সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
সাভারের আশুলিয়ায় শিক্ষার্থীর স্টাম্পের আঘাতে আহত সেই শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার (৩৫) মারা গেছেন। আজ সোমবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
শিক্ষক উৎপলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়ার হাজী ইউনুস আলী কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান।
অধ্যক্ষ সাইফুল বলেন, ‘এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা হাসপাতালের সার্বিক কাজ সমাপ্ত করছি।’
নিহত শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার এলংজানি দত্তপাড়া গ্রামের মৃত অজিত সরকারের ছেলে। তিনি ২০১৩ সালে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার হাজী ইউনুস আলী কলেজে কলেজ শাখার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী একই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। গত শনিবার (২৫ জুন) দুপুর ২টার দিকে ওই স্কুল মাঠে শিক্ষককে স্টাম্প দিয়ে বেধড়ক মারধর করে সে। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কিছুদিন আগে ওই ছাত্রকে ইভ টিজিং নিয়ে শাস্তিমূলকভাবে সতর্ক করেছিলেন শিক্ষক উৎপল কুমার।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান বলেন, ‘আমাদের স্কুলে মেয়েদের ক্রিকেট খেলা চলছিল। দুপুরে মাঠের একপাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষক উৎপলকে হঠাৎ করে এসে ক্রিকেট খেলার স্টাম্প দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে ওই ছাত্র। স্টাম্পের আঘাতে শিক্ষকের মাথায় জখম হয়। উৎপল স্যার স্কুলের শৃঙ্খলা ও পরিবেশ কমিটির আহ্বায়ক। তিনি ছাত্রদের বিভিন্ন সময় চুল কাটতে বলাসহ বিভিন্ন আচরণগত সমস্যা নিয়ে কাউন্সেলিং করেন। বিভিন্ন অপরাধের বিচারও করেন তিনি। হয়তো কোনো কারণে সেই শিক্ষকের ওপর ছাত্রটির কোনো ক্ষোভ রয়েছিল। আজ ভোর সোয়া ৫টার দিকে আইসিইউতেই মারা যান ওই শিক্ষক।’
এ ঘটনায় ভেঙে পড়েছে উৎপল কুমারের পরিবার। নিহতের ভাই অসীম কুমার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমরা ৮ ভাইবোন, উৎপল সবার ছোট। প্রায় দুই বছর আগে বিয়ে করেছে সে। আমার বাবা মারা গেছে অনেক আগেই। আমাদের মা আমাদের অনেক কষ্ট করে লালনপালন করেছেন। উৎপলই ছিল আমাদের সংসারের একমাত্র ভরসা। আমার মা এখনো বেঁচে আছেন। তাঁর সামনে ভাইয়ের মরদেহ নিয়ে কীভাবে যাব জানি না।’
এ ঘটনায় গতকাল রোববার সকালে আশুলিয়া থানায় ওই শিক্ষার্থী ও অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এসআই এমদাদুল হক বলেন, ‘আমরা ওই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করতে অভিযানে আছি। দ্রুতই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
সাভারের আশুলিয়ায় শিক্ষার্থীর স্টাম্পের আঘাতে আহত সেই শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার (৩৫) মারা গেছেন। আজ সোমবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
শিক্ষক উৎপলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়ার হাজী ইউনুস আলী কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান।
অধ্যক্ষ সাইফুল বলেন, ‘এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা হাসপাতালের সার্বিক কাজ সমাপ্ত করছি।’
নিহত শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার এলংজানি দত্তপাড়া গ্রামের মৃত অজিত সরকারের ছেলে। তিনি ২০১৩ সালে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার হাজী ইউনুস আলী কলেজে কলেজ শাখার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী একই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। গত শনিবার (২৫ জুন) দুপুর ২টার দিকে ওই স্কুল মাঠে শিক্ষককে স্টাম্প দিয়ে বেধড়ক মারধর করে সে। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কিছুদিন আগে ওই ছাত্রকে ইভ টিজিং নিয়ে শাস্তিমূলকভাবে সতর্ক করেছিলেন শিক্ষক উৎপল কুমার।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান বলেন, ‘আমাদের স্কুলে মেয়েদের ক্রিকেট খেলা চলছিল। দুপুরে মাঠের একপাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষক উৎপলকে হঠাৎ করে এসে ক্রিকেট খেলার স্টাম্প দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে ওই ছাত্র। স্টাম্পের আঘাতে শিক্ষকের মাথায় জখম হয়। উৎপল স্যার স্কুলের শৃঙ্খলা ও পরিবেশ কমিটির আহ্বায়ক। তিনি ছাত্রদের বিভিন্ন সময় চুল কাটতে বলাসহ বিভিন্ন আচরণগত সমস্যা নিয়ে কাউন্সেলিং করেন। বিভিন্ন অপরাধের বিচারও করেন তিনি। হয়তো কোনো কারণে সেই শিক্ষকের ওপর ছাত্রটির কোনো ক্ষোভ রয়েছিল। আজ ভোর সোয়া ৫টার দিকে আইসিইউতেই মারা যান ওই শিক্ষক।’
এ ঘটনায় ভেঙে পড়েছে উৎপল কুমারের পরিবার। নিহতের ভাই অসীম কুমার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমরা ৮ ভাইবোন, উৎপল সবার ছোট। প্রায় দুই বছর আগে বিয়ে করেছে সে। আমার বাবা মারা গেছে অনেক আগেই। আমাদের মা আমাদের অনেক কষ্ট করে লালনপালন করেছেন। উৎপলই ছিল আমাদের সংসারের একমাত্র ভরসা। আমার মা এখনো বেঁচে আছেন। তাঁর সামনে ভাইয়ের মরদেহ নিয়ে কীভাবে যাব জানি না।’
এ ঘটনায় গতকাল রোববার সকালে আশুলিয়া থানায় ওই শিক্ষার্থী ও অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এসআই এমদাদুল হক বলেন, ‘আমরা ওই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করতে অভিযানে আছি। দ্রুতই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর ও মধ্যনগর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ টাওয়ার ও এর আশপাশের এলাকায় পর্যটকবাহী হাউসবোট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
৫ মিনিট আগেসরকারি চাকরির অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সচিবালয়ে কর্মচারীদের দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১১টা থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গ্রন্থাগারে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন কর্মচারীরা।
৯ মিনিট আগে২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে বিএনপির আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে হামলা ও বোমা বিস্ফোরণের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঝালকাঠি জেলা মহিলা দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তা বেগম বাদী হয়ে ২০২৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের করেন।
২৯ মিনিট আগেরাজবাড়ীর গোয়ালন্দে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
৪৩ মিনিট আগে