Ajker Patrika

পুনরায় জাকসুর তফসিল ঘোষণা, ভোট ১১ সেপ্টেম্বর

জাবি প্রতিনিধি 
জাবির সিনেট ভবনে জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাবির সিনেট ভবনে জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দ্বিতীয়বারের মতো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (জাকসু) তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১ সেপ্টেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে জাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান এই তফসিল ঘোষণা করেন। এরপর বিভিন্ন হল সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘জাকসু গঠনতন্ত্রের ৮(খ) ধারা অনুযায়ী, আগামী ৩১ জুলাই সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে।’

তফসিল অনুযায়ী ১০ আগস্ট খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। একই দিনে খসড়া আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে। খসড়া ভোটার তালিকা সম্পর্কে আপত্তি গ্রহণের এবং খসড়া আচরণবিধি সম্পর্কে মতামত গ্রহণের শেষ তারিখ ১৪ আগস্ট। চূড়ান্ত হালনাগাদ ভোটার তালিকা ও আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে ১৭ আগস্ট।

এ ছাড়া ১৮ ও ১৯ আগস্ট মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা যাবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ১৯ আগস্ট বিকেল ৪টা পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৫ আগস্ট।

মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিষয়ে এবং বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন গ্রহণ করা হবে ২৬ আগস্ট এবং আপিলের শুনানি হবে ২৭ আগস্ট। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৮ আগস্ট এবং প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ২৯ আগস্ট।

চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরে ২৯ আগস্ট বিকেল ৪টা থেকে ৯ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারবে। এরপর ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ এবং একই দিনে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

এর আগে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল দিবাগত রাতে জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠার পরে এখন পর্যন্ত মোট ৮ বার জাকসু নির্বাচন হয়েছে। সর্বশেষ নির্বাচন হয় ১৯৯২ সালে। ১৯৯৩ সালের ২৯ জুলাই ছাত্ররা শিক্ষক ক্লাবে হামলা চালালে প্রশাসন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ ভেঙে দেয়। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত