টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ-আল মামুন বলেছেন, ‘ইজতেমার উভয় পক্ষের মুরব্বিদের সঙ্গে কথা বলেছি। ইজতেমায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না বলে তাঁরা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। উভয় পক্ষ ইজতেমা আয়োজন করতে সহযোগিতা করবেন। তারপরও যদি কেউ ইজতেমাকে ঘিরে ঝামেলা করতে চায়, তাকে মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত আছি।’
আজ বুধবার দুপুরে গাজীপুরের টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে বিশ্ব ইজতেমায় অস্থায়ী পুলিশের কন্ট্রোল রুমে ইজতেমায় নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন আবদুল্লাহ আল মামুন।
পুলিশের আইজি বলেন, ‘আমরা প্রতিবার নিরাপত্তাব্যবস্থা দিয়ে থাকি। বিশ্ব ইজতেমা ময়দান নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা ও আস্থা রয়েছে। আমরা তাদের ব্রিফিং দিয়েছি, প্রশিক্ষণ দিয়েছি, কে কখন কোথায় কীভাবে দায়িত্ব পালন করবে, সেভাবে তাদের প্রস্তুত করেছি।’
গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে পুলিশপ্রধান বলেন, ‘আমি দেশবাসীকে অনুরোধ করব, আপনারা গুজবে কান দেবেন না। একটা দল দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করার জন্য চেষ্টা করে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করে, বিভিন্ন দল, গ্রুপ ও সম্প্রদায়ের মাঝে বিভেদ সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। তাদের গুজবে কান দেবেন না।’
আবদুল্লাহ-আল মামুন বলেন, ‘বর্তমান নিরাপত্তায় বোম ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াত টিম, ডগ স্কোয়াড, বিস্ফোরক প্রশিক্ষক টিম, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও আমাদের প্রশিক্ষক টিম, নৌবহর ও হেলিকপ্টার দিয়েও টহলব্যবস্থা প্রস্তুত থাকবে। সোয়াত টিম থাকবে, সিআরটি থাকবে। এ ছাড়া পর্যাপ্তসংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা, আইপি ক্যামেরা ও নাইট ভিশন ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করব। এসবের পাশাপাশি ওয়াচ টাওয়ার থাকছে, সাদাপোশাকে এবং পোশাকে পুলিশের সদস্যরা থাকবে। ইজতেমাস্থলে যদি ভিআইপি-ভিভিআইপিরা আসেন, তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টিও বিবেচনায় রেখে নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি।’
নিরাপত্তা পরিকল্পনা শুধু যে ইজতেমাস্থলে তা কিন্তু নয়, ‘এ নিরাপত্তা পরিকল্পনা রেলস্টেশন থেকে শুরু করে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এলাকা, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ—আমরা সকলে মিলে একটি নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমরা বিভিন্ন ইউনিট, র্যাব, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন আছে—আমরা সকলে সমন্বয় করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।’
আইজিপি আরও বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমায় নিরাপত্তা পরিকল্পনায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। আমরা তাদের কাছ থেকে তথ্য পাচ্ছি এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিচ্ছি। তা ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট আপলোড করে কেউ যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে না পারে, সে জন্য আমাদের সাইবার মনিটরিং ও সাইবার প্যাট্রোলিং জোরদার করা হয়েছে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত আইজিপি আতিকুল ইসলাম (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস), অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম (স্পেশাল ব্রাঞ্চ), ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নুরুল ইসলাম, ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলমসহ বাংলাদেশ পুলিশের সব ইউনিটের প্রধান, ঢাকা বিভাগের ডিআইজি, ঢাকা ও গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনাররা।
এর আগে পুলিশের মহাপরিদর্শক, পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকা পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপ। মাঝে চার দিন বিরতি দিয়ে ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ-আল মামুন বলেছেন, ‘ইজতেমার উভয় পক্ষের মুরব্বিদের সঙ্গে কথা বলেছি। ইজতেমায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না বলে তাঁরা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। উভয় পক্ষ ইজতেমা আয়োজন করতে সহযোগিতা করবেন। তারপরও যদি কেউ ইজতেমাকে ঘিরে ঝামেলা করতে চায়, তাকে মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত আছি।’
আজ বুধবার দুপুরে গাজীপুরের টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে বিশ্ব ইজতেমায় অস্থায়ী পুলিশের কন্ট্রোল রুমে ইজতেমায় নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন আবদুল্লাহ আল মামুন।
পুলিশের আইজি বলেন, ‘আমরা প্রতিবার নিরাপত্তাব্যবস্থা দিয়ে থাকি। বিশ্ব ইজতেমা ময়দান নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা ও আস্থা রয়েছে। আমরা তাদের ব্রিফিং দিয়েছি, প্রশিক্ষণ দিয়েছি, কে কখন কোথায় কীভাবে দায়িত্ব পালন করবে, সেভাবে তাদের প্রস্তুত করেছি।’
গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে পুলিশপ্রধান বলেন, ‘আমি দেশবাসীকে অনুরোধ করব, আপনারা গুজবে কান দেবেন না। একটা দল দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করার জন্য চেষ্টা করে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করে, বিভিন্ন দল, গ্রুপ ও সম্প্রদায়ের মাঝে বিভেদ সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। তাদের গুজবে কান দেবেন না।’
আবদুল্লাহ-আল মামুন বলেন, ‘বর্তমান নিরাপত্তায় বোম ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াত টিম, ডগ স্কোয়াড, বিস্ফোরক প্রশিক্ষক টিম, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও আমাদের প্রশিক্ষক টিম, নৌবহর ও হেলিকপ্টার দিয়েও টহলব্যবস্থা প্রস্তুত থাকবে। সোয়াত টিম থাকবে, সিআরটি থাকবে। এ ছাড়া পর্যাপ্তসংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা, আইপি ক্যামেরা ও নাইট ভিশন ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করব। এসবের পাশাপাশি ওয়াচ টাওয়ার থাকছে, সাদাপোশাকে এবং পোশাকে পুলিশের সদস্যরা থাকবে। ইজতেমাস্থলে যদি ভিআইপি-ভিভিআইপিরা আসেন, তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টিও বিবেচনায় রেখে নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি।’
নিরাপত্তা পরিকল্পনা শুধু যে ইজতেমাস্থলে তা কিন্তু নয়, ‘এ নিরাপত্তা পরিকল্পনা রেলস্টেশন থেকে শুরু করে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এলাকা, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ—আমরা সকলে মিলে একটি নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমরা বিভিন্ন ইউনিট, র্যাব, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন আছে—আমরা সকলে সমন্বয় করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।’
আইজিপি আরও বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমায় নিরাপত্তা পরিকল্পনায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। আমরা তাদের কাছ থেকে তথ্য পাচ্ছি এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিচ্ছি। তা ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট আপলোড করে কেউ যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে না পারে, সে জন্য আমাদের সাইবার মনিটরিং ও সাইবার প্যাট্রোলিং জোরদার করা হয়েছে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত আইজিপি আতিকুল ইসলাম (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস), অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম (স্পেশাল ব্রাঞ্চ), ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নুরুল ইসলাম, ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলমসহ বাংলাদেশ পুলিশের সব ইউনিটের প্রধান, ঢাকা বিভাগের ডিআইজি, ঢাকা ও গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনাররা।
এর আগে পুলিশের মহাপরিদর্শক, পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকা পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপ। মাঝে চার দিন বিরতি দিয়ে ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রায় ১৭০ বছর আগে বাংলাদেশে চায়ের চাষ শুরু হয়। পরে সময় যত পেরিয়েছে, চা-বাগানের সংখ্যা ও পরিধি বেড়েছে। কিন্তু বাগানের শ্রমিকদের জীবনমানের তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। এখন বেকারত্বে জর্জরিত হয়ে আছে শ্রমিকদের পরিবারগুলো।
১ ঘণ্টা আগেশ্রমিকের হাতুড়ির আঘাতে ভাঙছে ইট, গড়ে উঠছে দালান, সেতু, রাস্তা। রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে এই পরিশ্রমের কাজ করেও জোড়া লাগেনি তাঁদের ভাগ্য। এখান থেকে পাওয়া সামান্য আয়ে তাঁরা কোনোরকমে ধরে রেখেছেন সংসারের হাল।
১ ঘণ্টা আগেসড়কের গর্তে আটকে গেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা। পেছনে তৈরি হয়েছে যানজট। পেছন থেকে কেউ জোরে হর্ন দিচ্ছে, আবার কেউ করছে গালাগাল। শেষমেশ কয়েকজন মিলে ধাক্কা দিয়ে ওঠাতে হয়েছে রিকশাটিকে। গত রোববার সকালে এমনটাই দেখা যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে হাতিরঝিল যাওয়ার সড়কে। সড়কটি পান্থপথ-তেজগাঁও লিংক রোড নামেও...
৯ ঘণ্টা আগেগাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে মাসব্যাপী শুরু হয়েছে কুটিরশিল্প মেলা। ১৮ এপ্রিল শুরু হওয়া এ মেলায় হস্ত ও কুটিরশিল্পের কোনো পণ্য নেই। রয়েছে দুটি মিষ্টির দোকান, কয়েকটি ফুচকার স্টল, ভূতের বাড়ি জাদু প্রদর্শনী, সার্কাস, নাগরদোলা, স্লিপার, ওয়াটার বোট, লটারির টিকিট বিক্রির ১০-১২টি কাউন্টার ও লটারির ড্র...
৯ ঘণ্টা আগে