Ajker Patrika

চত্রা নদীর ভাঙনে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন ৭ গ্রামের মানুষ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২২, ১৬: ৩৩
চত্রা নদীর ভাঙনে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন ৭ গ্রামের মানুষ

চত্রা নদীর পাড় ঘেঁষে তৈরি নারুয়া বাজার-বাকসাডাঙ্গি সড়কটি ভেঙে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত সাড়ে ৯ ফুট চওড়া এই সড়কের কোথাও দেড় ফুট আবার কোথাও কোনো চিহ্নই নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরিকল্পিত খননের কারণেই সড়কটির এ অবস্থা হয়েছে। ফলে তাঁদের প্রতিনিয়তই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। 

বালিয়াকান্দি পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জানা গেছে, পানি নিষ্কাশনের লক্ষ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ‘৬৪ জেলার অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্প (১ম পর্যায়) ’-এর আওতায় বালিয়াকান্দি উপজেলার চত্রা নদীর সাত কিলোমিটার এলাকা পুনঃখনন করা হয়। ৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নুনা ট্রেডার্স কাজটি সম্পন্ন করে। চত্রা নদী জেলার পাংশা উপজেলার সিরাজপুর হাওর থেকে উৎপত্তি হয়ে বালিয়াকান্দির গড়াই নদীতে মিশেছে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চত্রা নদীর উত্তর পাশে বালিয়াকান্দি-নারুয়া-মৃগী সড়ক। দক্ষিণ পাশে নারুয়া বাজার-বাকসাডাঙ্গি সড়ক। স্থানীয়রা জানান, নারুয়া ইউনিয়নের বড় ঘি-কমলা, ঘি-কমলা, চষাবিলা, কালুখালীর সাওরাইল, পূর্ব বাকসাডাঙ্গিসহ সাতটি গ্রামের মানুষ এই রাস্তায় চলাচল করে। এসব গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ কৃষিজীবী, যাদের প্রতিদিনই কৃষিপণ্য নিয়ে বিভিন্ন হাট-বাজারে যেতে হয়। সাড়ে ৯ ফুট চওড়া সড়কটি ভেঙে কোথাও দেড় ফুট, আবার কোথাও তার চেয়েও কম অংশের দেখা মেলে, যেখান দিয়ে একটি বাইসাইকেলও যাওয়া সম্ভব নয়। তবু অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে কয়েকটি মোটরসাইকেল পার হতে দেখা গেছে। উপজেলা এলজিইডির তত্ত্বাবধানে নির্মিত সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় এসব এলাকার মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। রাস্তার পাশে থাকা অন্তত ২০০ বসতঘর রয়েছে ঝুঁকির মুখে। এদিকে চত্রা নদীর উত্তর পাড়ের সঙ্গে দক্ষিণ পাড়ের যোগাযোগ স্থাপন করেছে একটি সেতু। নদী খননের কারণে সেতুর দুই দিকের মাটি ধসে যাওয়ায় ২০১৮ সালে নির্মিত সেতুটিও হুমকির মুখে। 

চর ঘি-কমলা গ্রামের বাসিন্দা আলেয়া বেগম জানান, তাঁদের জীবন-জীবিকার একমাত্র অবলম্বন নদীর পাড়ের একটি দোকান। একসময় তাঁদের দোকানটি আরও সামনে ছিল। বাঁশঝাড়, আমগাছও ছিল। নদী খননের পর নদীর পাড় ভাঙতে শুরু করে। ভাঙনে তাঁদের জমির অনেকাংশই ভেঙে চলে যায়। পরে পুনরায় রাস্তা করা হলেও তা ভেঙে যায়। এখন যে অবস্থা, তাতে যেকোনো সময় তাঁদের একমাত্র সম্বল দোকানটিও বিলীন হয়ে যেতে পারে। 

স্থানীয় বাসিন্দা সালাম মণ্ডল, মোসলেম মণ্ডল, রাসেল মিয়াসহ অনেকেই জানান, অপরিকল্পিতভাবে নদী খননের কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। খননের সময় নদীর মাটি কেটে পাড়ে রাখার কথা থাকলেও তা রাখা হয়নি। ওই সময় যারা বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেছিল তাদের বলা হয়েছে—এটি সরকারি মাটি, সরকার নিয়ে যাবে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড বালিয়াকান্দি শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান জানান, পানি নিষ্কাশনের লক্ষ্যে তাঁদের নির্দিষ্ট ডিজাইনে চত্রা নদী খনন করা হয়েছে। কিন্তু সেখানকার মাটির কন্ডিশন খারাপ হওয়ায় নদীর পাড় ও রাস্তা ভেঙে গেছে। নদীর পাড়ে সব বেলেমাটি। খাল খননের সময় মাটি পরীক্ষা করা হয় না। স্থানীয়রা অপরিকল্পিত খননের যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয়। 

অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘খননের মাটি নদীর দুই পাড়েই রাখা হয়েছিল। রাস্তা ব্লক হয়ে যাওয়ার কারণে স্থানীয়ভাবে মাটি সরানো হয়েছে। আমাদের রাজস্ব জমা নিয়ে কিছু মাটি সরাতে হয়েছিল।’ 

বালিয়াকান্দি এলজিইডির প্রকৌশলী বাদশা আলমগীর বলেন, ‘রাস্তাটি ভেঙে কোথাও দুই ফুট আবার কোথাও দুই ফুটেরও কম অবস্থায় এসে ঠেকেছে। আমরা ভাঙনকবলিত স্থান পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সভায় উত্থাপন করেছি। রাস্তাটি কত ফুট চওড়া ছিল, এখন কী অবস্থায় আছে তা জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট পাঠিয়েছি। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় পুলিশ কনস্টেবল থেকে খোয়া গেছে ১০ রাউন্ড গুলি

বগুড়া প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে।

গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।

বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বগুড়া সদর থানা-পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গতকাল দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত থানা পাহারার (সেন্ট্রি) দায়িত্বে ছিলেন কনস্টেবল অসিত কুমার। রাত আড়াইটার দিকে তিনি থানা থেকে বের হয়ে সাতমাথায় চা পান করতে যান। এ সময় তাঁর কাছে থাকা শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যায়।

ভোররাত ৪টায় কনস্টেবল নুরুজ্জামান দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় অসিত কুমার ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যাওয়ার ঘটনাটি প্রকাশ করেন। আজ সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও খোয়া যাওয়া গুলির হদিস পাওয়া যায়নি।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার হোসেন বলেন, সদর থানা থেকে খোয়া যাওয়া গুলি এখনো পাওয়া যায়নি। সদর থানা থেকে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জামায়াত প্রার্থীর সভায় পুলিশ কর্মকর্তার গান, ভিডিও ভাইরাল

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় জামায়াত প্রার্থীর সভায় পুলিশ কর্মকর্তা। ছবি: সংগৃহীত
সাতক্ষীরায় জামায়াত প্রার্থীর সভায় পুলিশ কর্মকর্তা। ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থীর সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

অভিযুক্ত মো. মহিবুল্লাহ পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক এএসআই, সশস্ত্র)। তিনি বাগেরহাট পুলিশ লাইনসে কর্মরত। এর আগে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে ছিলেন তিনি।

তিন মিনিট ১১ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, সাতক্ষীরা–২ (সদর-দেবহাটা) আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের একটি নির্বাচনী পথসভায় পুলিশের পোশাক পরিহিত মো. মহিবুল্লাহ গান পরিবেশন করেন। মাঝে মাঝে নারায়ে তাকবির স্লোগান দিয়ে দর্শকদের উজ্জীবিত করেন।

সূত্রে জানা গেছে, পথসভাটি ৭ ডিসেম্বরের। সাতক্ষীরা শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাটিয়া আমতলা মোড়ে ওই পথসভা হয়। সভায় ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের আমির মো. জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। সভার মাঝপথে মো. মহিবুল্লাহ এই গান পরিবেশন করেন।

আরও জানা গেছে, পুলিশের ওই এএসআই সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে কর্মরত থাকাকালে আগরদাড়ির একটি মাহফিলে ইসলামি গান পরিবেশন করেছিলেন। তাঁর সংগীতে মুগ্ধ হয়ে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক তাঁকে পুরস্কৃত করেন। বাগেরহাটে বদলি হয়ে গেলেও তিনি খোঁজ নিয়ে ওই পথসভায় আসেন।

জানতে চাইলে এএসআই মো. মহিবুল্লাহ বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দিইনি। মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক আমাকে পুরস্কৃত করেছিলেন, সে কারণে আমি ইসলামি একটি সংগীত পরিবেশন করেছি’ বলেই লাইনটি কেটে দেন। পরে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের সেক্রেটারি খোরশেদ আলম বলেন, ‘পুলিশের পোশাক পরা ওই ব্যক্তি স্টেজে উঠে সংগীত পরিবেশন করতে চান। আমরা নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি সংগীত পরিবেশন করেছেন।’

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খাঁন জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বর্তমানে সাতক্ষীরায় কর্মরত নন। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের পোশাক পরে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। এমন কিছু ঘটে থাকলে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা, কৌশলে পালিয়ে রক্ষা

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের চেষ্টাকালে ওই গৃহবধূ কৌশলে পালিয়ে রক্ষা পান। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ গতকাল রাতে আজাহার মিয়া (৪২) ও রাজিব মিয়া (৩৫) নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক রয়েছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।

মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন। এরপর শিশুকে জিম্মি ও স্বামীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই দুই ব্যক্তি ধর্ষণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে কৌশলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি।’

এলাকার একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা এভাবেই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। সন্ধ্যার পর মদ পান করে এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ড চালান।

বাড়ির মালিক বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করে আসছে। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমার বাসার ভাড়াটের সঙ্গে যা হয়েছে, তা শতভাগ সত্য।’

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক নারী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য চালককে হত্যা

সিলেট প্রতিনিধি
শিপন আহমদ। ছবি: সংগৃহীত
শিপন আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি। শিপনের স্বজন ও পুলিশের ধারণা, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য তাঁকে হত্যা করা হয়।

শিপন আহমদ উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের রাইকধারা (গাংপাড়) গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে। তাঁর একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।

পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে ভাড়ায় চালিত রেজিস্ট্রেশনবিহীন (পরীক্ষামূলক) সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হলে আর বাড়িতে ফেরেননি শিপন। রাত গভীর হলেও শিপনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

আজ সকাল ৯টার দিকে ওসমানী নগরের সাদীপুর ইউনিয়নের বেগমপুর-চাতলপাড় রাস্তার পাশে কেশবখালী নদীর পাড়ে শিপনের লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁর লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

ওসমানী নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদুল আলম ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, চালক শিপনকে হত্যা করে তাঁর অটোরিকশাটি নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় পুলিশ অটোরিকশাটি উদ্ধার ও জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা করছে। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত