নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বড় কোনো ঝক্কিঝামেলা ছাড়াই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকা ফিরছেন ট্রেন ও বাসের যাত্রীরা। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সময়মতো ট্রেন ছেড়ে গেছে। তবে ঢাকায় আসা দু-একটা ট্রেন কিছুটা দেরিতে পৌঁছেছে। ট্রেনের যাত্রীরা জানিয়েছেন, কোনো ধরনের ঝামেলা ও বড় রকমের ভিড় ছাড়াই তাঁরা ঢাকা পৌঁছেছেন।
যাত্রীদের নিরাপত্তা ও অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে কমলাপুর রেলস্টেশনে। ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারের বাসের টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। অনেক পরিবহনের আগামী এক সপ্তাহের কোনো সিট খালি নেই।
কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায় যাত্রীরা ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকা আসতে শুরু করেছেন। রাজধানীর একটি হাইস্কুলের শিক্ষক ওমর ফারুখ স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে সুবর্ণ এক্সপ্রেসে দুপুরে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খুব ভালোভাবে পৌঁছেছি। কোনো সমস্যা হয়নি।’
চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা উপকূল এক্সপ্রেসের যাত্রী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা জানান, ‘ট্রেন আসতে ৩০ মিনিটের মতো লেট হয়েছে। বাট জার্নি ভালো ছিল, তেমন ভিড় ছিল না।’ আর উপকূল এক্সপ্রেসের যাত্রী ও রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সামির সরকার জানান, ঈদের ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলাম। আজ অফিস খোলা থাকলেও কাল জয়েন করব। এ জন্য আজ চলে এসেছি। এবার স্ট্যান্ডিং টিকিট কম দিয়েছে, এ জন্য ট্রেনে ভিড় কম ছিল।
রাজশাহী যাওয়ার জন্য প্ল্যাটফর্মে সিল্কসিটি ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি ইউনিটের শিক্ষার্থী এনামুল হক পলাশ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমার আর ছোট বোনের পরীক্ষা থাকায় এবার বাড়ি যেতে পারিনি। কিছুটা অবসর পাওয়ায় রাজশাহীতে বন্ধুর বাড়ি যাচ্ছি এক দিনের জন্য। তবে স্ট্যান্ডিং টিকিট পেয়েছি বসার সিট পাইনি।’
এদিকে ময়মনসিংহের উদ্দেশে বেলা ১টা ১৫ মিনিটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ও বেলা দেড়টায় করতোয়া এক্সপ্রেস রাজশাহীর উদ্দেশে নির্দিষ্ট সময়ে কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে গেছে।
যাত্রীদের নিরাপত্তা ও অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য ঢাকা রেলওয়ে থানা, র্যাব-৩ ও রেলওয়ের নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
কমলাপুর রেলওয়ে থানার এ এস আই নাভেরা নাছরিন বলেন, ‘৩০ তারিখ পর্যন্ত আমাদের এই কন্ট্রোল রুম চলবে। যাত্রীদের ইনস্ট্যান্ট কোনো সমস্যা হলে আমরা তাঁদের সহায়তা দিচ্ছি। সকাল থেকে ডিউটিতে আছি, এখন পর্যন্ত (বেলা ২টা) কোনো অভিযোগ পাইনি।’
অন্যদিকে সায়েদাবাদ বাস কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায় অনেক যাত্রী ঢাকা ছাড়ছেন। আর টিকিট বিক্রেতা ও তাঁদের সহকারীরা যাত্রীদের ডাকছেন। সেন্ট মার্টিন পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা তাহসান আহমেদ তুষার বলেন, ‘আমাদের ঢাকা-কক্সবাজার এসি স্লিপার ২ হাজার, এসি চেয়ার ১ হাজার ৪০০, নন এসি ১ হাজার ২০০ টাকা।’
এই স্টেশন থেকে এখন প্রতিদিন তিন থেকে চারটা গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে। আগে যেখানে একটা গাড়ি নিয়মিত যেত। ঈদের কারণে এখন কক্সবাজারের যাত্রী খুব বেশি। আর বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন ১৫টি গাড়ি ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছে।
যশোরের যাত্রী মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘মাসে তিন থেকে চারবার ঢাকায় যাতায়াত করি। সোহাগ পরিবহনে রোজার প্রথম দিকে ৬৫০ টাকায় ঢাকায় আসছি। তবে ২৭ রমজানে ৭৫০ টাকা দিয়ে আসতে হইছে।’
এ প্রসঙ্গে সোহাগ পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা নাসির হোসাইন বলেন, ১৭ তারিখ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত শুধু যশোর রুটে ৭৫০ টাকা করা হয়েছে। কারণ অনেক যাত্রী ভাঙ্গা ফরিদপুর গিয়ে নেমে যান। এ জন্য বেনাপোল পর্যন্ত ৭৫০ টাকার প্যাকেজ করা হয়েছে। তবে অন্য সব রুটে ভাড়া আগের মতোই আছে, বাড়ানো হয়নি। এখন আমাদের যাত্রীর চাপ খুব বেশি। আগামী এক সপ্তাহে ঢাকা-কক্সবাজার রুটের কোনো সিট নেই। আর যশোর, খুলনাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় আসা যাত্রীর চাপও খুব বেশি। তবে ঢাকা থেকে এসব জেলায় যাওয়ার চাপ কম।
এদিকে শ্যামলী পরিবহন, হানিফ পরিবহনের কাউন্টারে গিয়েও দেখা গেছে কক্সবাজারের যাত্রীর চাপ সবচেয়ে বেশি।
বড় কোনো ঝক্কিঝামেলা ছাড়াই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকা ফিরছেন ট্রেন ও বাসের যাত্রীরা। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সময়মতো ট্রেন ছেড়ে গেছে। তবে ঢাকায় আসা দু-একটা ট্রেন কিছুটা দেরিতে পৌঁছেছে। ট্রেনের যাত্রীরা জানিয়েছেন, কোনো ধরনের ঝামেলা ও বড় রকমের ভিড় ছাড়াই তাঁরা ঢাকা পৌঁছেছেন।
যাত্রীদের নিরাপত্তা ও অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে কমলাপুর রেলস্টেশনে। ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারের বাসের টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। অনেক পরিবহনের আগামী এক সপ্তাহের কোনো সিট খালি নেই।
কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায় যাত্রীরা ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকা আসতে শুরু করেছেন। রাজধানীর একটি হাইস্কুলের শিক্ষক ওমর ফারুখ স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে সুবর্ণ এক্সপ্রেসে দুপুরে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খুব ভালোভাবে পৌঁছেছি। কোনো সমস্যা হয়নি।’
চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা উপকূল এক্সপ্রেসের যাত্রী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা জানান, ‘ট্রেন আসতে ৩০ মিনিটের মতো লেট হয়েছে। বাট জার্নি ভালো ছিল, তেমন ভিড় ছিল না।’ আর উপকূল এক্সপ্রেসের যাত্রী ও রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সামির সরকার জানান, ঈদের ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলাম। আজ অফিস খোলা থাকলেও কাল জয়েন করব। এ জন্য আজ চলে এসেছি। এবার স্ট্যান্ডিং টিকিট কম দিয়েছে, এ জন্য ট্রেনে ভিড় কম ছিল।
রাজশাহী যাওয়ার জন্য প্ল্যাটফর্মে সিল্কসিটি ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি ইউনিটের শিক্ষার্থী এনামুল হক পলাশ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমার আর ছোট বোনের পরীক্ষা থাকায় এবার বাড়ি যেতে পারিনি। কিছুটা অবসর পাওয়ায় রাজশাহীতে বন্ধুর বাড়ি যাচ্ছি এক দিনের জন্য। তবে স্ট্যান্ডিং টিকিট পেয়েছি বসার সিট পাইনি।’
এদিকে ময়মনসিংহের উদ্দেশে বেলা ১টা ১৫ মিনিটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ও বেলা দেড়টায় করতোয়া এক্সপ্রেস রাজশাহীর উদ্দেশে নির্দিষ্ট সময়ে কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে গেছে।
যাত্রীদের নিরাপত্তা ও অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য ঢাকা রেলওয়ে থানা, র্যাব-৩ ও রেলওয়ের নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
কমলাপুর রেলওয়ে থানার এ এস আই নাভেরা নাছরিন বলেন, ‘৩০ তারিখ পর্যন্ত আমাদের এই কন্ট্রোল রুম চলবে। যাত্রীদের ইনস্ট্যান্ট কোনো সমস্যা হলে আমরা তাঁদের সহায়তা দিচ্ছি। সকাল থেকে ডিউটিতে আছি, এখন পর্যন্ত (বেলা ২টা) কোনো অভিযোগ পাইনি।’
অন্যদিকে সায়েদাবাদ বাস কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায় অনেক যাত্রী ঢাকা ছাড়ছেন। আর টিকিট বিক্রেতা ও তাঁদের সহকারীরা যাত্রীদের ডাকছেন। সেন্ট মার্টিন পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা তাহসান আহমেদ তুষার বলেন, ‘আমাদের ঢাকা-কক্সবাজার এসি স্লিপার ২ হাজার, এসি চেয়ার ১ হাজার ৪০০, নন এসি ১ হাজার ২০০ টাকা।’
এই স্টেশন থেকে এখন প্রতিদিন তিন থেকে চারটা গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে। আগে যেখানে একটা গাড়ি নিয়মিত যেত। ঈদের কারণে এখন কক্সবাজারের যাত্রী খুব বেশি। আর বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন ১৫টি গাড়ি ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছে।
যশোরের যাত্রী মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘মাসে তিন থেকে চারবার ঢাকায় যাতায়াত করি। সোহাগ পরিবহনে রোজার প্রথম দিকে ৬৫০ টাকায় ঢাকায় আসছি। তবে ২৭ রমজানে ৭৫০ টাকা দিয়ে আসতে হইছে।’
এ প্রসঙ্গে সোহাগ পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা নাসির হোসাইন বলেন, ১৭ তারিখ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত শুধু যশোর রুটে ৭৫০ টাকা করা হয়েছে। কারণ অনেক যাত্রী ভাঙ্গা ফরিদপুর গিয়ে নেমে যান। এ জন্য বেনাপোল পর্যন্ত ৭৫০ টাকার প্যাকেজ করা হয়েছে। তবে অন্য সব রুটে ভাড়া আগের মতোই আছে, বাড়ানো হয়নি। এখন আমাদের যাত্রীর চাপ খুব বেশি। আগামী এক সপ্তাহে ঢাকা-কক্সবাজার রুটের কোনো সিট নেই। আর যশোর, খুলনাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় আসা যাত্রীর চাপও খুব বেশি। তবে ঢাকা থেকে এসব জেলায় যাওয়ার চাপ কম।
এদিকে শ্যামলী পরিবহন, হানিফ পরিবহনের কাউন্টারে গিয়েও দেখা গেছে কক্সবাজারের যাত্রীর চাপ সবচেয়ে বেশি।
রংপুর বিভাগের আট জেলার ২ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৬৫টি। এসব হাসপাতালে চিকিৎসকের মোট পদ ১ হাজার ২১৪টি। কিন্তু বর্তমানে কর্মরত ৫৩১ জন, পদ শূন্য ৬৮৩টি। চাহিদার অর্ধেকেরও কম জনবল থাকায় হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসা কার্যক্রম চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। সেবাপ্রার্থীদের বাধ্য...
২ ঘণ্টা আগেঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকার সংকট দেখা দিয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। নিরুপায় হয়ে কেউ কেউ চড়া দামে বাইরে থেকে কিনছেন, কেউ আবার টিকা না পাওয়ার ভুগছেন দুশ্চিন্তায়।
২ ঘণ্টা আগেঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস আজ শুক্রবার। পদ্মার উজানে ভারতের ফারাক্কা ব্যারাজ তৈরি করে পানি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে ১৯৭৬ সালের এই দিনে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের লক্ষাধিক মানুষ রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে জমায়েত হয়েছিলেন। এখান থেকেই সেদিন মরণ বাঁধ ফারাক্কা অভিমুখে...
২ ঘণ্টা আগে