Ajker Patrika

চাঁদাবাজির মামলায় এনসিপি নেতাসহ ৪ জন রিমান্ডে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি হাসপাতালে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাসহ চারজনকে দুই দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান রিমান্ডে নেওয়ার এ নির্দেশ দেন।

যাঁদের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন এনসিপির ঢাকা মহানগরীর মোহাম্মদপুর থানার যুগ্ম সমন্বয়কারী আব্দুর রহমান মানিক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোহাম্মদপুর থানার সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বি, তাঁদের সহযোগী হাবিবুর রহমান ফরহাদ ও মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান। মামলার অপর আসামি মো. শাহিন হোসেনকে তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজনে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন বলে নির্দেশে বলা হয়েছে।

তাঁদের মধ্যে রাব্বিকে এর আগে ‎ধানমন্ডি এলাকায় ‘মব’ তৈরি করে চাঁদা দাবি করার অভিযোগে আটক করে ধানমন্ডি মডেল থানায় নেওয়া হয়েছিল। সে সময় রাব্বিকে থানা থেকে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নেন এনসিপির নেতা হান্নান মাসউদ।

পাঁচজনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত চারজনের দুই দিন করে রিমান্ড ও একজনকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।

গতকাল সোমবার পাঁচজনকে আদালতে হাজির করে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. নাজমুল ইসলাম প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে রিমান্ড শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই মিজানুর রহমান চারজনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশের তথ্য নিশ্চিত করেন।

চাঁদাবাজির অভিযোগে সেইফ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক শিল্পী আক্তার গতকাল মোহাম্মদপুর থানায় এ মামলা করেন। মামলায় বলা হয়, অভিযুক্ত শাহিন ২০ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে মোহাম্মদপুরের সেইফ হাসপাতালে এসে তাঁর গর্ভবতী স্ত্রীর বাচ্চার অবস্থা খারাপ হওয়ায় প্রসবের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেন। কর্তৃপক্ষ তাঁকে অন্য হাসপাতালে যেতে বললেও তিনি ফের অনুরোধ করেন—যেভাবে হোক এখানে প্রসবের ব্যবস্থা করা হোক। তখন কর্তৃপক্ষ তাঁর কাছ থেকে সব কাগজপত্রে স্বাক্ষর নিয়ে প্রসবের কাজ শুরু করে এবং তা চলমান থাকা অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে একটি মৃত সন্তান প্রসব হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, শাহিন বাচ্চা মারা যাওয়ার কারণে মামলা না করার জন্য হাসপাতালের মালিকের ছেলে মো. আবু সাঈদের কাছে ২২ সেপ্টেম্বর বেলা ২টার দিকে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আসামিরা হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ও সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করে দেড় লাখ টাকার ক্ষতি করেন। একপর্যায়ে তাঁরা সাঈদকে তুলে নিয়ে হত্যার হুমকি দেন। ভয়ে আসামিদের ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দেন বাদী। তাঁরা চাঁদা নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান এবং অবশিষ্ট টাকা দ্রুত সময়ের মধ্যে দিতে বলেন। এরপর তাঁরা বিভিন্ন সময় ফোন করে টাকা দাবি ও অন্যথায় মামলার হুমকি দেন। সর্বশেষ গতকাল আসামিরা আরও এক লাখ টাকা নেন এবং বাকি টাকা দ্রুত দেওয়ার জন্য চাপ তৈরি করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গাজায় মার্কিন শান্তি প্রস্তাবে আরব-ইউরোপসহ সবাই একমত, কী আছে ট্রাম্পের ২০ দফায়

ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে হামলা, ছুরিকাঘাতে জামায়াত নেতা নিহত

গান গাওয়া ও শোনা নিষিদ্ধের দাবিও উঠবে

পুলিশের জালে জালিয়াতির মামলায় ফাঁসলেন ‘সম্পদের দেবী’, উদ্ধার ৬১ হাজার বিটকয়েন

এখন ভারতের অন্যতম বিশেষত্ব হলো ভুয়া খবর: ড. ইউনূস

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত