Ajker Patrika

ঢাকার নবাবগঞ্জে কাল আজহারীর মাহফিল, ৮ মাঠে বিশাল প্রস্তুতি

মিজানুর রহমান আজহারী। ছবি: সংগৃহীত
মিজানুর রহমান আজহারী। ছবি: সংগৃহীত

বিভাগভিত্তিক মাহফিলের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকার নবাবগঞ্জে মাহফিল করবেন জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী। আজ শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওই স্ট্যাটাসে মিজানুর রহমান আজহারী লিখেছেন, ‘ঢাকা বিভাগের বন্ধুরা, ইনশা আল্লাহ আগামীকাল থাকছি—ঢাকার নবাবগঞ্জে, বারুয়াখালী তাফসির মাহফিল ময়দানে। বারুয়াখালী মাহফিল পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে। আসুন, দেখা হবে, কথা হবে।’

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো মাহফিল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. শাহজাহান শিকদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার বারুয়াখালী গ্রামে ৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে তাফসিরুল কোরআন মাহফিল। মাহফিলে প্রধান বক্তা থাকবেন জনপ্রিয় ইসলামি স্কলার ও গবেষক মিজানুর রহমান আজহারী।

মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক। দোহার-নবাবগঞ্জসহ ঢাকা ও মানিকগঞ্জের বরেণ্য ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সাইমুমসহ বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্যরা সংগীত পরিবেশন করবেন। আয়োজকদের ধারণা, মাহফিলে ১৫ লাখ মানুষের সমাগম হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মাহফিলকে ঘিরে চলছে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। এক হাজার একর কৃষিজমির বিশাল বিলকে মাহফিলের ময়দান বানানো হয়েছে। শেষ হয়েছে মঞ্চ, হেলিপ্যাড ও মূল প্যান্ডেল তৈরির কাজ। অজুখানা ও টয়লেট নির্মাণের কাজ চলছে। মূল প্যান্ডেল ছাড়াও নারী শ্রোতাদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন স্থানে সাতটি মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে। পাশাপাশি গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ১২টি মাঠ নির্ধারণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠান সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে ৩০টি এলইডি মনিটর থাকবে। দূরদূরান্ত থেকে আসা মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে রাখা হয়েছে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প। ছয়টি অ্যাম্বুলেন্স থাকবে রোগী পরিবহনের জন্য। মোবাইল নেটওয়ার্ক ঠিক রাখতে বসানো হয়েছে ভ্রাম্যমাণ মোবাইল টাওয়ার।

ঐতিহাসিক এ মাহফিলকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিতে নিয়োজিত থাকবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য। ৩০টি পয়েন্টে গাড়ি কন্ট্রোল করতে নিয়োজিত থাকবে ট্রাফিক পুলিশ। অগ্নিনিরাপত্তার জন্য ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট নিয়োজিত থাকবে। নিরাপত্তা রক্ষায় সেনাবাহিনী এবং আনসার সদস্যদেরও উপস্থিত থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক মাহফিলকে সফল করতে কাজ করবেন। নারী শ্রোতাদের প্যান্ডেলে থাকবেন নারী পুলিশ সদস্য। এলাকার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এ মাহফিল সফল করতে কাজ করে যাচ্ছেন।

মাহফিলের পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত
মাহফিলের পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারের পেকুয়ায় মাহফিল দিয়ে মিজানুর রহমান আজহারী তাঁর বিভাগভিত্তিক মাহফিল শুরু করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে প্রতিটি বিভাগের বিভিন্ন শহরে মাহফিল করেন। যশোর, লালমনিরহাট, সিলেট, পটুয়াখালী ও চট্টগ্রামের প্যারেড গ্রাউন্ডে বক্তব্য দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফরিদপুরে মহাসড়কে আ.লীগের অবরোধ, শিশুদের হাতেও দেওয়া হয়েছে অস্ত্র

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ভাঙ্গা উপজেলার শুয়াদি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করা হয়। এ সময় শিশুদের হাতে লাঠিসোঁটা ও রামদা দেখা যায়। ছবি: সংগৃহীত
ভাঙ্গা উপজেলার শুয়াদি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করা হয়। এ সময় শিশুদের হাতে লাঠিসোঁটা ও রামদা দেখা যায়। ছবি: সংগৃহীত

কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুরে দেশীয় অস্ত্র হাতে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। অবরোধ চলাকালে শিশুদেরও দেশীয় অস্ত্র রামদাসহ লাঠিসোঁটা হাতে সড়কে অবস্থান করতে দেখা যায়।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের শুয়াদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই অবরোধ করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত ছিল।

জেলা যুবলীগ নেতা দেবাশীষ নয়নকে তাঁর ফেসবুকে লাইভ করতে দেখা যায়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওই লাইভ ভিডিওতে দেখা যায়, মহাসড়কটির ওপর গাছের গুঁড়ি ফেলে রেখে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন। এতে শতাধিক স্থানীয় নেতা-কর্মী দেশীয় অস্ত্র রামদা, ঢাল-সরকি হাতে মহাসড়কে অবস্থান করছেন। এ সময় নারীদের পাশাপাশি অন্ততপক্ষে ১০ জন শিশু হেলমেট মাথায় ও লাঠিসোঁটা হাতে সড়কে অবস্থান করে, তাঁদের মধ্যে একটি শিশুর হাতে রামদা নিয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায়।

এ সময়ে ঢাকামুখী যানবাহনসহ সড়কের দুই পাশে বেশ কিছু গাড়ি আটকা পড়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা থেকে গোপালগঞ্জমুখী ওই এলাকা আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত। লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণার আগে থেকে ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকার নেতা-কর্মীরা ওই এলাকায় অবস্থান করেন। ভোর থেকে কয়েকজন নেতা-কর্মী লকডাউনের সমর্থনে সড়কে অবস্থান নেন এবং পরে অন্যরা যোগ দিয়ে পুরো রাস্তা অবরোধ করেন। এতে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সকাল সোয়া ৯টার দিকে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফ হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলে তিনি কেটে দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মোবাইলে কল দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা: ১৭ হাজার পুলিশ মোতায়েন, মোড়ে মোড়ে তল্লাশিচৌকি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, সরকারি স্থাপনা ও প্রবেশপথে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে বিজিবির সাঁজোয়া যান অবস্থান নিয়েছে। শাহবাগ, ফার্মগেট, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, মহাখালী, গাবতলী, মিরপুরসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও সেনাসদস্যদের সতর্ক টহল অব্যাহত রয়েছে।

ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রায়ের তারিখ ঘোষণা ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগের পাল্টা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের নাশকতা বা সহিংসতা প্রতিরোধে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এজন্য রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ১৭ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁদের সহায়তায় সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং পুলিশের বিশেষ ইউনিটের সদস্যরাও মাঠে রয়েছেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার রাত থেকেই রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে ঢাকায় প্রবেশপথগুলোয় তল্লাশি কার্যক্রম শুরু হয়। গাবতলী, যাত্রাবাড়ী, মহাখালী, সাইনবোর্ড ও আব্দুল্লাহপুরে স্থাপন করা হয় বিশেষ চেকপোস্ট। সেখানে গণপরিবহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হয়। পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, গেস্ট হাউস ও মেসে অভিযান চালিয়ে রাতভর তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার সকালেও সেই কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সকাল ৭টার পর থেকে হাইকোর্ট এলাকায় আসার পথে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। বিমানবন্দরে প্রবেশ করা গাড়িগুলোতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। শুধুমাত্র বিমানযাত্রীদেরই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তবে অন্যদের গাড়ি থেকে নামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সকালে ঢাকার সড়কে যান চলাচল ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা কম। তবু প্রয়োজনীয় যানবাহন ও কর্মস্থলগামী মানুষ চলাফেরা করছিলেন। বাংলামোটর মোড়, শাহবাগ, ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজারে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের যৌথ টহল চোখে পড়ে। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে পুলিশ চেকপোস্ট স্থাপন করেছে।

প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’ অভিমুখে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে; সেই পথে যেতে চাওয়া গাড়িগুলোকে শাহবাগের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রামপুরায় বিটিভি ভবন ও সবুজবাগ এলাকায়ও চেকপোস্ট কার্যক্রম চলছে।

অন্যদিকে, রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে সীমিত আকারে দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে। অনেক পরিবহন মালিক নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। সায়েদাবাদ ও গাবতলী টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, যাত্রীরা গন্তব্যে যাওয়ার বাসের অপেক্ষায় দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থান করছেন।

পরিবহন মালিক ও শ্রমিকেরা জানান, সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকায় বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর তাঁরা আতঙ্কিত। এক পরিবহনমালিক বলেন, ‘এত টাকার গাড়ি রাস্তায় নামিয়ে যদি পুড়িয়ে দেয়, আমরা নিঃস্ব হয়ে যাব। তাছাড়া গাড়িতে যাত্রী থাকলে ক্ষয়ক্ষতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। তাই সকাল থেকে অনেকেই গাড়ি চালাচ্ছেন না; পরিস্থিতি বুঝে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) মুখপাত্র তালেবুর রহমান বলেন, রাজধানীতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। প্রতিটি এলাকা, প্রবেশপথ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আমাদের সদস্যরা প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছেন। তিনি আরও জানান, যে কোনো গুজব বা উসকানিমূলক কার্যক্রম কঠোরভাবে দমন করা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং জনগণকে সহযোগিতামূলক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ছবিতে সকালে ঢাকার রাস্তার পরিস্থিতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির প্রভাবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকায় গণপরিবহনের সংখ্যা রয়েছে কম। ছবি: আজকের পত্রিকা
‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির প্রভাবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকায় গণপরিবহনের সংখ্যা রয়েছে কম। ছবি: আজকের পত্রিকা

কার্যক্রম নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ঘোষিত ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির প্রভাবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকায় গণপরিবহনের সংখ্যা কম দেখা গেছে। সকাল থেকে ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন সড়কে বাসের সংখ্যা ছিল স্বাভাবিক সময়ের অর্ধেকেরও কম। এতে অফিসগামী সাধারণ যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।

‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির প্রভাবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকায় গণপরিবহনের সংখ্যা রয়েছে কম। ছবি: আজকের পত্রিকা
‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির প্রভাবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকায় গণপরিবহনের সংখ্যা রয়েছে কম। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে দেখা গেছে—বাস স্টপেজে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের। নির্ধারিত গন্তব্যের পর্যাপ্ত গাড়ি পাচ্ছেন না, ফলে অনেকেই বাধ্য হয়ে বিকল্প পরিবহন হিসেবে ব্যাটারিচালিত রিকশা, মোটরসাইকেল বা সিএনজিচালিত অটোরিকশা ব্যবহার করেন। এতে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাঁদের।

‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির প্রভাবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকায় গণপরিবহনের সংখ্যা রয়েছে কম। ছবি: আজকের পত্রিকা
‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির প্রভাবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকায় গণপরিবহনের সংখ্যা রয়েছে কম। ছবি: আজকের পত্রিকা

কর্মজীবী নারী সাদিয়া রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল ৯টায় অফিসের উদ্দেশে বের হয়েছি, কিন্তু বাস পাচ্ছিলাম না। প্রায় ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে শেষে রিকশায় উঠতে হয়েছে। সাধারণত ৫০ টাকা ভাড়ায় যাই, আজ দিতে হলো ১০০ টাকা।’

‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির প্রভাবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকায় গণপরিবহনের সংখ্যা রয়েছে কম। ছবি: আজকের পত্রিকা
‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির প্রভাবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকায় গণপরিবহনের সংখ্যা রয়েছে কম। ছবি: আজকের পত্রিকা

মতিঝিলগামী যাত্রী শাহিনুর ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজকে বাস খুব কম। যে দু-একটা আসে, তাতেও জায়গা পাওয়া যায় না। সবাই ঠেলাঠেলি করছে, কেউ কেউ রাস্তায় ঝুলে যাচ্ছে। তা ছাড়া হঠাৎ বাসে আগুন দেওয়া হচ্ছে। এতে বাসে চড়াও বেশ ঝুঁকি। যত ভোগান্তি আমাদের মতো সাধারণ নাগরিকদের।’

‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির প্রভাবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকায় গণপরিবহনের সংখ্যা রয়েছে কম। ছবি: আজকের পত্রিকা
‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির প্রভাবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকায় গণপরিবহনের সংখ্যা রয়েছে কম। ছবি: আজকের পত্রিকা

যাত্রাবাড়ী-টঙ্গী রুটে চলা তুরাগ পরিবহনের চালক মো. বিল্লাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পেটের দায়ে ঝুঁকি নিয়ে বাস নিয়ে বের হয়েছি। বাস না চালানোর কোনো নির্দেশনা আমাদের নেই। অনেক বাস পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেই আতঙ্কে অনেক মালিক গাড়ি বের করছেন না। যার ফলে সড়কে গণপরিবহন কিছুটা কম।’

‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির প্রভাবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকায় গণপরিবহনের সংখ্যা রয়েছে কম। ছবি: আজকের পত্রিকা
‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির প্রভাবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকায় গণপরিবহনের সংখ্যা রয়েছে কম। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা থেকে দূরপাল্লার পরিবহন চলাচল করছে। তবে বাস তুলনামূলক কম চলছে। এর সঙ্গে দূরপাল্লার রুটে রয়েছে কিছুটা যাত্রী সংকট। মালিকেরা অবস্থা বুঝে দু-একটি করে গাড়ি বিভিন্ন রুটে ছাড়ছেন।

এদিকে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস হিসেবে আজ রাজধানীতে মানুষের চলাফেরা তুলনামূলকভাবে অনেক কম দেখা গেছে। এর কারণ হিসেবে সাধারণ মানুষ বলছেন—রাজনৈতিক কর্মসূচি, বাসে আগুন দেওয়া, যেখানে সেখানে পেট্রল বোমা ছোড়া। এতে মানুষের মধ্যে কিছুটা ভীতি তৈরি হয়েছে। ফলে প্রয়োজন ছাড়া বের হতে চাচ্ছেন না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সারা দেশে নৈরাজ্যের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জে এনসিপির মশাল মিছিল

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
গতকাল রাত ১০টায় নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মশাল মিছিল বের করেন এনসিপির নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল রাত ১০টায় নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মশাল মিছিল বের করেন এনসিপির নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

সারা দেশে আওয়ামী লীগের আগুন-সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জে মশাল মিছিল করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীরা। গতকাল বুধবার রাত ১০টায় শহরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এই মশাল মিছিল বের করে।

মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফের চাষাঢ়া বিজয় স্তম্ভের পাশে পথসভার মধ্য দিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক শওকত আলী, জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক নীরব রায়হান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সাবেক মুখপাত্র সারফারাজ হক সজীব প্রমুখ। 

বক্তব্যে এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক শওকত আলী বলেন, ‘সারা দেশে আওয়ামী লীগ নৈরাজ্য করছে। আমরা এই সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে প্রস্তুত আছি। আগামীকাল সকল যানবাহন ও দোকানপাট খোলা থাকবে। কোনো আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী যদি নাশকতা করতে আসে, তাহলে তাদের ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত