নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ির পথে ছুটছে মানুষ। ঈদ সামনে রেখে ছুটির প্রথম দিনে ঘরমুখী মানুষের ঢল নেমেছে রাজধানীর সদরঘাটে।
আজ শুক্রবার দুপুরের দিকে সদরঘাটে গিয়ে দেখা যায়, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের শতাধিক লঞ্চঘাটে সারি সারি লঞ্চ বাঁধা। একের পর এক যাত্রী বোঝাই করে ছেড়ে যাচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মানুষের ভিড়। প্রতিটি লঞ্চের কর্মীরা নিজদের রুটের যাত্রীদের ডাকছেন। লঞ্চ ঘাটে আসার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীরাও ছুটছেন। ফলে ৩০-৪০ মিনিটের মধ্যে লঞ্চ যাত্রীতে পরিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই অনেক লঞ্চ ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।
বরগুনা-আমতলী রুটে চলাচল করা এমভি তরঙ্গ ৭ লঞ্চে যাওয়ার জন্য রাজধানীর উত্তরা থেকে পরিবার নিয়ে এসেছেন কবির মিয়া। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাহরি খেয়ে বাসা থেকে বের হয়েছি। সকাল ৭টায় সদরঘাটে এসেও জায়গা পাইনি। অনেক কষ্টে লঞ্চের তৃতীয় তলার পেছনে বসতে পেরেছি। বৃষ্টি হলে ভেজা ছাড়া উপায় নেই।’
এমভি কর্ণফুলী ১২ লঞ্চে ভোলার চরফ্যাশনে যাবেন রোকেয়া খানম। বলেন, ‘সকালে এসেও বসার জায়গা পাইনি। অনেকে এসে কাপড় বিছিয়ে জায়গা ধরে রেখেছে। ছয় ঘণ্টা আগে এসেও বসার মতো জায়গা পাওয়া যায় না।’
এদিকে লঞ্চে জায়গা না পেয়ে পরবর্তী লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করছেন বরিশাল-পয়সারহাটের যাত্রী ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, ‘সকালে এসেও লঞ্চে জায়গা পেলাম না। তাই টার্মিনালে অপেক্ষা করছি পরবর্তী লঞ্চ পূবালী ৯-এ ওঠার জন্য ৷ পাঁচ ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি। লঞ্চ ঘাটে ভিড়লে আমরা বসতে পারব।’
ছুটির প্রথম দিনে যাত্রীর চাপ বাড়লেও লঞ্চের সংকট হবে না জানিয়ে বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক (বন্দর) আলমগীর কবির বলেন, ‘ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় যাত্রীর চাপ আছে। তবে আমাদের যাত্রী অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন রুটে ১৫০টিরও বেশি লঞ্চ প্রস্তুত আছে। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ৪০টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। এ ছাড়া সকাল থেকে যাত্রীদের পৌঁছে দিয়ে ৭০টির মতো লঞ্চ ফেরত এসেছে। এগুলোও যাত্রী নিয়ে আবারও ঘাট ছেড়ে যাবে।’
বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে জানিয়ে আলমগীর কবির বলেন, ‘প্রতিটি লঞ্চে আমরা মনিটর করছি। নৌ পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি আমাদের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন পয়েন্টে বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছেন।’
সদরঘাট নৌ পুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়ুম আলী সরদার বলেন, ‘আমরা প্রতিটি লঞ্চে নজর রাখছি। ঝুঁকি নিয়ে যেন কেউ লঞ্চে ওঠার চেষ্টা না করে সেদিকে নজর রাখছি। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, সে জন্য আমরা কাজ করছি। কেউ যেন লঞ্চের পেছনের দিক দিয়ে উঠতে না পারে তাও দেখছি। অনেকেই ছোট নৌকায় করে লঞ্চে ওঠার চেষ্টা করেন। কিন্তু যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবসেও অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন। দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে গতকাল ১১০টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে।
স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ির পথে ছুটছে মানুষ। ঈদ সামনে রেখে ছুটির প্রথম দিনে ঘরমুখী মানুষের ঢল নেমেছে রাজধানীর সদরঘাটে।
আজ শুক্রবার দুপুরের দিকে সদরঘাটে গিয়ে দেখা যায়, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের শতাধিক লঞ্চঘাটে সারি সারি লঞ্চ বাঁধা। একের পর এক যাত্রী বোঝাই করে ছেড়ে যাচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মানুষের ভিড়। প্রতিটি লঞ্চের কর্মীরা নিজদের রুটের যাত্রীদের ডাকছেন। লঞ্চ ঘাটে আসার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীরাও ছুটছেন। ফলে ৩০-৪০ মিনিটের মধ্যে লঞ্চ যাত্রীতে পরিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই অনেক লঞ্চ ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।
বরগুনা-আমতলী রুটে চলাচল করা এমভি তরঙ্গ ৭ লঞ্চে যাওয়ার জন্য রাজধানীর উত্তরা থেকে পরিবার নিয়ে এসেছেন কবির মিয়া। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাহরি খেয়ে বাসা থেকে বের হয়েছি। সকাল ৭টায় সদরঘাটে এসেও জায়গা পাইনি। অনেক কষ্টে লঞ্চের তৃতীয় তলার পেছনে বসতে পেরেছি। বৃষ্টি হলে ভেজা ছাড়া উপায় নেই।’
এমভি কর্ণফুলী ১২ লঞ্চে ভোলার চরফ্যাশনে যাবেন রোকেয়া খানম। বলেন, ‘সকালে এসেও বসার জায়গা পাইনি। অনেকে এসে কাপড় বিছিয়ে জায়গা ধরে রেখেছে। ছয় ঘণ্টা আগে এসেও বসার মতো জায়গা পাওয়া যায় না।’
এদিকে লঞ্চে জায়গা না পেয়ে পরবর্তী লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করছেন বরিশাল-পয়সারহাটের যাত্রী ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, ‘সকালে এসেও লঞ্চে জায়গা পেলাম না। তাই টার্মিনালে অপেক্ষা করছি পরবর্তী লঞ্চ পূবালী ৯-এ ওঠার জন্য ৷ পাঁচ ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি। লঞ্চ ঘাটে ভিড়লে আমরা বসতে পারব।’
ছুটির প্রথম দিনে যাত্রীর চাপ বাড়লেও লঞ্চের সংকট হবে না জানিয়ে বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক (বন্দর) আলমগীর কবির বলেন, ‘ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় যাত্রীর চাপ আছে। তবে আমাদের যাত্রী অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন রুটে ১৫০টিরও বেশি লঞ্চ প্রস্তুত আছে। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ৪০টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। এ ছাড়া সকাল থেকে যাত্রীদের পৌঁছে দিয়ে ৭০টির মতো লঞ্চ ফেরত এসেছে। এগুলোও যাত্রী নিয়ে আবারও ঘাট ছেড়ে যাবে।’
বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে জানিয়ে আলমগীর কবির বলেন, ‘প্রতিটি লঞ্চে আমরা মনিটর করছি। নৌ পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি আমাদের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন পয়েন্টে বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছেন।’
সদরঘাট নৌ পুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়ুম আলী সরদার বলেন, ‘আমরা প্রতিটি লঞ্চে নজর রাখছি। ঝুঁকি নিয়ে যেন কেউ লঞ্চে ওঠার চেষ্টা না করে সেদিকে নজর রাখছি। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, সে জন্য আমরা কাজ করছি। কেউ যেন লঞ্চের পেছনের দিক দিয়ে উঠতে না পারে তাও দেখছি। অনেকেই ছোট নৌকায় করে লঞ্চে ওঠার চেষ্টা করেন। কিন্তু যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবসেও অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন। দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে গতকাল ১১০টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে।
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
১ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
২ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২ ঘণ্টা আগে