Ajker Patrika

ফরিদপুরে নবজাতকের কপাল কাটা: ১ কোটি টাকা চেয়ে আদালতে মামলা

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরে নবজাতকের কপাল কাটা: ১ কোটি টাকা চেয়ে আদালতে মামলা

ফরিদপুরে নবজাতকের কপাল কাটার ঘটনায় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবিতে আদালতে মামলা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। আজ বুধবার দুপুরের দিকে ফরিদপুরের আদালতে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়। 
 
নবজাতকের বাবা মো. শফি খান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা সবাই ফরিদপুরের আল-মদিনা প্রাইভেট হাসপাতালের সঙ্গে জড়িত। 
 
মামলার আসামিরা হলেন, মো. জাকারিয়া মোল্লা পলাশ, মো. আল হেলাল মোল্লা টগর, মো. গোলাম কিবরিয়া রাসেল, রহিমা রহমান, মো. আরিফুজ্জামান সবুজ ও হাসপাতালটির আয়া চায়না আক্তার। 
 
নবজাতকের বাবা শফি খান আরও বলেন, আমার প্রথম সন্তান নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। যে স্বপ্নটা ওরা নষ্ট করে দিয়েছে। আমি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। 
 
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মানিক মজুমদার বলেন, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে আল-মদিনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমার মক্কেলের ক্ষতি করেছে। কারণ, হাসপাতালটিতে উন্নত চিকিৎসার কথা বলে তাঁদের সেখানে নেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে কোনো প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, নার্স কিংবা আয়া ছিল না। আমার মক্কেল ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলাটি করেছেন। তারা আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চেয়েছেন। 
 
প্রসঙ্গত, ফরিদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত আল-মদিনা প্রাইভেট হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এ হাসপাতালটি স্থাপিত হয় ২০০৭ সালে। ২০১৫ সাল থেকে এ হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি।
 
উল্লেখ্য, গত ১৫ জানুয়ারি সকালে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দক্ষিণ ময়েজউদ্দিন মণ্ডলপাড়া গ্রামের শফিক খানের স্ত্রী রুপা বেগমকে (২০) সন্তান প্রসবের জন্য ওই হাসপাতালে আনা হয়। সন্তান প্রসবকালে ওই হাসপাতালের নার্স দাবি করা আয়া চায়না বেগম সিজার করলে, নবজাতকের কপালের বাম ভ্রুর ওপরে কিছু অংশ কেটে যায়। পরে নয়টি সেলাই দেওয়া হয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিনই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত