগ কাঁধে তুলব এমন সময় টিনের চালের ওপর আমরা একটা প্রচণ্ড শব্দ শুনি। পরপর আরও দুইটা বিকট শব্দ হয়। তৃতীয় শব্দটা ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। দ্বিতীয় শব্দের পর মিনিটখানেকের মধ্যে কালো ধোঁয়ায় সব অন্ধকার হয়ে গেল। আর তৃতীয় শব্দের সঙ্গে সঙ্গেই আগুন লেগে যায়। আমি জ্বলন্ত বিমানের পাশ দিয়ে লাফিয়ে বের হই। আমার তিন বন্ধু গায়ে আগুন লেগে মারা গেছে। সেই দৃশ্য আর মনে করতে চাই না!’

ঘটনার সময় স্কুল ছুটি হয়ে গিয়েছিল। তবে কিছু শিক্ষার্থী কোচিং ক্লাস ও অভিভাবকের জন্য অপেক্ষা করছিল। এ ছাড়া শিক্ষক ও স্টাফরাও ছিলেন ভবনের ভেতরে। কয়েকজন শিক্ষক জানান, নিচতলার সিঁড়ির পাশে শিক্ষকদের কক্ষ, যেখানে শিক্ষকেরা অবস্থান করছিলেন।

বাংলা ভার্সনের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী জাহিদ মোল্লা বলল, প্রতিদিন ছুটির পর সে ঠিক যে জায়গায় দাঁড়ায়, সেখানেই যুদ্ধবিমানটি পড়েছে। এক বন্ধু ডেকে ক্যানটিনে নিয়ে না গেলে সে হয়তো ওখানেই থাকত।

কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেছে, আগুন লেগে যাওয়ার পর আটকে গিয়ে তারা জানালা ও বারান্দার গ্রিলের ভেতর থেকে চিৎকার করতে থাকে। সেনাবাহিনীর দল ও ফায়ার সার্ভিস কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে দোতলার টিনের চাল ও নিচতলার গ্রিল কেটে শিক্ষার্থীদের বের করে।

শিক্ষার্থীরা ছাড়াও গতকাল স্কুলের সামনে যাওয়া কয়েকজন অভিভাবক হায়দার আলী ভবনের কাঠামোগত দিক নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। তাঁদের প্রশ্ন, যেখানে কয়েক শ শিক্ষার্থী একসঙ্গে ক্লাস করে, সেখানে কেন একটিমাত্র প্রবেশপথ থাকবে? শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকেরা বলেছেন, ভবনের বারান্দায় গ্রিল না থাকলে অনেকে হয়তো বের হতে পারত।

রফিক নামে একজন অভিভাবক বলেন, ‘ভবনটি একটা খাঁচার মতো। একটিই প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ। ভবনটি খোলামেলা হলে বাচ্চারা বের হতে পারত। বারান্দাও গ্রিল দিয়ে ঘেরা। তাই নিচতলায় থেকেও অনেকে বের হতে পারেনি।’

এদিকে গতকাল মাইলস্টোন স্কুলের মূল ফটকসহ পাঁচটি প্রবেশমুখ বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। ভবনের সামনে মোতায়েন করা হয় নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী। কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি, এমনকি অভিভাবকেরাও প্রবেশ করতে পারেননি। শুধু শিক্ষকদের পরিচয়পত্র দেখে জরুরি সভার জন্য প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। সংবাদকর্মীদের প্রবেশেও বাধা দেওয়া হয়। চার-পাঁচজন শ্রমিককে হায়দার আলী ভবনের তিন পাশে টিনের বেড়া দিতে দেখা যায়।

গতকাল ভবনের জানালা দিয়ে দেখা গেছে, এখনো পড়ে আছে পুড়ে যাওয়া বই, টিফিন বক্স, পানির বোতল, ব্যাগ। কিছু ব্যাগ ও বই-খাতা উদ্ধার করে রাখা হয়েছে, যা ধীরে ধীরে অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৩৬ বছরের কর্মজীবন শেষে আবেগঘন বিদায়ে অশ্রুসিক্ত শায়েস্তা খাতুন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার ১৬৬ নম্বর খলিলাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন শায়েস্তা খাতুন। আজ মঙ্গলবার ছিল তাঁর চাকরির শেষ কর্মদিবস। দিনটি উপলক্ষে বিদ্যালয়টির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী, সহকর্মী এবং এলাকার সাধারণ মানুষ তাঁকে বিদায় সংবর্ধনা জানিয়েছেন। এ সময় তাঁকে সম্মাননা স্মারক, উপহারসামগ্রী, ফুলেল শুভেচ্ছাসহ আবেগঘন বিদায় জানায় গ্রামবাসী। বিদায়বেলায় সবার ভালোবাসায় অশ্রুসিক্ত হন শায়েস্তা খাতুন।

আজ দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ সময় অনুষ্ঠানে ২০২২ সালে ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক ও মিয়াজানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হকসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, গ্রামের শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বক্তব্য দেন।

বক্তারা বলেন, প্রায় ৩৬ বছর আগে খলিলাবাদ গ্রামটিতে শিক্ষার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। তখন গ্রামের লোকজন মিলে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করলে শুরু থেকেই শায়েস্তা খাতুন নিরলসভাবে পাঠদান দিতেন। দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে তিনি শুধু বিদ্যালয় নয়, গ্রামের মানুষকেও আলোকিত করেছেন।

বক্তারা আরও বলেন, তাঁর আন্তরিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ পাঠ্যবইয়ের শিক্ষার বাইরেও অনেক শিক্ষার্থীকে আলোকিত করেছে। তাঁর বহু শিক্ষার্থী সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত রয়েছেন। তাঁর এই দীর্ঘ কর্মজীবনের শিক্ষা অনেক শিক্ষার্থীর হৃদয়ে রয়ে যাবে। পুরো অনুষ্ঠানে সবার বক্তব্যে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। বক্তারা বিদায়ী প্রধান শিক্ষকের সুস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

বিদায়ী অনুষ্ঠানে শায়েস্তা খাতুন তাঁর অনুভূতির কথা ব্যক্ত করে বলেন, ‘বিদায় অনেক কষ্টের। আমি বিদায় নিতে চাই না। আমার কোমলমতি শিক্ষার্থী, সহকর্মী ও এলাকাবাসীরা আমাকে যে সম্মান দিয়েছে, তাতে আমি আবেগাপ্লুত, মুগ্ধ। সবার কাছ থেকে একজন শিক্ষকের এমন সম্মান পাওয়া সত্যিই গর্বের। শিক্ষকের প্রতি এমন সম্মান সমাজে ছড়িয়ে পড়ুক। বিদ্যালয়ের যেকোনো প্রয়োজনে আমি পাশে থাকব।’

তিনি এ সময় অভিভাবকদের ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং স্কুলে এসে পড়ালেখার খোঁজ নেওয়ারও আহ্বান জানান।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ১৯৮৯ সালে খলিলাবাদ গ্রামে শিক্ষা বিস্তারের জন্য গ্রামের মানুষ খলিলাবাদ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। সে সময় আবুল হোসেনকে প্রধান শিক্ষক এবং আব্দুর রব, রানু বেগম, জোহরা খাতুনকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

১৯৯৭ সালে প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন চাকরি ছেড়ে দিলে শায়েস্তা খাতুন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান এবং তখন থেকে দায়িত্ব পালন করেন। পরে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করা হলে ২০১৩ সালে এ বিদ্যালয়ও সরকারি হয়ে যায়।

শায়েস্তা খাতুনের দীর্ঘ ৩৬ বছরের শিক্ষকতা জীবনে বিদ্যালয়টিতে পড়ালেখা করা শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে বর্তমানে দেশ-বিদেশে কর্মরত রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কুমিল্লায় মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ায় মশাল মিছিল

কুমিল্লা প্রতিনিধি
নগরীর কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে সড়ক মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
নগরীর কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে সড়ক মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ ও সিটি করপোরেশন) আসনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিক্ষোভ করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের অনুসারীরা। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁরা ধর্মসাগরপাড়ে দলীয় কার্যালয় থেকে মশাল মিছিল বের করেন এবং নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পূবালী চত্বরে গিয়ে অবস্থান নেন।

মিছিল ও সমাবেশে নেতা-কর্মীরা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন। এ সময় তাঁরা ‘অবৈধ প্রার্থী মানি না মানব না’; ‘আমি কে তুমি কে, ইয়াছিন ভাই ইয়াছিন ভাই”; ‘জেল-জুলুম, কারাগারে ইয়াছিন ভাই’; ‘কুমিল্লার ঘরে ঘরে ইয়াছিন ভাই’ এবং ‘নেতা-কর্মীদের সুখে-দুখে ইয়াছিন ভাই’ বলে স্লোগান তোলেন। নেতা-কর্মীদের দাবি, তাঁদের নেতা ইয়াছিন দীর্ঘদিন ধরে জেলা বিএনপির নেতৃত্বে সক্রিয়। তাঁকে মনোনয়ন না দেওয়ায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

গতকাল সোমবার রাতেও ইয়াছিন সমর্থকেরা কান্দিরপাড় এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এরপর আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সোনা চোরাচালান: ৫ জনকে অপহরণের মামলায় দুই সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি­
গ্রেপ্তার আজিজুল হক ও আমিরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার আজিজুল হক ও আমিরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের পাঁচ ব্যক্তিকে অপহরণের ঘটনায় সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে তাঁরা এজাহারনামীয় আসামি নন। আজ মঙ্গলবার তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন জীবননগরের হরিহরনগর গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল হক (৪৫) ও আমিরুল ইসলাম (৩৭)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ ও ১৪ অক্টোবর গোয়ালপাড়া গ্রামের স্বপন, হাসান, আবুল হোসেন, আনার হোসেন ও তাঁর ছেলে শফি রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন। তাঁদের স্বজনদের অভিযোগ, একটি সোনা চোরাচালানকে কেন্দ্র করে এই পাঁচজনকে অপহরণ করা হয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন—স্বপন, হাসান ও আবুল হোসেন ওই সোনা চোরাচালানের সময় মাঠে ঘাস কাটছিলেন।

ওই ঘটনায় নিখোঁজ হাসানের বাবা শওকত আলী বাদী হয়ে জীবননগর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। ​মামলা করার পরও পুলিশ মূল আসামিদের গ্রেপ্তার ও অপহৃত ব্যক্তিদের উদ্ধারে গড়িমসি করছিল অভিযোগ তুলে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।

চুয়াডাঙ্গার সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) আনোয়ারুল কবির বলেন, অপহরণ মামলার পর সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সভা শেষে ফেরার পথে ট্রাকচাপায় ৩ বিএনপি কর্মী নিহত

বাগেরহাট প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকচাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় খুলনা-মোংলা মহাসড়কের বেলাই ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন রামপাল উপজেলার রাজনগর ইউনিয়ন বিএনপি কর্মী জামির ইজাদ্দার (৫০), মিজান ব্যাপারী (৪৫) ও হরিপদ রায় (৪০)।

তাঁরা বিকেলে ভাগা বালুর মাঠে অনুষ্ঠিত বিএনপির কেন্দ্রীয় গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ও কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমের এক নির্বাচনী সভা শেষে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যার দিকে বাবুরবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়। পরে পেছন থেকে একটি ট্রাক তাঁদের চাপা দেয়। এতে মোটরসাইকেলটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।

কাটাখালী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাফর আহমেদ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

মোংলা ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার এমরান হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে আমরা পুলিশকে হস্তান্তর করেছি। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’

রামপাল উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান তুহিন বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় যে তিনজন মারা গেছেন, তাঁরা আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। একটি দলীয় সভা থেকে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনার শিকার হন তাঁরা। তাঁদের মৃত্যুতে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত