Ajker Patrika

ভোটের ফল ঘোষণার পর সংঘর্ষ, পুলিশের গুলিতে শিশুসহ আহত ৩ 

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ জুন ২০২২, ২১: ১৯
ভোটের ফল ঘোষণার পর সংঘর্ষ, পুলিশের গুলিতে শিশুসহ আহত ৩ 

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনের একটি ভোটকেন্দ্রে দুই ইউপি সদস্যপ্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ছোড়া শটগানের ছররা গুলিতে তিনজন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন বছরের এক শিশুও রয়েছে।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় গুলবিদ্ধ ওই তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রহিম উদ্দিন মালাই মৃধা কান্দি একতা যুব সংঘ কেন্দ্রে বিজয়ী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ও পরাজিত প্রার্থী মতিউর রহমান সিকদারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১২টি শটগানের গুলি ছোড়ে। এতে ইমরান হোসেন, রুবিনা আক্তার ও তাঁর তিন বছরের মেয়ে লামিছা গুলিবিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

জাজিরা থানা ও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, বুধবার জাজিরার ৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবগুলো ইউপিতে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হয়। বিকেল ৫টার দিকে বিলাশপুর ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড কেন্দ্রে সদস্য প্রার্থীদের ফলাফল বুঝিয়ে দেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শেখ দেলোয়ার হোসেন। বিজয়ী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থকেরা মিছিল করতে শুরু করলে পরাজিত প্রার্থী মতিউর রহমান সিকদারের সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা করেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। হামলাকারীরা ভোটকেন্দ্র ভাঙচুর করে নির্বাচন পরিচালনার কাজে নিয়োজিতদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় কয়েকটি ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা শটগানের গুলি ছোড়েন। পরে র‍্যাব, বিজিবিসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহেল অবরুদ্ধ কর্মকর্তাদের উদ্ধার করেন। 

রহিম উদ্দিন মালাই মৃধা কান্দি একতা যুব সংঘ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শেখ দেলোয়ার হেসেন বলেন, ‘সকল প্রার্থীর ফলাফল ঘোষণা করে আমরা রেজাল্ট সিট বুঝিয়ে দিচ্ছিলাম। এমন সময় পরাজিত প্রার্থী মতিউর রহমানের সমর্থকেরা হামলা করেন। তাঁদের হামলায় আমাদের কর্মকর্তারাও কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমাদের কিছু মালামাল খোয়া গেছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট র‍্যাব নিয়ে আমাদের উদ্ধার করেছেন।’ 

এ ঘটনায় জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ থামাতে ও নির্বাচনের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের নিরাপদ রাখতে পুলিশ ১২ রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়েছে। তাতে তিনজন আহত হওয়ার কথা শুনেছি। তাঁদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’ 

এ বিষয়ে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহেল বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর পরাজিত প্রার্থীর লোকজন কেন্দ্রে হামলা করেছে। কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। পুলিশের গুলিতে শিশুসহ তিন ব্যক্তি আহত হওয়ার ঘটনা দুঃখজনক। আমরা তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছি। ওই ঘটনায় মামলা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত