Ajker Patrika

‘আমি মরে গিয়ে যদি মেয়েটা বেঁচে থাকত’

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৩, ২০: ২৮
‘আমি মরে গিয়ে যদি মেয়েটা বেঁচে থাকত’

গোপালগঞ্জ সদরের পাঁচুরিয়া এলাকার মো. মাসুদ মিয়া একটি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কর্মরত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ে সুইটি আক্তারকে পৌঁছে দিতে ঢাকা যাচ্ছিলেন তিনি। দুপুর পর্যন্ত তিনি জানতেন না তাঁর মেয়ে আর বেঁচে নেই। দুপুরে হাসপাতালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। বারবার প্রশ্ন করছিলেন, ‘ভাই, আমার মেয়েটি বেঁচে আছে তো? কোথায় সুইটি? নাকি মারা গেছে?’

মাসুদ মিয়ার পরিবারের সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুইটি আক্তার। বাবার সঙ্গে ঢাকা যাচ্ছিলেন তিনি। আজ রোববার সকালে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা মো. মাসুদ মিয়া বেঁচে গেলেও মারা যান সুইটি। আহতাবস্থায় মো. মাসুদ মিয়াকে শিবচরের পাঁচ্চর এলাকার ইসলামিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মাসুদ মিয়া মেয়েকে নিয়ে আজ সকালে গোপালগঞ্জ থেকে উঠেছিলেন ইমাদ পরিবহনের বাসটিতে। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন তাঁর।

মেয়ে আর বেঁচে নেই জানার পর মাসুদ মিয়া আহাজারি করতে করতে বলেন, ‘আমি মরে গিয়ে যদি মেয়েটা বেঁচে থাকত!’

খুলনা থেকে ছেড়ে আসা বাসটি বাগেরহাট, গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে যাত্রী তুলে ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছিল। বেপরোয়া গতিতে বাসটি শিবচরের কুতুবপুর এলাকার এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ছিটকে নিচে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যায় বাসের ১৪ যাত্রী। শিবচর হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায় আরও তিনজন। ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পর মারা যায় আরও দুজন।

আরও খবর পড়ুন:

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা–ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষকেরা পাচ্ছেন গেজেটেড মর্যাদা

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে আরেকটি প্রক্সি ওয়ারে জড়াতে চায়: ফরহাদ মজহার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত