ঈদের পর থেকে দেশের একমাত্র বিশেষায়িত ক্যানসার প্রতিষ্ঠান ‘জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে’ বিকিরণ সেবা (রেডিয়েশন) বন্ধ আছে। হাসপাতালের ছয়টি মেশিনের মধ্যে চালু যেই একটি মেশিন দিয়ে সেবাদান চলছিল সেটিও ঈদের পর থেকে বন্ধ রয়েছে। ফলে বিপুলসংখ্যক ক্যানসার রোগী সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন।
হাসপাতালের রেডিয়েশন অনকোলোজি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এই প্রতিষ্ঠানের হাসপাতালের ৬টি মেশিনের মধ্যে দুটি কোবাল্ট এবং বাকি ৪টি লিনিয়ার এক্সিলারেটর মেশিন। এর মধ্য পাঁচটি মেশিন দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট পড়ে আছে। লিনিয়ার এক্সিলারেটর-১ ও ২ এবং কোবাল্ট-১ ও ২ মেরামত অযোগ্য ঘোষণা করা দেওয়া হয় ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। ৪ নম্বর লিনিয়ার এক্সিলারেটর মেশিনটিও প্রায় এক বছর ধরে নষ্ট।
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে একটি রেডিয়েশন মেশিন দিয়ে দৈনিক ১০০ থেকে ১১০ জন রোগীকে সেবা দেওয়া হতো। তবে ঈদের পর থেকে সেই সেবা বন্ধ রয়েছে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের প্রতিদিনই আশ্বাস দিয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, এই মেশিনটি ঠিক করতে দেড় কোটি টাকা প্রয়োজন। তবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় মেশিন আদৌও ঠিক হবে বলে মনে হয় না।
এ প্রসঙ্গে জানতে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নিজামুল হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মোবাইল ফোনে বন্ধ পাওয়া গেছে।
জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রেডিয়েশন অনকোলোজি বিভাগের চিকিৎসকেরা জানান, সবগুলো রেডিয়েশন যন্ত্র নষ্ট থাকায় এখানকার রোগীরা ভয়াবহ দুর্ভোগে পড়েছেন। সময়মতো রেডিও থেরাপি না পাওয়ায় তাদের মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে। এসব রোগীদের বেশির ভাগই দরিদ্র। তাদের পক্ষে বেসরকারি হাসপাতালের ব্যয়বহুল চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব নয়। এ ছাড়া ঢাকার অন্য কোনো সরকারি হাসপাতালেও এই সেবা নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক জানান, এক সময় প্রতিদিন প্রায় ৭০০ থেকে সাড়ে ৮০০ রোগীকে সেবা দেওয়া হতো। এখন সেখানে সেবা বন্ধ। অথচ প্রায় প্রত্যেক ক্যানসার রোগীর চিকিৎসার একপর্যায়ে রেডিও থেরাপির প্রয়োজন হয়। এখানে কোবাল্ট-৬০ মেশিনে একবার থেরাপি পেতে রোগী ব্যয় মাত্র ১০০ টাকা। অন্যদিকে লিনিয়ার মেশিনের থেরাপি পেতে দিতে হয় ২০০ টাকা। এ ছাড়া সরকারি হাসপাতালে রেডিয়েশন থেরাপির প্লানিং ফি ৫০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা।
অর্থাৎ একজন রোগীকে রেডিও থেরাপির একটি কোর্স সম্পন্ন করতে যদি ছয়বার থেরাপি নিতে হয়, তাহলে ব্যয় হবে সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৫০০ টাকা। অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতালে একই সেবা পেতে রোগীকে গুনতে হয় কমপক্ষে ৮৭ হাজার টাকা (কোবাল্ট মেশিনে থেরাপি নিতে)। প্রতি এক্সপোজার ২ হাজার ৫০০ টাকা করে। এর সঙ্গে প্লানিং বাবদ ২৫ হাজার টাকা। একই থেরাপি লিনিয়ার মেশিনে নিতে হলে রোগীকে গুনতে হবে এক লাখ ২২ হাজার টাকা। প্রতি এক্সপোজার ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে। সঙ্গে প্লানিং বাবদ আরও ৩৫ হাজার টাকা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. শেখ দাউদ আদনান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি রেডিয়েশন মেশিনের সার্ভিস ওয়ারেন্টির মেয়াদ এখনো আছে। মেশিন নষ্ট হলে ওই কোম্পানির দায়িত্ব সেটি ব্যবহার উপযোগী করা। কেন এখনো ঠিক হয়নি খোঁজ নিয়ে দেখব।’
ঈদের পর থেকে দেশের একমাত্র বিশেষায়িত ক্যানসার প্রতিষ্ঠান ‘জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে’ বিকিরণ সেবা (রেডিয়েশন) বন্ধ আছে। হাসপাতালের ছয়টি মেশিনের মধ্যে চালু যেই একটি মেশিন দিয়ে সেবাদান চলছিল সেটিও ঈদের পর থেকে বন্ধ রয়েছে। ফলে বিপুলসংখ্যক ক্যানসার রোগী সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন।
হাসপাতালের রেডিয়েশন অনকোলোজি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এই প্রতিষ্ঠানের হাসপাতালের ৬টি মেশিনের মধ্যে দুটি কোবাল্ট এবং বাকি ৪টি লিনিয়ার এক্সিলারেটর মেশিন। এর মধ্য পাঁচটি মেশিন দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট পড়ে আছে। লিনিয়ার এক্সিলারেটর-১ ও ২ এবং কোবাল্ট-১ ও ২ মেরামত অযোগ্য ঘোষণা করা দেওয়া হয় ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। ৪ নম্বর লিনিয়ার এক্সিলারেটর মেশিনটিও প্রায় এক বছর ধরে নষ্ট।
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে একটি রেডিয়েশন মেশিন দিয়ে দৈনিক ১০০ থেকে ১১০ জন রোগীকে সেবা দেওয়া হতো। তবে ঈদের পর থেকে সেই সেবা বন্ধ রয়েছে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের প্রতিদিনই আশ্বাস দিয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, এই মেশিনটি ঠিক করতে দেড় কোটি টাকা প্রয়োজন। তবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় মেশিন আদৌও ঠিক হবে বলে মনে হয় না।
এ প্রসঙ্গে জানতে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নিজামুল হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মোবাইল ফোনে বন্ধ পাওয়া গেছে।
জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রেডিয়েশন অনকোলোজি বিভাগের চিকিৎসকেরা জানান, সবগুলো রেডিয়েশন যন্ত্র নষ্ট থাকায় এখানকার রোগীরা ভয়াবহ দুর্ভোগে পড়েছেন। সময়মতো রেডিও থেরাপি না পাওয়ায় তাদের মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে। এসব রোগীদের বেশির ভাগই দরিদ্র। তাদের পক্ষে বেসরকারি হাসপাতালের ব্যয়বহুল চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব নয়। এ ছাড়া ঢাকার অন্য কোনো সরকারি হাসপাতালেও এই সেবা নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক জানান, এক সময় প্রতিদিন প্রায় ৭০০ থেকে সাড়ে ৮০০ রোগীকে সেবা দেওয়া হতো। এখন সেখানে সেবা বন্ধ। অথচ প্রায় প্রত্যেক ক্যানসার রোগীর চিকিৎসার একপর্যায়ে রেডিও থেরাপির প্রয়োজন হয়। এখানে কোবাল্ট-৬০ মেশিনে একবার থেরাপি পেতে রোগী ব্যয় মাত্র ১০০ টাকা। অন্যদিকে লিনিয়ার মেশিনের থেরাপি পেতে দিতে হয় ২০০ টাকা। এ ছাড়া সরকারি হাসপাতালে রেডিয়েশন থেরাপির প্লানিং ফি ৫০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা।
অর্থাৎ একজন রোগীকে রেডিও থেরাপির একটি কোর্স সম্পন্ন করতে যদি ছয়বার থেরাপি নিতে হয়, তাহলে ব্যয় হবে সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৫০০ টাকা। অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতালে একই সেবা পেতে রোগীকে গুনতে হয় কমপক্ষে ৮৭ হাজার টাকা (কোবাল্ট মেশিনে থেরাপি নিতে)। প্রতি এক্সপোজার ২ হাজার ৫০০ টাকা করে। এর সঙ্গে প্লানিং বাবদ ২৫ হাজার টাকা। একই থেরাপি লিনিয়ার মেশিনে নিতে হলে রোগীকে গুনতে হবে এক লাখ ২২ হাজার টাকা। প্রতি এক্সপোজার ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে। সঙ্গে প্লানিং বাবদ আরও ৩৫ হাজার টাকা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. শেখ দাউদ আদনান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি রেডিয়েশন মেশিনের সার্ভিস ওয়ারেন্টির মেয়াদ এখনো আছে। মেশিন নষ্ট হলে ওই কোম্পানির দায়িত্ব সেটি ব্যবহার উপযোগী করা। কেন এখনো ঠিক হয়নি খোঁজ নিয়ে দেখব।’
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, রাধানগর গ্রামের রাখাল চন্দ্র রায় নামে এক ব্যক্তি ১৯৭৩ সালে ৩৩ শতাংশ জমি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য দান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে তার নাতি অরূপ রায় ওই জমিতে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। অবশিষ্ট ৫৫ শতাংশ জমি সরকারি নথিতে খেলার মাঠ হিসেবে উল্লেখ করা আছে। ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়কর
৫ মিনিট আগেজানা যায়, জনদুর্ভোগ কমাতে গত ১৬ এপ্রিল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেতুর দুই পাশে দুটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়। এতে সেতুর ওপর সব ধরনের দোকানপাট ও যানবাহন রাখা নিষেধ বলে সতর্ক করা হয়। ২০১১ সালে নির্মিত এই নতুন সেতুতে যানজট এড়াতে একসময় ট্রাফিক পুলিশ রাখা হলেও কয়েক মাস পর তাদের তুলে নেওয়া হয়।
২১ মিনিট আগে২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে পর্যন্ত রফিকুল আলমকে বিএনপির কোনো কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। সেই সময় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নদভীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ও ব্যবসা ছিল। অভিযোগ আছে, গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি ওইসব নেতাদের সঙ্গে মিলে নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পুরানো জাহাজের সরঞ্জাম বিক্রির দুটি দোকান ও একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারের দোকানসহ মোট তিনটি দোকান পুড়ে গেছে। এ ছাড়া, মার্কেটের আরও কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মাদামবিবিরহাট চেয়ারম্যান
১ ঘণ্টা আগে