অনলাইন ডেস্ক
দেশের জ্বালানি বিদ্যুৎনীতি ভুল পথে অগ্রসর হচ্ছে। এর ফলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন হয়েছে। দেশ ও জনগণের স্বার্থে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জ্বালানিনীতি ঢেলে সাজাতে হবে।
আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে: অভিজ্ঞতা কী বলে?’ শীর্ষক সেমিনারের মূল প্রবন্ধে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) আয়োজিত সেমিনারে রামপাল ও মাতারবাড়ীর বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে কী ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, তা তুলে ধরেন ভুক্তভোগীরা।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্কের (বেন) প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানিনীতি ২০০৮-এ বলা হয়েছে, দেশের মোট জ্বালানিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অংশ ২০১৫ সালের মধ্যে ৫ শতাংশে এবং ২০২০ সালের মধ্যে ১০ শতাংশে উন্নীত করা হবে।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তবে পরিতাপের বিষয়, ২০২০ সনের লক্ষ্য মোটেও অর্জিত হয় নাই। নবায়নযোগ্য জ্বালানিসংক্রান্ত সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সাল নাগাদ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে মাত্র ৩৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে, যা কিনা ২০২০ সালের লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ১২ শতাংশ। কপ-২৬ সম্মেলনে বাংলাদেশ ঘোষণা করে যে, ২০৪১ সন নাগাদ মোট জ্বালানিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অংশ ৪০ শতাংশে বাড়ানো হবে। অতীতের নৈরাশ্যজনক পরিস্থিতির আলোকে বাংলাদেশ কীভাবে এই লক্ষ্য অর্জন করবে তা বলা কঠিন।’
সেমিনারে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘২০১০ সালে জাপানি সংস্থা জাইকার মাধ্যমে জ্বালানি খাত নিয়ে মহাপরিকল্পনা করেছে সরকার। সেই মহাপরিকল্পনায় বাংলাদেশের জ্বালানি খাত নিয়ে বিপজ্জনক পথ তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়লাবিদ্যুৎ, এলএনজি গ্যাস, বিদ্যুৎ আমদানি, পারমাণবিক বিদ্যুৎকে গুরুত্ব দিয়ে মূল পরিকল্পনা করা হয়েছে। তারপর আমরা দেখলাম রামপাল, বাঁশখালী, মাতারবাড়ী একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। সেই থেকে দেশের জ্বালানি খাত সর্বনাশা পথে গেছে।’
আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, ‘কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ বাংলাদেশের জন্য অভিশাপ। এই পদক্ষেপ বিদ্যুতের সরবরাহ অনিশ্চিত করে তুলেছে। আমাদের গ্যাস অনুসন্ধানের জাতীয় সক্ষমতা বাড়ানো হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে মনোযোগ বাড়ানো হবে। তাহলে জ্বালানি ব্যয় কমিয়ে এনে মানুষের ওপর ক্রমান্বয়ে ঋণের বোঝা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।’
বাপার সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম, অধ্যাপক এম এম আকাশ, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) পরিচালক মোহাম্মদ মোক্তারুজ্জামান প্রমুখ।
দেশের জ্বালানি বিদ্যুৎনীতি ভুল পথে অগ্রসর হচ্ছে। এর ফলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন হয়েছে। দেশ ও জনগণের স্বার্থে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জ্বালানিনীতি ঢেলে সাজাতে হবে।
আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে: অভিজ্ঞতা কী বলে?’ শীর্ষক সেমিনারের মূল প্রবন্ধে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) আয়োজিত সেমিনারে রামপাল ও মাতারবাড়ীর বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে কী ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, তা তুলে ধরেন ভুক্তভোগীরা।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্কের (বেন) প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানিনীতি ২০০৮-এ বলা হয়েছে, দেশের মোট জ্বালানিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অংশ ২০১৫ সালের মধ্যে ৫ শতাংশে এবং ২০২০ সালের মধ্যে ১০ শতাংশে উন্নীত করা হবে।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তবে পরিতাপের বিষয়, ২০২০ সনের লক্ষ্য মোটেও অর্জিত হয় নাই। নবায়নযোগ্য জ্বালানিসংক্রান্ত সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সাল নাগাদ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে মাত্র ৩৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে, যা কিনা ২০২০ সালের লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ১২ শতাংশ। কপ-২৬ সম্মেলনে বাংলাদেশ ঘোষণা করে যে, ২০৪১ সন নাগাদ মোট জ্বালানিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অংশ ৪০ শতাংশে বাড়ানো হবে। অতীতের নৈরাশ্যজনক পরিস্থিতির আলোকে বাংলাদেশ কীভাবে এই লক্ষ্য অর্জন করবে তা বলা কঠিন।’
সেমিনারে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘২০১০ সালে জাপানি সংস্থা জাইকার মাধ্যমে জ্বালানি খাত নিয়ে মহাপরিকল্পনা করেছে সরকার। সেই মহাপরিকল্পনায় বাংলাদেশের জ্বালানি খাত নিয়ে বিপজ্জনক পথ তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়লাবিদ্যুৎ, এলএনজি গ্যাস, বিদ্যুৎ আমদানি, পারমাণবিক বিদ্যুৎকে গুরুত্ব দিয়ে মূল পরিকল্পনা করা হয়েছে। তারপর আমরা দেখলাম রামপাল, বাঁশখালী, মাতারবাড়ী একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। সেই থেকে দেশের জ্বালানি খাত সর্বনাশা পথে গেছে।’
আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, ‘কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ বাংলাদেশের জন্য অভিশাপ। এই পদক্ষেপ বিদ্যুতের সরবরাহ অনিশ্চিত করে তুলেছে। আমাদের গ্যাস অনুসন্ধানের জাতীয় সক্ষমতা বাড়ানো হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে মনোযোগ বাড়ানো হবে। তাহলে জ্বালানি ব্যয় কমিয়ে এনে মানুষের ওপর ক্রমান্বয়ে ঋণের বোঝা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।’
বাপার সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম, অধ্যাপক এম এম আকাশ, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) পরিচালক মোহাম্মদ মোক্তারুজ্জামান প্রমুখ।
গাজীপুরের শ্রীপুরে ঘুমন্ত মাদকাসক্ত ছেলেকে ধারালো বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর থানায় এসে বৃদ্ধ বাবা আত্মসমর্পণ করেছেন। মাদকাসক্ত ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বৃদ্ধ বাবা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল।
১ সেকেন্ড আগেগাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে অবস্থিত তৈরি পোশাক কারখানা এম এম নিটওয়্যার ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সকাল ৮টায় শ্রমিকেরা কারখানার গেটে টানানো বন্ধ ঘোষণার নোটিশ দেখতে পান। নোটিশ দেখার পর শ্রমিকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা...
৩৮ মিনিট আগেকারও হাতে খাতা, কারও বইয়ের ভাঁজে গুঁজে রাখা কলম। হঠাৎ হাওয়ার ঝাপটা এসে উড়িয়ে দেয় কাগজ। মাথায় হাত দিয়ে ধরে রাখতে হয় বই। শিক্ষক একটু থেমে যান। শব্দ থেমে যায়। কয়েক সেকেন্ড পরে আবারও
১ ঘণ্টা আগে২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জন নিহত হন। হাসপাতালে মারা যান আরও একজন। রমনা বটমূলে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ ঘণ্টা আগে